নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
আমরা অপরিচিত কোন মানুষের সাথে পরিচিত হতে গিয়ে নিজের প্রফেশনকে হাইলাইট করি।
যেমন-
আমি ওমুক, পুলিশ ইন্সপেক্টর! বা ওমুক গ্রুপের ডিরেক্টর! বা বিসিএস কাডার ইত্যাদি!
অর্থাৎ নাম বলার পরপরই নিজের ডেজিগনেশানকে হাইলাইট করি। যেটা নিজের নামকেও চাপিয়ে যায়!
এইযে নিজের ডেজিগনেশন নিজের নামকে ডুবিয়ে দিল এইটা কেউ খেয়ালই করে না!
এই খেয়াল না করাটা সমাজের জন্য খুবই খারাপ। এখানে সমাজ একটা মারাত্মক ভুল বার্তা পায়।
বার্তাটা হল ব্যক্তির চেয়ে পদ বড়, ব্যক্তির চেয়ে পদ পূজনীয়!
মাঝে মাঝে শুনবেন, ম্যাজিস্ট্রেটকে স্যার না বলায় রিকশাওয়ালাকে জরিমানা, বকাঝকা ইত্যাদি। -এটা এই কারণে।
যে সমাজে এইগুলা ঘটে সেখানে সমাজ তো দূরে, সেখানে মানুষ আর মানুষ থাকে না।
নতুন মানুষ তৈরী হয় না!
এভাবে মানুষ তৈরীর কারখানা অচল হয়ে পড়ে!
২| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরিচিত কোন মানুষের সাথে পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট কোন কারণে পরিচয় হোলে পদবি বা ডিগ্রি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করার তেমন দরকার দেখি না, যদি না সেই ব্যক্তি জানতে চায়।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: পোশাকই সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়েই তো এত হুজ্জোত
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯
নতুন বলেছেন: মানুষ যখন নিজেকে তার আচরনে বা কাজে পরিচিত করতে না পারে তখনই সে তার পদবী বা ক্ষমতা দিয়ে মানুষকের মাঝে পরিচিত হতে চায়।
ভালো মানুষকে সমাজের মানুষ চেনে তাকে সন্মান করে। যারা পরিচিত চায় কিন্তু নিজের আচরনে পায় না তখন অন্য কিছুর সাহাজ্য নেয়।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষের কীর্তিই মানুষকে বড়ো করে, কীর্তিই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। এখানে পদগুলোকে ব্যক্তির অর্জন হিসাবে ধরা যেতে পারে। প্রফেসর আব্দুর রহমান, ডাক্তার লুৎফর রহমান, মাননীয় মন্ত্রী জনাব নুরুল হক। এই পদগুলো তার পরিচিতিও।
তবে, তিনি প্রফেসর আব্দুর রহমানের ভাগ্নে বা ভাতিজা, তিনি মন্ত্রীপুত্র, এসবের তেমন মূল্য নেই। কারণ, এইগুলো তাদের অর্জন না।
পদ অর্জনের পর তার অহঙ্কার, তর্জন-গর্জন হলো অন্যায়-অপরাধ, যেমন, কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে 'স্যার' না ডেকে 'দিদি' বলায় ভর্ৎসনা করা, কোনো ম্যাজিস্ট্রেটকে স্যার না ডাকায় জরিমানা করা, ইত্যাদি।