নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজকুমার

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা ক্ষান্ত হও.........নিজেদের মধ্যে মারামারিতে তোমাদের কোন লাভ নেই বরং ক্ষতি। (তুমি করেই বললাম। হয়তো আমার চেয়ে বয়স তোমাদের অনেক কম)।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

এখন ব্লগে লগ ইন করে আমার শুধু কান্না পাচ্ছে। আমি জানিনা আমি কি লিখব বা কিভাবে লিখা উচিৎ। বেশ কয়েকটি পোষ্ট পড়লাম। আগামীকালের হরতাল ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে আওয়ামীলীগ ও জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্র শিবির'রা একে অপরের মুখোমুখি ভার্চুয়াল জগতেও। তাও যেনতেন মুখোমুখি নয়, একেবারে মারমুখী। এই মুহুর্তে যদি একে অপরের সামনে থাকতো তবে কি না লঙ্কা কান্ড ঘটে যেত।



আমি বলতে চাই, যারা এখন ভার্চুয়াল প্রতিবাদে মুখর এরা তো আমাদেরই নতুন প্রজন্ম। এরা হয়তো বড়জোড় ২০-২৫ বছর বয়সী হবে। কিন্তু কেন বা কিসের মোহে এরা একে অপরের বিরুদ্ধে এভাবে মুখোমুখি অবস্থান নিলো?



আমাদের গর্বিত মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবির কেন চাচ্ছে না যে তাদের বিচার হোক? এ ধরনের অপরাধের একটি বিচার হলে জামায়াতে ইসলামী অনেকটাই নির্ভার হয়ে জনগণের সামনে যেতে পারবে। তাদেরকে আর মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন বিষয় নিয়ে জনগণের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না।



আর আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যে বিচার কার্যটি হচ্ছে, সেটার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অনেক দেশের কিংবা আমাদের অন্যতম বৃহৎ যে দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত এর যে আস্থার অভাব রয়েছে তাদেরকে কেন আস্থায় না নিয়ে এতো বড় এবং স্পর্শকাতর একটি বিচার কাজ চলছে (আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে, এটা চলা উচিত নয়)? আওয়ামীলীগ যদি পদ্মা, শেয়ার, হলমার্ক, ছাত্রলীগ/যুবলীগ, দ্রব্যমূল্য এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে সফলতা অর্জন করত তবে এই মহৎ বিচার কার্যটির বিষয়ে অপর দুটি বড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সহজেই আস্থায় নেয়া সম্ভব হতো। আওয়ামীলীগ যদি ৯৬'এ ক্ষমতায় এসে কেন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের বিচার করেনি কিংবা তারা কেন ৯৬ পূর্ববর্তী সময়ে জামাতের সাথে যুগপদ আন্দোলন করেছে তার ব্যাখ্যাটাও জনগণকে দিত তবে আরো অনেক সহজ হতো বর্তমান বিচার কার্যটি পরিচালনা করার জন্য। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বর্তমানে যাদের বিচার কার্য চলছে তারা জামাত বা ছাত্রশিবিরের আদর্শিক নেতা।



পরিশেষে বলবো, পদ্মা ব্রীজের জন্য টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্র নিহত বা গত হরতালে ছাত্রশিবিরের ৩ জন নিহত, কার লাভ হয়েছে বা কার ক্ষতি হয়েছে একটু ভেবে দেখবেন কি আপনারা, যারা এখন ভার্চুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত??????????

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কেমনে থামি? এটা যে জানতাম! এই দেশে যতদিন রাজাকারদের দোসর বেঁচে থাকবে, মুক্ত শ্বাস নিবে, ততদিন হুমকির মুখে এই দেশ। আজকেও কি দেশকে হুমকি দেওয়া হয়নি? যুদ্ধের হুমকি?

প্রয়োজনে আবারও যুদ্ধে যাবে বাঙালি! আমিও যাব, বাংলাদেশ এর প্রতি ভালবাসা থেকে, আর কিছু থেকে নয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: আজকে আমি এখনো খবর দেখিনি। অফিস থেকে ফেরার পথে সাইবার ক্যাফেতে ঢুকে আপনাদের যুদ্ধ দেখে মর্মাহত হয়েছি।

আপনি কি কখনও কোন ছাত্রশিবির বা জামায়ত সাপোর্টারের সাথে একা একা কথা বলেছেন? কথা বলে দেখবেন হয়তো ওরাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় এবং তারাও এসব যুদ্ধাপরাধীদের পাপ মাথায় নিয়ে রাজনীতি করতে চায় না। আবার আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে, এখন যাদের বিচার চলছে, তাদেরকে জামাত বা ছাত্রশিবির ভালোওবাসে।

যদি ব্যাপারটা এমন হতো, আপনি একজনকে ভালোবাসেন, সে আজকে বিচারের মুখোমুখি। তবে আপনি কিভাবে রিএ্যক্ট করতেন?

সুতরাং আপনাকে সবদিক বিবেচনা করে এবং বাস্তবতা বিচার করে এগোতে হবে। মনে রাখতে হবে, শুধু বিচার করলেই হবে না, আপনাকে একটা বিরাট জনগোষ্ঠীর আস্থাও অর্জন করতে হবে নিরপেক্ষ বিচার করার মাধ্যমে।

আশা করি বুঝবেন।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত পোস্ট ভাল লাগলো। ভাই কে যেন বলেছিল সব বিভেদ দূর হলে দেখা যাবে চা খোর গুল কফি খোর দের সাথে লেগে যাবে। আসলে আমরা মানুষ আদম পুত্র থেকেই কাবিল হাবিলের বংশধর। তবে দুঃখ জনক এই যে, আমাদের কেউ সমঝোতা করতে আসে না। আর আসলে ২ পক্ষ মিলে বাঁশ দিতে চায়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদান করার জন্য।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ছাগুদের বিশ্বাস হয় না, ধৃত ব্যাক্তিরা অরিজিনাল আলবদর- রাজাকার ।আরে হারামজাদা ছাগুর দল- ধৃত ব্যাক্তিরা তো শুধু রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারন সদস্যই না বরং রাজাকার-আলবদর-দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।
যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর "এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে , তারা ৭১ এ নিশ্পাপ শিশু । অথচ এরা তো ছিল, গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।কেননা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকাররেরা যাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে রাজাকারদের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। লাখ লাখ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আদর্শিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল এই লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ X(( X(( X(( +
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ




৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৫

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ইসলামের ইতিহাসে খেলাফত কায়েমকারী কাউরে কখনো দেখছেন মিথ্যাচারের চর্চা করতে ??

জামাত-শিবির হল ইসলামের প্রকৃত শত্রু, যারা মুখে খেলাফত কায়েমের কথা কয় আবার মিথ্যাচারের চর্চাও করে ।যেমনঃআদালতে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের ঘটনাস্হল ঢাকার মিরপুর এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে ।অথচ এ প্রসঙ্গে আদালতে কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী হাফেজ এ আই এম লোকমান আদালতে মিথ্যা জবানবন্দী দিয়ে বলেছেঃ যুদ্ধকালে আব্দুল কাদের মোল্লা নাকি ঢাকাতেই ছিলেন না। তিনি গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে ছিলেন। হানাদার বাহিনীর সাথে কাদের মোল্লার নাকি কোন সম্পর্কই ছিল না !!!!!!! দৈনিক সংগ্রামও কাদের মোল্লার পক্ষের ঐ সাক্ষীর এই মিথ্যা জবানবন্দীটি রিপোর্ট ফলাও করে নিখছে কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী লোকমান যে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দী দিয়েছে তার প্রমান দেখা মেলে এই ছবিতে যেখানে কাদের মোল্লার{গোল দাগ চিহ্নিত} সাথে পাক বাহিনী সেনাপতি ঘাতক নিয়াজীর সঙ্গে
৭১ এ ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করসে যে রাজাকার বাহিনী, সেই রাজাকার বাহিনীর লিডার গোলাম আজম গং দের কৃতকর্মের কথা মনে করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় জামাত- শিবির একটা ধর্ম বেচে খাওয়া মিথ্যাচারের চর্চা করা একটা দল ।মুখে ইসলাম কায়েমের কথা কয় আবার আদালতে মিথ্যাচারও করে ।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

খুব সাধারন একজন বলেছেন: আমাদের গর্বিত মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবির কেন চাচ্ছে না যে তাদের বিচার হোক? এ ধরনের অপরাধের একটি বিচার হলে জামায়াতে ইসলামী অনেকটাই নির্ভার হয়ে জনগণের সামনে যেতে পারবে।

...

জামাত কোনদিন নির্ভার হয়ে জনগণের সামনে যেতে পারবে না।
কুকুরের লেজে দোষ, জামাতের নীতিতে।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫

আগুয়ান বলেছেন: সর্বদলীয় ঐক্যজোট
সব যুদ্ধপরাধীর বিচার হোক।
বিচারের নামে প্রহসন
আর যেন না হয় কালক্ষেপণ।

বিভেদ নয় , প্রতিহিংসা নয়
অপরাজনীতি নয়, দুর্নীতি নয়
অজ্ঞতা নয়, স্বার্থপরতা নয়
নয় জাতির আত্মহনন।

জেগো ওঠো, জেগো ওঠো
হে বাংলার জনগণ
হতে হবে এক
করতে হবে উন্নয়ন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.