নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকঃ ওসমান আহমেদ সাকিব

"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. ""

নীল_সুপ্ত

সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।

নীল_সুপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে নারী নেতৃত্ব (শেষ পর্ব)

২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫২

আগের পর্বগুলোর এখানে পাবেনঃ



ইসলামে নারী নেতৃত্ব (পর্ব-০১)



ইসলামে নারী নেতৃত্ব (পর্ব-০২)



ইসলামে নারী নেতৃত্ব (পর্ব-০৩)



প্রথমে ২ পর্ব, পরে ৩ পর্বে শেষ করবো ভাবলেও কলেবর বৃদ্ধির কারণে তা করতে অপারগ হওয়ায় তা সকলেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবনে বলে আশা করি।

এই পর্বে নিখাদ আলোচনা করতে চাই এখন পর্যন্ত যা লিখেছি তার সাপেক্ষে।

একেবারে প্রথম পর্বেই বলেছি যে লোকমুখে একটা কথা রটা “ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম।” অথচ এ ধরনের কোন সরাসরি উদ্ধৃত নেই। সুতরাং এই কথা থেকে আমরা দায়মুক্ত হতে পারি

এবার প্রসংগ, তাহলে যে দুটো হাদীসের রেফারেন্স দিলাম সেগুলো?

এখানে যথেষ্ট মতভেদ আছে।



রাসূল (সাঃ) যখন জানতে পারলেন যে ইরান (তৎকালীন পারস্য) এর রাষ্ট্রপ্রধানের কন্যাকে পারস্যবাসী নিজেদের বাদশাহ বানিয়েছে তখন এ খবর শুনে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করলেন-

“যে জাতি নিজেদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারের দায়িত্বসমূহ কোন নারীর ওপর সোপর্দ করে সে জাতি কখনোই প্রকৃত কল্যাণ এবং সার্থকতা লাভ করতে পারে না।” .................................(বুখারী,তিরমিযী,নাসাঈ)




এই হাদীসের বর্ণনাকারী নিয়েই মতভেদ এবং এই হাদিস কতটুকু সহিহ তা শুরু।

১, এছাড়াও, তাকে হযরত উমর(রাঃ) এর খেলাফতের সময় মিথ্যা বলার কারণে শাস্তি দেয়া হয়েছিল।

২, অনেকেই বলেন যে, এই হাদিসের শব্দমালা রাসূল(সাঃ) পারস্যের ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সংযুক্ত করে বলেছেন (পারস্য তখন বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ছিল না)

৩, এই হাদীস বর্ণনা করেছেন আবু বকর নামে একজন সাহাবী ( ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর(রাঃ) কোন ক্রমেই নন) যিনি এই হাদীস উদ্ধৃত করেছেন রাসূল(সাঃ) এর অন্তর্ধানের ২৫ বছর পর উটের যুদ্ধের পরে; যখন যুদ্ধে হযরত আয়েশা(রাঃ) পরাজিত হয়েছেন হযরত আলী(রাঃ) এর কাছে এবং আবুবকর এ যুদ্ধে আয়েশা(রাঃ) এর হয়ে অংশ নিয়েছিলেন।


৪, ফাতিমা মার্‌নিসি (মরোক্কের একজন মুসলিম নারীবিদ) আরেকটি কারণ দেখান যে, আবু বকর সুযোগসন্ধানী হিসেবে এই হাদীস উদ্ধৃত করেন যাতে তার যুদ্ধকালীন প্রতিপক্ষ আলী(রাঃ) এর সহানুভূতি অর্জন করা যায়। (এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত অভিমত, তাই এটা নিয়ে কথা বাড়াচ্ছিনা)





** যদি ১ নং ঘটনা সত্য হয় তাহলে ইমাম মালিক(রহঃ) এর মতে এই হাদিসটি গ্রহনযোগ্য নয় (এমন কি আবু বকর আর যেসব হাদীস বর্ণনা করেছেন সেগুলো ও)

যদি ২ নং সত্য বলে প্রতিভাত হয় , তাহলে হাদিসটি একটা নির্দিষ্ট স্থান এবং ঘটনার প্রসংগ, সার্বিক নয়।

যদি ৩ নং প্রমাণিত হয়, এটা হাদিসকে দুর্বল করে ফেলে।




প্রসঙ্গক্রমে আরও যোগ করতে চাই যে, একই হাদীসের একাধিক বর্ণনাকারী পাওয়া গেলে সেই হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে তত প্রশ্ন জাগেনা। কিন্তু আলোচ্য হাদীসের একজন বর্ণনাকারী ই পাওয়া যায়, অন্য কেউ এইরকম হাদীস বর্ণনা করেন নি।



((উল্লেখযোগ্য যে, Mohammad Hashim Kamali এর Hadith Studies বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, যখন ইমাম বুখারী(রহঃ) সংগ্রহের কাজ শেষ করেন তিনি সেটা সেই সময়ের ইসলামী পণ্ডিতদের ( আহমদ ইবনে হান্‌বাল সহ প্রমুখ) যারা চারটি হাদিসকে দুর্বল বলে চিহ্নিত করেন, কিন্তু বুখারী(রহঃ) সেগুলো রেখে দেন যেহেতু তিনি এ ব্যাপারে যথেষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন। তারপরও বুখারী(রহঃ) তাঁর সংকলনের ভূমিকা পত্রে লিখেছেন যে মানুষ হিসেবে ভুল হতেই পারে তাঁর। এছাড়াও হাদীস বিশেষজ্ঞরা বুখারী শরীফের ৪৩০ জন বর্ণনাকারীর মধ্যে ৮০ জনের বর্ণনাকৃত হাদীস নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন কিংবা দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, আর ৮৯টি হাদিসকে চিহ্নিত করা হয়েছে “কিছু ত্রুটি আছে” এই বিবেচনায়। এটা কিন্তু কোনভাবেই বুখারী শরীফের সম্মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয় বরং প্রগাঢ় সত্য অনুধাবনে এই গবেষণার কাজে জড়িতদের মতামত সম্পর্কে অবগত থাকা।))



এবার একটু কিয়াস আর ইজতিহাদী মাসআলা নিয়ে আলোচনা করছি। কিয়াস হচ্ছে ইসলামী ফিকহ এর ৪র্থ উৎস, কোন বিষয় নিয়ে যখন কোরআনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাবেনা, এরপরে হাদীসেও পাওয়া যাবেনা এমন কি ইজমাহ তেও না; তার সমাধান এর জন্য কিয়াস আরোপিত হয় হক্কানী পন্ডিতগণের সিদ্ধান্তে ; তবে অবশ্যই কোরআন এবং সুন্নাহ্‌র ভিত্তিতে।



আর ইজতিহাদী মাসআলা (কিয়াসের একটা অংশ) হচ্ছে এমন বিষয়াদি যেগুলোতে সরাসরি কোন সর্বাঙ্গীন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়না। উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট করি; ইংরেজ শাসনামলে খন্ড ভারত আর অখন্ড ভারত সমর্থনের বিষয়টি ছিল ইজতিহাদী মাসআলা। উভয় পক্ষেই হক্কানী এবং যুগের শ্রেষ্ঠ আলেমগণ ছিলেন। দেওবন্দ আলেমরা এই বিষয় নিয়ে স্পষ্টত দু ভাগ হয়ে পড়েন। দারুল উলুম দেওবন্দের সদ্‌রুল মুদার্‌রিস শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাব্বির আহ্‌মদ ওসমানী(রহঃ) এর নেতৃত্বাধীন আলেমগণ খন্ড ভারত (অর্থাৎ পাকিস্তান সৃষ্টি) আর শায়খুল ইসলাম আল্লামা সাইয়্যেদ হোসাইন আহ্‌মদ মাদানী(রহঃ) এর নেতৃত্বে আলেমগণ অখণ্ড ভারত এর পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যান।



এখন, প্রশ্ন হচ্ছে যে “নারী নেতৃত্ব” নিয়ে কোরআন কিংবা হাদিসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা (হ্যাঁ/না সূচক) আছে? উত্তর হচ্ছে, নেই। যেভাবে উদ্ধৃত আছে (হাদিস সহিহ কিংবা নয়; যেটাই হোক) সেখান থেকে দৃশ্যমান হয় যে নারী নেতৃত্বকে বলা হচ্ছে “এটি মাত্র অনুত্তম।” সরাসরি নিষেধ কিংবা হারাম কোথাউ বলা নেই।

আলোচনা এখানে শেষ করলে অপূর্ণ থেকে যায় বিধায় ২য় পর্বে হুদায়বিয়ার সন্ধি প্রসংগ উত্থাপন। ভাল করে যদি আপনারা ঘটনা প্রবাহ খেয়াল করেন (হুদায়বিয়ার সন্ধি) তাহলে স্পষ্ট দেখবেন যে ইসলামের চরম অপমান করা হয়েছে সন্ধিতে (আপাত দৃষ্টিতে); আল্লাহকে অস্বীকার করা; রাসূল (সাঃ) যে আল্লাহ্‌র রাসূল সেটায় অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা কাফেরদের সেই পত্রে রাসূল(সাঃ) সম্মত হয়েছেন। আপনার চিন্তার ডাল পালা এখান থেকেই মেলে ধরুন কিছু প্রশ্নের আলোকে---

=> আল্লাহকে অস্বীকার করা এই সন্ধিতে কেন রাসূল(সাঃ) চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?

=> আল্লাহ্‌র রাসূল(সাঃ) কে অস্বীকার করা এই সন্ধিতে কেন রাসূল(সাঃ) চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?

=> মুসলমানদের উপর একরোখা এই সন্ধিতে কেন রাসূল(সাঃ) চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন?

=> উমর(রাঃ) এর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাসূল(সাঃ) কেন ওরকম বলেছিলেন?




উত্তরটা জানতে হলে কোরআনের আয়াত খুঁজে নিতে হবে, সূরা আল-ফাতহের ১-২ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন,

“হে নবী, আমি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট বিজয়ের উদ্বোধন করেছি যেন আল্লাহ্‌ তোমার আগের ও পেছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন, তোমার উপর তাঁর নিয়ামত পূর্ণ করেন এবং তোমাকে নির্ভুল পথে পরিচালিত করেন।”

একই সূরার ২৭ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেন,

“আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূলের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন যে তিনি শীগ্রই নিরাপদে ও নির্ভয়ে মক্কায় প্রবেশ করবেন। আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে নিরাপদে মাথার চুল মুন্ডিয়ে ও ছেটে নির্ভীকচিত্তে প্রবেশ করবে। সে (আল্লাহ্‌র রাসূল) সেই জিনিস অবগত হয়েছে যা তোমরা অবগত হওনি। ঐ ঘটনার (হুদায়বিয়া সন্ধি) পরেই নির্ধারিত রেখেছেন আসন্ন বিজয়।”




যেহেতু পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে নারী নেতৃত্ব এর ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই সেহেতু এই জায়গাতে অনেক ব্যাখ্যা থাকবেই। হুদায়বিয়া সন্ধিতে রাসূল(সাঃ) মুসলমানদের জন্য (আপাতদৃষ্টিতে) অপমানজনক চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন শুধুমাত্র আল্লাহ্‌র নির্দেশে এক ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য, সেই বিজয় যা ইসলামের জয়ের ইতিহাসকে করেছে এর আগের কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় উজ্জ্বল এবং স্মরণীয়। হাদীসের রেফারেন্স, সাবার রাণীর ঘটনা সহ অন্যান্য দিকের পরেও যে দিকটি আমরা ভুলে না যাই সেটি হল “পরিস্থিতি”। মনে রাখবেন,গুরুতর প্রয়োজনে ইসলাম “pork ” অর্থাৎ “Meat from a domestic hog or pig” খাওয়াকে মেনে নেয়; তাই “পরিস্থিতি” অনেক কিছুর নির্দেশক।



আগেই বলেছিলাম, “লেখাটির কোথাও আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছিনা এবং কাউকে পরামর্শ দেবার ঔদ্ধত্ব্য ও দেখাচ্ছিনা। শুধু আলোচনা করতেই এই প্রয়াস। ইসলাম সর্বদা আলোচনাকে উৎসাহ প্রদান করে।”



বুখারী শরীফের হাদিস অনুযায়ী , এহেন আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হলে তার জন্য যেমনি সওয়াব; ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হলেও তার জন্য সওয়াব। আর ভুল ঠিকের নির্ধারক কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন।



শেষ করছি পবিত্র কোরআনের কয়েকটি আয়াত দিয়েঃ



১) এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব, এটি পৌছে দিতে আপনার মনে কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়। আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ।(সূরা আরাফ: আয়াত ২)

২) এটা মানুষের একটি সংবাদ-নামা এবং যাতে এতদ্বারা ভীত হয় এবং যাতে জেনে নেয় যে, উপাস্য তিনিই-একক; এবং যাতে বুদ্ধিমানরা চিন্তা-ভাবনা করে। (সূরা ইবরাহিম: আয়াত ৫২)

৩) আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি। কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে। (সূরা ত্বাহা: আয়াত ২-৩)

৪) আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেই নি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন। যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। (সূরা ইয়াসীন: আয়াত ৬৯-৭০)

৫) আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? (সূরা কামার: আয়াত ১৭)



আল্লাহ্‌ আমাদের সহায় হোন। আমিন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ. আল্লাহ সর্বজ্ঞানী । :)

আপনি সহজ করে দিতে পারেন আরও ... এভাবে

''পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে নারী নেতৃত্ব এর ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেইএর প্রতি গুরুতর নিষেধাজ্ঞাও নেইকিন্তু পারলে একে এড়িয়ে যাওয়া, এতে মঙ্গল রয়েছে:)

রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা এত নাজুক নিশ্চয়ই হয় নি যে নারী নেতৃত্বই গ্রহন করতে হবে , জরুরী শুকর ভক্ষন এর মত করে । :) আমি কি বুঝাতে পেরেছি ।

যদি কোন নারী নিজেকে ঠিক রেখে এগিয়ে আসতে পারে , তবে স্বাগতম কিন্তু নিশ্চয়ই বাংলাদেশের র্নিলজ্জ মহিলা সাংসদদের মত নয় , যে ভরা মজলিসে গালিগালিজ করে ।
এটা নারী কেন, পুরুষকেও শোভা পায় না । তুলনায় নারী হয় কোমলতার প্রতীক, তারা হবে দীপ্ত কিন্তু সুশ্রী , বিভতস কেউ নয় । :)

২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে একমতঃ 'পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে নারী নেতৃত্ব এর ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই । এর প্রতি গুরুতর নিষেধাজ্ঞাও নেই । কিন্তু পারলে একে এড়িয়ে যাওয়া, এতে মঙ্গল রয়েছে ।


আপনার কমেন্টের শেষ অংশের সাথে পুরোপুরি সহমত...
অনেক ধন্যবাদ

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

দিশার বলেছেন: ভাই এভাবে যে সত্য কে twist করা যায় শিখলাম।

দেখেন ইসলামের ইতিহাস বলেন, নবীর অসংখ হাদিস বলেন, ৪ খলিফার আচার আচরণ বলেন, কোথায় নারী নেতৃত্বের উদাহরণ দিতে পারবেন না .

বিলকিস ও তার কওম ভুল পথে ছিল বলে তো আল্লাহর নবীর পয়গাম তার কাছে গিয়েছে নাকি?

উপুরন্ত বার বার নারীদের ঘর যে থাকার উত্সাহ দেয়া হয়েছে ইসলামে।

আপনার সহিহ বোখারী হাদিস কে এভাবে জল বানানোর প্রচেষ্টা হাস্যকর লাগলো

সহিহ্‌ বোখারী ভল্যুম ৫, হাদিস ৭০৯:

সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:
আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।

আবু বকর ইসলামের প্রথম খলিফা বলে জানি . দয়া করে রেফারেন্স দিন আপনার খলিফা আবু বকর কে, মিথ্যা বাদী আবু বকর বানানোর প্লিজ . সব জায়গায় রেফারেন্স বেবহার করলেন আর আপনার যুক্তির মূল পয়েন্ট যে এসে করলেন না, তাহলে আপনার যুক্তি খেল হয়ে গেল না ?

আর কিয়াস এর ভিত্তে তে প্লিজ উদাহরণ দিন কোথায় , মুসলিম মৌলানা রা সিধান্ত নিসে নারী নেতৃত্ব হালাল।

আর মানেন তো এমাম মানে নেতা ?

নারী এমাম কোথায় ছিল/ আসে ইসলামের ইতিহাস য়ে ? একজন গভর্নর দেখাতে পারবেন ওই যুগ এর?

যেখানে কোনো নবী রাসুল নারী নয় , কোনো এমাম নারী নয়, কোনো খলিফা, গভর্নর , শাসক কিচ্ছু হওয়ার উদাহারন না, সেখানে আপনে ১ পাতার পোস্ট, ৪ পর্ব ধরে দিলেন .

ধার্মিক অপলোগিস্ট আসলেই মজার বিষয়।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আমি সত্যকে কোন টুইস্ট করি ই নি, আমি বরং নারী নেতৃত্ব নিয়ে যে দুই ধরনের ব্যাখ্যা আছে সেগুলো তুলে ধরেছি,
ইসলামের ৪ খলিফার সময়ে অনেক কিছুই ছিল না, যেগুলো সময়ের চাহিদার কারণে ইসলামী আইন কানুনকে সমৃদ্ধ করেছে ।

বিলকিস ও তার কওম ভুল পথে ছিল বিধায় ই তার কাছে সুলায়মান(আঃ) আল্লাহ্‌র বাণী পৌছে দিয়েছেন, কোন সন্দেহ নেই তাতে।

আর সহিহ হাদীসের ব্যাপারে আমি কোন বিরূপ মন্তব্য ই করিনি, যথাযোগ্য সম্মান এবং রেফারেন্স এর সাহায্যে কিছু উপাত্ত দেখিয়েছি, নিজে থেকে এই সিদ্ধান্তে একবারো উপনীত হইনি যে এই হাদিসগুলো জাল।
সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:
আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।


এই হাদিসের প্রসংগ আর আলোচ্য বিষয়ের কোন প্রসংগ এর সাথে কোন মিল নেই। অশুভ বলতে কোন ধরনের অশুভ তা আপনি হাদিসটির ব্যাখ্যা পড়লে আরও ক্লিয়ার হবেন বলে আশা করি।

আর এই হাদিসটির যেটা আমার আলোচনায় ঠাই পেয়েছে তাঁর বর্ণনাকারী যিনি (ABU BAKRAH) তিনি জঙ্গে জামালে যুদ্ধ করেছেন যার ২৩ বছর আগেই ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর(রাঃ) ইন্তেকাল করেছেন, আপনি যদি তিরমিযী আর নাসাই শরীফেও খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন বর্ণনাকারী হিসেবে শুধু এনার ( ABU BAKRAH) নাম আছে, অন্য কোন বর্ণনাকারী পাওয়া যায়নি।

আর কিয়াসের প্রসংগটা সার্বিক, একটা অংশ নিয়ে নয়। তাই আলোচনায় ইজতিহাদী মাসআলাকে অংশীভূত করেছি। নারী নেতৃত্ব এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত এক ধরনের ইজতিহাদী মাসআলা হতে পারে।

মানুষ হিসেবে আমার ভুল থাকা অতি স্বাভাবিক, তবে এখানে আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে ঠাই দেইনি, বরং বিভিন্ন বিশ্লেষণ কে ঠাই দিয়েছি, শুধুমাত্র হুদায়বিয়ার প্রসংগ এনে বুঝিয়েছি পরিস্থিতি অনেক কিছুর নির্দেশক...

পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে নারী নেতৃত্ব এর ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই, আগেই উল্লেখ করেছি ,

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: জনাব দিশার সাহেব কে এমাম উপাধি দেয়া হওক!
উনি আবিষ্কার করেছেন, নিষিদ্ধ নারী নেতৃ ত!

যোগ্য পুরুষ নেতা না থাকলে অবশ্য ই নারীকে বেছে নিতে আমার আপত্তি নাই, সামর্থ্য ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতা নেত্রী হয়, :)
আপ্নার অই ফাউল আরবীর ফাউল রাজতন্ত্র এর পুরুষ হিসেবে নয়, মক্কার কাবা রক্ষা র দায়িত্ব পেল কিনা তারা!
এই দেখভাল করে দেখেই সম্মান ও অর্থ দুইটাই পায়। পুরুষ রাজতন্ত্র মহান দেখতেই পারছি!

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: প্রশ্ন হচ্ছে যে “নারী নেতৃত্ব” নিয়ে কোরআন কিংবা হাদিসে সুস্পষ্ট নির্দেশনা (হ্যাঁ/না সূচক) আছে? উত্তর হচ্ছে, নেই। যেভাবে উদ্ধৃত আছে (হাদিস সহিহ কিংবা নয়; যেটাই হোক) সেখান থেকে দৃশ্যমান হয় যে নারী নেতৃত্বকে বলা হচ্ছে “এটি মাত্র অনুত্তম।” সরাসরি নিষেধ কিংবা হারাম কোথাউ বলা নেই।

একেবারে প্রথম পর্বেই বলেছি যে লোকমুখে একটা কথা রটা “ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম।” অথচ এ ধরনের কোন সরাসরি উদ্ধৃত নেই। সুতরাং এই কথা থেকে আমরা দায়মুক্ত হতে পারি।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

দিশার বলেছেন: @রিফাত, ভাই উদ্ভট কথা না বলে, প্রমান আর উদাহরণ এর ভিত্তে তে কথা বলেন। প্লিজ।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

নীল_সুপ্ত বলেছেন: পর্ব-০২ এ উল্লেখ করেছিঃ
সন্ধি চুক্তির সিদ্ধান্ত পাকাপাকি হয়ে লিখিত রূপ নিতে বাকী, এই সময়ে উমর(রাঃ) আবু বকর(রাঃ) এর নিকটে ছুটে গিয়ে বললেন, “হে আবু বকর, তিনি কি আল্লাহ্‌র রাসূল নন?” আবু বকর(রাঃ) বললেন,“অবশ্যই”। “আমরা কি মুসলমান নই?” “অবশ্যই”। “কুরাইশরা কি মুশ্‌রিক নয়?” “হ্যাঁ”। উমর এবার বললেন, “তাহলে কিসের জন্য আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে এভাবে নতিস্বীকার করতে যাচ্ছি?” জবাবে আবুবকর(রাঃ) বললেন, “উমার, তাঁর আনুগত্য কর। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহ্‌র রাসূল।” উমর(রাঃ) বললেন, “আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে তিনি আল্লাহ্‌র রাসূল।”

তারপর তিনি রাসূল(সাঃ) এর কাছে এসে বললেন,“হে আল্লাহ্‌র রাসূল, আপনি কি আল্লাহ্‌র রাসূল নন?” তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। “আমরা কি মুসলমান নই?”। “হ্যাঁ”।
“ওরা কি মুশ্‌রিক নয়?”। “হ্যাঁ”। উমর(রাঃ) আবারো বললেন যে, “ তাহলে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের প্রশ্নে এই অবমাননা বরদাশ্‌ত করতে যাচ্ছি?” রাসূল(সাঃ) বললেন, “আমি আল্লাহ্‌র বান্দা এবং রাসূল। তাঁর নির্দেশে আমি কখনো লঙ্ঘন করবো না। আর তিনি আমাকে কখনো বিপথগামী করবেন না।”

পরবর্তী কালে উমর(রাঃ) তাঁর এহেন প্রশ্নের জন্য অনুতপ্ত ছিলেন।সেটা বিস্তারিত এখানে উল্লেখ করলাম নাহ।


আর এর সাথে প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন ও রেখেছি এই পর্বে...

শেষমেশ, সূরা ইবরাহিম এর ৫২ নং আয়াত টি উদ্ধৃত করছিঃ
" এটা মানুষের একটি সংবাদ-নামা এবং যাতে এতদ্বারা ভীত হয় এবং যাতে জেনে নেয় যে, উপাস্য তিনিই-একক; এবং যাতে বুদ্ধিমানরা চিন্তা-ভাবনা করে। "

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

রিফাত হোসেন বলেছেন: জনাব দিশার সাহেব আপনি আগে প্রমান করেন নারী নেতৃত্ব হারাম !

আমি তো হারাম প্রমান করতে পারতেছি না , অন্তত কোরআন শরীফে না ।

আমাকে বুঝান আপনার মা বা বোন কেন সংসার চালানোর লিড দিতে পারবে না? , যেখানে পুরুষ বা আপনার পিতা বা ভাই অক্ষম(অসুস্থ, শারীরিক কারনে বা বিবেচকহীন(যারা দায়িত্বজ্ঞানহীন) হলে) হয়,

সেক্ষেত্রে কি আপনার মা বা বোন সংসার ত্যাগ করে আরেক পুরুষ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে ? :-&

এইটাই ইসলাম শিক্ষা দেয় ?

........... আজব তো আপনি ।


স্রষ্টাকে অনুভব করুন,
তাকে গড বলতেও আমার আপত্তি নাই কিন্তু শ্রেষ্ঠ ও মহিমান্বিত নাম হচ্ছে আল্লাহ, তাকেঁ আল্লাহ বলে ডাকলে উত্তম বৈ খারাপ হবে না । কিন্তু গড বললেও গডেস ধারনা পোষন করে এই শব্দকে হারাম ঘোষনা করা যাবে না :)

এইটা হল ব্যাপার । /:) :D


৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

ইয়েন বলেছেন: khub valo laglo lekha gulo....

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ...

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪২

নায়করাজ বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও কোন ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব কোন নারী গ্রহণ করেছিল ?

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৮

নীল_সুপ্ত বলেছেন: সম্ভবত আপনি আমার সম্পূর্ণ ৪ পর্বের লেখা পড়েন নি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.