![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত্রির নির্জনতায় নিঃসঙ্গ কেঁদে কেঁদে, একদিন হয়তো তুই অজান্তেই মরে যাবি, তবুও তুই জানবি না পাষাণ এ বুকে কতটুকু ভালবাসা তোর জন্যে জমা রাখি।
•
মৌন বিকেলে তূষারপাতের মাঝে দুই তরুণ তরুনীকে দেখে,
গ্রাস করল আমায়
নস্টালজিয়ায়,
মানবী
এবং তার ফোনের ওপাশের হাসি,
দুটোই যেন কাবু করে দিল মূহুর্তে।
তাকে যে ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন আমারই জন্যে,
কিংবা নীল শাড়ি পরে আমার বুকে
ফোঁস ফোঁস করে কাঁদার জন্যে,
তা কখনো বলা হয়ে ওঠে নি
দমকা হাসির আড়ালে।
হয়তো কোন একদিন আমি বিলীন হয়ে যাব,
মানবী কিছুই জানবে না।
•
মরু প্রান্তরে শীতল ছায়া_
ঝড়ে ভেজা কাকের উষ্ণতা,
হাতে গেঁথে থাকা কাঁটা তোলার সুই
কিংবা নষ্ট ঘড়ির মেকানিক তুই,
অন্ধকার অতীতে নিমজ্জিত
ঠিক গ্রাস করা চাঁদের মত,
বুকের তীব্র ব্যাথা প্রশমনে
এসে আমার কাছে উদভ্রান্ত রাতে।
আজ নিজেকে অন্ধ,
কুঁজো পিঠওয়ালা পথিক
যে কিনা আকাশ দেখতে পারেনা
তার মতো করে চোখ বন্ধ,
স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে দিবি তুই।
কেটেছে সপ্তাহ এক কি বেশি দুই
এরই মাঝে বেমালুম ভুলে গেলি
বাউন্ডুলে আমায় ঘরে ফিরানো
তিনবেলা আরামছে খাওয়ানো,
এসব আশাই তো প্রতিরাতে দেখিয়েছিলি?
চুয়াল্লিশ বছর পর্যন্ত দেহটাকে অভুক্ত রাখতে পারব
একটি চাওয়া পূরণ করতে,
নির্ভয়ে স্বপ্নপূরনে তোর
কেউ পারবে না বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে।
মানবী, তবুও ঐরাত;
মৃত্যুহীন স্বপ্ন দেখতে হয় না বলে
আমা থেকে পালিয়ে যেতে পারবি?
পারবি না,
আরও বাইশ বছর পর এক রাতে
মনে পড়বে, নষ্ট ঘড়িতে ডায়াল লাগিয়ে
মরিচীকা স্বপ্নগুলো তুই রোদ্দুরে জোছনায়
অনায়েসেই নিতে পারতি।
__নষ্ট ঘড়ির মেকানিকের স্বপ্নভ্রষ্ট
•
মানবী,
আজ তোকে ভীষণ প্রয়োজন রে
তুই প্রাচীর ভেঙ্গে বেরিয়ে আয়
তোর ঐ সেল্ফ কন্ট্রোলিং থেকে
আজ আরেকবার একটু আনকন্ট্রোল হ
চিরজীবনের জন্যে।
মানবী,
তোকে আজ ভীষণ প্রয়োজন রে
চাতক পাখির মতো তৃষ্ণার্থ
বৃষ্টি ভেজা বিকেলে রিকশায়
আনমনা ভ্রমণে,
অসম্ভব স্বপ্ন বোনার সুতায়
পাশাপাশি ঘুড়িতে উড়াতে,
লাগামহীন ঘোড়াকে শক্ত করে
আঁচল দিয়ে আঁকড়ে ধরতে।
মানবী,
আজ তোকে ভীষণ প্রয়োজন রে
বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারে গা মিলিয়ে দে
আর কত কন্ট্রোলিং পাওয়ার দেখাবি?
আনকন্ট্রোল হ,
যতই বলিস না কেন
তুই আনকন্ট্রোলই, পারবি না
কন্ট্রোল করে থাকতে।
•
সাহস হয় না রে আমার, ঐ আগুনে আবার কূপি জ্বালাতে,
যতই তুই সান্তনা দিস না কেন
আমি তো জানিই
নৌকার তলা দিয়ে পানি উঠবে।
তুই সলতেটা বাড়িয়ে কূপি জ্বালিয়ে দিতে পারবি?
আমার আগুন বড্ড ভয় করে
একবার যে আলুপোড়া হয়েছি,
তবুও জানিস স্বপ্ন দেখি,
ঐ নিভু নিভু আলোতে
তলার ছিদ্র তুই দুইহাতে প্রবল শক্তিতে চেপে
ধরে আছিস,
আর আমি দ্রুত নৌকা বেয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
•
অদৃশ্য কার্ফ্যু জারি নগরের এপ্রান্ত হতে অপ্রান্তে,
তবুও এখানে চলছে দেনাপাওনার হিসেব নিশ্চিন্তে,
আমি ক্লান্ত প্রায়, ভালবাসার আগ্নেয়গিরি জ্বালাতে
মানবী গাল ফুলিয়েছে অভিমানে, প্রতারণার অভিযোগে।
•
আমি ক্লান্ত
আমি জ্বরে আক্রান্ত,
শুষ্ক ঠোঁটে অপেক্ষায়
দুটি কাঁচের চুড়ি পড়া হাতের,
আমি মরে যাই পিপাসায়
মানবী, তুই কোথায়?
•
আমি প্রেসক্লাবের সামনে মিছিল মিটিং অনশন ডাকব,
রাত জেগে মশাল মিছিল নিয়ে একাই নগরীতে ঘুরব,
প্রতিবাদ সভা ডেকে কেউ না শুনলে
শুনুক একাই বক্তৃতা দিব।
স্মারক লিপি নিয়ে কোন মন্ত্রণালয়ে নয়, তোমার বাবার
অত্যাচারিত রাজ দরবারে যাব,
তোমার বাবা কতক্ষণ না মেনে নিয়ে
থাকতে পারে, এটাই আমি দেখব।
একটাই আমার দাবি, রাজপথ
থেকে রাজ দরবার পর্যন্ত,
চাই, আমি তোমাকেই চাই, মানবী।
সমস্ত চত্বর জুড়ে শ্লোগান দিব একাই
শত কন্ঠের হয়ে,
মানবী! মানবী!! মানবী!!!
_দাবি
•
রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এমন কবিতা কেউ লিখেছিল কিনা,
তা নিয়ে তোর বেশ দ্বিধা আছে।
কথাটা শুনে আমি মুচকি হাসলাম,
হাসিটা তুই বুঝতে পারলি না।
তুই মনে করলি আমি লজ্জায় হেসেছি
কিন্তু তুই কি জানিস আমি ঠিকই বুঝেছি,
তোর ভিতরের কুঠুরীতে আস্তে করে
জায়গা করে নিয়েছে একটা নাম,
সেটা আমি।
মানবী, তর প্রেমে মত্ত আমি
তবুও তুই বুঝতে পারলি না।
তুই না আসলে
কি যে??
আমাকে একটুও বুঝিস না
তাই তো দূরে দূরে তোর এত থাকা
আমি তোকে ঠিকই বুঝে নিয়েছি
মানবী,
তুই কেন সেদিন কবিতার প্রশংসা করেছিলি।
_•কবিতার প্রশংসা•_
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
আকিব আরিয়ান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: