![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।
গতকাল আমাদের একটি প্রোগ্রাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংগঠন "ধ্বনি" এর আমন্ত্রণে আবৃত্তি উৎসবে। এর আগে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম ৫/৬ বছর আগে শীতের পাখি দেখার জন্য। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা হয়নি। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পর আমার মনটা অতোটা ভালো লাগায় আবিষ্ট হলো সেটা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। ওয়াও এতো বড় ক্যাম্পাস আর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন । আমি যারপরনায় অভিভুত। যেহেতু আমরা একটি প্রোগ্রামে গিয়েছি তাই আমাদের ঘুরাঘুরি করার খুব একটা সময় ছিলনা। তারপরও দুপুরের খাবারের পর ১ ঘন্টা সময় পেলাম। তখন ধ্বনি'র কিছু সদস্যদের সাথে নিয়ে আমরা বের হলাম বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখার জন্য।
এখানকার প্রাকৃতিক কোলাহল মুক্ত পরিবেশ যে কোন মানুষের মন কেড়ে নিবে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া ভ্যানে করে সে অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা করা খুব ভালো লেগেছে। ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংগ সংগঠন সমূহের শ্লোগান সম্বলিত দেয়াল লিখন আমার নজর এড়ায়নি। এতো ভালো ভালো কথা যারা লিখে রাখে, আমি মনে করি সেটা তারা তাদের বিশ্বাস থেকেই লিখে। তাহলে তারা কেন এবং কিভাবে বিভিন্ন রকমের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে সেটা কিছুতেই মেলাতে পারিনি।
ট্রান্সপোর্ট চত্বরে যাওয়ার পথে এক মামা'র ভ্যানে দেখলাম বড়ই, কতবেলসহ আরো বিভিন্ন ধরনের আচারের আইটেম। সেখান থেকে কিনে বিভিন্ন ধরনের আচার খেলাম। এতো স্বাদের আচার খুব কমই মনে হয় খেয়েছি। তারপর মুরাদ চত্বরে কিছুটা সময় অতিবাহিত করলাম।
আরো একটি ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে, দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র-ছাত্রীরা একত্র হয়ে গ্রুপ ষ্টাডি করছে। মনে মনে ভাবলাম এরাইতো আমাদের দেশের ভাবিষ্যৎ। এদের মধ্যে থেকেই তো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমলা এবং রাজনীতিবিদ পাবো ভাবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে বলব, আমরা যে সংগঠনটির আমন্ত্রনে সেখানে গিয়েছিলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয়ের 'ধ্বনি', তাদের আতিথিয়েতাতো রিতিমতো অবাক করার মতো। এতোটা বিনয়, সম্মান, ভালোবাসা এবং আতিথিয়তা পেয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়েছে। জানিনা আমরা তাদেরকে কতটুকু দিতে পেরেছি। তবে ওদের ভালোবাসা আমাকে অনেক লোভী করে ফেলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো ওদের নিমন্ত্রণকে ফিরিয়ে দেয়া আমার ব্যক্তিগতভাবে অসম্ভব হয়ে যাবে।
আমি আশা করব 'ধ্বনি' শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে এবং দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননে বড় হয়ে আমাদেরকে একটি দুর্নীতি মুক্ত শিক্ষিত রাষ্ট্র উপহার দিবে।
জয়তু ধ্বনি।
জয়তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
©somewhere in net ltd.