নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমাদের এ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দূরে! বহু দূরে! ঈগল চোখের আড়াল খুঁজে নিচ্ছি- যেখানে সমস্ত পাপী স্বীকারোক্তি দেয় তাদের আকন্ঠ পাপের। অন্তত তারা সত্যের আড়ালে পাপ করে না; পাপ নিয়ে করে না কোন মিথ্যাচার!

নয়ন বিন বাহার

আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।

নয়ন বিন বাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দারিদ্রের সংজ্ঞা বদলে ফেলুন

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

একজন মানুষের দারিদ্রতা কখনো নি:শেষ হওয়ার নয়।

এলিট সমাজ দারিদ্রের একটা সংজ্ঞা দিয়েছে। দারিদ্রের সীমা নির্ধারণ করেছে।

একজন রিকশাওয়ালাকে আপনি দরিদ্র বলছেন। তাকে জিজ্ঞেস করুন তার অভাব কী? সে বলবে তার যদি একটা নিজের মালিকানাধীন রিকশা থাকত।
তাকে একটা রিকশা কিনে দিন। এরপরে তার অভাব হবে একটা সিএনজির। অর্থাৎ তার চাহিদা ক্রমান্বয়ে শুধু বাড়তেই থাকবে। এভাবে যার মার্সিডিজ আছে সে ভাবছে তার যদি একটা প্রাইভেট জেট থাকত।

তো, এ অভাব বা দারিদ্রতা কখন শেষ হবে?

এবার আসুন ইনকাম প্রসঙ্গে,
আমি বহু রিকশাওয়ালা দেখেছি, যারা সকালে ভাল ইনকাম করতে পারলে বিকালে রিকশা না চালিয়ে রেস্ট নিতে। অথবা যেদিন ইনকাম বেশি হয় তার পরদিন রিকশা না চালাতে। তার সামর্থ্য থাকা সত্বেও শুধুমাত্র অর্থের জন্য রিকশা চালায় না। অর্থাৎ অর্থটা তার কাছে মূখ্য নয়। এখন এই রিকশাওয়ালা আর্থিকভাবে দরিদ্র হলেও মানসিকভাবে দরিদ্র নয়।

ট্রাডিশনাল সংজ্ঞায় একজন মানুষকে দরিদ্র মনে হলেও আদতে সে দরিদ্র নয়। দারিদ্রতাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে শুধুমাত্র আর্থিক ব্যবস্থাপনা দিয়ে। এই ভাবনার মাধ্যমে আরও একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, মানুষের অবমূল্যায়ন।

এই অবমূল্যায়ন করা হয় আর্থিক মানদন্ডে। সমাজ অর্থের মানদন্ডে বিবেচনা করে দরিদ্রদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়।
অথচ আরও অনেক পয়েন্ট আছে দারিদ্রতা ব্যাখ্যা করার।
তাই দারিদ্রতাকে ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। শুধুমাত্র আর্থিক কম্পোনেন্ট দিয়ে মানুষের সামাজিক মূ্ল্যায়ন করা বাদ দিতে হবে।

দারিদ্রতাকে বলা হয় সামাজিক ব্যধি। অথচ দারিদ্রতা সামাজিক ব্যধি নয়; সামাজিক ব্যধি হল এই ভাবনার টার্মটা।

তাই দারিদ্র সীমা নির্ধারণ না করে সুখী সীমা নির্ধারণ করতে হবে।

‘বহু মানুষ আছে যারা বিত্তশালী হয়েও সুখী নয়; আবার বহু মানুষ আছে যারা বিত্তহীন হয়েও সুখী।’ এটাতো অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

তাছাড়া মানুষ সবসময় সুখী হতে চায়। অর্থ বিত্ত ইত্যাদি তো সুখী হওয়ার জন্যই। তাই আমাদেরকে সুখী হওয়ার মানদন্ড নিয়ে কাজ করতে হবে। অর্থ-বিত্তের মানদন্ড নিয়ে নয়।

তাই দারিদ্র সীমা নয়, সুখী সীমা বলুন। মানুষের প্রকৃত মূল্যায়ন করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুখী হওয়াটা সম্পূর্ণ নিজের কাছে

সুন্দর লাগলো

২| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের কিছু মৌলিক চাহিদা থাকে ।সেগুলো পুরন হলেই একটা মানুষকে সে দরিদ্র না বলা যায়।
সুখের কোন সীমা পরিসীমা নাই।তাই এটা দিয়ে কোনকিছুই নির্ধারন করা যায় না।
যদি সুখী দেশের কথা বলেন তবে বলা যায়,যে সকল দেশের মানুষ দরিদ্র সীমার উপরে বসবাস করে,আইন শৃঙ্খলার অবস্থা ভালো,রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে,সে সকল দেশের মানুষ মোটা মুটি সুখী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.