নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ আমার প্রভু, আমার নাহি নাহি ভয়।

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু

দলমত নির্বিশেষে একতাবদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি!

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র রমজানে : স্রষ্টার স্মরণে

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩


সুন্দর এ’ধরনী,
সৃজিলেন যিনি,
তিনি কাদিরুন; লা শরীক আল্লাহ্।
তিনি সুমহান,
তাহার গুনগান,
গাও সকলে,‘সুবহানাল্লাহ্’।

তিনি রহমানুর রাহীম,
তিনি রাব্বুল আ’লামীন,
অনাদি অনন্ত অসীম-
তিনি মালিকিইয়াওমীদ্বীন।
তিনি সামিউন,
তিনি বাসীরুন,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।

তাহার কোন তুলনা নাই,
তাহার কোন উপমা নাই,
সকল প্রশংসা তাহার জন্য,
তাহার গুনের সীমাতো নাই।
তিনি হালিমুন,
তিনি আলিমুন,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।



( ছবি: নেট থেকে)

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন:
সুন্দর এ’ধরনী,
সৃজিলেন যিনি,
তিনি নিরাকার লা শরীক আল্লাহ্।

মহান আল্লাহ কখনই নিরাকার নয় । আশা করি লাইনটা শুধরে নিবেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মন্তব্যে মতামত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীনের ক্ষেত্রে ‘নিরাকার’ শব্দটা বিতর্কিত।

কিন্তু ইহজগতে যেহেতু তিনি দৃশ্যমান নন। সেহেতু ‘নিরাকার’ শব্দটা খুব দোষের কিছু বলে আমি মনে করিনা।

যাহোক বিতর্ক না রাখাই ভালো। উপযুক্ত শব্দ খুঁঁজছি।

শুভকামনা রইল।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পড়ে খুব ভালো লাগলো +++

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: এতগুলো প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ভাই শাহরিয়ার কবীর।
শুভেচ্ছা রইল।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নানাভাই, ছন্দের দিকে খেয়াল রাখলে সব ঠিকঠাক হবে ইন শা আল্লাহ।

শুনে বলবে কেমন হয়েছে

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মাশাআল্লাহ্ ! নানাভাই খুব সুন্দর । খুব ভালো লেগেছে। আমার সৌভাগ্য যে এমন চমৎকার একটা জিনিস লিংকে দিয়েছেন।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। আমার জন্য দোয়া করবেন।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাশাল্লাহ!

রমজানের বরকত আপনার উপর বর্ষিত হোক।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্।
আপনার উপরেও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লিরিক লেখেন আপনি, মুগ্ধতা সবগুলোতেই।
তবে আর একটু লিখলে সুন্দর একটা পরিপূর্ণ গান হয়ে যেতো।

শুভকামনা জানবেন মিন্টু ভাই।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: গানের জন্যই লিখেছিলাম ভাই। আর একটি অংশ লিখেছি। কিন্তে একটু সম্পাদনা প্রয়োজন মনে হলো তাই পুরোটা দেই নি। পরে দিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ্।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছি ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্যও। আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



মহান আল্লাহ ছুবহানাহু ওয়াতাআলার অনবদ্য স্তুতিতে মুগ্ধতা!

ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মুগ্ধতা প্রকাশের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখালেখি করে যা ক্ষতি হয়েছিল তা পূরণ হয়েছ কয়েকটা গজল গেয়ে।

নানাভাই তুমি আমার মন খুশি করেছ। আল্লাহ তোমাকে দুনিয়া আখেরাতে খুশি করবেন। আমিন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আমিন।
আমার পরম সৌভাগ্য যে আপনার গজল আমি শুনতে পেরেছি। আমার উপরোল্লিখত লিরিকের জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ পুরুস্কার। আপনার ছবিটাও ওখানে যারপরনাই ভালো লেগেছে। ছবির ভিতরে কেমন এক পবিত্রতার আভা ফুটে উঠেছে। একটুও বাড়িয়ে বলছিনা, আমার চোখে তাই মনে হয়েছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা নানাভাই। নানীকে আমার সালাম দিবেন।
আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ওমেরা বলেছেন: সুন্দর তো অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৮:০২

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার গায়ে মাওলা আকবর আলি সাহেব রঃ (সিলেটের দরগার ইমাম) এর ছাদর এবং গলায় উনার তছবি। হাজারি তছবি এবং আজুয়া খেজুরর বিচির তছবি। আমার বাসায় দুই বার এনেছিলাম। আমাকে ড্রাইভার ডাকতেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৩

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: খুব সুন্দর মানিয়েছে নানাভাই।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
প্রতিউত্তের ধন্যবাদ ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৭

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৬

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমার কাছে আল্লাহ নিরাকার বিষয়টি ভুল মনে হয়েছে তাই আপনাকে বলেছি। আমি কখনই কারও সাথে তর্ক করি না ভাই । কারন আমার জ্ঞান সীমিত । নিচে একটি লেখা শেয়ার করলাম । আশা করি বুঝবেন।ধন্যবদ আপনাকে।

২) আল্লাহ কি নিরাকার?

আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে, তিনি নিরাকার নন। নিরাকার অর্থ যা দেখে না, শুনে না। কিন্তু আল্লাহ সবকিছু দেখেন, শোনেন। তিনি এ বিশ্বজাহান ও সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র স্রষ্টা, নিয়ন্তা ও পরিচালক। তিনি মানুষকে রিযিক দান করেন, রোগাক্রান্ত করেন ও আরোগ্য দান করেন। সুতরাং তাঁর আকার নেই, একথা স্বীকার করা তাঁর অস্তিত্বকে অস্বীকার করারই নামান্তর।

আল্লাহ শুনেন, দেখেন, উপকার-ক্ষতি, কল্যাণ-অকল্যাণ বিধান করেন। তিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, সকল সমস্যার একমাত্র সমাধানদাতা। সুতরাং মহান আল্লাহ নিরাকার নন; বরং তাঁর আকার আছে।

(১) আল্লাহ বলেন, لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيْعُ البَصِيْرُ. ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)।

(২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, إِنَّ اللهَ كَانَ سَمِيْعاً بَصِيْراً. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (নিসা ৪/৫৮)।

(৩) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘ওটা এজন্য যে, আল্লাহ রাত্রিকে প্রবিষ্ট করেন দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করেন রাত্রির মধ্যে এবং আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা’ (হজ্জ ২২/৬১)।

(৪) ‘হে নবী! তুমি বল, তারা কত কাল ছিল, আল্লাহই তা ভাল জানেন, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই। তিনি কত সুন্দর দ্রষ্টা ও শ্রোতা’ (কাহফ ১৮/২৬)। ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীবকে আল্লাহ তা‘আলা দেখেন ও তাদের সকল কথা শুনেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন থাকে না’।[13]

ক্বাতাদা (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহর থেকে কেউ বেশী দেখেন না ও শুনেন না’।[14] ইবনু যায়েদ (রহঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টজীবের সকল কাজকর্ম দেখেন এবং তাদের সকল কথা শুনেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’।[15]

বাগাবী (রহঃ) বলেন, ‘সমস্ত সৃষ্টজীব যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ তা‘আলা তাদের দেখেন এবং তাদের সর্বপ্রকার কথা শ্রবণ করেন। তাঁর দেখার ও শুনার বাইরে কোন কিছুই নেই’।[16]

(৫) আল্লাহ তা‘আলা মূসা ও হারূণ (আঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, لاَ تَخَافَا إِنَّنِيْ مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى ‘তোমরা ভয় করো না, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও আমি দেখি’ (ত্ব-হা ২০/৪৬)। এখানে আল্লাহ মূসা ও হারূণের সাথে থাকার অর্থ হচ্ছে- তিনি আরশের উপর সমাসীন। আর মূসা ও হারূণ (আঃ)-এর উভয়ের সাথে আল্লাহর সাহায্য রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছেন।

(৬) আল্লাহ আরো বলেন, ‘কখনই নয়, অতএব তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শন সহ যাও, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শ্রবণকারী’ (শু‘আরা ২৬/১৫)। পূর্বোক্ত ব্যাখ্যাই এখানে প্রযোজ্য।

(৭) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শের খবর রাখি না? অবশ্যই রাখি। আমার ফেরেশতারা তো তাদের নিকট অবস্থান করে সবকিছু লিপিবদ্ধ করেন’ (যুখরুফ ৪৩/৮০)।

(৮) আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি বলে দাও, তোমরা কাজ করতে থাক, আল্লাহ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন’ (তওবা ৯/১০৫)।

(৯) আল্লাহ বলেন, ‘সে কি অবগত নয় যে, আল্লাহ দেখেন’? (আলাক্ব ৯৬/১৪)।

(১০) আল্লাহ বলেন, ‘যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (ছালাতের জন্য) দন্ডায়মান হও এবং দেখেন সিজদাকারীদের সাথে তোমার উঠাবসা। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (শু‘আরা ২৬/২১৮-২২০)।

(১১) আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাদের কথা শ্রবণ করেছেন, যারা বলে যে, আল্লাহ দরিদ্র আর আমরা ধনী। তারা যা বলেছে তা এবং অন্যায়ভাবে তাদের নবীদের হত্যা করার বিষয় আমি লিপিবদ্ধ করব এবং বলব, তোমরা দহন যন্ত্রণা ভোগ কর’ (আলে ইমরান ৩/১৮১)।

(১২) আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ অবশ্যই শুনেছেন সেই নারীর কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছে এবং আল্লাহর নিকটও ফরিয়াদ করছে। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শুনেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (মুজাদালাহ ৫৮/১)।

(১৩) আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ছাহাবাদেরকে বলেছিলেন, فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُوْنَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا ، تَدْعُوْنَ سَمِيْعًا بَصِيْرًا قَرِيْبًا. ‘তোমরা বধির কিংবা অনুপস্থিতকে ডাকছ না; বরং তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা ও নিকটতমকে’।[17]

(১৪) আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,

اِجْتَمَعَ عِنْدَ الْبَيْتِ ثَقَفِيَّانِ وَقُرَشِيٌّ أَوْ قُرَشِيَّانِ وَثَقَفِيٌّ كَثِيْرَةٌ شَحْمُ بُطُوْنِهِمْ قَلِيْلَةٌ فِقْهُ قُلُوْبِهِمْ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتَرَوْنَ أَنَّ اللهَ يَسْمَعُ مَا نَقُوْلُ قَالَ الْآخَرُ يَسْمَعُ إِنْ جَهَرْنَا وَلاَ يَسْمَعُ إِنْ أَخْفَيْنَا وَقَالَ الْآخَرُ إِنْ كَانَ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا فَإِنَّهُ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى : وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُوْنَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُوْدُكُمْ وَنَجَّيْنَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ.

‘একদিন বায়তুল্লাহর নিকট একত্রিত হ’ল দু’জন ছাকাফী ও একজন কুরাইশী অথবা দু’জন কুরাইশী ও একজন ছাকাফী। তাদের পেটে চর্বি ছিল বেশি, কিন্তু তাদের অন্তরে বুঝার ক্ষমতা ছিল কম। তাদের একজন বলল, আমরা যা বলছি আল্লাহ তা শুনেন- এ ব্যাপারে তোমার অভিমত কি? দ্বিতীয়জন বলল, আমরা জোরে বললে শুনেন, কিন্তু চুপি চুপি বললে শুনেন না। তৃতীয়জন বলল, যদি তিনি জোরে বললে শুনেন, তাহ’লে গোপনে বললেও শুনেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন, ‘তোমরা কিছু গোপন করতে না এই বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে না- উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না’।[18]

(১৫) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (হজ্জ ২২/৭৫)।

আবু দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘এ আয়াতটিই হচ্ছে জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায়ের বাতিল কথার প্রত্যুত্তর। কেননা জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় আল্লাহর নাম ও গুণবাচক নাম কোনটাই সাব্যস্ত করে না। সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা যে দেখেন-শুনেন এটাও সাব্যস্ত করে না এ ধারণায় যে, সৃষ্টির সাথে আল্লাহর সাদৃশ্য হবে। তাদের এ ধারণা বাতিল। এজন্য যে, তারা আল্লাহকে মূর্তির সাথে সাদৃশ্য করে দিল। কারণ মূর্তি শুনে না এবং দেখেও না (মা‘আরিজুল কবূল, ১/৩০০-৩০৪)।

মু‘তাযিলা সম্প্রদায় বলে, আল্লাহর কর্ণ আছে কিন্তু শুনেন না, চক্ষু আছে কিন্তু দেখেন না। এভাবে তারা আল্লাহর সমস্ত গুণকে অস্বীকার করে। অর্থাৎ কোন গুণ-বৈশিষ্ট্য ছাড়া তারা শুধু নামগুলো সাব্যস্ত করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের মতবাদ জাহমিয়্যাদের মতবাদের ন্যায়। তাদের উভয় মতবাদই কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী। পক্ষান্তরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত কোন কিছুর সাথে তুলনা ব্যতিরেকে আল্লাহর ছিফাত সাব্যস্ত করে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে কুরআন-হাদীছ সাব্যস্ত করে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর কোন সাদৃশ্য স্থির করো না’ (নাহল ১৬/৭৪)। আল্লাহ তা‘আলা যে শুনেন, দেখেন, এটা কোন সৃষ্টির শুনা, দেখার সাথে তুলনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। আল্লাহর দেখা-শুনা তেমন, যেমন তাঁর জন্য শোভা পায়। এ দেখা-শুনা সৃষ্টির দেখা-শুনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়’।[19]

আল্লাহর সাথে সৃষ্টজীবের সাদৃশ্য করা হারাম। কারণ (১) আল্লাহর যাত-ছিফাত তথা আল্লাহ তা‘আলার সত্তা ও গুণ-বৈশিষ্ট্য এবং সৃষ্টজীবের গুণ-বৈশিষ্ট্য এক নয়। প্রত্যেকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে, সেটা তার জন্যই প্রযোজ্য। আল্লাহ তা‘আলা সর্বদা জীবিত আছেন ও থাকবেন। কিন্তু সৃষ্টিকুলকে মৃত্যুবরণ করতেই হবে। তাহলে কি করে আল্লাহর সাথে সৃষ্টজীবের তুলনা করা যায়?

(২) সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য করায় সৃষ্টিকর্তার মান-ইয্যত নষ্ট হয়। ত্রুটিযুক্ত সৃষ্টজীবের সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ মহান আল্লাহকে তুলনা করা হ’লে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ত্রুটিযুক্ত করা হয়।

(৩) স্রষ্টা ও সৃষ্টজীবের নাম-গুণ আছে। কিন্তু উভয়ের প্রকৃতি এক নয়।




[13]. তাফসীরে ত্বাবারী, ১৫/২৩২ পৃঃ।
[14]. তাফসীরে ত্বাবারী ১৫/২৩২ পৃঃ।
[15]. তাফসীরে ত্বাবারী ১৫/২৩২।
[16]. মা‘আলিমুত তানযীল, ৫/১৬৫।
[17]. বুখারী হা/৭৩৮৬ ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯।
[18]. হা-মীম সাজদাহ ৪১/২২; বুখারী হা/৭৫২১ ‘তাওহীদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪১।
[19].মা‘আরিজুল কবূল ১/৩০৪।


০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আবার এসে ব্যাখ্যা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কষ্ট করে অনেক রেফারেন্স দিয়েছেন এজন্য কৃত্জ্ঞ।

তবে আমি কিন্তু আমার কবিতায় যথার্থই বলেছি
তিনি সামিউন ( তিনি সর্ব শ্রোতা)।
তিনি বাসীরুন ( তিনি সর্ব দ্রষ্টা)

আর আপনি নিরাকার শব্দটার অর্থ করেছেন যা দেখে না শুনে না।
এখানে আমার আপত্তি আছে। আমি যতটা জানি নিরাকার শব্দের অর্থ যার আকার বা আকৃতি নেই, অর্থাৎ যা দেখা যায় না, স্পর্শ্ব করা যায়না, অদৃশ্য।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের আকার আছে। পরকালে মহা সৌভাগ্যবানেরা তাঁকে দেখতে পারবেন। কিন্ত ইহজগতে তিনি অদৃশ্য, আমরা কেউ তাকে দেখতে পারছিনা। সেই অর্থে নিরাকার শব্দটা ব্যবহার করেছি।
যাহোক শব্দটা আমি চেঞ্জ করব ঐ লাইনের জন্য একটা উপযুক্ত শব্দ খুঁজছি।

(দু:খিত মোস্তফা ভাই আপনার প্রতিউত্তরটা ভুলে কমেন্টে পরে গিয়েছিল। আরো জানিয়ে রাখি, আমি মাদ্রাসায় বা আরবী লাইনে কখনো পড়িনাই, তাই এইসব বিষয়ে আমার জ্ঞান সীমিত।)
ভালো থাকুন নিরন্তর।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ভাই, লাইনটি সংশোধন করলাম।
আপনার সুচিন্তিত মতামত জানার অপেক্ষায় আছি।

ধন্যবাদ।

১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২০

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আবার এসে ব্যাখ্যা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কষ্ট করে অনেক রেফারেন্স দিয়েছেন এজন্য কৃত্জ্ঞ।

তবে আমি কিন্তু আমার কবিতায় যথার্থই বলেছি
তিনি সামিউন ( তিনি সর্ব শ্রোতা)।
তিনি বাসীরুন ( তিনি সর্ব দ্রষ্টা)


আর আপনি নিরাকার শব্দটার অর্থ করেছেন যা দেখে না শুনে না
এখানে আমার আপত্তি আছে। আমি যতটা জানি নিরাকার শব্দের অর্থ যার আকার বা আকৃতি নেই, অর্থাৎ যা দেখা যায় না, স্পর্শ্ব করা যায়না, অদৃশ্য।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের আকার আছে। পরকালে মহা সৌভাগ্যবানেরা তাঁকে দেখতে পারবেন। কিন্ত ইহজগতে তিনি অদৃশ্য, আমরা কেউ তাকে দেখতে পারছিনা। সেই অর্থে নিরাকার শব্দটা ব্যবহার করেছি।
যাহোক শব্দটা আমি চেঞ্জ করব ঐ লাইনের জন্য একটা উপযুক্ত শব্দ খুঁজছি।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কবিতা খুব লিখেছেন।

"নিরাকার" মানে হলো যার আকার নাই, আকার নাই মানে তো যার অস্তিত্ব নাই এমন কাউকে বুঝায়, এখন ভাই একি সম্ভব বলেন আল্লাহ্ নিরাকার।
এখন সঠিক কথা হলো আল্লাহ্ তায়ালার আকার আছে কিন্তু তা কতটুকু তা আমরা জানিনা, এর উনার আকার অসীম আমাদের চিন্তারও বাইরে, একটা মানুষ এই ছোট ব্রেন নিয়ে আর কত টুকুই আর ভাবতে পারি। দেখুন রোজার মাসে আসছে দেশের আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেছে! এ এক অশেষ মেহেরবানী আল্লাহ সুবাহানুওয়াতালার ।
মোস্তফা সোহেল ভাই বোঝানোর জন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ব্যাখ্যা আমারও ভালো লাগলো।
উনি বুঝানোর উদ্দেশ্যে দিয়েছেন যে খুবই দরকারী।

অনেক শুভ কামনা রইল ভাই।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো।
আপনি বোধ হয় লক্ষ্য করেননি যে, আমি শব্দটা চেঞ্জ করার অঙ্গীকার করেছি এবং দুপুর ১২:১৫ টায় এডিট করে ‘নিরাকার’ শব্দটার পরিবর্তে ওখানে ‘কাদিরুন’ বসিয়ে দিয়েছি।

বর্তমানে আবার এডিট করে কবিতার বাকী অংশ সংযুক্ত করলাম।
আবারো ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লাইনটি বদলে দিয়েছেন দেখে খুশি হলাম।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক জ্ঞান দান করুন । আমিন।

০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আমিন।

১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আমি এই মাত্র দেখলাম। আল্লাহ্ সর্বদা আপনার সহায় হোক দোয়া রইলো।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৫

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আবার এসে দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। ভালো থাকুন নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.