![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আবার আসবে তুমি নিশুতি প্রেমে , বুকের পাঁজরে বাজি ফোটাবে তুলকালাম মেঘের । জানালা বন্ধ করলে তুমি আরও ঘিরে ধরবে বেশি করে, এক কোটি বছরের গল্প করবে https://www.facebook.com/nazmulhasanmajumder
সময়টা ১৯৭১ সাল, ২৫ শে মার্চ কালরাত্রিতে সমগ্র দেশে শুরু হয়ে যায় নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের জঘন্য গণহত্যা । সারা দেশে শুরু হয় যুদ্ধের দামামা । ছেলে- বুড়ো , মহিলা- পুরুষ কেউই যুদ্ধের কালো ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা । মানুষের জীবন যেন পশুর জীবনের চেয়েও কম দামি হয়ে পরেছে । জলের মত রক্ত গড়াচ্ছে দেশের প্রতি জায়াগায় ।একটু বাঁচার জন্য শহরের মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে গ্রামে , কিন্তু সেখানেও রেহাই নেই । চারপাশে হানাদার বাহিনী যেন মুখিয়ে আছে বাঙালি নিধনযজ্ঞে । আর এই রকম মুহূর্তেই দেশের আপামর জনতা নামে দেশকে মুক্ত করতে । বিশেষ করে দেশকে স্বাধীন করতে তরুণ সমাজ অস্ত্র নিয়ে নামে । সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তিকামী বীর মুক্তিযোদ্ধারা । গ্রামে ,শহরে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় । আর শহরে এই যুদ্ধ রুপ নেয় গেরিলা আকারে । আর শহরের গেরিলাযুদ্ধের বাস্তব রূপটাই রুপালী পর্দার ফ্রেমে তুলে ধরার এক প্রানান্তর চেষ্টা দেখিয়েছেন "আগুনের পরশমনি" ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় লেখক ও পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ ।
দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে , শহরের তরুণরা খণ্ড খণ্ডভাবে নেমে পড়েছে গেরিলা যুদ্ধে । বদি সেই রকমই এক গেরিলা যোদ্ধা ।দেশমাতৃকার টানে মা এবং বোনকে ঘরে রেখে সেও শামিল হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে । চলতে থাকে তার বন্ধুদের নিয়ে তার গেরিলা অপারেশন । কখনও খণ্ড খণ্ডভাবে সাফল্য আবার কখনও আড়ালে চলে যাওয়া । এভাবেই চলতে থাকে তাদের ঢাকার গেরিলা যুদ্ধ । কখনও হানাদার বাহিনীর কাছে গেরিলা যুদ্ধার ধরা খাওয়া এবং নির্মম অত্যাচারের স্বীকার হওয়া তবু দমে যায়না মুক্তিযুদ্ধারা । পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শক্তি হ্রাসের জন্যে বরং তারা ঝাপিয়ে পড়ে এবং অবিশ্রান্তভাবে চালিয়ে যায় তাদের গেরিলা অপারেশন । কিন্তু বদির বাহিনীর লোকেরা এক অপারেশনে অনেকেই মারা যায় ,আবার কেউ ধরা পড়ে ,আর বদি আহত অবস্থায় ফেরে তার গোপন আশ্রয়স্থলে । অসম্ভব যন্ত্রনায় সে ভুগতে থাকে কিন্তু বদি কি দেখতে পারবে স্বাধীন দেশের নতুন সূর্য , সেকি বাঁচবে ? সেকি নিতে পারবে স্বাধীন দেশে বেঁচে থেকে শ্বাস । এইরকম যুদ্ধের টানটান কাহিনী নিয়ে "আগুনের পরশমণি'র ছবির গল্প।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষ কি রকম অবস্থায় ছিল , কি ঘটেছিল সেই সময়ে আমাদের দেশের মানুষগুলোর জীবনে আর কিভাবে দেশমাতৃকার টানে তারা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল তার এক চলমান দৃশ্য ফুটে উঠেছে এই ছবির মাধ্যমে । মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি , ঘৃণিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার সব উঠে এসেছে এক এক করে ছবির এক দৃশ্যায়নের মাধ্যমে ।এ যেন তখনকার সময়ে মানুষের জীবনের এক মুক্তিযুদ্ধ ।
সবাই কি ঘরে ফিরতে পারে ? না, সবাই মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঘরে ফিরতে পারিনি। স্বাধীনতার নেশায় অনেকেই হারিয়ে গেছেন যুদ্ধের ভেতর । আবার যারা এসেছেন তাদের অনেকেই এসে দেখতে পাননি প্রিয়জনের মুখ । যুদ্ধ বড় অদ্ভুত, স্বাধীনতার জন্যে কতকিছু যে কেড়ে নেয় , তা সময়ের স্রোতের মানুষ জানে । তবুও অদ্ভুত স্বপ্নে বিভোর এ মানুষেরা স্বাধীনতা খোঁজে , তার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে । মৃত্যু এখানে বেঁচে থাকার আরেক নাম , আর এটাই মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ ।
জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর নিজের লেখা উপন্যাসটি নিয়ে তিনি নিজেই ছবিটি পরিচালনা করেন । ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে । এতে অভিনয় করেছেন-আসাদুজ্জামান নূর, বিপাশা হায়াত, আবুল হায়াত ,ডলি জহুর সহ আরো অনেকে।আর এই ছবিটিই হুমায়ুন আহমেদ এর তৈরি প্রথম ছবি ।খুবই অল্প বাজেটের তৈরি একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র কিন্তু তাতে যে মুন্সিয়ানা দেখানো হয়েছে তা অনায়াসে প্রশংসার দাবি রাখে । ভাবনা অনেক বড় একটা বিষয় , চিন্তাগুলোকে অনেক পরিস্ফুটিত করে তুলে । যুদ্ধের সময়ের একটা গল্প যে মানুষকে কতটা জীবন্ত সময়ের কাছে নিয়ে যায় তারই এক জ্বলন্ত প্রমাণ "আগুনের পরশমণি" ।
ছবির নির্মাণশৈলী , কাহিনীর আবর্তন, ছবির লোকেশন নির্বাচন সবই এক কথায় চমৎকার । মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা অপারেশনগুলো কেমন ছিল তা আমরা যারা যুদ্ধ দেখিনি তাদের কাছে এই ছবি দেখলে সহজেই অনুমেয় হবে ।এক কথায় শহরের মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত এই ছবি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে নিঃসন্দেহে এক দারুণ মাইলফলক ছবি । আর সুন্দর উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয়ও দখল করে নিয়েছে এই ছবি ।আর তার জন্যে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন ।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: কথা সত্য , মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র কেন যে নির্মিত হচ্ছেনা !!!!! বড় বাজেটের ।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
আগুনের পরশমণি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি করা মুভিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এধরণের আর মুভি নির্মাণ করা উচিৎ!
পোষ্টে ++++
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: একমত ভাইয়ের সাথে ।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত আমার দেখা অন্যতম সেরা মুভি
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: জি
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যে কয়েকটা সিনেমা দেখে সব সময়েই চোখে পানি চলে আসে সেটা হল এই আগুনের পরশমণি! কী অসাধারণ একটা কাহিনী- কী অসাধারণ একটা সিনেমা!
একাত্তরের গেরিলারা, লও সালাম!
বাংলাদেশের সিনেমাকে এই একটা মুভির জন্য হুমায়ুন আহমেদকে মনে রাখবে, তার অন্ধ বিদ্বেষীকেও মানতে হবে, - এইটা একটা সিনেমার মত সিনেমা!
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পছন্দের একটা ছবি।
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: একমত ভাইয়াদের সাথে
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
সোজা কথা বলেছেন: উনার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে কোন কিছু বলার নাই।যা বলব সেটাই যেন কম হয়ে যাবে।যাহোক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্রের মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে প্রিয়।যতবারই দেখি ততবারই ভালো লাগে।আপনার লেখার মধ্য দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি স্যারের প্রতি।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৯
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন:
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার ছবি যা তাঁকেই মানায়।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: [yt|http://www.youtube.com/watch?v=5ZEOq4S8j6M
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি করা মুভিগুলোর মধ্যে আগুনের পরশমণি একটি অসাধারন মুভি।