![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়াজ দিতে চাই!!! আমি সত্য অন্বেসী। সত্য বলতে দ্বিধা করি না। সত্যের জন্য লড়াই করি।এতে কারো এলার্জি হইলে আমার কিছু করার নাই।
মানুষ পশুকে পোষ মানিয়ে তাদের দ্বারা অনেক কার্য সাধন করে,যেমন ধরুন গরু দ্বারা কখনো জোয়াল, কখনো গাড়ী অথাবা কখনো লাঙ্গল টানানো হয় । পরিনামে কি পায় গরু ??
পরিচারক এর হাতে লাঠির পেটন আর মাঝে মাঝে কুড়া ও ভুষি।
শেষ বয়সে এসে সেই গরুটির মাংস শোভা পায় কোন বড় লোকের খাবারের প্লেটে , চামড়া চলে যায় কোন এক চামড়া পক্রিয়াজাত কারখানায় , সেখান থেকে তৈরি হয় নানান চামাড়া জাত পণ্য।
সেই পণ্য বাজার যাত করে লাভবান হয় মধ্যবর্তী নানা মানুষ আর উপহার সরূপ গরুটি পায় নির্মম মৃত্যু!!!
বর্তমান আমাদের দেশের কৃষকদের অবস্থা ধিক এমন।
ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছি, আমাদের দেশের ৮০% লোকই কৃষিকাজ করে। বাংলাদেশ একটি কৃষি নির্ভর দেশ , এ দেশের নির্ভরতার প্রতিক কৃষক। তাদের ঘাম ঝরিয়ে ফলানো ফসল এদেশ সহ বাইরের দেশের মানুষের উদর পূর্তি করায়।
বাংলাদেশের সর্বমোট প্রবৃদ্ধির ১৮.৬% (data released on November, 2010) আসে কৃষি খাত থেকে। যা অন্যান্য খাত থেকে অনেক উপরে।
কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের পিছনে মুখ্য ভুমিকা কাদের??
শুধু তাই না আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, ঔষুধ তৈরির কাচামাল ইত্যাদি কৃষিজাত পণ্য যা কিছু আছে সব ই কিন্তু আমাদের কৃষকের কষ্টের ফলিত ফসল।
এইতো কয়েক দিন আগে চৈত্র মাস গেলো । এই চৈত্র মাসের প্রখর রৌদ্রে অথবা মুষুলধারে বৃষ্টির মাঝে আপনারা কত বার বাইরে গিয়েছেন বলতে পারেন ??
কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকের কাছে প্রখার রৌদ্র অথবা বৃষ্টি কিছুই না কারণ তাদের কাছে এই কষ্টের চেয়ে অন্যান্য মানুষের পেটের অন্য ফলানো মুখ্য।। তারা নিজেদের কে উৎসর্গ করেছে আমাদের জন্য।।
কিন্তু কেমন রেখেছি আমরা তাদের???
তারা তো নিজের পুরোটায় দিয়ে দিয়েছে আমাদের জন্য পরিনামে আমারা তাদের দিয়েছি দারিদ্র, লাঞ্চনা,মৃত্যু।
আজ পত্রিকার পাতা খুললে কৃষকের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে , অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মৌলিক চাহিদা পুরন করতে না পেরে আত্ব্যহত্যার খবর দেখতে পাওয়া যায়।।
কৃষকের ক্ষেত যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ এর কবলে পরে তবে কৃষকের দূর্দশার সীমা থাকে না কেননা তখন ফসল উৎপাদন কম হয় তাই তার উৎপাদিত খরচের টাকা ফসল বিক্রি করে উঠে আসে না।
আবার বাম্পার ফলন করেও তাদের দূর্দশার অন্ত থাকে না কেনন না তখন নাকি ফসলের মূল্য কমে যায়।
গত বছর দেখেছিলাম, ঠাকুরগায়ে রাস্তায় আলু ফেলে কৃষদের প্রতিবাদ জানাতে কারণ আলুর দাম ছিল খুবই কম, প্রতি ৫ কেজি আলুর পাইকারি দাম ছিল ৪ টাকা।
গতবার টমেটোর বাম্পার ফলন হওয়াতে কৃষকেদের টমেটো বিক্রি করতে হয়েছে প্রতি কেজি ১ টাকা পাইকারি দরে।
এই বছর ধানের পাইকারি দাম ৩৫০ টামা মণ কিন্তু যেখানে ধানের উৎপাদিত খরচ মণ প্রতি ৫০০ এর অনেক উপের।
আবার কাঁচামরিচের পাইকারি দাম এখন ৪ টাকা কিন্তু তা দিয়ে মরিচ তোলা এবং যাতায়াত খরচ ই উঠে আসছে না।।
একজন কৃষকের আয়ের একমাত্র আয়ের উৎস তার উৎপাদিত ফসল।
যেখানে এক মণ ধানের দাম ৩৫০ টাকা যেখানে গরুর মাংসের দাম ৩৬০ টাকা, হিন্দুদের জন্য খাসীর দাম বাদই দিলাম।
অন্যান্য পণ্যের কথা না হয় না ই বললাম।
একবার ঢাকার বাজারের দিকে একবার তাকান !!
ঢাকায় আপনি আলু সর্বনিম্ন কত টাকা দরে কিনেছেন ??
২০ টাকা??
চাল ??
৩৮ টাকা??
১ মন ধান থেকে কম করে হলেও ২৮ কেজি চাল হয় ??
তাহলে ২৮*৩৮=১০৬৪ টাকা।
কোথায় ৩৫০ আর কোথাউ ১০৬৪ ।
আবার ঢাকার বাজারে এখন কাঁচামরিচের দাম কত??
৩০ টাকা কেজি??
একবার ভাবুন?? কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত আসতে মূল্যের কত তারতম্য !!!
মাঝের এই টাকা গুলী যায় কোথায়??
কোথাও না মাঝের লোক গুলো সব রক্ত চোষা গিরগিটি তারা কৃষকের প্রাপ্প টাকা নিজের পকেটে ভরে নিজে অট্টালিকায় বসবাসা করে ।পরিনামে কৃষক কে দিন কাটতে চরম দুর্দশা মেনে।
আমাদের দেশেই যেহেতু ধানের বাম্পার ফলন হয় এবং উৎপাদিত ধান দিয়ে আমাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব তবে কেন কৃষকে মেরে অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক রক্ষার জন্য বাইরে থেকে চাল আমদানী করতে হবে।
যেহেতূ আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ তাই কৃষিকে বাঁচাতে হলে কৃষকে বাঁচাতে হবে আগে।
তাই কৃষকদের বাঁচান দেশ বাঁচবে।।
২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
নাজমুল৪৮৫৭ বলেছেন: ভাই তুলনা করতে বাধ্য হইলাম কারণ আমি কৃষকের সন্তান। আপনারা সবাই আমাদের সংসারের দূর্শার জন্য দায়ী। আমার বাবা এবং আমার বাবার মত আরও যারা আছেন তারা কষ্ট করে ফসল ফলায় আর আপনারা তার ফাইদা নেন ।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
শিশির খান ১৪ বলেছেন: বাজারের মুল্য নির্ভর করে চাহিদা ও যোগানের উপর। সুষ্ট বাজার বেবস্তা না থাকলে এরকম সুযোগ মধ্যম শ্রেনীর বেবসায়ীরা নিবেন না কেনো ?ঢাকার ও সমস্ত বিভাগীয় পর্যায়ে নতুন বরো বরো বাজার তৈরী করতে হবে। তেলের দাম বা পরিবহন খরচ কমিয়ে নিয়ে আসলে কৃষক লাভ তুলতে পারবে বলে মনে হয়
৪| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"নাজমুল৪৮৫৭ বলেছেন: ভাই তুলনা করতে বাধ্য হইলাম কারণ আমি কৃষকের সন্তান। আপনারা সবাই আমাদের সংসারের দূর্শার জন্য দায়ী। আমার বাবা এবং আমার বাবার মত আরও যারা আছেন তারা কষ্ট করে ফসল ফলায় আর আপনারা তার ফাইদা নেন । "
আপনার বাবা কৃষক?
আমিও কৃষক; আমাকেও বাবা ডাকতে পারেন।
৫| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সতী সত্যান্বেষী বলেছেন: কৃষকদের অবস্থার উন্নয়ন হওয়া অনেক কঠিন। সমাজে ৮০-২০ রুল চালু আছে। ৮০ কিংবা তারও বেশি শতাংশ সম্পদ মাত্র ২০ বা তার চেয়ে অনেক কম শতাংশ মানুষের হাতে। সম্পদ বাড়তে থাকলে মানবতা কমতে থাকে। একশ টাকা হাতে থাকলে দুই-চার টাকা অন্যকে দেয়া যত সহজ, একশ কোটি থাকলে দুই-চার কোটি দান করা তত কঠিন। ফলে কৃষকের প্রতি ওই সব নিকৃষ্ট ভোগী ও লোভী মানুষদের মানসিকতার কোনও পরিবর্তন হয় না। দানের কথা নয়, ঠিক মত দামের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষক বাঁচত। দেশ বাঁচত। মধ্যসত্ত্বভোগী নামক শয়তানদের ভ্যানিশ করে দিতে পারা যেতো!
কৃষকদের দুরবস্থা নিয়ে লিখতে থাকুন, একদিন হয়ত মানুষ ভুল বুঝতে পারবে। গরুর নয় মানুষের রচনা-ই লিখুন, যার-তার কথায় কান না দিয়ে-ই লিখতে থাকুন।
৬| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:২৯
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: @ চাদ্গাজী সাহেব, কৃষকদের গরুর সাথে তুলনা করে উনি প্রকৃত সত্যটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কথার ভেতরের মানে টা বোঝার চেষ্টা করবেন, উপরটা দেখেই হুদাই লাফালাফি শুরু করবেন না।
@ লেখক, ভাই এক্কেবারে আমার মনের ভিতরের কথাটা বলে ফেলেছেন। আমরা শহুরে লোকেরা স্মার্টফোন চালাতে চালাতে ভাত খাই আর গ্রামের কৃষক একটা সাধারণ ফোনের স্বপ্ন দেখতেও ভয় পায়। ৫ টাকা উথপাদন মুল্যের সাবান ৩০ টাকায় কিনতে আমাদের আপত্তি থাকে না কিন্তু চালের দাম এক দুই টাকা বেড়ে গেলেই রাস্তায় নামি। আর বাড়লেও বা কি লাভ সব যায় দালাল দের পকেটে। লাভের কিয়দংশ পায় কৃষক আর লসের পুরাটা। যাই হোক সমস্যার ব্যাপারটা আপনি ভালো ভাবেই তুলে ধরেছেন, এই সমস্যা নিয়ে পূর্বে আমি বন্ধু মহলে অনেক আলোচনা করেছি। আমার মতে সমস্যার পেছনে কৃষকদের শিক্ষার অভাব ও অজ্ঞতাই দায়ী, তার সাথে আছে দালালদের রাজনৈতিক পরিচয়।
আমার মতে সমাধানের জন্য একটি সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজন। এর জন্য আমাদের মত তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে। শহর থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে গ্রামের কৃষকদের অধিকারের জন্য। আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই হবে কৃষকদের তাঁদের নায্য অধিকারের ব্যাপারে সচেতন করা ও ঐক্যবদ্ব ভাবে তারা কিভাবে মধ্যসও্বভোগী দের হঠকারিতা হতে মুক্তি পাবে তা বোঝানো। আমি মনে করি আমরা শহরে কৃষকদের অধিকারের ব্যাপারে অন্দোলন করলে গ্রামের কৃষকরা ঐক্যবদ্ব হওয়ার সাহস পাবে।
এই লেখাটিকে স্টিকি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
৭| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
নাজমুল৪৮৫৭ বলেছেন: ধন্যবাদ @অন্যসময় ঢাবি।
@চাঁদগাজী আপনাকে কি বলবো আপনাকে মানুষ বলতে আমার ঘৃণা হচ্ছে । ধরুন আপনার বাবা ব্যবসায়ী কিন্তু পৃথিবীতে আরো কোটি কোটি ব্যাবাসায়ী আছে তার অর্থ কি সবাই আপনার বাবা?? সবার ই কি আপনার মায়ের সাথে নিয়ে হয়েছে??
হয়তো আপনি বলতে পারেন কারণ বিকৃতমনা । কিন্তু সমাজে আরো কিছু মানুষ আছে যারা স্বাভাবিক তাই তাদের নিজের সাথে মিলাবেন না।
ভাই দৃষ্টিভঙ্গী বদলান দেখবেন সব বদলে গেছে!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি তো কৃষককে গরূর সাথে তুলনা করলেন?
বরং গরুর রচনা লেখেন