নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের একেক জনের জীবনের এক একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে আমাদের আশপাশে যা হচ্ছে তার উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। তখন জীবনের নিয়ন্ত্রন নেয় ভাগ্য। এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
'তুমি কি সে?
যার দিকে তাকিয়ে, এক শতাব্দী, পাড়ি দিতে পারি?'
প্রথম যেদিন এই লাইন কটা শুনি
মনে মনে হেসেছি, পাগল না কি!
মানুষ এক শতাব্দী বাঁচে না কি?
'শতাব্দী ছোঁয়ার সাহস আমার আছে,
তুমি সাথী হবে কি?'
অবাক হয়ে গেছি, তার মন পড়া দেখে,
সাহসী হওয়ার কসরত নিলাম,
মনে শিহরণ মেখে।
পাতলা গড়ন, এক মাথা চুল,
মুখে লম্বা নাক, সিঁড়ির মতো, বিলকুল!
আজানু লম্বা হাতে, একটা কলমির ফুল,
নাকের তলায় সরু গোঁফ চিক চিক করে
মেসক রঙা দুটি ঠোট যেন সাজানো থরে থরে
গা ঝাঁড়া দিয়ে উঠা সদ্য শাবকের মতো
অস্থির দুটি পা
যেনো পৃথিবী ভ্রমনের শপথ নিয়েছে।
'আমাকে আমি হাতের মুঠোয় পুরতে পারি,
তুমি বাজি লাগাতে পারো।'
আমার অবাক হওয়ার বাকী আছে আরো!
আমাকে পড়তে পারে, এমন চীজও আছে?
আরও বিষ্ময় আড়ষ্ট করে পাছে,
ঘুরলাম সরল কোণে, সটকে পড়ার তালে।
হেঁটে যেতে যেতে তাকালাম সমকোণে,
কোথাও নেই কেউ, ফিরলাম আনমনে,
শতাব্দী ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা বিভোর পুরুষ
উধাও হয়েছে, ব্যার্থ নিবেদনে।
মনে পুলক নিয়ে-
তারপর কেটে যাবে তিথির পরে তিথি,
এই ভেবেছি আমি।
আমার ভাবনার গুঁড়ে বালি-
পানকৌড়ির মতো হঠাৎ উঠিছে ভাসি-
'তুমি কি সে?
যার দিকে তাকিয়ে, এক শতাব্দী, পাড়ি দিতে পারি?'
তারপর কেটে গেছে, কত বেহিসেবী পূর্ণিমা তিথি,
শতাব্দী ছোঁয়ার প্রবল পুরুষ আসেনি ফিরে,
নিজেকে হাতের মুঠোয় পুরার দুঃসাহস দেখায়নি কেউ,
আর, আর আমার মন পড়ে, আমাকে চমকায়নি কেউ,
শুধু নীরব বিরহ আমাকে বারবার চমকিত করছে।
তারও অনেক দিনের পরে,
হঠাৎ মনে হলো, আমি অপেক্ষায় অাছি,
আমি অপেক্ষায় আছি, শতাব্দী ছোঁয়ার,
নিজেকে কী করে হাতের মুঠোয় পুরে, তা দেখার।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।