নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সত্য অন্বেসী। সত্য বলতে দ্বিধা করি না। সত্যের জন্য লড়াই করি।এতে কারো এলার্জি হইলে আমার কিছু করার নাই।

নাজমুল৪৮৫৭

আওয়াজ দিতে চাই!!! আমি সত্য অন্বেসী। সত্য বলতে দ্বিধা করি না। সত্যের জন্য লড়াই করি।এতে কারো এলার্জি হইলে আমার কিছু করার নাই।

নাজমুল৪৮৫৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অকৃত্রিম ভালবাসা অবস্থিত সেই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের !!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

অনেক দিন হল ঈদের ছুটিতে বাসায় এসেছে সোহেল ।
অনেকবারের চেয়ে এইবার একটু বেশি ছুটি পেয়েছিল সোহেল, এইবার সে বাসায় অনেক দিন থাকাতে তার বাবার একটু সুবিধা হয়েছিল।

কিন্তু কালই সোহেলের ঢাকায় ফেরার সময় ।
অনেকদিন বাসায় থাকায় বাসার প্রতি একটু বেশিই সোহেলের মায়া পরে গেছে।

তাই সে নিজের ঘরের বিছানায় শুয়ে শুয়ে কি যেন ভাবতেছিল।
এক সময় তার মা তার ঘরে উঁকি মেরে দেখে সোহেল ঘুমাই নি

-কি বাবা এখনো ঘুমাস নি?
-না মা।
-ঘুমাইয়া যা, কাল সকালেই তো তোকে যেতে হবে, অনেক রাস্তা বাসে করে যাবি তাই তোর শরিরে একটু আরাম দরকার।
-এই তো মা ঘুমিয়ে যাব।

সোহেল ঘুমানোর প্রস্তুতি সেরে শুয়ে পরে, কিন্তু ঘুম তার আসে না ।
এপাশ ওপাশ করতে থাকে। পরক্ষনে সোহেল বিছানা থেকে উঠে ঘরের বাইরে পাইচারি করতে যায় ।

সে হঠাৎ তার বাবার কাশির শব্দ শুনতে পায় ।
কাশিটা অনেকটা শ্বাসকষ্ট রুগীর মত।
হালকা হালকা তার বাবা মার কথা কানে আসে।

-কি সোহেল ঘুমায় নি?
-না ,কি যেন ভাবতেছে।
-ও বাসায় এসেছিল , একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম। কাল ও চলে যাবে ভেবে খারাপ লাগতেছে।
-ও টাকার কি ব্যবস্থা হয়েছে??
-ধানের মহাজনের কাছ থেকে ধার করলাম , বলেছি ধানকেটে টাকা পরিশোধ করে দিব।
বলেই আবার বিকট ভাবে কেশে ওঠে সোহেলের বাবা।
-বলি ভাল একটা ডাক্তার দেখাও অনেকদিন থেকে তোমার এই কাশি !!! আল্লাহ না করুক যদি খারাপ কোন কিছু হয়ে যায়??
-দেখ সোহেলের মা , এটাতো সামান্য কাশি এমনেতে ঠিক হয়ে যাবে তুমি চিন্তা কর না! কিন্তু যে টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যয় হবে সে টাকা সোহেল পেলে ও একটু ভাল ভাবে চলতে পারবে ।
-----------------------------------------------------------
এভাবে কথা বলতে বলতে সোহেলের মা বাবা একসময় ঘুমিয়ে পরে।

সোহেল কথা গুলো শুনে কেমন যেন নিথর হয়ে আছে আর চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে অশ্রু ঝরছে।
এর মাঝে সে তার বাবার কাজে একটু সাহায্য করেছে তাই সে বুঝতে পেরেছে সংসারের খরচ চালানোর জন্য তার বাবাকে কতটা কষ্ট করতে হয়।

কিন্তু সোহেলকে ভাল রাখার জন্য এতটা ভাবে তার বাবা সে এইটা কেমন যেন মানতে পারে না।
তারপর সে ভাবতে থাকে এবং এক সময় তার শরিরে ক্লান্তি ভর করে এবং তাকে ঘুমের রাজ্যে ভ্রমণে নিয়ে যায় ঘুম দেবতা।

সকালে ঘুমথেকে ওঠার পর সে তৈরি হয়ে নেই এবং বাসা থেকে বের হয়।
সবার থেকে বিদায় নেয়ার পর তার বাবা তাকে টাকা দিতে লাগে
-নে বাবা তোর এই মাসের খরচ,মন দিয়ে পড়ালেখা করবি ও ভালভাবে খাওয়া দাওয়া করবি।

সোহেন সেখান থেকে ২০০০ টাকা তার বাবা কে ফিরেয়ে দিয়ে বলে
-এই টাকা দিয়ে ভাল ডাক্তার দেখিয়েন।
-আরে রাখ তোর লাগবে।
-আমার তো স্মার্ট ফোনটার দরকার হয় না তাই ভাবছি ঐটা বিক্রি করে দিব , আর সামনের মাস থেকে আমাকে ১০০০টাকা কম দিলেও চলবে।
বলে বাবা কে জোর করে টাকাটা দিয়ে দেয় সোহেল এবং ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সোহেল।

-দেখছো সোহেলের মা আমাদের সোহেল বড় হয়ে গেছে , সে এখন বাবার কষ্ট বোঝে।
বলে চোখ মুছতে মুছতে ছেলে বিদায় দিয়ে বাসার ফেরে তারা।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.