নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
অনাবৃষ্টির কারণে দেশে আমন ধানের ফলন হুমকির মুখে।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধেও কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি।
তাইওয়ান চীন যুদ্ধ প্রস্তুতি চলছে...
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সরবরাহে স্মরণ কালের ঘাটতি।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে নিত্য পণ্যের দামে উল্লম্ফন। বিদ্যুৎ ঘাটতি। উৎপাদন ঘাটতি।
দেশের অনৈতিক ব্যাবসায়িক সিন্ডিকেটের দরুন প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি চলছে।
বৈরী প্রকৃতি এবং মনুষ্য সৃষ্ট এইসব দূর্যোগের ফলে আগামীর পৃথিবী খুবই অশান্ত হতে যাচ্ছে। নিত্য পণ্যের দাম দিনকে দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এখন এসব দেখে শুনে আপনি হতাশ হয়ে পড়লে তো সব শেষ!
এবার আসুন আমরা একটা প্রশ্নের উত্তর দিই। উপরে উল্লেখিত এই সব বিষয়ে আমাদের মতো আমজনতার কী করণীয়? সত্যি বলতে এসব বিষয়ে আদতে আমাদের কোনোই হাত নেই। আমরা প্রভাবক নই, আমরা ভুক্তভোগী!
তবে আমারদের কিছুই করণীয় নেই এ কথাটা ঠিক নয়। আমরা কিছু বিষয়ে দারুন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি...
১। মাসের বাজার একসাথে না করে ডেইলি বা উইকলি বেসিসে করুন।
আমরা দেশের অনৈতিক ব্যাবসায়িক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে পারি। আমরা একসাথে এক মাসের বাজার না করে ডেইলি বা উইকলি বেসিসে বাজার করতে পারি। সেক্ষেত্রে বেতনের পেমেন্ট সিস্টেম মাসিক না করে উইকলি করার সিদ্ধান্ত ভালো কাজ দিতে পারে। চালের বস্তা বা এক মাসের চাল একসাথে না কিনে প্রতি সপ্তাহের চাল ভেঙ্গে ভেঙ্গে কিনলে বাজারে সাপ্লাই আর যোগানের ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ হবে। সেক্ষেত্রে সিন্ডিকেট তার মজুদ থেকে দ্রুত লাভ বের করতে পারবে না। এরকমভাবে ভোজ্য তেল সহ নিত্য পণ্য পুরো মাসের এক সাথে না কিনে দৈনিক বেসিসে কিনলে বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকতে সহায়তা করবে।
২। গৃহিনীদেরকে অর্থ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করুন।
আমাদের দেশের সিংহভাগ নারী ইনকামের সাথে জড়িত নন। অর্থাৎ পিউর গৃহিনী। তাঁরা গৃহ ব্যবস্থপনায় নিপুন হলেও প্র্যাকটিক্যালি অর্থ ব্যবস্থাপনায় কিছুটা ননপ্র্যাকটিক্যাল। ধরুন আপনি দুই কেজি আপেল নিয়ে বাসায় এলেন। তাঁরা এই আপেলের একটাও নষ্ট করবে না। কিন্তু আপনাকে বলবে না যে দুই কেজি আপেলের দরকার ছিলো না। এরকম অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচতে একটা পদ্ধতি কাজে দিতে পারে। যেহেতু আপনি মাস শেষে বেতন পান তাই মাসের বাজার খরচ আপনার স্ত্রীর হাতে দিয়ে দিন। যেদিন যা বাজার লাগবে সেদিন ঐ পরিমান টাকা তার থেকে নিয়ে বাজার করে তাকে হিসাব বুঝিয়ে দিন। বাজারের এই টাকাকে সে নিজের টাকা মনে করবে। যখন দেখবে জমানো টাকা প্রতিদিন কমছে তখন তর কাছে একটু মন খারাপ লাগবে। সে তখন অনেক অযাচিত সদাইয়ের কথা আপনাকে বলবে না বা প্রেসার দিবে না।
এ বিষয়ে আমি একটা অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। সবসময় ডিম কিনতে বিশটা করে কিনি। আমার স্ত্রীর হাতে টাকা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনে ডিম লাগবে। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে ডিম দশটা কত? আমি বললাম কেনো? সে বলল, ডিম দশটা কিনব। বললাম, আমি ডিম কিনি একসাথে বিশটা এখন তুমি দশটা কিনবে কেনো? তাছাড়া যখন বিশটা কিনতাম তখনতো কোনোদিন বলোনি যে ডিম দশটা করে কিনিও? সে বলল, তখনতো টাকা আমি দিতাম না। ভাবেন!
একটা খাতায় বাজারের হিসাব লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারেন। হিসাব লিখিত থাকলে একটা সুবিধা হবে বিভিন্ন দ্রব্যের পরিমাণের একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। অযাচিত খরচ থেকে মুক্তি মিলবে। বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন বলেছেন,‘ছোট ছোট খরচগুলো থেকে সাবধান। একটা ছোট্ট লিক দেখা যাবে পুরো জাহাজকেই ধ্বসিয়ে দিয়েছে!’
৩। বিদেশী ফল বা বিলাসদ্রব্য ক্রয় থেকে বিরত থাকুন।
যে অঞ্চলে যে ফল ফলে, সেই ফল ঐ অঞ্চলের মানুষের জন্য উপকারী। মৌসুমী ফল খেলে তার পরবর্তী সিজন পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলবৎ থাকে। যেমন সিজনে দুই তিনটা জাম্বুরা খেলে পরবর্তী শীত আপনাকে কাবু করতে পারবে না। এক কেজি আপেল না ২৫০ টাকা দিয়ে না কিনে তিরিশ চল্লিশ টাকা দিয়ে এক কেজি পেয়ারা কিনে খান। এতে অর্থ সাশ্রয় হবে এবং যথার্থ পুষ্টিও মিলবে।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন:
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেয়ালে পিঠ ঠেকলে বুদ্ধি অটো বের হয়।
১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২১
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আর সেই বুদ্ধি তখন সাপ্লাই দিতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪১
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: কত বুদ্ধি আপনার?