নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজকুমার

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম

তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘৯১ হাজার ভোট আপনার হাতে, দ্রুত সিলেট আসুন’

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৬







‘হ্যালো গুপ্তা। হাউ আর ইউ। আপনি দ্রুত সিলেটে আসুন। আপনার হাতে ৯১ হাজার ভোট। সবাই আপনার অপেক্ষায়। কথা বলুন আমু ভাইয়ের সঙ্গে...।’ দু’দিনের নির্বাচনী প্রচারণার শেষে বিদায়ের মুহূর্তে এভাবেই আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে আমন্ত্রণ জানান আরেক নেতা তোফায়েল আহমেদ। গতকাল দুপুরে আরেক নেতা আমির হোসেন আমু ও তিনি পাশাপাশি সোফায় বসা ছিলেন সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে। দু’দিন সিলেটে অবস্থান করে ভোটে মাঠের যে চিত্র পেয়েছেন তা নিয়েই কথা বলছিলেন স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে। নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। উৎসাহী কর্মীরা তাদের পাশে-পেছনে দাঁড়িয়ে একের পর এক ছবি তুলছিল। এমন সময় হঠাৎ তোফায়েল আহমদের মোবাইল বেজে ওঠে। কভার ওপেন করেই ফোনটি রিসিভ করেন। ‘হ্যালো গুপ্তা’ বলেই কথা শুরু করেন, আমু ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা অনেক ঘুরেছি। পথসভা করেছি। এখানে মাইনরিটি ভোট ৬১ হাজার। আপনি না এলে কি হবে? পাশে থাকা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ এ সময় স্মরণ করে দেন, শুধু মাইনরিটি নয়, সিলেট মহানগরীতে সুনামগঞ্জের প্রায় ৩০ হাজার ভোটার রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তোফায়েল বলেন, ‘সব মিলিয়ে ৯১ হাজার ভোট আপনার হাতে। আপনি আসুন। আমু ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলুন।’ সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি ফোনটি দেন আমির হোসেন আমু’র হাতে। ফোন নিয়ে তিনি বলেন, ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের নেতাদের নিয়ে আসুন। আপনি তো জানেন এখানে মাইনরিটি ভোট অনেক। তাদের কাছে যেতে হবে। উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’ এ সময় শ’খানেক লোক নিয়ে সেখানে হাজির হন বিমানমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। পাশে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি। আমির হোসেন আমুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তোফায়েল আহমদের পাশে গিয়ে বসেন। অর্ডার করেন সবার জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা করতে। এমন সময় ইউনাইটেডের তরফে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ট্রেনিং ফ্লাইট উদ্বোধনের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। তখন নভো এয়ারের কর্মকর্তারা এসে হাজির। জানান, সব যাত্রীর বোর্ডিং সম্পন্ন। নেতারা উঠলেই বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। দেরি না করে দুই নেতা রওনা হন। ফারুক খানসহ সিলেটের স্থানীয় নেতারাও এগিয়ে দিতে যান তাদের।

মান-অভিমান ভুলে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে: বিমানের সিঁড়িতে পা দেয়ার মুহূর্তে সিলেটের প্রবীণ নেতা বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানকে জড়িয়ে ধরেন আমির হোসেন আমু। বলেন, ‘আমরা হারতে চাই না। মান-অভিমান থাকতেই পারে। এসব ভুলে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত এ নেতাও তার তরফে সর্বোচ্চ চেষ্টার আশ্বাস দেন। আমির হোসেন আমু বিমানে ওঠার পরও কিছুক্ষণ সেখানে সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তোফায়েল। মন্ত্রী ফারুক খান, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, ঢাকা থেকে আসা সাইফুজ্জামান শেখর ছাড়াও স্থানীয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাকে ঘিরেছিলেন। নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেন। বিদায়ের মুহূর্তেও বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে বিজয়ী করতে নির্দেশনা দিয়ে যান। নেতাদের বিদায়ের পর কথা হয় আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের সঙ্গে। প্রথম পরিচয়েই তিনি বেশ কাছে টেনে নেন। সিনিয়র দু’নেতাদের কথায় দলের মধ্যে এখনও বিভাজন থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ‘বড় দলে এগুলো থাকে’ বলে মন্তব্য করলেও মেয়র নির্বাচন প্রশ্নে সব এক সঙ্গে মাঠে আছেন বলে দাবি করেন।

বিশ্বাস করুন, আমি শহরে ঢুকবো না: আমির হোসেন আমু আর তোফায়েল আহমেদ ঢাকার যাওয়ার জন্য যখন বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ তখন নভো এয়ারের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সেখানে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। দু’নেতার সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। এ সময় তোফায়েল আহমদ তার এক আত্মীয়ের বদলির জন্য নাহিদের কাছে সুপারিশ করেন। বলেন, অনেক বলার পর আপনিই তাকে ঢাকায় বদলি করেছিলেন। এখন প্রমোশন হওয়ার পর সেই দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে। আবার একটু ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করুন। জবাবে নাহিদ বলেন, অবশ্যই আমি দেখবো। আপনার সুপারিশ আমি একটুও অগ্রাহ্য করিনি। বরং আমু ভাইয়ের দু’-একটি কথা রাখতে পারিনি। তড়িঘড়ি করে বিদায় নেন নাহিদ। গাড়িতে ওঠার মূহূর্তে কথা হয় তার সঙ্গে। জানান, তিনি শহরে ঢুকবেন না। বাইপাস দিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা গোলাপগঞ্জে যাবেন। সার্কিট হাউসে তার জন্য রুম বুকিং দেয়া আছে জানানো হলে নাহিদ বলেন, বিশ্বাস করুন, আমি শহরে ঢুকবো না।





View this link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৮

অারমান বলেছেন: চোর "কালো বিড়াল" আসবে ভোট চাইতে? আর চোরের কথা সুনামগঞ্জের প্রায় ৩০ হাজার ভোটার শুনবে? হা হা হা হা

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: মনে হচ্ছে, ভোটাররা শুনবে বলেই ওরা আসছে। আর টিভি টকশোগুলোতে ওদের দাপট দেখলেতো মনে হয়, ওরা নিশ্চিত জিতে গিয়েছে।

ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.