নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকঃ ওসমান আহমেদ সাকিব

"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. ""

নীল_সুপ্ত

সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।

নীল_সুপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারী নেতৃত্ব (পর্ব-০১)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫২

সাম্প্রতিক সময়ে, অতীতে ইসলাম নারী নেতৃত্বকে আদৌ বৈধতা দেয় কিনা কিংবা দিলে কতটুকু দেয় কিংবা ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী নারী নেতৃত্ব এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে অনেক আলোচনা উঠেছে। তার-ই প্রেক্ষিতে এই লেখাটি লিখতে বসা। লেখাটির কোথাও আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছিনা এবং কাউকে পরামর্শ দেবার ঔদ্ধত্ব্য ও দেখাচ্ছিনা। শুধু আলোচনা করতেই এই প্রয়াস। ইসলাম সর্বদা আলোচনাকে উৎসাহ প্রদান করে।



ভণিতা না করে সরাসরি নারী নেতৃত্ব নিয়ে ইসলাম কি বলে সেদিকে যাইঃ



ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম কিংবা নিষিদ্ধ কিনা এ ব্যাপারে সরাসরি কোন হাদীস এখনও খুঁজে পাইনি। আমাদের মধ্যে অনেকেই বলেন যে এরকম হাদীস রয়েছে, বুখারী শরীফে অন্তত এরকম হাদীস খুঁজে পাইনি। (যদি কেউ পেয়ে থাকেন অবশ্যই জানাবেন দয়া করে)



বরং নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে বিরক্তি প্রকাশ করে রাসূল(সাঃ) বলেছেন-

“যখন তোমাদের শাসক হবে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দুষ্ট ও শয়তান প্রকৃতির, তোমাদের ধনীরা যখন হবে তোমাদের মধ্যে বেশি কৃপণ আর তোমাদের (জাতীয়) কাজ-কর্মের দায়িত্ব যখন ন্যস্ত হবে তোমাদের স্ত্রী লোকদের হাতে তখন মৃত্যু হবে জীবন অপেক্ষা উত্তম।” ..................... (তিরমিযী)




রাসূল (সাঃ) যখন জানতে পারলেন যে ইরান (তৎকালীন পারস্য) এর রাষ্ট্রপ্রধানের কন্যাকে পারস্যবাসী নিজেদের বাদশাহ বানিয়েছে তখন এ খবর শুনে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করলেন-

“যে জাতি নিজেদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারের দায়িত্বসমূহ কোন নারীর ওপর সোপর্দ করে সে জাতি কখনোই প্রকৃত কল্যাণ এবং সার্থকতা লাভ করতে পারে না।” .................................(বুখারী,তিরমিযী,নাসাঈ)




দেশ শাসন এবং রাজনীতিতে যারা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান তারা প্রায়ই উটের যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) এর নেতৃত্ব দেয়ার ঘটনাকে প্রমাণ হিসেবে জাহির করেন; কিন্তু ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কে তাদের হয় আংশিক জ্ঞান নতুবা চরম অবজ্ঞা কাজ করে। তারা জানেন না যে উটের যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) কে উটের পিঠে এ ঘাঁটি থেকে ও ঘাঁটি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেছিলেন, “ আয়েশার জন্য তাঁর ঘর তাঁর উটের পিঠের আসন অপেক্ষা উত্তম; একথাটি স্মরণ রাখা উচিৎ।”

উটের যুদ্ধের সমাপ্তির পর হযরত আলী (রাঃ) হযরত আয়েশা(রাঃ) এর সাথে সাক্ষাতে বলেছিলেন,

“হে উটের পিঠে আরোহিণী, আল্লাহ্‌ পাক আপনাকে ঘরে থাকার নির্দেশ করেছিলেন কিন্তু আপনি যুদ্ধ করার জন্য বের হয়েছেন।”

আয়েশা(রাঃ) এর প্রত্যুত্তর দিতে পারেন নি।বরং আয়েশা (রাঃ) এ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে হযরত আব্‌দুল্লাহ ইবনে উমার(রাঃ) এর নিকট অভিযোগ করেছিলেন,

“তুমি যদি তখন আমাকে নিষেধ করতে তাহলে নিশ্চয়ই আমি ঘর থেকে বের হতাম না।”

সুতরাং আয়েশা(রাঃ) এর ব্যক্তিগত এ কাজটি শরীয়তের দলিল মনে করে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো কতটুকু যৌক্তিক তা এখন বিবেচনার বিষয়।



তাহলে কি “ইসলামে নারী নেতৃত্ব এর স্থান নেই” দাঁড়াচ্ছে...?



এখানে একটা কিন্তু রেখে আজকের পর্ব শেষ করছি...



কিন্তুর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি পরবর্তী পর্বে...



এখানে দ্বিতীয় পর্ব ইসলামে নারী নেতৃত্ব (পর্ব-০২)





এখানে ৩য় পর্বঃ

ইসলামে নারী নেতৃত্ব (পর্ব-০৩)



এখানে শেষ পর্বঃ

ইসলামে নারী নেতৃত্ব (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৯

দিশার বলেছেন: সহিহ্‌ বোখারী ভল্যুম ৫,৭০৯:
সাহাবী আবু বাক্‌রা বলছেন, নবী (দঃ) বলেছেন যে, যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে, সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না

Click This Link

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৩

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আমি সেটা লিপিবদ্ধ করেছি ভাইয়া,

রাসূল (সাঃ) যখন জানতে পারলেন যে ইরান (তৎকালীন পারস্য) এর রাষ্ট্রপ্রধানের কন্যাকে পারস্যবাসী নিজেদের বাদশাহ বানিয়েছে তখন এ খবর শুনে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করলেন-
“যে জাতি নিজেদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারের দায়িত্বসমূহ কোন নারীর ওপর সোপর্দ করে সে জাতি কখনোই প্রকৃত কল্যাণ এবং সার্থকতা লাভ করতে পারে না।” .................................(বুখারী,তিরমিযী,নাসাঈ)



ধন্যবাদ রেফারেন্স এর জন্য ।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৫

দিশার বলেছেন: ভাই কিন্তুর অবকাশ নাই, ইসলাম নারী নেতৃত্ব সমর্থন করে না, এত দূর যাওয়া লাগবে না, কোনো নারী নবী /রাসুল হিসাবে আসেন নাই .

আরো কিছু হাদিস পড়ি .

সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।

সহিহ্‌ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬:
আবু মূসার বর্ণনা মতে নবী (দঃ) বলেছেন: "পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবল ইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া।"

সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:
আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৬

নীল_সুপ্ত বলেছেন: প্রসঙ্গক্রমেই নারী নিয়ে ইসলামের আলোচনা চলে আসে বা আসছে যেমনটা আপনি ৩টি হাদিসের রেফারেন্স দিলেন, তবে এই ৩টির পটভূমি আর আমার এই লেখার পটভূমি এক না, আপনার দেয়া হাদিস গুলো কি ব্যাখ্যা করে তা এখানে আলোচ্য নয়, হাদিস গুলো পড়লেও খানিকটা বোধগম্য হয় যে এর মেসেজটা কি।

শেষমেশ, ইসলামী আইনের ৪র্থ উৎস "কিয়াস"; ২য় পর্ব কিয়াস আর কিছু ঘটনা নিয়েই থাকবে ইন শা আল্লাহ্‌ ।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩০

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: পরের পর্ব দেখে তার পর কিছু একটা কমেন্ট করব । কারন এই পোষ্টে কনফিউজ আছি ;)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম :)

আছেন কেমন ভাই ? :)

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

দিশার বলেছেন: ভাই কোরান হাদিস য়ে ফয়সালা না পেলে, ইজমা কিয়াস পর্যন্ত যাবেন, কোরান হাদিস পাশ কাতেয়ে গেলে তো হবে না ! মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত মতামত হচ্ছে নারী নেতৃত্ব হারাম, জামাত এর মত ধর্ম বেবসা করি রা এটা কে হালাল বলে চালাইতে পারে , অন্য কেও না . ইসলামের ইতিহাস পরে দেখেন , নারী খলিফা তো দুরের কত , নারী গভর্নর ও নাই কোনো।

এমন কি নারী কে মসজিদ যে জামাত করতে অনুতসাহিত করা হয়েছে। পুরুষ উপস্থিত থাকলে নারী এমাম হতে পারবেনা . এগুলা হাদিস এর কথা। ইটা কে পাশ কাটে ইজমা কিয়াস য়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না .

কোরান >হাদিস > ইজমা >কিয়াস . নাকি ?

না ভুল বললাম ?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ১ম কথা, শুরুতেই আমি বলে নিয়েছি যে আমি সরাসরি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হব না যেহেতু এখনও ২য় পর্ব নিয়ে লিখছি, আপনাকে অনুরোধ করবো যে ২য় পর্বের পর আপনার এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবো

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪২

দিশার বলেছেন: কোরান >হাদিস > ইজমা >কিয়াস . নাকি ?

কোরান হাদিস য়ে বলা আছে , এমন কোনো বিষয় কি আপনে ইজমা কিয়াস দিয়ে মিমাংসা করতে পারেন কিনা, এটা অন্তত বলেন। তারপর আলোচনা করা যাবে .

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

নীল_সুপ্ত বলেছেন: এক বা দুই বাক্যে উত্তর দিতে চাচ্ছিনা যে, কিয়াস নিয়ে আলোচনা করবো বলেই এড়িয়ে গিয়েছি আপনার এই প্রশ্ন আপাতত, ইন শা আল্লাহ্‌ কিয়াস নিয়ে ৩য় এবং শেষ পর্বে আলোচনা করবো।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

দিশার বলেছেন: ভাই আপনে আমি সবাই, এই ছোট উত্তর তা জানি। এখন আপনে এক পর্বে উত্তর দেন আর তিন পর্বে দেন ডিফারেন্স তা কি ? দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চয় পরব . ভালো কিছুর আশায়।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

নীল_সুপ্ত বলেছেন: কিয়াস হচ্ছে ইসলামী ফিকহ এর ৪র্থ উৎস, কোন বিষয় নিয়ে যখন কোরআনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাবেনা, এরপরে হাদীসেও পাওয়া যাবেনা এমন কি ইজমাহ তেও না; তার সমাধান এর জন্য কিয়াস আরোপিত হয় হক্কানী পন্ডিতগণের সিদ্ধান্তে ; তবে অবশ্যই কোরআন এবং সুন্নাহ্‌র ভিত্তিতে।

আর ২ পর্বে শেষ করতে পারিনি বলে দুঃখিত, ৪ পর্বে শেষ করেছি,
এখানে পাবেন, আশা কর পড়ে মন্তব্য করবেন
ইসলামে নারী নেতৃত্ব (শেষ পর্ব)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.