নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজকুমার

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্বাসরুদ্ধ অভিযান চলছে, সামান্য কিছু তথ্য

২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬







হিমালয়ের ‘ডেথ জোন’। অক্সিজেন শূন্য ও সর্বদা ১০০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া বাতাস আর তুষারে আবৃত এভারেস্ট শৃঙ্গের দিকে রুদ্ধশ্বাসে এগিয়ে চলেছেন দুঃসাহসী ১২ শেরপা। যারা ‘মাউনটেন গড’ নামে পরিচিত। তাদের লক্ষ্য একজন গিরি বীরের মরদেহ উদ্ধার। তিনি বাংলাদেশের পঞ্চম এভারেস্ট বিজয়ী সজল খালেদ।



গিরি বীর খালেদের নিথর দেহ সরকারি উদ্যোগে নামিয়ে আনা হচ্ছে ভূমিতে। শুক্রবার মধ্যরাতের পর তার মরদেহ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পাঁচদিনের মধ্যে এ উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার বা ২৯ হাজার ২৫ ফুট। ‘ডেথ জোন’ শুরু ২৭ হাজার ফুট থেকে। এ জোন নিয়ে শতভাগ অভিযাত্রীরই বিশেষ সতর্কতামূলক প্রস্তুতি থাকে। এ জোনে ‘মৃত্যুদূত’ বলতে গেলে অপেক্ষাতেই থাকে প্রাণ সংহারে। সামান্য অসতর্কতারও সুযোগ নেয় সে। এ অংশে রয়েছে অক্সিজেন ঘাটতি। তুষার ঝড় হয় প্রায়ই। আর ১০০ কিলোমিটার বেগের প্রচণ্ড বাতাস বয়ে চলেছে সর্বদা। এসব প্রতিকূল পরিবেশই হিমালয়ের ৮ হাজার মিটার বা ২৭ হাজার ফুট উপরের স্থানকে ‘ডেথ জোন’ হিসেবে পরিচিত করেছে। আর সজল খালেদ এ অংশেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।



বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মূসা ইব্রাহিম যুগান্তরকে জানান, ‘ডেথ জোন’র ব্যাপারে বলা হয়, ‘নো বার্ডস ক্যান ফ্লাই অন দ্যাট হাই (ওই উচ্চতায় কোন পাখিও উড়তে পারে না)। ওখানকার ব্যাপারে একটিমাত্র নির্দেশনাই থাকে যে, যাতায়াতে কোথাও সামান্য বিশ্রামও নেয়া যাবে না। এভারেস্ট জয় করেই ফিরে আসতে হবে। মাউনটেন গড বা পর্বত-ঈশ্বর খ্যাত শেরপারা পর্যন্ত এ নীতি মেনে চলেন।

বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) সদস্য সজল খালেদ পঞ্চম বাংলাদেশী হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে ১১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ ক্লাবেরই দুই সদস্য এমএ মুহিত ও নিশাত মজুমদার এর আগে এভারেস্ট জয় করেন। এদের মধ্যে নিশাত হিমালয় চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশী নারী। নিশাত মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, সাউথ সামিটটি উটের কুঁজের মতো। সেটা ট্রেকিং করা খুবই কষ্টসাধ্য। ডেথ জোনে অক্সিজেনসহ যেতে হয়। আর এভারেস্ট জয় করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নেমে আসতে হয়। কিন্তু সজল বিশ্রাম নিতে থেমেছিলেন বলে জানতে পেরেছি।



মূসা ইব্রাহিম বলেন, এভারেস্টের বেস ক্যাম্পটি ভূমি থেকে ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে। সেখান থেকে ডেথ জোন শুরুর এলাকা বা ২৭ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত শেষ ক্যাম্পটি পর্যন্ত মোট ৬টি ক্যাম্প রয়েছে। এরপর আর কোন ক্যাম্প নেই। ২৫ হাজার ফুট ওঠার পর থেকে শরীরের কোষগুলো ভাঙতে থাকে। সুতরাং প্রকৃতির বৈরী পরিবেশের বাইরে নিজের শরীরও বৈরিতা শুরু করে। মূসা ইব্রাহিম বলেন, সর্বশেষ ক্যাম্প থেকে বাকি ২ হাজার ২৫ ফুট একইসঙ্গে ট্রেকিং সম্পন্ন করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে অভিযানটি (ডেথ জোনে প্রবেশের আগে) শুরুর আগে সর্বশেষ ক্যাম্পে গিয়ে বিশ্রাম ও অবস্থান নিতে হয়। মধ্যরাতে সেখান থেকে এভারেস্টের অভিমুখে চূড়ান্ত অভিযানটি শুরু হয়। কিন্তু ফেরার পথে সর্বশেষ ক্যাম্পে নয়, আরও ২ হাজার ফুট নিচে ২৫ হাজার ফুট উঁচুর ক্যাম্পে এসে অবস্থান নেয়ার নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ শেষ দিন ৬ হাজার মিটারের বেশি ট্রেকিং করতে হয়। এ জন্য পর্যাপ্ত শারীরিক সক্ষমতা (ফিটনেস) থাকা চাই।

প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী বলেন, সজল খালেদের দুঃখজনক ঘটনা শোনার পর তিনি নেপালে শেরপাদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ডেথ জোনে বা এভারেস্ট চূড়া থেকে মাত্র ২৭৫ ফুট নিচে থামতে ইচ্ছাপোষণ করেন সঙ্গীদের কাছে। তার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সুং নামে আরেক অভিযাত্রীও সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ দুই জনই সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জানা গেছে, এ মৌসুমে আরও পাঁচ অভিযাত্রী এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে প্রাণ হারান। আর গত ছয় দশকে প্রায় ৩০০ অভিযাত্রী এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে মারা গেছেন। এদের অনেকেরই দেহাবশেষ হিমালয়েই রয়ে গেছে।



এভারেস্টের চূড়ায় তিনি : নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তিই সজল খালেদকে পৌঁছে দেয় এভারেস্ট শৃঙ্গে। শারীরিকভাবে তিনি কতটা ‘ফিট’ (সক্ষম) ছিলেন সে তথ্য এখনও জানা যায়নি। এভারেস্টের উচ্চতা ২৯ হাজার ২৫ ফুট। আর সজল খালেদ যেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সেই স্থানটি ভূমি থেকে ২৮ হাজার ৭৫০ ফুট উঁচু। অর্থাৎ, এভারেস্ট চূড়া থেকে মাত্র ২৭৫ ফুট নিচে। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব শামীমা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বলেন, সজল খালেদের মৃতদেহ হিমালয়ের প্রায় ২৮ হাজার ৭৫০ ফুট উচ্চতায় সাউথ সামিটে রয়েছে।

উদ্ধার অভিযান : এভারেস্ট চূড়া জয় করে ফেরার পথে ২০ মে রোজ সোমবার মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা সজল খালেদ। এর আগে এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিল ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু পৌঁছান খালেদ। ২৫ এপ্রিল কাঠমান্ডু থেকে এভারেস্টের উদ্দেশে রওনা হন। ২০ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সজল খালেদ এভারেস্ট চূড়ায় আরোহন করেন। নামতে নামতে তার বিকাল হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অসুস্থতার কারণে তিনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ খবর মঙ্গলবার বাংলাদেশে পৌঁছলে আÍীয়-স্বজনসহ দেশবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।



সরকারি ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। শুক্রবার দিবাগত রাতে ও শনিবারের প্রথম প্রহরে শুরু হয় অভিযান। উদ্ধার তৎপরতার জন্য নেপালের ‘সেভেন সামিট ট্রেকিং লিমিটেড’র সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তির অপর দুটি পক্ষ হচ্ছে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস।



নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব শামীমা চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, ‘চুক্তি অনুযায়ী তাদের ৬৫ হাজার ডলার বা প্রায় ৫৫ লাখ টাকা দিতে হবে। ওই অর্থের পুরোটাই বাংলাদেশ সরকার বহন করছে। এর মধ্যে অগ্রিম ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয়। এরপরই শনিবার রাতে ১২ জন শেরপা সজল খালিদের মরদেহ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত শেরপারা ৬ হাজার ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে বলে দলের প্রধান মেসেজ করে দূতাবাসে জানিয়েছে। এরই মধ্যে শেরপারা তাদের অবস্থান সম্পর্কে ১৪ বার মেসেজ পাঠিয়েছেন। আর সজলের মরদেহ রয়েছে ২৮ হাজার ৭৫০ ফুট ওপরে।’ তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ না হলে ৩০ মে’র মধ্যে সজল খালিদের মরদেহ নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ শামীমা চৌধুরী আরও জানান, ‘শেরপারা সজলের মরদেহ বেসক্যাম্পে এনে রাখবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নিচে আনা হবে। শনিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় হেলিকপ্টার বেস ক্যাম্পে যেতে পারেনি। আজ সকালে হেলিকপ্টার বেস ক্যাম্পের দিকে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ দূতাবাসের তিনজন কর্মকর্তাও থাকবেন। তারাই বেসক্যাম্প থেকে মরদেহ গ্রহণ করবেন।’ তিনি জানান, ‘আমরা এবং নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি মনিটর করছি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পুরো অভিযানের জন্য নগদ অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাদের অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হবে।’ এই কূটনীতিক আরও জানান, ‘চুক্তির ৬৫ হাজারের পরও বেসক্যাম্প থেকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডুতে লাশ পরিবহন, সেখান থেকে বাংলাদেশে পরিবহনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে।’ প্রসঙ্গত, চুক্তি অনুযায়ী প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর উদ্ধার তৎপরতার সর্বশেষ অবস্থা ও ভিডিওচিত্র সরবরাহের পাশাপাশি স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেভেন সামিট। শেরপারা সজল খালেদের মৃতদেহকে বেসক্যাম্প-২ পর্যন্ত নিয়ে আসবেন।



চতুর্থ ক্যাম্পে উদ্ধারকারীরা : সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, পর্বতারোহী সজল খালেদের মরদেহ নামিয়ে আনতে রওনা হওয়া উদ্ধারকারী দল এরই মধ্যে চতুর্থ ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। এ ক্যাম্পের উচ্চতা প্রায় ৬ হাজার ৮০০ মিটার বলে জানা গেছে। এরপর আরও দুটি ক্যাম্প রয়েছে ডেথ জোন শুরুর আগে। বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব শামীমা চৌধুরী আরও বলেন, ‘পরশু নাগাদ উদ্ধারকারী শেরপারা সেখানে পৌঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার বিকালে জানতে পেরেছি শেরপারা চতুর্থ বেস ক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছেছেন। রওনা হওয়ার পর পথে কোথাও বিশ্রাম নেননি তারা। ফলে দ্রুত আগাচ্ছেন তারা। তবে চতুর্থ ক্যাম্পে বিশ্রাম নিয়ে রোববর ভোর নাগাদ ফের যাত্রা শুরু করবে শেরপা দলটি।’



সজল খালেদের বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন যুগান্তরকে জানান, তাদের কাজিন রিয়াজ রহমান এবং সজলের বন্ধু বাবু পরিবারের পক্ষে নেপাল গেছেন। তিনি বলেন, মরদেহ আজিমপুরে মায়ের কবরের পাশে দাফনের ব্যাপারে পরিবারের ইচ্ছা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তই তারা মেনে নেবেন।



প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মূসা ইব্রাহিত যুগান্তরকে বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে কমপক্ষে পাঁচ দিন লাগবে লাশসহ বেসক্যাম্পে ফিরতে। সেই হিসাবে ২৯ বা ৩০ মে মরদেহ কাঠমান্ডু পৌঁছতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আর সজলের বড় ভাই জানান, লাশ যেদিন কাঠমান্ডু পৌঁছবে, আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরের দিন তা বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। মূসা ইব্রাহিম বলেন, হিমালয় জয় করতে ৩০ লাখ টাকারও বেশি লাগে। তিনি আরও বলেন, এ মৌসুমে লাশ উদ্ধার না করলে বর্ষার পর তা আর না পাওয়ার আশংকাই বেশি। আর ৩১ মে’র পর পাহাড় ট্রেকিং নিষিদ্ধ। সে কারণে যা করার এ মাসের মধ্যেই করতে হচ্ছে।





সজল খালেদের পুরো নাম মোহাম্মদ খালেদ হোসাইন। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল আজিজ ও মায়ের নাম মৃত সখিনা বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তার স্ত্রীর নাম শৈলী। সুস্মির নামে তাদের এক বছরের ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।



পুরুটা এখানে

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৃত্যু অমোঘ বিধান, তবুও কিছূ কিছূ মৃত্যু কষ্টের।

সজল খালেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: সজল খালেদের দৈহিক এবং আত্মিক দুটোরই শান্তি কামনা করছি।

ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য প্রদানের জন্য।

২| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

টানিম বলেছেন: মৃত্যু অমোঘ বিধান, তবুও কিছূ কিছূ মৃত্যু কষ্টের।

২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: সত্যিই মৃত্যুতো মেনে নিতেই হয়। তারপরেও কিছু কিছু মৃত্যু খুবই কষ্টদায়ক।

ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: মৃত্যুকে কখনো মেনে নেয়া যায় না,,,,,,,,,আমি কোন মৃত্যুকেই মেনে নিতে পারি না,,,,,,,,,,,,,আর এই যে সজল খালেদ অসময়ে না ফেরার দেশে চলে গেল,,,,,,,এটাকেও আরো বেশি মানতে পারছি না,,,,,,,,,,দোয়া করছি এই বিজয়ীকে,,,,,,,,,,,,,,

২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: আপু, মৃত্যু যদিও কষ্টদায়ক তারপরও সেটা যদি অসময়ে হয়, তবেতো কথাই নেই। তারপরও মেনে নিতে তো হবেই।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

স্বপ্ন বাংলা বলেছেন: দরকার কি ভাই এত কষ্ট করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে যাবার? সজল খালেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

২৭ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: তিনিতো জানতেন না সেখানে ওনাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। উনার দৈহিক এবং আত্মিক শান্তি কামনা করছি।

ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

দি সুফি বলেছেন: ৩০ লাখ টাকা খরচ করে চূড়ায় উঠা, এরপর ৪০ লাখ টাকা খরচ করে লাশ আনা! হায়রে অপচয়!

২৭ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: তিনি দেশের পতাকাকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে উড্ডীন করেছেন। সুতরাং রাষ্ট্রের এখন দায়িত্ব হয়েছে এই বিজয়ীর দেহকে সম্মান জানানো। এটা সেই সম্মান জানানোরই একটা অংশ।

আর সজল তো এদেশেরই নাগরিক। তিনি যদি অন্য দেশে গিয়ে মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্র কি তার নাগরিকের দায়িত্ব নিবে না??????????

যে দেশের মন্ত্রীদের কাছে চার হাজার কোটি টাকা কিছুই নয়, সেখানে এই ৪০/৫০ লক্ষ টাকা কতটা অপচয় হয় বলে আপনার ধারনা???????

ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: অনেকের প্রশ্ন কেন চুড়ায় উঠার এবং উদ্ধারের জন্য এত টাকা খরচ.... হায়রে মানসিকতা....

আমেরিকার একজন মানুষকে যদি কোথাও আটক করা হয় অথবা মারা যাওয়ার পর লাশ উদ্ধার করার জন্য সরকার থেকে জনগন সবাই এক হয়ে উঠে। কোরিয়াতে ৬০ বছর আগে মারা সৈনিক দের মরদেহ উদ্ধারে এখন পর্যন্ত্য সরকারি ভাবে চেস্টা করা হচ্ছে আর বাংলাদেশের সরকার নিজের টাকা খরচ করে তার ই একজন প্রজার লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে তাতেও সমালোচনা। আজ যদি সরকার কিছু না করত, তাহলেও জামাতি রা ফেসবুকে ছবি দিয়ে ভরিয়ে দিত সরকার এই প্রজেক্টে কোটি টাকা খরচ করছে (উদাহরন: অস্ত্র কিনছে) কিন্তু তার একজন প্রজার লাশ হিমালয়ে পড়ে রয়েছে.....

২৭ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের (((আজ যদি সরকার কিছু না করত, তাহলেও জামাতি রা ফেসবুকে ছবি দিয়ে ভরিয়ে দিত সরকার এই প্রজেক্টে কোটি টাকা খরচ করছে (উদাহরন: অস্ত্র কিনছে) কিন্তু তার একজন প্রজার লাশ হিমালয়ে পড়ে রয়েছে.....))) এই অংশটুকু অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিতর্কিত।

এছাড়া আপনার মন্তব্যের বাকি অংশটুকু আমার পোষ্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে।

ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

পরিযায়ী বলেছেন: কলাবাগান১ ভাইজান, সাভারে উদ্ধারের সময় সাধারন জনগন চাঁদা তুলে অক্সিজেন, লাইট, কাটার কিনে মানুষকে উদ্ধার করছিলো, কিন্তু সরকার যদি একটু অ্যাক্টিভ হতো অনেক লোককে জীবিত উদ্ধার করা যেতো। কিন্তু এখানে দেখতেছি সরকার অনেক অ্যাক্টিভ। কাহিনি কি? নিশ্চয় বাক্তিগত স্বার্থ?? একজন লোকের পিছুনে ৪৫ লাখ খরচ হচ্ছে, অথচ সাভারের আহত লোকদের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা মাত্র। ওই টাকা নেপালকে না দিয়ে এদের দিলে দেশের উপকার হতো না? নেপাল তো বলছে কয়েক মাস পরে ওরা লাশটা উদ্ধার করবে।

২৭ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: এই লাশটি এদেশের একজন গর্বিত নাগরিকের। তাঁকে সম্মান জানানো রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। রাষ্ট্র তার সেই দায়িত্বটুকুই পালন করছে মাত্র।

তবে হ্যাঁ, সাভারের দুর্ঘটনা এবং এর পরবর্তী উদ্ধার অভিযান ও সর্বোপরি ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরনের ব্যপারে প্রচুর মতপার্থক্য এবং বিতর্ক আছে।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য।

৮| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: সাভারে উদ্ধারের জন্য সরকার কিছু করে নাই?????? সরকার কি আবেদন করেছিল যে আমাদের টাকা নাই আমাদেরকে মুক্ত হস্তে দান করুন??? যে কোন দুর্যোগে সাধারন জনগন দান করে থাকেন তা সরকারী সাহায্যের পরিপুরক হয়.......

৯| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

দি সুফি বলেছেন: আপনার কাছে হয়ত গর্ব, আমার কাছে এইটা প্রথমে ৩০ লাখ, পরে আরো ৪০ লাখ টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

দেশের সম্মান বাড়ানোর কথা বলবেন? ৩০ লাখ টাকা খরচ করে এভারেষ্টে না গিয়ে, ঐ টাকা দিয়ে দেশ বসে ব্যবসা করলে সেটা দেশের অর্থনীতি এবং সম্মান দুটাই বাড়াতো!

২৮ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: সবার জীবন দর্শন নিশ্চয় এক নয়, তাই না?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.