![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাকে যদি কেউ কষ্ট দেয়, তাহলে মনে ব্যাথা নিওনা। কারণ, মানুষ সবসময় গাছের মিষ্টি ফলটিকেই ঢিল মারে।
আসসালামুআলাইকুম,
সোবহানবাগ মসজিদটিতে প্রতি শুক্রবারই জুম'আর নামাজ পড়ার সময় মসজিদের ভিতরে জায়গা না হওয়াতে বাইরে কিছুক্ষনের জন্য রাস্তা বন্ধ করে মুসল্লিদেরকে নামাজ পড়তে হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃক্ষের বিষয় হচ্ছে মসজিদের বাইরের মাইকগুলো বিগত প্রায় ৫/৬ বছর যাবৎ বিকল অথবা অর্ধ বিকল অবস্থায় রয়েছে। ফলে, বাইরের মুসল্লিদেরকে নামজ সুষ্ঠুভাবে পড়ার জন্য নামাজের পরিবর্তে সামনের কাতারের দিকে মনযোগ দিতে হয়। আমি কয়েকবার মসজিদে কর্মরত কয়েকজনকে নালিশ করেছি। কিন্তু তারা আমার কথায় ততটা কর্ণপাত করেনি। প্রতি শুক্রবার এই অবস্থার মুখোমুখি হওয়াতে মুসল্লীদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ ছিল। তাই বিপত্তিটা ঘটলো আজকে। মসজিদের সম্মানিত খতিব সাহেব খুতবার সময়েই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতার প্রতিবাদে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার জন্য জুম'আর শেষ রাকাতে রুকু থেকে উঠার পর সেজদায় যাওয়ার পূর্বে "কুনুতে নাজেলা" পাঠ করা হবে। আমরা যারা মসজিদের ভিতরে ছিলাম তারাতো সঠিকভাবে সবকিছু করলাম। মুনাজাতের পরে বাইরে এসে দেখি মাইকের শব্দ না শুনতে পেরে মুসল্লিরা নামাজ সঠিকভাবে পড়তে পারেনি এবং ফলশ্রুতিতে প্রচন্ড রকমের বিশৃখ্ঙলা শুরু হয়েছে এবং যা পরবর্তীতে মসজিদের ভিতর পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আপত্তিকর।
আমার কথা হচ্ছে, এই মসজিদটি একসময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ছিল না। কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়ার ফলে এলাকাবাসী এবং মসজিদের মুসল্লিদের সহযোগীতায় মসজিদে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এবং মসজিদের ভিতরের সাউন্ড সিষ্টেম উন্নত করা হয়। কিন্তু বাইরের মাইকের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কেন এতো উদাসীন বিগত প্রায় ৫/৬ বছর ধরে। কর্তৃপক্ষকে বুঝতে হবে, উক্ত মসজিদের সম্মানিত খতিব সাহেব দেশী বিদেশী টিভি চ্যানেলে ইসলামী বক্তব্য দেয়ার ফলে তাঁর বক্তব্য সরাসরি শুনার জন্য এবং মসজিদটি একটি ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থিত হওয়ার ফলে এই মসজিদে বাইরের অনেক লোক নামাজ পড়তে আসে। সুতরাং কর্তৃপক্ষ বাইরের মাইকের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিবেন আজকের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরে এটা আশা করি।
সাইন্সল্যাবের মোড়ে অবস্থিত মসজিদ বায়তুল মা'মুরটি অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি সড়কের উপকন্ঠে অবস্থিত। ফলে এই মসজিদের ভিতরে বসলে বিশেষকরে ২য়/৩য় তলায় গাড়ী চলার শব্দে এবং ভেঁপু বাজানোর শব্দে কিছুই শোনা যায় না। আমি এই মসজিদদ কর্তৃপক্ষের কাছেও জোর দাবী জানাবো উক্ত সমস্যাটির দিকে মনযোগ দিবেন।
আমি উপরোক্ত মসজিদ দুটির এলাকার অধিবাসী নই। কিন্তু বিগত প্রায় ২০ বছর যাবত এই দুটি মসজিদে জুম'আ এর নামাজ করে আসছি। তাই
আমার এই লেখাটি যদি উক্ত দুটো মসজিদের এলাকার কোন ব্লগার পড়ে থাকেন তবে, আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা এই ব্যাপারগুলো নিয়ে একটু কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন।
ধন্যবাদ।
২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: আমিও এই রকম অনেক মসজিদ দেখেছি যেখানে উপর তলাগুলো খুবই অবহেলিত থাকে। সেখানকার সাউন্ড সিষ্টেমও ভালো থাকে না।
এই সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট মসজিদ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই গুরুত্বসহ বিবেচনা করবেন বলেই আশা করতে চাই।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
মুরগির চামড়া ভেজে খাব আমরা বলেছেন: এসি কেনার সামর্থ্য আছে কিন্তু মাইক কিনার টাকা নাই। ভালো তো ভালো না?
২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: মাইক কেনারও সামর্থ আছে। কিন্তু কোন অজানা কারনে উনারা বিগত প্রায় ৫/৬ বছর যাবত মাইকগুলো ঠিক করেন না, আমার বুঝে আসে না।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
দখিনা বাতাস বলেছেন: নবীজি তার সারা জীবন কাটাইয়া দিলো মরুভুমির আবাহাওয়ায় খেজুর পাতার ঘরে। চাইলেই দুনিায়ার ধনদৌলত যার পায়ের কাছে হাজির হইতো।
আর এখন তার উম্মতেরা মরুভুমি থেকে হাজার মাইল দুরে নামাজ পড়তে এসি লাগে, যেই খানে কিনা অনেক উম্মতের ফুটপাতে রাত্রে বৃস্টি হইলে ঘুমানোর জায়গা থাকে না, সারা রাত দাড়াইয়া থাকতে হয়।
কপাল.......
২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৯
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: মসজিদে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করার পক্ষে যুক্তি ঐ মসজিদের সম্মানিত খতীব সাহেব দেখিয়েছেন। আমার এতোদিন পরে ওনার সবগুলো কথা মনে নেই, তাই এখানে আপনাকে বলতে পারছি না।
তবে, মসজিদে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা ইসলামে দুষনীয় নয়।
ধন্যবাদ, সু্ন্দর মন্তব্যের জন্য।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই আমার প্রশ্ন ,রাস্তা বন্ধ কইরা নামাজ পরার কারনে রাস্তায় যে জাম জট তৈরী হয় ,অনেক সময় রাস্তায় অসুস্ত রোগী আটকায় থাকে ঘটা খানেক এবং এর ফলে মানুষ এর যে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাতে কি নামাজ এর ফজিলত পাওয়া যায় ? এরকম পরিস্তিতে রাস্তাতে নামাজ পরা থেকে বিরত থাকাটাই কি কাম্য নয়। ................
২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রশ্ন করার জন্য।
মসজিদটি ধানমন্ডির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্টে অবস্থিত। এর অতীব নিকটেই বঙ্গন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িটি অবস্থিত হওয়ায় এখানে সবময় ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল থাকে। আর যখন নামাজের জন্য রাস্তা বন্ধ করে দিতে হয়, তখন রাস্থার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য যারা নিয়োজিত তারা খুবই দক্ষতার সাথে কাজটি করে থাকেন বলে সেখানে নামাজ চলাকালীন সময়ে যানজটের তেমন একটি দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।
তারপরেও আমিও দাবী জানাবো মসজিদটি যেন উপরের দিকে আরো সম্প্রসারণ করা হয়।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
মদন বলেছেন: আমার কথা হেডস্যার আর দখিনা বাতাস কয়া দিসে
২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১০
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন: উপরের প্রতি মন্তব্যগুলো দেখে নেবেন আশা করছি।
ধন্যবাদ মন্তব্য প্রদানের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
হেডস্যার বলেছেন:
মসজিদ কমিটির লোকজন আজকাল নতুন খেলা শুরু করছে।
অনেক মসজিদ আছে যেগুলার উপরতলার অনেক যায়গায় ফ্যান নাই। কিন্তু নিচের তলায় ৮/১০ টা এসি আছে।