নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সত্য অন্বেসী। সত্য বলতে দ্বিধা করি না। সত্যের জন্য লড়াই করি।এতে কারো এলার্জি হইলে আমার কিছু করার নাই।

নাজমুল৪৮৫৭

আওয়াজ দিতে চাই!!! আমি সত্য অন্বেসী। সত্য বলতে দ্বিধা করি না। সত্যের জন্য লড়াই করি।এতে কারো এলার্জি হইলে আমার কিছু করার নাই।

নাজমুল৪৮৫৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার অনুভুতি ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাপা অভিমান ও এর অনুভুতি ভালবাসার গভীরতাকে বাড়িয়ে তোলে অনেকগুন।
প্রতিটা সম্পর্কের মাঝে একটু অভিমান এবং তার অনুভুতি না থাকলে সেই সম্পর্ক কে কেমন যেন একগুয়ে মনে হয়।
মসৃণ ভাবে চলতে থাকা সম্পর্কের মাঝে কোন ভালবাসার স্বাদের ভিন্নতা খুজে পাওয়া যায় না।
হয়তো ভাবতে পারেন ভালবাসার আবার স্বাদ কিসের??
আবার এর ভিন্নতা কি??
হ্যাঁ এই কথা আপনি তখন ই বুঝতে পারবেন যখন আপনার ভালবাসা কে একটু অন্য ভাবে পরখ করে দেখতে পারবেন।
এতে অবশ্য আপনাকে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে!!
কেননা ননিযুক্ত গরম চায়ের স্বাদ নিতা গেলে জিব্বায় একটু পোড়া দাগ অংকন করবেন না তা কি করে হয়।
যেমন ধরুন দুজন ছেলে মেয়ে একে অপরকে অনেক ভালোবাসে , অনেক বিশ্বাস করে এবং তাদের অবস্থান একে অপরের কাছ থেকে অনেক দূরে এবং তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোন ।
তাদের প্রতিদিন অনেকবার যোগাযোগ হয়ে থাকে কিন্তু হঠাৎ একদিন ছেলেটি বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে গেল এবং তা মেয়াটিকে না জানিয়ে । একবারের জন্য তার কথা বলার সুযোগ হয়ে উঠলো না এবং এক সময় ছেলেটার মোবাইলে চার্জের অপ্রতুলতাহেতু বন্ধ হয়ে যায় ।
এদিকে মেয়েটা ছেলেটার কোন ফোন না পেয়ে নিজেই ফোন করলো কিন্তু তখন ছেলেটির কথা বলার সুযোগ না থাকায় যোগাযোগ হয়ে উঠে নি , মেয়েটি ভাবে হয়তো সে ব্যস্ত এই ভেবে মেয়েটি তার নিজের কাজ করতে থাকে ।
কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরোল তবুও ছেলেটার কোন ফোন আসে না।
মেয়েটার মনে তখন একরাশ অভিমান বাসা বাধলো।
কিন্তু প্রবাহমান সময় অভিমান কে ছাপিয়ে মেয়েটিকে আবার ছেলেটিকে ফোন করতে বাধ্য করে।
যখন সে ফোন করে এবং ছেলেটির মোবাইল বন্ধ দেখায় তখন তার অভিমান ক্রমশ বাড়তে থাকে।
একটা সময় সেই চাপা অভিমান এক বড় চিন্তার জন্ম দেয়।
সেই চিন্তা মেয়েটির মনে নানান প্রশ্নের জন্মদেয় এবং মেয়েটিকে অস্থির করে তোলে।
মেয়েটি আর নিজের কোন কাজ করতে পারে না ।আর ছেলেটার যে, কোন খবর নিবে তার কোন উপায় ও নাই।
মেয়েটি একবার ভাবে ছেলেটার কিছু হয়ে যায় নি তো??
নাকি ছেলেটি তাকে ধোকা দিল ??
নাকি ফোন চুরি হইলো??
নাকি অন্য কোন বিপদ হইলো??
ও কেন এরকম করতেছে??
এই সব কথা মেয়েটি ভাবতে থাকে আর তার চোখের অশ্রু গড় গড় করে গাল বয়ে নিচে নামতে থাকে ।
পরক্ষনে অবশ্য তাদের ভালোবাসার বিশ্বাস ধোকার প্রশ্ন থেকে মেয়েটিকে মুক্তি দান করে।।
কিন্তু অন্যান্য প্রশ্ন ভাবতে ভাবতে একরাশ অভিমান ও দুঃখ বুকে বেধে খাওয়া দাওয়া এবং নিজের অন্যান্য কাজ ভুলে বিছানার বালিশ ভিজাতে থাকে। আর বার বার ছেলেটিকে ফোন করতে থাকে আর চিন্তা গুলোর প্রতিফলন ঘটতে থাকে।
এভাবে দুপুর থেকে বিকেল , বিকেল থেকে সন্ধ্যা নেমে আসে কিন্তু ছেলেটার সাথে কোন যোগাযোগ হয়ে ওঠে না।
পরিবারের সদস্যদের চাপে মেয়েটাকে এক সময় বিছানা ছেড়ে উঠতে হয় কিন্ত সে কোথাও স্থির হতে পারে না।
এর পর সন্ধ্যা গড়িয়ে যখন রাত্রি নেমে পরলো এবং ছেলেটা তার রুমে ফিরে মোবাইলে চার্জ দিয়ে যখন মেয়েটিকে কল করলো , মেয়েটি তার মোবাইলের স্ক্রিকে ছেলেটির নাম্বার দেখে সাথে সাথে কলটা রিসিভ করে ভারী গলায় বলে ঊঠলো
- হ্যালো
হ্যালো বলেই সে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলো।
ছেলেটা মেয়ের অনুভুতি বুজতে পেরে মেয়েটেকি সামলাতে শুরু করলো এবং নিজের সকল ভুল স্বীকার করে নিল ।
একসময় মেয়েরটার সকল দুঃখের অবশান ঘটলো এবং চাপা অভিমানগুলো দূরে সরে গেল এবং ভালবাসার রং ছড়াতে লাগলো।
ঠিক যেমন ঘনভুতি হয়ে থাকা মেঘ বৃষ্টি আকারে ঝড়ে আকাশের যে নিলাভ রং ছড়ায় ।
এই অভিমান এবং অনুভব ছেলেটার মনে মেয়াটার প্রতি ভালবাসা বড়িয়ে তোলে জোয়ারের সময় সমুদ্রের ফুলে ফেঁপে ওঠা জলের মত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.