![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।
আন্দোলন করে দাবি আদায়ে সক্ষম হয়েছেন সৌদি আরবরে জেদ্দায় একটি কোম্পানিতে কর্মরত প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি পরিচ্ছন্ন শ্রমিক।
এসব শ্রমিকরা তাদের আকামা নবায়ন, পাসপোর্ট ফেরত, বেতন-ভাতা প্রদান ও ছাড়পত্রের দাবিতে সোমবার জেদ্দায় কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।
বুধবার বাংলাদেশি শ্রমিকদের বরাত দিয়ে সৌদি দৈনিক আরব নিউজ এই সংবাদ তাদের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশি এই কর্মীরা প্রথমে কাতাব হ্যান্ড্রিক্স নামের একটি কোম্পানিতে কাজ করতো, যা পরবর্তীতে আরেকটি কোম্পানি কিনে নেয়। এই অবস্থায় বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের পাওনা বেতন-ভাতা না পেয়েই দেশে ফিরতে হবে এমন আশঙ্কা করছিল।
আন্দোনে অংশ নেয়া কয়েকজন কর্মী সংবাদ মাধ্যমটিকে জানান, বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কোম্পানিটি ১৮ জনকে আবাসিক অনুমতিপত্র (আকামা) নবায়ন করে দিয়েছে এবং বাকি সব কর্মীদের আকামা নবায়নের প্রতিশ্রুতিও তারা পেয়েছেন।
আব্দুস সাত্তার নামে এক কর্মী জানান, কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তারা দুই হাজার কর্মীর প্রত্যেককে আকামা নবায়নের নিশ্চয়তা দিয়েছে। তাই এখন কর্মীদের উচিত ঘরে ফিরে যাওয়া এবং সময়মতো কাজে যোগ দেওয়া।
কর্মীদের দেয়া এসব কথা কোম্পানিটি রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ মোখলেস নামে আরেক কর্মী। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নতুন এই কোম্পানিটি আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করুক। কারণ, এর আগে আমরা যে চুক্তি করেছিলাম তা হয়েছিল আগের কোম্পানির (কাতাব হ্যান্ড্রিক্স) সঙ্গে।’
মোখলেস জানান, নতুন কোম্পানিটি ইতোমধ্যে কর্মীদের কয়েকজনকে নবায়ন করা আকামা হস্তান্তর করেছে এবং প্রত্যেকের আকামা নবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারপরও তারা কনস্যুলেট ও সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যাতে আবারো তাদের সঙ্গে এ ধরনের অন্যায় করা হলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে।’
বাংলাদেশের শ্রম বিষয়ক কনসুল মোকাম্মেল হোসেন আরব নিউজ- কে জানিয়েছেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট সব সময়ই বাংলাদেশি কর্মীদের সহায়তা করে আসছে। বিক্ষোভের ঘটনায় কনসুল জেনারেল কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।’
বাংলাদেশি কর্মীদের দাবি যাতে মেনে নেওয়া হয় সেজন্য কনস্যুলেট বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিল বলেও জানান মোকাম্মেল হোসেন।
পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি ওই কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিক্ষোভ বা ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি সৌদি আরবের আইনের পরিপন্থী।
এদিকে, কাতাব হ্যান্ড্রিক্সকে কিনে নেওয়া নতুন কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশি কনস্যুলেট, পুলিশ ও সৌদি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে কোম্পানির সব দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে এবং দাবির ব্যাপারে সমঝোতা হওয়ায় তারা কাজে ফিরে গেছে।
প্রতিষ্ঠানের এই মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশি কর্মীদের প্রত্যেকের বৈধতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রে আর প্রযোজ্য নয়।
এদিকে, গত ১১ মে সৌদি আরবের শ্রমবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদি সরকার সে দেশে বাংলাদেশের কর্মীদের আকামা নবায়নের সুযোগ দিয়েছে, যা আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
View this link
©somewhere in net ltd.