![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেরা খুব সহজে কাঁদে না। তবু যদি দুই এক ফোটা অশ্রু কখনো গড়িয়ে পড়ে; তাকে খুব দ্রুত মুছে ফেলতে হয়। পুরুষ মানুষের আবার অনুভূতি কি? তাদের আবেগ বলে কিছু থাকতে নেই। খুব ছোট বয়স থেকেই একটা ছেলেকে শেখানো হয়- 'তোমাকে অনেক বড়ো হতে হবে; গাড়ি-বাড়ি করতে হবে। তাহলে তুমি জীবনে সব কিছু পাবে, সব। এমনকি পৃথিবীর সেরা সুন্দরী নারীটার মনও।' এই বড়ো হওয়ার সংগ্রামে একটা ছেলের শৈশব আর যৌবন কেটে যায়। পড়াশুনা, জীবন সংগ্রাম সেই থেকে শুরু। এরপর যৌবনের একটা প্রান্তে এসে ছেলেটা আবিষ্কার করে- সবাই তার কাছ থেকে যতোটা আশা করেছিলো; সে প্রত্যাশার অনেকটাই মিটাতে পারেনি সে (ছেলেটা)। তখন শুরু হয় অন্য রকম এক সংগ্রাম। সে সংগ্রাম ছেলেটার একান্ত নিজের; কেউ পাশে থাকে না। তারপর একটা সময় ছেলেটা সত্যিই অনেক বড়ো হয়। গাড়ি-বাড়ি হয়; কিংবা অনেক বড়ো না হতে পারলেও অন্তত টাকশালে পরিনত হয়। ততোদিনে তার মাথার চুলগুলো ঝরে সেখানে রানওয়েতে পরিনত হয়েছে। যে বেলা বোস কথা দিয়েছিলো তাকে (ছেলেটাকে) ছাড়া বাঁচবে না; সে ততোদিনে দুই-তিন বাচ্চার জননী হয়ে গেছে। ছেলেদের এসব নিয়ে কষ্ট পেতে নেই। ছেলেরা টাকশাল (মেশিন); ছেলেদের আবার কষ্ট কিসের? ছেলেটার দাদু টাকশাল ছিলো, ছেলেটার বাবা টাকশাল ছিলো, ছেলেটা এখন টাকশাল এবং ছেলেটার অনাগত ছেলে সন্তানটাও হবে একটা টাকশাল। যাই হোক, ছেলেটার এতোদিনে বিয়ের বয়স হয়েছে শেষ পর্যন্ত! বয়স পয়ত্রিশ-চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। 'তাতে কি? ছেলেদের আবার বয়স কিসের? কতো টাকা আছে, সমাজিক স্ট্যাটাস কি?' এটাই একটা ছেলেকে পরিমাপের মূখ্য বিষয়। ছেলেটার পিছনে সুন্দরীদের লাইন পড়ে গেলো। ছেলাটার জীবনে অবশেষে একজন সুন্দরী নারীও এলো। কিন্তু ততোদিনে ছেলেটার তারুণ্য এবং যৌবন পেরিয়েছে। বৌকে সে এখন পর্যাপ্ত ভালোবাসা দিতে পারে না। হঠাৎ অসময়ে একদিন বাড়ি ফিরে সে (ছেলেটা) বিস্ময়ে আবিষ্কার করে, তার ঘরের লক্ষী প্রতিমাটি সদ্য যুবক কোন এক তরুণের সাথে বিছনায় ভালোবাসা বিনময়ে ব্যাস্ত। তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু না, তাকে কষ্ট পেলে চলবে না। কারন রাষ্ট্র বলেছে, 'ছেলেদের আবেগ-অনুভূতি থাকতে নেই। ছেলেদের কষ্ট পাওয়া দন্ডনীয় অপরাধ। তবু যদি তুমি কষ্ট পাও, "তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ধারায়" তোমাকে জেলের রাস্তা মাপতে হবে।' বোকা ছেলেগুলো তবুও কষ্ট পায়! আর চতুর ছেলেগুলো অসাধারণ অভিনয়ে সংসার টিকেয়ে রাখে; সমাজের চোখে হয়ে উঠে আসল পুরুষ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: জগতের নিয়ম থেকে আমাদের এ সমাজের নিয়মটাই বোধহয় জটিল। তবে এটাও ঠিক, মেয়ে থেকে নারী হয়ে উঠাটাও এ সমাজে খুব একটা সোজা নয়।
ধন্যবাদ
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৮
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এখন তো উন্নতি হচ্ছে আমাদের ব্যাচমেট ছেলেরা গ্রাজুয়েশন শেষ হ ওয়া মাত্রই বিয়ে করছেন , যেখানে মেয়ে ফ্রেন্ড রা সংখ্যা য় কম ।
সন্তান দের ছোট বেলায় প্রেশার দেয়া অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই না । সন্তান কে আগে বলা উচিত বাবা তুমি মানুষের মতো আগে মানুষ হ ও , প্রকৃত শিক্ষা পেয়ে গেলে তার নিজের জগত সে নিজেই ঠিক করে নিতে পারবে , তাকে বলতে হবে না বাবা তোমাকে এটা হতে হবে ঐটা হতে হবে । আমাদের সমাজ প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠিত হতে ত্রিশ পার হতে হয় , এখন যার ইচ্ছে হবে তাকে সেই লেবেল এ পাত্রী খুঁজে বিবাহ দিলেই হয় ।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: কিছু কথা যুক্তিযুক্ত বলেছেন, তবে আলোর পথটা আমাদেরকেই খুজে বের করতে হবে।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সময় মতো সঠিক জিনিস পাওয়াও একটা গণতান্ত্রিক অধিকার।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা ঐ তরুনটা কেমন কেমন পুরুষ ?
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: কাপুরুষ...
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: লেখা ভাল লাগল। বাস্তবতার ছোঁয়া আছে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] বলেছেন: ধন্যবাদ...
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের সমাজ বাস্তবতায় কিছুটা হলেও সত্য।
এখানে মেয়েদেরও অন্য উপায়ে হলেও অাসল মেয়ে হয়ে উঠতে হলে নানারকম ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেটাও আসল পুরুষ হয়ে উঠার চেয়ে বেশি ছাড়া কম নয়।
জগতের হয়ত এটাই নিয়ম। নিজের অবস্থান থেকে কেউ সুখী নয়। সে ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক।