![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা ডক্টর জাফর ইকবাল কে? Who the hell is Jafar Iqbal?
আপনাদের অনেকেরই উত্তর হতে পারে জাফর ইকবাল হচ্ছে একজন নাস্তিক শয়তান যাকে জঙ্গী দিয়া কুপানো উচিত।
আমি বলব, জাফর ইকবাল মানে হচ্চে বেল টেলিফোন লেবরেটরি।
জাফর ইকবাল মানে ফোবিয়ানের যাত্রী
জাফর ইকবাল মানে দিপু নাম্বার টু
জাফর ইকবাল মানে বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর
জাফর ইকবাল মানে নিউরনে অনুরনণ
এই ধরনের অনেক সাহিত্যকর্ম যিনি আমাকে উপহার দিয়েছেন তাকে আমার জানা দরকার নেই তিনি ব্যাক্তিগত জীবনে কেমন, তিনি আস্তিক না নাস্তিক। আমার অধিকার নেই তাকে এসব দিয়ে মুল্যায়ন করার। আমি শুধু জানি তিনি একজন শিশু সাহিত্যিক, একজন শিক্ষক, যার সামনে যাওয়ার সৌভাগ্য যদি কখনো আসে তাহলে আমি তার সাথে সেলফি তুলব না তবে অবশ্যই আগে তার পা ধরে সালাম করব।
এবার আসি হুমায়ুন আহমেদ কে? Who the hell is Humayun Ahmed?
আপনি বলতে পারেন হুমায়ুন আহমেদ হচ্ছে সেই লুইচ্চা যে বুইড়া বয়সে নিজের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করে। ব্যাস এক বাক্যেই হুমায়ুন আহমেদের মত এক সাহিত্যের বিশ্বকোষকে মুল্যায়ন করে ফেললেন।
আমি বলব
হুমায়ুন আহমেদ হচ্ছেন হিমু
হুমায়ুন আহমেদ মিসির আলি
হুমায়ুন আহমেদ হচ্ছেন শুভ্র
হুমায়ুন আহমেদ মানে এক রাতে লেখা নন্দিত নরকে
হুমায়ুন আহমেদ হচ্ছেন তিনি যিনি আসাদুজ্জামান নুরকে চিরতরে বাকের ভাই বানিয়ে দিয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদ মানে শঙ্খনীল কারাগার
হুমায়ুন আহমেদ মানে জোছনা ও জননীর গল্প।
হুমায়ুন আহমেদ হচ্ছে সে মনের দিক থেকে ধনী মানুষ যিনি টাকা দিয়ে গার্মেন্টস ফেক্টরি না বানিয়ে নুহাশ পল্লী বানিয়েছেন।
যিনি টাকা দিয়ে সেন্ট মার্টিনের নির্জন দ্বীপে তৈরি করেন সমুদ্র বিলাস।
তাই এই লোকটা আমার হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনে সব সময় আছে এবং থাকবে। আমার জানা দরকার নাই হুমায়ুন আহমেদ ব্যাক্তিগত জীবনে কি ছিলেন। হ্যা তিনি বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছেন। খুব ভালো কাজ করেছেন করেছেন। আই এপ্রিসিয়েট। উনার সামর্থ্য ছিল টাকা ছিল তাই তিনি চাইলে চারটা বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু করেছেন মাত্র দুটি। বেশির ভাগ মেয়েই জানে না পুরুষ আসলে কখনও বুড়ো হয় না। তাদের চাহিদা মেয়েদের চেয়ে একটু বেশি।এটা দোষ নয়। আল্লাহ পুরুষদের এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। মেয়েদের যৌবন খুবই ক্ষনস্থায়ী একটি ব্যাপার। মেয়েদের সংযম পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। ত্রিশের পর থকে মেয়েদের শারিরীক অনুভুতি উল্যেখযোগ্য হারে কমতে থাকে। চল্লিশের পর স্ত্রীরা স্বামীদের বুড়া বয়েসে ভিমরতী ধরছে ইত্যাদি বলে যদি খোচা দেয় তাহলে তার গুনাহ হবে। ছেলে এবং মেয়েদের শারিরিক গঠনগত পার্থক্য এবং যৌবন কাল ব্যাপ্তি সম্পর্কে যে মেয়ের ন্যুন্যতম জ্ঞান আছে তার আক্কেল থাকলে সে সমবয়সি ছেলের সাথে প্রেম করার আগে অন্তত দশবার ভাববে। so what is wrong with Humayun Ahmed? আপনার শুধু হুমায়ুন আহমেদের লুইচ্চামিই চোখে পড়ল। যারা এক্সট্রা অরডিনারী তাদের এই রকম দুই একটা অদ্ভুত ব্যাপার সেপার থাকে যার কোনো ব্যাখ্যা আপনি পাবেন না। গবেষনায় দেখা গেছে টেলেন্ট সৃজনশীল মানুষদের ব্রেইন ওয়েভ এবং সিজফ্রেনিয়া রোগিদের ব্রেইন ওয়েভ হুবাহু একই রকম।
আপনার সমস্যা হল গিয়ে আপনি গুলতেকিন খানের সাক্ষাতকার যত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন তত মনো্যোগ দিয়ে হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো পড়েন নি। বই কেনা আপনার কাছে একটা অপচয়ের বিষয়। আপনি হচ্ছেন সেই সাইকো যে দৈনিক পত্রিকা প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত রিডিং পড়েন কিন্তু উপন্যাস পড়ার সময় নেই আপনার। রাজনীতি কপচাকপচি ছাড়া আর কোনো বিষয়ে ইন্টারেস্ট আপনার নেই। আপনি সব সময় শেয়ার বাজারের ষাড়ের লড়াই আর ভালুকের জ্বর নিয়ে বিজি থাকেন। আপনি মুভি দেখেন না। আপনি হচ্ছেন সেই বুড়ো যে খবর আর টক শো ছাড়া আর কিছু দেখেন না। যেই লোকটা বাচ্চাদের মুখের উপর কার্টুন বন্ধ করে দিয়ে খবর বা টক শো চালিয়ে দেন তার মরে যাওয়ার সময় হয়েছে। তাকে এ পৃথিবীতে আর দরকার নেই। যে বৃদ্ধ লোকটি নাতি নাতনিদের সাথে বসে টম এন্ড জেরি দেখেন আর হাসেন তাকে বাচিয়ে রাখা উচিত, লাইফ সাপোর্ট দিয়ে হলেও।
আপনি রামগড়ুঢ়ের ছানা, সাহিত্যের রস কষ নেই আপনার মধ্যে তাই আপনি জাফর ইকবালকে নাস্তিকতা দিয়ে এবং হুমায়ুন আহমেদকে পারিবারিক জীবন দিয়ে বিচার করেন।
যেই ছেলেটা স্কুল জীবনে পাঠ্য বই এর ভিতর লুকিয়ে গল্প উপন্যাস পড়ে না সে আর যাই হোক সুস্থ বাচ্চা নয়। ছোটবেলা থেকে গল্প উপন্যাস পড়ার অভ্যাস গড়ে না তুললে তারা পরবর্তীতে এই রকম রামগরুঢ়ের ছানায় পরিনত হয়। আর সেই অমর বানী তো আছেই, “সেই মেয়েকে বিয়ে কর যার জীবনের প্রথম প্রেম ছিল বই”।
আর একটা ব্যপার লক্ষ্য করলাম, বিসিএস সহ বিভিন্ন সরকারী চাকুরীর পরীক্ষায় দেখা যায় হুমায়ুন আহমেদ বা জাফর ইকবালের সাহিত্যকর্ম নিয়ে সাধারনত কোনো প্রশ্ন আসে না। একজামিনারদের বোর্ডে বছরের পর বছর এমন কিছু বুড়ো ভাম রয়েছে যারা এখনো মারা যায়নি। সব মুরুব্বিদেরই দেখলাম হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য নিয়ে এলার্জি আছে। সংস্কৃত ভাষায় না লেখলে তাদের কাছে সাহিত্যকর্ম মনে হয় না। তার বছরের পর বছর রিপিটেড প্রশ্ন করে যান মীর মোশাররফ হোসেনের বালের সিন্ধু, শেকসপিয়ারের সেক্স কর্ম, বঙ্কিমচন্দ্রের বাল ছাল। কোথাকার পশ্চিমবঙ্গের অরুন্ধতি রায় নিয়েও বিসিএস এ কোয়েশ্চান হয়। কিন্তু কোনো দিন দেখলাম না তো, পরীক্ষায় আসছে, হিমু বা মিসির আলি চরিত্র কার সৃষ্টী, বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর বা ফোবিয়ানের যাত্রী কার লেখা। রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা কিম্বা কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা নিয়ে প্রশ্ন করলে কি চুলকায় ব্যটা বুইড়ার দল?
হুমায়ুন আহমেদ মারা গেছেন। কিন্তু গুলতেকিন খান আর কতিপয় সাংবাদিক উনাকে শান্তিতে ঘুমাতে দিচ্ছেন না।
রেস্ট ইন পিস হুমায়ুন স্যার। উই লাভ ইউ।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:০৮
ইনজিনিয়ার নাঈমুল হক বলেছেন: লিজা আপু আমি মেয়েদের ছোট কেন করব? চারটা বিয়ের কথা বললেই খালি মেয়েরা ছোট হয়ে যায়।
আমি তো ছেলে আর মেয়েদের শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য বোঝানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। মহাপুরুষদের চিন্তা ভাবনা
এবং বিচরনের ক্ষেত্র অনেক বড়, তাই তাদের স্ত্রীরা যদি তাদের বোতলে ভরে রাখতে চায় তবে মারাত্বক ভুল করবে
সেটাই হয়ত হয়েছিল হুমায়ুন আহমেদ এবং গুলতেকিনের সাথে
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আপনার সাথে আমি একমত।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৭
রাজীব বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের ২য় বিয়ে নিয়ে কারা কথা বলে??
পোলাপানরা,
যাদের বয়স হয়নি তারা এটি কি করে বুঝবে???
যাদের বয়স ৬০+ হয়েছে তাদের চিন্তু হয়ত অন্যরকম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:৩৮
হাইপেশিয়া লিজা বলেছেন: আপনার লিখাটি আমি অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়েছি ।অতি বিনয়ের সাথেই বলছি আমি হুমায়ুন আহমেদ এং জাফর ইকবাল স্যারের একজন অন্ধ ভক্ত এবং সব রকম বইয়েরই পোকা। উনাদের খুব কম বইই বোধ হয় আছে যা আমি পড়িনি। স্পষ্টত লেখা থেকে প্রতিয়মান হয় যে আপনি উনাদের অত্যন্ত ভালোবাসেন। আপনার লিখার শুরটা দেখে খুবই আগ্রহ নিয়ে লিখা পড়তে শুরু করে শেষ পর্যন্ত খুবই হতাশ হয়েছি। শোনেন ভাই প্রতিটা সেলিব্রেটির লাইফ নিয়ে আম জনতা কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার আমার ব্যক্তি জীবনেতো মানুষের মাথা ব্যাথা নেই আর থাকার কথাও না। তাই বলে আমি বলছি না সেলিব্রেটির ব্যাক্তি জীবনকে পেশাজীবনের সাথে এক করা ঠিক। পয়সা থাকলেই একজন মানুষ তিন চারটা বিয়ে করবে আধুনিক যুগে আপনার এমন মানুষিকতা আমাকে মর্মাহত করেছে। স্যারকে বড় করতে গিয়ে আপনি মেয়েদের বিশ্রী রকম ছোট করেছেন । যেটা স্যার নিজে বেঁচে থাকলে হয়ত সহ্য করতেন না। আপনি এক তরফা নিজের মত যুক্তি স্থাপন করে আবার নিজেই তা খন্ডন করেছেন যা খুবই হাস্যকর। একজন লেখককে বড় করতে গিয়ে আর দশটা লেখককে ছোট করার অধিকার কেউ আপনাকে দেয়নি হোক সে অন্য দেশের।আর গুলতেকিন কি বলল না বলল তা একজন সত্যিকার হুমায়ুন প্রেমির কিছুই আসে যায় না তা আপনার বোঝা উচিত। সর্বোপরি লেখায় আপনি কিছু সেনসর ভাষা ব্যবহার করেছেন যা দৃষ্টিকটু। শুধুমাত্র হুমায়ুন আহমেদকে অতি মাত্রায় ভালবাসি এবং নিজেও একজন লেখক বলে আপনার লেখনির এত বিসদ উত্তর করলাম। অন্যথায় হইাকে সময় নষ্ট বলেই বিবেচনা করতাম।ভালো থকবেন।