![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দলমত নির্বিশেষে একতাবদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি!
একবার ঈদ-উল-আযহার আগে আমাদের গ্রামে একটি পাগল কিসিমের লোক এসেছিল; ভিক্ষা করতে। এর আগে বা পরে তাকে আর কখনো দেখিনি। লোকটা বাড়ীর আঙিনায় দাঁড়িয়ে চেচিয়ে বলত, ‘যাদের কোরবানী করার টাকা নাই, তারা চুরি করে গরু কোরবানী করেন। চুরি করলে পাপ হবে আর কোরবানী করলে পুন্য হবে। পাপে-পুণ্যে কাটাকাটি যাবে, মাংস খাবেন ফাও’।
ঘটনাটা এখানে বললাম এইজন্য যে, সমাজে এখন এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। যেমন ধরুন যৌতুক। আমরা নিজেরা, আমাদের ভাই অথবা ছেলের বিয়ের সময় যৌতুক নেই। আবার আমাদের বোন বা মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক দেই। মানে কি হল? সম্পদ আসলো, সম্পদ চলে গেল; অন্যায় করলাম অযথা।
আবার যারা খাদ্যে ভেজাল দেয়; তারা সবাইতো আর সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন বা সরবরাহ করতে পারেনা। যে যেটাই উৎপাদন করুক বা সরবরাহ করুক, বাকীটা অন্যের থেকে সংগ্রহ করতে হয়। মানে কি দাড়ালো? আমাদের সকলকে ভেজাল খেতে হয়। ভেজাল করে যে দু’টাকা বেশী রোজগার করি অবশেষে তা ডাক্তারকে দিতে হয়।
বাস কাউন্টারে দেখবেন, সময় হয়ে যায়, তবু গাড়ী ছাড়তে চায়না। তারপর যদিও ছাড়ে, প্রথম কিছু পথ খুব ধীরে ধীরে এগোতে থাকে। উদ্দেশ্য অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া। প্রতিটি গাড়ীই এমন করে। এমনি করে প্রত্যেক গাড়ীর কিছু যাত্রী আগের গাড়ী নিয়ে যায়। তার মানে কি দাড়ালো? প্রত্যেক গাড়ীই যাত্রী পায় প্রায় সমান। অযথা সময় নষ্ট!
যৌতুকের কথাটায় আবার আসি। আমার এক কলিগের বিয়ের সময় আমি কাছে ছিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক। কয়েকদিন পরেই বউ আনতে যাবে। তার হবু বউ একদিন তাকে ফোনে বলল, ‘তোমরা যে টাকাটা দাবী করেছো তা দিতে গিয়ে আমার বাবাকে অনেক কিছু বিক্রী টিক্রি করতে হচ্ছে। বাবাতো পরে অসুবিধায় পড়ে যাবেন। এমনিতেই তো বিয়েত কত খরচ! তুমি যদি তোমার অভিবাবকদের বলে টাকাটা একটু কম করতে পারতে? আমার কলিগ অপারগতা প্রকাশ করল। আমিও তাকে বুঝালাম। বললাম, স্বামী-স্ত্রী হচ্ছেন আপনারা। একসাথে থাকবেন। স্ত্রীর এই আবদারটুকু পারেন যদি রাখেন। আমরা শিক্ষিত লোকেরা যদি কনে পক্ষকে যৌতুকের জন্য চাপ দেই, তবে সমাজের আর থাকল কি। সে বলল, এসব মুরুব্বীদের ব্যাপার, আমরা এসবে নাক না গলাই।
ঠিক দুই বছর পর তার ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নিল। আমাকে কিছু বলতে হলনা। আমার বসই প্রশ্ন ছুড়ে দিল, কিরে ...... সাহেব? বিয়েতে তো দুই লাখ নিলেন; এখন মেয়ের জন্য কত যোগার করবেন?
বলাবাহুল্য ছেলের আশায় আশায় সে এখন তিন কন্যা সন্তানের জনক।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: এই জন্যই ভালোবাসাগুলো দিন দিন ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করার পরিবর্তে যারা টাকা-পয়সার চিন্তা করে, আমি মনে করি তাদের বিয়ে না করাই উচিৎ।
সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ, মুসলমান পুরুষের উপর বিয়ের সময় স্ত্রীকে মোহরানা দেয়া ফরজ করেছেন , আর স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক নেয়া হারাম করেছেন । বর্তমানে আমরা বেশীর ভাগ মানুষ উল্টোটাই করছি ।
ভাল লাগল ধন্যবাদ আপনাকে ।