![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়াজ দিতে চাই!!! আমি সত্য অন্বেসী। সত্য বলতে দ্বিধা করি না। সত্যের জন্য লড়াই করি।এতে কারো এলার্জি হইলে আমার কিছু করার নাই।
দেশে এই সব কি ঘটছে??
যে দিকে তাকাই সে দিকে শুধু ধর্ষন আর নারীর শ্লিলতাহানিতা।
এখন যেন নারীকে ধর্ষন এবং শ্লিলতাহনন আমাদের কাছে এক খেলা।
আমাদের মুল্যবোধ কত নিম্নে নেমে গেছে তা পুরোটা ভাবনার বাইরে।
আমরা এত নিচে নেমেছি যে ৩ বছরের নারী শিশু থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বয়স্ক মহিলা ও যৌন নিপিড়রনের হাত থেকে রক্ষা পায় না।
নারীদের লুকাইত লজ্জা দেখাটা যেন আমাদের মূখ্য কার্যে রূপান্তরিত হয়েছে । রাস্তা দিয়ে কোন যুবতি মেয়ে হেটে যেতে দেখলে আমাদের যুবক থেকে বৃদ্ধ যৌন পিপাসু পুরুষ গুলো চোখে ১০০০X লেন্স বিশিষ্ট স্ক্যানার লাগিয়ে মেয়েটির বক্ষ্য থেকে শুরু করে সারা দেহ স্ক্যান করে। অকৃতিম তৃপ্তি লাভ করে ।
কখনো বা নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষার অপুর্নতা বশত জোড় করে তুলে নেয়া হয় মেয়েটিকে এবং কেড়ে নেয়া হয় সর্বোস্ব।
আজকের দিনে পুরুষ সমাজ লাঞ্চিত হচ্ছে কিছু বিকৃতিমনা পিচাশ হায়না দের জন্য। তাদের জন্য আজ নারীরা মনের মধ্যে আতংক নিয়ে বাইরে বের হয় ভাবে যে কখন সেই হায়নার দল আক্রমন করবে এবং নিয়ে যাবে সর্বোস্ব।
আজকাল আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য , একটি ছোট্ট নারী শিশু ও যৌন নিপিড়নের শিকার হচ্ছে।
এরকম ঘটনা হয়তো আপনারা অনেকে শুনে থাকবেন , কোন একটা বাচ্চা নারী শিশুকে কোন শিক্ষকের কাছে পড়তে দিয়েছেন কয়েক দিন পর বাচ্চা টা তার আম্মুর কাছে গিয়ে বলে আম্মু আমি আর ঐ টিচারের কাছে পড়ব না । আপনারা হয়তো কথা টা কর্নপাত করেন না কারণ সে শিশু । কিন্তু এমন ও ত হতে পারে যার কাছে তাকে পড়তে দিয়েয়েছেন যে ব্যক্তিটি তার পড়ানোর ছলে তাকে নানা ভাবে উত্তক্ত করে । হয়তো শিশুটি এইটার নাম যে যৌন নিপিড়ন তাই ও ত জানে না আর জানবেই বা কিভাবে?? সে যৌনাতা কি তাই ও তো জানে না।
কিন্তু যে শিশু টি তার নিজের সম্পর্কে এখন ও ভালোভাবে জানে না সেই শিশুটিকে এমন ভাবে যৌন হয়রানি করা কি রকমের বিকৃতমনা মানুষের কার্য।
সম্প্রতি এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছে মোহাম্মাদপুর প্রিপারটরি স্কুলে ক্লাশ ওয়ানের একটা শিশুর সাথে।
তার কয়েক দিন পর পঞ্চম শ্রেনীর এক শিশু ধর্ষনের স্বীকার হয়ে ICU তে থাকা অবস্থায় মারা যায়।
এই ঘটনার প্রতি উত্তরে ঐ স্কুলের এক শিক্ষিকা যুগান্তকারী এক বাণী দিয়ে ছিলেন আমাদের উদ্দেশে।
তিনি বলেছিলেন "ফুল ফুটলে ভোমড়া আসবেই"
আমি জানতে চাই ক্লাশ ওয়ানে পড়া একটা মেয়ের কি এমন দেখে তিনি ফুল ফোটার সাথে তুলনা করেছেন।
পূলিলেশের এক আইজি বলেছিলেন
পহেলা বৈশাখে টিএসছি তে ঘটে যাওয়া ঘটনা নাকি কয়েকটি ছেলে মেয়ের দুষ্টমি ছিল??
আজ মধ্যবয়স্ক কোন শিক্ষিকা যদি ব্যাস্ততার কারণে ভেজা চুল নিয়ে ক্লাশ নিতে এসে বোর্ডে লিখতে গেলে তার চুল থেকে পানি গড়িয়ে পরা দেখে ছাত্র রা বলে দেখ দোস্ত ম্যাডামের নামে অনেক কথা বলে কিন্তু তারা ভাবে না তিনি তাদের মায়ের বয়সী এক নারী।
এখন কোন মেয়ে তার বন্ধুর বাসায় একা যেতে সাহস পায় না কারণ সে যে যাবে নিরাপত্তা কে দিবে!!
আজকাল কোন প্রেমিকা ও তার প্রেমিক কে বিশ্বাশ করতে পারে না । কেমনে করবে ??
১৬ তারিখে বাংলামেইল নামে একটা অনলাইন পোর্টাল পড়তে গিয়ে চোখে পরলো একটা দর্ষনের খবর, আনিকা নামের দশম শ্রেনীর ১৪ বছরের এক বালিকা কে তার প্রেমিক তার বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করে তাকে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে যায়।
একবার ভাবুন আমরা কত নিচে নেমে গেছি আমাদের কাছে একটা মানুষের জীবনের চেয়ে যৌনতা মুখ্য হয়ে গেছে।
আমরা আমাদের মেয়েদেরকে রক্ষার জন্য তাদের গৃহ বন্দি করে রাখি কিন্তু সেই সব বিকৃত মনা ব্যক্তিদের শাস্তি দেয় না। কিন্তু মনে রাখবেন হায়না যথা সময়ে দমন না করতে পারলে তারা তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে আপনাদের ঘরে আক্রমন করবে।
আর যদি দমন করতে না পারলে আমাদের যুগ কে আদিম যুগে পরিনত করে তুলূন।
কবির ভাষায়ঃ
কথা গুলো অনেক খারাপ কিন্তু আমার কাছে এর চেয়া বড় প্রতিবাদের ভাষা আমার কাছে আর নাই।
মেয়ে,
তোমার আটো সাটো ব্লাউজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কাচরি টা খুলে
আমি ঝুলিয়ে দেব প্রকাশ্য রাস্তায়।
তোমার বহু ব্যবাহারের জীর্ন অন্তর্বাস কে
আমি নিলামে বিক্রি করবো খোলা বাজারে।
ওরা তোমার নগ্নতাকে আড়াল করতে করতে এখন ক্লান্ত
ওদের বরং মুক্ত করে দাও।
উরে উরে চলে যাক যেখানে খুশি,
গহীন অরন্যে আর্শ্চর্য রহস্যমর তোমার যৌনতা জেগে উঠুক
পাখিদের কলকাকলিতে, দ্বিব্বহিনাদের চিৎকারে , শিৎকারে একেবারে করে চলো আদিম মানুষদের মত আরঙ্গ জীবন।
খুলে ফেল তোমার যত পোশকের বেড়িগেট
তোমার অশ্লিল আলুস্কতা ছুড়ে ফেলে চলো করি ফের সভ্যতার গোড়া পত্তন।
©somewhere in net ltd.