নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদা কালো দর্পণে আঁকাআঁকি

আকিব আরিয়ান

রাত্রির নির্জনতায় নিঃসঙ্গ কেঁদে কেঁদে, একদিন হয়তো তুই অজান্তেই মরে যাবি, তবুও তুই জানবি না পাষাণ এ বুকে কতটুকু ভালবাসা তোর জন্যে জমা রাখি।

আকিব আরিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাড়ি (গল্প)

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

হালকা করে একটা ধাক্কা দিলেই হবে, যেই ভাবা সেই কাজ। ধাক্কা দিয়ে লোকটিকে বলল, 'স্যরি ভাই।'

লোকটা কিছু বলল না, এত লোকের মাঝে ধাক্কা খাওয়াটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যেই কাজের কাজটা সারা হয়ে গেছে রবিনের, আস্তে আস্তে ভীড় কেটে সরে এল একটা দোকানের পিছনে। মানিব্যাগটা খুলে দেখে কাগজভর্তি তবুও টাকা আছে মোটামুটি; কয়েকটা পাঁচশ টাকার নোট, দুইটা একশ টাকার নোট আর বাকী খুচরো দশ বিশ টাকা। খারাপ না এই দাওটা মোটামুটি হলো, ঈদের মৌসুমে দেখা যায় লোকেরা টাকা একটু বেশি নিয়েই হাঁটে, কেনাকাটা করবে বাড়ির সবার জন্য তাই হয়তো। লোকটা যখন মানিব্যাগ বের করবে টাকা অন্যকে দেওয়ার জন্য তখন তার মুখের অবস্থা কি রকম হবে ভেবে একটা কেলিয়ে হাসি দিল সে। সামনের টং দোকান থেকে একটা সিগারেট ধরিয়ে সামনে হাঁটা ধরল নতুন দাওয়ের খোঁজে। এভাবে চলে দিনকাল তার, গুলিস্থানের মোড়ে কিংবা আশেপাশে ভীড়ের মাঝে পকেট মেরে সে ইনকাম করে। তার মতে, "বড়লোকেরা দূর্নীতি কইরা ট্যাকা কামায় আর আমরা ভাত পাই না, আর আমি তাগো পকেট মাইরা পেডে লাত্থি দিই, হালারা আমাগো পেডের খাওনে ভাগ বসাও, না?? আমিও তগোর খাওনে ভাগ বসামু।" যদিও বড়লোক মানুষের পকেটের টাকা ঐ অল্প পরিমাণ সরলেও তার সম্পদ থেকে কিছু কমে যায় না, তবুও সে বেছে বেছে মালদার পার্টি দেখে পকেট মারে।







অনেকক্ষণ ধরে এক লোকের দিকে নজর রাখছে রবিন, লোকটা মনে হয় মালদার হবে, ব্যবসা ট্যবসা করে মনে হয়, কাপড় কিনতে আসছে পাইকারীতে এখানে। লোকটা দোকানে দোকানে ঘুরছে, হঠাত্‍ সুযোগ পেয়ে গেল সে, লোকটা রাস্তার ওপারের দোকানে যাবে মনে হয়। সে রাস্তায় নামল লোকটিকে নজরে রেখে, লোকটি যখনই ভীড়ের মধ্যে ঢুকতে যাবে তখনই তার সামনে দুইটা লোক এসে পড়ায় চলায় বাঁধাগ্রস্ত হল আর এই সুযোগে সে নিমেষের মধ্যে হাওয়া করে দিল মানিব্যাগ। তারপর পার হয়ে গেল রাস্তার ঐ পারে, দোকানের পিছনে এসে মানিব্যাগ খুলে অবাক হয়ে গেল, যেমন ধারনা করছিল তেমনই। অনেক টাকা, হাজার দশেক এর মতো হবে। গুনে টাকাগুলো নিজের মানিব্যাগে রাখল আর ঐ লোকের মানিব্যাগটা ফেলে গেল। এতগুলো টাকা পেয়ে মনটা খুশি হয়ে গেল, বউটা অনেক দিন ধরে বায়না ধরে আছে ঈদে তাকে একটা কচুয়া রঙের জামদানি শাড়ি কিনে দিতে হবে, আর সাথে শাড়ির সাথে মিলিয়ে কাচের চুড়ি থেকে সব। আজ যে টাকা পেয়েছে তাতে মনে হচ্ছে বউকে শাড়ি কিনে দেওয়া যাবে কিন্তু পরক্ষনেই মাথায় একটা চিন্তা ঢুকল টাকার ভাগ নিয়ে, টাকার একটা ভাগ তো তার উস্তাদ মোসাদ্দেক ভাইকে দিতে হবে। মানিব্যাগটা পকেট থেকে বের করে পাঁচশ টাকার কয়েকটা নোট সরিয়ে রাখল প্যান্টের গোপন পকেটে।









কাদা মাড়িয়ে গলির ভিতর গিয়ে উঠল মোসাদ্দেক ভাইয়ের দোকানে। এইটা একটা ভিসিডির দোকান, দোকানের পিছনে একটা রুম আছে ঐখানে ব্যবসা সংক্রান্ত আলাপ হয়। দোকানে গিয়ে দেখে বাচ্চু বসে আছে, ইশারা দিয়ে বুঝালো মোসাদ্দেক ভাই ভিতরে আছে।



-স্লামালাইকুম ভাই



-কিরে আইজকা এত ছকাল ছকাল আয়া পড়লি যে?



-না ভাই ছরীলডা বেচি ভালা না, কেমুন জ্বর জ্বর লাগতাছে।



-কত কামাইলি আইজকা?



-বেচি না ভাই, দুইডা মারচি। হালারা বেচি চালাক হইবার লাগচে, টাকা লইয়া পকেটে বাইর অয় না।



-দে তো দেহি কত আনলি?



-ভাই আইজকা পাঁচশ টাকা বেচি দিয়েন, বউয়েরে একখান শাড়ি দিমু, বউ চাইছে।



-ভালা কথা দিবি ছমইছ্যা নাইক্কা। রোজা রাখছ নাকি?



-হ ভাই, এর লাইগাই চরীরডা ভালা লাগতাচে না।



-রোজা রাইখাও পকেট মারছ !! ইমানদার আইছে কোনহানের!!



-হ ভাই করমু কি? পেট চালাইতে অইব না?



মাথা নেড়ে সায় জানাল মোসাদ্দেক, তা ঠিক পেট চালতে হবে, পেট না চালালে তো সব বন্ধ হয়ে যাবে। আর পেট চালানোর জন্যে যেকোনো কিছুই করা যায়েজ আছে মোসাদ্দেকের আইনে। এই এলাকার সকল পকেটমারে টাকার ভাগ সে পায়, তাকে টাকার ভাগ না দিলে এই এলাকায় পকেটমারিঙের ব্যবসা করা যায় না। রবিনের হাতে বাকী টাকা ফিরিয়ে দিল সে, সালাম দিয়ে বেরিয়ে আসল রবিন। মনে মনে খুশি হল অনেক টাকা আজকে বাঁচিয়ে ফেলেছে পকেটে লুকিয়ে রেখেছে বলে।









সন্ধ্যায় ইফতারি করতে আসল বঙ্গবাজারে সাচ্চু মামার তেহারির ঘরে। একটা ভিখেরী মহিলা পিছু নিয়েছে অনেকক্ষন কিছু খাবার আর টাকার আশায়। রবিন কড়া কয়েকটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে তবুও মহিলাটা যাচ্ছে না। পরে দেখেও না দেখার ভান করে এসে বসল তেহারির ঘরে। দোকানটা গিজগিজ করছে লোকে, ইফতারির আগ মুহূর্ত বলে কথা। বাইরে পসরা সাজিয়ে ইফতারি বিক্রি চলছে। একদল লোক ইফতারি কিনতে ভীড় করছে। ভিতরেও অনেক লোক বসে পড়েছে যারা কিনা এখানেই ইফতার সেরে নিতে চায় রবিনের মতো। মহিলাটাও এসে একটু দূরত্ব রেখে তার পায়ের কাছে মাটিতে বসে রইল। আজান দিচ্ছে মসজিদে, সবাই ইফতারিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো, মহিলাটা তখনও বসে আছে একটুখানি খাবারের আশায়। রবিন দোকানের ভাগনা শমশেরকে ডেকে খাবার দিতে বলল। খাবার পেয়ে মহিলা খুব খুশিতে খেতে লাগল, দেখেই বুঝা যায় অনেক ক্ষুধার্থ। রবিন মহিলার খাওয়ার দিকে চেয়ে রইল, তারও তৃপ্তি লাগছে মহিলার খাওয়া দেখে। খাবার শেষে রবিন বিল দিয়ে উঠতে যাবে হঠাত্‍ তার মনে হল, 'হালার বড়লোকেরা ঈদে ফিতরা দেয় যাকাত দেয়, আমিও দিমু, আমার কাছে এখন টেকা আছে আমিও দিমু।' সে মহিলাকে মানিব্যাগ থেকে পাঁচশ টাকার একটা নোট বের করে হাতে ধরিয়ে দিল। মহিলার অনেকক্ষন লাগল বুঝতে যে টাকাটা তাকেই দেয়া হচ্ছে! মহিলার কান্না দেখে সে আর দাঁড়াল না, হাঁটা ধরল রাস্তার দিকে। এখন বাসে উঠে যাবে নিউমার্কেটে, ঐখানে নাকি ভালো ভালো শাড়ি পাওয়া যায়।





গাউছিয়া মার্কেট থেকে অনেক ঘুরাঘুরি করে একটা শাড়ি কিনল রবিন, হালকা সবুজ রঙের জমিনে কাজ করা সূতার আর সাদা রঙের কাজ করা পাড়। বউকে শাড়ি দিলে যে কি খুশিই না হবে এটা ভেবে সে খুব আনন্দ পাচ্ছে। মেয়েটা খুব খুশি হলে আহ্লাদি হয়ে যায়, তার খুব ভালো লাগে বৌয়ের আহ্লাদি দেখতে। বউকে অনেকদিন কিছু দেওয়া হয় না, বেচারী বুঝে যে এটা অভাবের সংসার, চাইলেই পাওয়া যায় না সব তাই তেমন কিছু চায়ও না। এইবার প্রথম কিছু চেয়েছে মুখ ফুটে, বাচ্চা মেয়ে- কত আর বয়স হবে মেয়েটার? সবে কুড়ি পেরিয়েছে, আর এই বয়সেই কি সুন্দর করে সংসারটা ধরে রেখেছে। আর ছেলেটাকে কি যত্ন করে বড় করে তুলছে, সারাদিন ছেলেটার পিছনে পড়ে থাকে। রবিন কপট রাগ করে তার বৌয়ের কাছে, 'সারাদিন খালি পোলাডারেই আদর করো! আমি যে একজন আছি সেইডা কি খেয়াল আছে??'

তার বৌ খুব লজ্জা পায় এই কথায়, আর সে তা দেখে মুচকি মুচকি হাসে। বৌকে দাক দেয়, 'ও, বৌ', 'কাছে আসো, এতো দূরে দূরে থাকো ক্যা?'

বেচারি লজ্জা পেয়ে গুটিসুটি মেরে তার দিকে এগুয়।



রবিন ভাবল ছেলেটাকেও কিছু কিনে দিতে হবে, কিছুক্ষন আরও দেখেশুনে ফুটপাতের বাচ্চাদের দোকান থেকে একটা শার্ট আর প্যান্ট কিনল। তারপর একটা সিগারেট কিনে ধরাল বেনসন, আজকে টাকা আছে পকেটে একটু বেশি খরচ করলে কিছুই হবে না। সবসময় কমদামী সিগারেট টানে, একদিন দামী সিগারেট টানলে কিছুই হয় না। মনটা তার অনেক ফুরফুরে নিজেকে আজ বড়লোক বড়লোক লাগছে। খুশিমনে ভীড় ঠেলে নিউমার্কেটের ওভারব্রীজে গিয়ে উঠল। মনে মনে ভাবল, এখান থেকে যাওয়ার সময় আরেক দাও পকেট মেরে গেলে আর মোসাদ্দেক ভাইকে দেওয়া লাগবে না এবং টাকাটাও বেঁচে যাবে। ওভারব্রিজের উপর পা ঝুলিয়ে বসে রইলো, এখান থেকে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। যতদূর দেখা যায় ততদুরই শুধু গাড়ি আর গাড়ি, গাড়ির পিছনের হাজারো লাল বাতির সারি। লোকজন সবাই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে, কেনাকাটা নিয়ে। রবিন নিজেও নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, নিজের মনে একা একা আনন্দবিলাস করছে। মনের ভিতর সুক্ষ্ণ একটা উদাসভাব, তার মনে হচ্ছে, এই মুহুর্তে যদি তার বউটা পাশে থাকতো! মেয়েটা ঢাকা শহর ঘুরতে তেমন বের হয় নি। যতবারই বের হয়েছে, গাড়ির জানালা দিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছিল।







কিছুক্ষন আরও বসে রইল ওভারব্রীজের দেওয়ালে পা উঠিয়ে, বসে বসে অনেক স্মৃতি মনে করতে লাগলো সে। বিয়ের পরের কিছু মধুর স্মৃতি, বউকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যাওয়ার স্মৃতি। মনটা তার বেশ ফুরফুরা মনে হলো, সিদ্ধান্ত নিলো তাড়াতাড়ি পকেট মেরে বাসায় যাবে। বউটাকে দেখতে তার খুব ইচ্ছে করছে হঠাত, বৌয়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে মন চাচ্ছে তার। একটা ছেলেকে দেখা যাচ্ছে মনে হয় টাকা আছে পকেটে বেশিই। মুখের ভাবটা অনেক খুশি খুশি, নতুন কাপড় কিনবে বোধহয়। রবিন ছেলেটার পিছন পিছন গেলো এবং সুযোগ বুঝে পকেটে হাত দিল। কিন্তু ছেলেটা অনেক চালু সাথে সাথে রবিনের হাত ধরে ফেলল, 'পকেটমার, পকেটমার' বলে চেঁচাতে লাগল। এরই মধ্যে অনেক লোক জমে গেল, রবিন পকেট মারতে পারে নি। তবুও সবাই মিলে মারতে লাগল তাকে, উত্তেজিত জনতা তাকে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দিল। সে আকুতি জানাচ্ছে, 'ভাইজান আমি পকেট মারি নি, এমনেই ভীড়ে হাআত লাগছে উনার পকেটে, আমারে আর মাইরেন না..' রবিন তখনও তার হাতের শাড়ির ব্যাগটা শক্ত করে ধরে রেখেছে। একজন তার ব্যাগ ধরে টানতে লাগল, সে তবুও ধরে রাখতে চেষ্টা করল। এত মার রবিন জীবনেও খায় নাই, মাদ্রাসার রফিক হুজুরও কখনও এত মার মারে নি। তার চোখের সামনের দুনিয়া অন্ধকার হয়ে আসছে, সে চাইছে চোখটা মেলে ধরতে, তার চোখের সামনে বউয়ের চেহারাটা ভেসে উঠল; তার মনে পড়ল ব্যাগের কথা। সে অজ্ঞান হতে হতে অস্পষ্ট স্বরে বলতে লাগল, 'ভাই ব্যাগটা দিয়া যান আমার বউরে শাড়িটা দিমু, বউ তোমার শাড়িটা লইয়া গ্যাছে গা....'





[পরিমার্জিত]







পরিশিষ্টঃ এই গল্পটা দুই বছর আগের ঈদ উপলক্ষে লেখা এবং তখন ডাকপিয়নে পোস্ট হয়েছিল। একটা মজার কথা বলি এই গল্প নিয়ে, গল্পটা লেখার পর থেকে যতবার আমি গুলিস্তান গিয়েছি কিংবা নিউমার্কেটের ওভারব্রিজের উপর উঠেছি ততবারই পকেটে হাত দিয়ে রেখেছি যেন কেউ আমার পকেট মেরে না নিতে পারে। হাস্যকর :D

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন। কত আজব মানুষ আছে। আমার আশেপাশেই থাকে। মদ খায় রোজা রাখে না্ আবার ভরপুর মদখেয়ে রোজা রাখে।রোজা রেখে পকেট মারা তেমনটাই। আবার অনেকে দেখবে রোজা নেই ইফতার পার্টির আয়োজনে আছে।
সেসব পার্টিতে নিমন্ত্রণ প্রাপ্ত অনেকেই রোজাদার নন। এদেরকে আমার সঙ মনে হয়।সঙ দিয়ে ভরে গেছে পৃথিবী। আমার বিশ্ববিদ্যালয় বান্ধবীরা রোযা থাকতেন না। অন্য সময় তারা আবার ডায়েট করতেন। বাঘ সিংহ চিড়িয়াখানায় না রেখে তাদেরকে চিড়িয়াখানায় রেখে দিলে চিড়িয়াখানায় জনসমাগম বেশি হতো বোধ হয় ।

পোস্টে +

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

আকিব আরিয়ান বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে বেশ মজা পেলাম :-B

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: পোস্টে প্লাস।

কিন্তু রবিন নামের একজন পকেটমার- এই বিষয়টা ভাল লাগলো না। তার উপর সে আবার মা খেয়ে বেহুশও হয়ে গেল, এইটাও ভাল লাগলো না। :(

এরপর এই ধরনের গল্প লিখলে নায়কের নাম দিব কুদ্দুস। ভালবাসা না মৃত্যু ধরনের গল্পের নায়কের নাম হবে রবিন। বুঝছো???

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

আকিব আরিয়ান বলেছেন: জ্বী ধন্যবাদ

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্প ভালোই লেগেছে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১২

ভিটামিন সি বলেছেন: গল্পটা পড়ে মজাই লাগলো। কেমন যেন সাহিত্যিক সাহিত্যিক ভাব পুরো গল্পটা জুড়ে।

অঘটনের...... কথাটা আপনার বোঝতে ভুল হয়েছে। রবিন নামে উনার কাছের কেউ আছেন। তাই এতে উনি একটু ব্যাথিত হয়েছেন যেটা প্রকাশ করেছেন উনার মন্তব্যে। নাম নিয়ে আপনাকে উপদেশ দেয়নি।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :) জ্বী ভুল বোঝাবুঝি মুছে গেছে ;) :#>

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

হলুদ ফুল বলেছেন: সুন্দর গল্প । কেউ কারো সম্পদ খায় আবার তার টা অণ্য কেউ খায় এই টাই স্বাভাবিক । আর পাপের জিনিস বেশি দিন ভোগ করাও যায় না । আর লোভ তো বড় বাধা । লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু । সুতরাং লোভেই মৃত্যু ;)
বেস্ট অফ লাক ব্রো

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ কিছু উপলব্ধি করার জন্যে

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: গল্প পড়ে ভাল লাগল।

সমাপ্তিটা অনুমিতই ছিল।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২২

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :) আমি ভাই টুইস্ট ওয়ালা গল্প লিখতে পারি না :(

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সেলিম আনোয়ার সাহেবের মন্তব্যটি ইন্টারেস্টিং ও প্রাসঙ্গিক। গল্প ভালো লেগেছে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৩

আকিব আরিয়ান বলেছেন: হুম :) ধন্যবাদ

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের এন্ডিং অনুমান করা গেছে আগেই । বর্ননায় পরিমিতি বোধ ভালো লেগেছে ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৪

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :) আমি ভাই টুইস্ট ওয়ালা গল্প লিখতে পারি না :(

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫১

রসায়ন বলেছেন: সুন্দর

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৫

আকিব আরিয়ান বলেছেন: :)

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি অবশ্য ভেবেছিলাম রবিনের টাকাটাও পকেটমার মেরে দিবে। যাই হোক, রবিনের পরিণতিটা করুণ।

সেলিম ভাই আর পটিয়সীর কমেন্টে মজা পেয়ে প্লাস ;)

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৬

আকিব আরিয়ান বলেছেন: হাহাহা প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৩

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালোই লিখেছেন...

শুভকামনা...

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আকিব আরিয়ান ,




বেশ লাগলো গল্পটি । ভেবেছিলুম গাউছিয়া মার্কেটে তার নিজের পকেটটাই ফাঁক হয়ে যাবে । তা যায়নি

কিন্তু একটা ফাঁক বোধহয় থেকে গেছে এইখানে -
"বড়লোকেরা দূর্নীতি কইরা ট্যাকা কামায় আর আমরা ভাত পাই না, আর আমি তাগো পকেট মাইরা পেডে লাত্থি দিই, হালারা আমাগো পেডের খাওনে ভাগ বসাও, না?? আমিও তগোর খাওনে ভাগ বসামু।

গুলিস্তান জাতীয় জায়গাগুলোর ফুটপাতে দূর্নীতিবাজ বড়লোকেরা ( আপনি যাদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন ) যায়না। যারা যায় তারা রবিনের মতোই সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ । জানপ্রান দিয়ে গড়ে তোলা ছোট ছোট ব্যবসার ব্যবসায়িরা । এরা কেউই দূর্নীতিবাজ বড়লোক নন । তাই রবিনের দূর্নীতিবাজ বড়লোকদের গাঁট কাটার আত্মতৃপ্তিটা বোধহয় ঠিক হয়নি ।
যাক্‌ , এটা তো গল্পই ......




সকালের শুভেচ্ছা ।


১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ :) আমরা না হয় গল্পের খাতিরে ধরে নেই ঐ রকম কোন ব্যবসায়ী জোতদারের সাথে রবিনের পূর্ব কোন ঝামেলা আছে, বাংলা সিনেমার মতো :P =p~ তা যাই হোক আপনি মনে হয় ঠিকই বলেছেন।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

জেরিফ বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের এন্ডিং অনুমান করা গেছে আগেই । বর্ননায় পরিমিতি বোধ ভালো লেগেছে ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। গতানুগতিক গল্প তো তাই পূর্ব অনুমিত :)

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: গতানুগতিক থিমের গল্প।

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

আকিব আরিয়ান বলেছেন: আপনার মতো অসাধারণ থীমের গল্প লিখতে হলে আমাকে আরও কাঠ খড় পোড়াতে হবে :)

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মজা পাওয়ার কিছু নেই। আমার দুই সহপাঠি ডায়েটিং করে এমনই স্লিম হয়েছিলেন যে বাতাসে পরে যাওয়ার মত অবস্থা তারা রোজা রাখবে কি?
এটা নিয়ে আমরা বেশ মজা করতাম ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

আকিব আরিয়ান বলেছেন: হাহাহা =p~ =p~

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: রবিনের সাথে রবিনহুড টাইপ বীর মানুষের মিল থাকে। তবে রবিন পকেটমার হোক আর যাই হোক শাড়ি হাতে নিয়ে দ্বিতীয় রিস্ক নেওয়া ঠিক হয়নাই।

বরং শাড়িটা বাড়ি রেখে এসে আবার পকেট মারতে পারতো। কারণ বলা তো যায়না ধরা পড়লে আম চালা সবই যাবে। আর হয়েছেও সেটাই।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

আকিব আরিয়ান বলেছেন: আচ্ছা নেক্সট টাইম বানায়া দিবো নে

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বেশ সুন্দর বুননের গল্প তো!

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

আকিব আরিয়ান বলেছেন: :) ধন্যবাদ

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্পের বুনট আর বর্ণনা বেশ লাগলো। তারচেয়ে বেশী ভালো লাগলো গল্পের পরিণতি, আপনার পকেটে হাত দিয়ে জনবহুল জায়গা পার হবার ব্যাপারটা।
শুভকামনা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২১

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

লিমা মেহরিন বলেছেন: গল্প পড়ে ভাল লাগল।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

আকিব আরিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.