নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকঃ ওসমান আহমেদ সাকিব

"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. ""

নীল_সুপ্ত

সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।

নীল_সুপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত ইসলামের মহা সমাবেশঃ ছবি আর নানান কথা

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

গত ৬এপ্রিল,২০১৩ তে অনুষ্ঠিত হওয়া লং মার্চ এবং ধর্মপ্রিয় মুসলমানদের এক ঐতিহাসিক মানব-বিস্ফোরণের সমাবেশ নিয়েই লিখতে বসা।

আমার বাসা ফকিরাপুল হওয়ায় সকাল ১০:১৫ নাগাদ রিকশা নিয়ে রওনা হই আরামবাগের দিকে। ডালাসের মোড়ে দেখলাম প্রায় ৪০-৫০ জনের পুলিশের টিম। আর সেই সাথে হেফাজত ইসলামের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। মোড় দিয়ে এগুতেই নটরডেম কলেজের উল্টো পাশের রাস্তায় দেখলাম বিভিন্ন দাবি সংবলিত স্লোগান লেখা হচ্ছে। এর আগেই একটা ৫০-৬০ জনের একটা অংশ নটরডেম কলেজের বিপরীত পাশে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছে, আমিও তাদের অংশীদার হয়ে অনেকক্ষণ শ্লোগানে মুখরিত করলাম। তখনো আমি ভিতরের যাই নি, ওখান থেকে দাঁড়িয়ে দেখলাম যে কাল্ভার্ট রোড পর্যন্ত মানুষের ভীড়। এরপর বাসা থেকে ডিএসএলআর ক্যামেরা আনলাম ছবি তুলবো ভেবে। তখন প্রায় ১১:৩০। আবারো আরামবাগের ডালাসের মোড় দিয়ে ঢুকতে গিয়ে দেখলাম পিছন হতে একটা বিশাল মিছিল আসছে গাজীপুর জেলা হতে। সেগুলোর ছবি তুললাম। (1)



আস্তে আস্তে ছবি তুলছি আর এগুচ্ছি। এমন সময় একজন বৃদ্ধ লোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন যে, “আমরা কিচ্ছু চাইনা, শুধু আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূলের যারা অবমাননা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।” তার কন্ঠে ক্ষোভের ফুল্‌কি দেখলাম, তিনি হয়তো আমাকে সাংবাদিক ভেবেই কথাগুলো বলছিলেন। (2)



হঠাৎ করে মনে হল যে তাহলে এভাবে অনেক লোকের সাথে কথা বলেই না হয় জেনে নিই যে তারা কে কি করেন এবং কি ভাবছেন। কাল্ভার্ট রোড ধরে এগুতে থাকলাম আর। একটা ছয় তলা বিল্ডিং থেকে কয়েকটা ছবি তুললাম। (3)





বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের দিকে যে ভিতরের গলি ছিল সেই যায়গাটাও পরিপূর্ণ। মাথার উপর কাঠফাটা রোদ থাকায় অনেকে গলির মধ্যে জায়নামাজ কিংবা পেপার বিছিয়ে বসেছেন।মূল মঞ্চের দিকে যাবো ভেবেছিলাম কিন্তু এতো মানুষ থাকায় ওদিক না গিয়ে বরং ভিতর দিয়ে দিলকুশায় যাওয়ার প্ল্যান করলাম। গলির ভিতরেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ছায়া থাকার কারণে অনেকে রোদের মধ্যে না বসে এখানে বসেছেন। ওয়ারী ক্লাবের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা মতিঝিলের দিকে গিয়েছে সেখান থেকে ছবি তুলতে গেলাম মঞ্চের। ছবি তুলার মধ্যে মধ্যেই জনতার “নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার” এর অন্তর নিংসৃত ডাকে নিজেও শামিল হলাম। এরপ আগের পথ ধরে ওয়ারী ক্লাবের দিকে রওনা হলাম। মাঝেই একজন মুরব্বী আমাকে ডাকলেন, “সাংবাদিক ভাই” । জিগ্যেস করলেন যে কোন পত্রিকার সাংবাদিক,কেমন মানুষ হয়েছে দেখলাম, আমার আন্দাজ কত ইত্যাদি। আমিও কথায় কথায় বললাম যে আমার ধারণা পাঁচ লক্ষ পেরিয়ে গেছে (ফেসবুক/অনলাইন/নিউজ পোর্টাল গুলোর মাধ্যমে ততক্ষণে জানতে পেরেছি) এবং আরও বাড়বে। আরেকজন জিগ্যেস করলেন তার পাশ থেকেই “ এরকম এতো মানুষের সমাবেশ কখনো দেখেছি কিনা?’ আমি নির্দ্বিধায় বললাম যে, “আমার জন্ম যেহেতু ১৯৯১ তাই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন দেখিনাই। তবে বুঝ হওয়ার পরে অন্তত ৯৬ থেকে এইরকম মানুষের সমাগম কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশেও দেখিনাই।” তাকে পাল্টা জিগ্যেস করলাম যে, “আপনিতো বয়সে আমার অনেক বড়। আপনি দেখেছেন?” উনিও গর্বের সাথে বললেন “নাহ”। এরপর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং মতিঝিল থানার সামনে দিয়ে এসে বলাকার রাস্তার দিকে গেলাম। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে এতো মানুষ এতো এতো মানুষ। তাও কোন রাজনৈতিক ডাকে নয়, বরং ধর্মীয় দায়িত্ব সম্পাদনের আহ্বানে, স্বতস্ফূর্তভাবে, সকল বাধা উপেক্ষা করে, হাসিমুখে কিন্তু বুকে জমানো ক্ষোভের পাহাড় নিয়ে । উঁচু জায়গা থেকে ছবি তুলবো ভেবে একটা পানি সরবরাহের ট্রাক দেখলাম। ওটাতে উঠে শাপলা চত্বরের মূল মঞ্চের দিকের জনস্রোতের ছবি তুললাম আর উল্টো ঘুরে বাকি যেই অংশ পুরনো পল্টন মোড়ে গিয়ে ঠেকেছে তার ছবি তুললাম। রাস্তা বাক হওয়ার কারণে দৈনিক বাংলা মোড়ের কিছু দূর পর্যন্ত তা ক্যামেরায় আটলো। অদেক থেকে দিলকুশা হয়ে বলাকার অংশের ছবি তুললাম। (4)







নিজের চোখকে কোনভাবেই যেন বুঝাতে পারছিলাম না যে আমি জেগে আছি। ট্রাক থেকে নামবো এমন সময় হাসিমুখে ট্রাকে পানি সরবরাহকারী একজন বললেন, “ভাই, রোইদের মধ্যে ছবি তুলতাছেন, গলাটা ভিজায়া লন। আমার আগে এখান থেকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন আরেকজন, তাকেও তারা পানি খাইয়েছেন। দেখলাম তারা মানুষকে ডেকে ডেকে পানি খাওয়াচ্ছেন। আবেগাপ্লুত হয়ে উঠলাম।

ট্রাক থেকে নামতেই দেখলাম একদল মানুষ আসিফ মহিউদ্দিনের ছবি সংবলিত একটা মিনি ব্যানার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে, তার প্ল্যাকার্ডে জুতা মারছে। তাদের মধ্যে যেই ক্ষোভের আগুন আমি দেখলাম সেই আগুন ই ইসলাম বিদ্বেষী সকল শক্তিকে ছারখার করে দেবার জন্য যথেষ্ট। হঠাৎ করে খেয়াল হল যে মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকা বিশাল জনস্রোতের মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পতাকা উড়ছে। ছবিটা ফ্রেমবন্দি না করে পারলাম না। অথচ ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করে এইসব দাড়ি-টুপি পড়া মানুষগুলোকে ভিলেন বানায় এদেশের ভারতীয় পদলেহনকারী সংস্কৃতি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, আরও এক ধাপ এগিয়ে দাড়ি-টুপিকেই এরাই আবার স্বাধীনতার শত্রুর প্রতীক হিসেবে ছোট থেকে বড় সকলের কাছে মিডিয়ার মাধ্যমে চিহ্নিত করে। (5)



এই ছবি ই প্রমাণে যথেষ্ট যে এই ধর্মপ্রিয় মানুষগুলোই ৭১ এ শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, অস্ত্র ধারণ করেছিল এবং এরাই ৩০ লক্ষ মহান শহীদের বিশাল অংশের প্রতিনিধি। ঘটনাক্রমে লাখ জনতার মাঝে পতাকার পত পত করে উরার ছবি তুলার কিছুক্ষণ আগেই পেয়ে গিয়েছিলাম এই ছবিকে। (6)



এরপর ভিড় ঠেলে এগুতে থাকলাম দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে। এইসময় দেখলাম যে বিশাল মিছিল নিয়ে চরমোনাই পীর সাহেব আসছেন। অনেক কষ্টে সেই ছবি তুললাম। (7)



দৈনিক বাংলা মোড়ে এসে চোখ আঁটকে গেল পানির ফিল্টার নিয়ে থাকা এক ভ্যান দেখে। (8)

লোকটির সম্পর্কে জানতে মন চাইলো, জিগ্যেস করলাম যে, “এটা কি আপনার গাড়ি?মানে আপনি ই মালিক?” উনি বললেন, “হ্যাঁ।” “আপনি পানি বিক্রি করে দিন চলেন তাহলে?” উনি বললেন, ‘হ্যা”। “আজকে বিক্রি করেছেন?” “না, আল্লাহ-রাসূল প্রিয় মানুষগুলারে পানি খাওয়াইতে আসছি।” আরেকটু কথা বলার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু দেখলাম উনি অনেক ব্যস্ত পানি খাওয়াতে। তাই উনার ভ্যানের উপরে উঠে কিছু ছবি তুলে এবং পানি খেয়ে সামনের দিকে হাটলাম। ওখানে শরবত খাওয়াচ্ছে আরেকটা গাড়ি। সেখানেও জিগ্যেস করলাম , উনি ও বললেন একই ধরনের কথা। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম যে এইদেশের মানুষ ধর্মকে কতটা বেশি ভালোবাসে।



প্রসঙ্গত, দুপুরের খাবার খেতে পুরানা পল্টন মোড়ে আমার বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম, সেখানে তার দুলাভাইয়ের সাথে দেখা। উনি খাওয়া জলদি শেষ করে লং মার্চে যেতে আমাকে তাগাদা দিলেন এবং জিগ্যেস করলেন যে উনি কিছু খাবার দিতে চাচ্ছেন। বন্ধুর মা ও বললেন আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে হয়তো কিছু খাবার পাঠাতেন। দুলাভাই পরে আমাকে বললেন যে আমার সামর্থ্যে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই নিবো, এবং শেষে তিনি অনেকগুলো চকলেটের বক্স কিনলেন। এর ঘন্টাখানেক আগে আমি একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, তখন দেখলাম যে একজন ব্যক্তি কয়েকটা কেস ফ্রুটো কিনলেন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দেয়ার জন্য।



যাই হোক, আমি এরপর রওনা দিলাম বঙ্গভবনের রাস্তার দিকে। ওদিকে পর্যন্ত লোকে ভরপুর। দিলকুশার রাস্তা থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত এবং দৈনিক বাংলা মোড় থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত জনতার স্রোত ছিল, যোহরের আজান দিয়ে দেওয়ায় এদের অনেকেই বায়তুল মোকাররমের দিকে যাচ্ছিল নামাজ আদায় করতে। অনেকটা মিছিল করে, শ্লোগান দিয়ে। তাদের চোখে মুখে ধর্মদ্রোহীদের প্রতি ক্ষোভের অগ্নিবাণ আর কন্ঠে দাবি আদায়ের অকুন্ঠতা। এরকম ই একটা ছবি ফ্রেমবন্দি করলাম এভাবেঃ (9)





বঙ্গভবন মোড় থেকে আবার দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে আসি। দৈনিক বাংলা মোড় থেকে আমি যখন পুরানা পল্টন মোড়ের দিকে রওনা হওয়ার সময় উত্তর গেটে ওভারব্রিজের নিচের অংশে খণ্ড খন্ড গোল চত্বর আর প্ল্যাকার্ড বসা যেখানে ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে মুহুর্মুহু শ্লোগান চলছে। উৎসুক জনতার এক অংশ ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে রয়েছে। (10)



ওভারব্রিজ পার হয়ে দেখি যে পুরানা পল্টন মোড়ের এই পাশে ব্যারিকেড দেয়া এবং হেফাজত ইসলামের স্বেচ্ছাসেবকরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো, (11)



রাস্তার এই পাশ দিয়ে মানুষ ঢুকছে আরেক পাশ দিয়ে মানুষ বের হচ্ছে কিংবা মোড়ে অবস্থিত জনতার সাথে শ্লোগানে মুখরিত হচ্ছে।



মোড়ে অনেক মানুষ, তারা সবাই খন্ড খণ্ড ভাগে ভাগ হয়ে শ্লোগান আর “নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার” ডাকে প্রকম্পিত করে তুলেছে, মোড়ের ঐপাশে পুলিশ বক্সের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের অবস্থান। (12)



এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন খুব উত্তেজিত হয়ে পুলিশি ব্যারিকেড নিয়ে বাকবিতণ্ডা করলো যে শাহবাগে পুলিশি প্রটেকশনে পাহারা দেয়া হচ্ছে আর তাদেরকে কেনও আটকে রাখা হচ্ছে। কয়েকজন গিয়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করল এবং পুলিশদেরকে ‘সরি’ বলে আসলো। শেষমেশ ব্যারিকেডের সামনেই এক দল জনতা জামায়াতে নামাজ আদায় করলো। (13)



টেস্টি স্যালাইন আর ট্যাঙের শরবতের ২টা ভ্যান পেলাম। তারাও দিন আনে দিন খায় টাইপের। এতো মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে তাদের অদম্য এবং অভূতপূর্ব মনোভাব এর জুড়ি যেন নেই। (14)







বিজয়নগরের দিকেও ৩০০-৪০০ মানুষের একটা অংশ দাঁড়িয়েছিল। এই দেখে সামনে এগুতে যাব এমন সময় দেখি একজন বয়োবৃদ্ধ লোককে ঘিরে অনেকেই শ্লোগান দিচ্ছেন। কাছে গিয়ে আমার নিজের রক্ত ও শিউড়ে উঠলো, বয়স তার কমপক্ষে ৬০ এর মতন। তিনি যুবকের ন্যায় কিংবা তার চেয়ে বেশি জোরে (মানসিক) এর সাথে ক্ষোভের ফুলকি ঝরাচ্ছেন এবং এরকম একজন যুবককে পেয়ে আশেপাশের বয়সে যুবকদের মধ্যেও আলোড়ন তৈরি হয়েছে বৈকি।

(15)





এর কিছুক্ষণ পরই ঘটলো ঠিক পিছনে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা যেটা একেবারেই হয়তো অপ্রত্যাশিত। ইনডিপেন্ডেন্ট এর সাংবাদিক (সম্ভবত) তাদের সংবাদে লাইভে বলল যে “আমরা খবর পেয়েছি যেকোন সময় শিবির কর্মীরা হেফাজতের ছদ্মবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এবং নাশকতা চালাবে”। আর এতে আশেপাশের মানুষ ক্ষুদ্ধ হলো এবং হওয়াটাই স্বাভাবিক। এতো মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে কেউ এতোগুলো মানুষ নিয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করবে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। জনতা ক্ষুদ্ধ দেখে কিছু মানুষ তাদেরকে সাইড করে চলে যেতে বলছিল কিন্তু এমন সময় ক্ষিপ্ত জনতার এক অংশের কাছে তারা বলতে গেলে বেধড়ক মার খায়। অনেকেই এর মধ্যে তাদেরকে বাঁচিয়ে রিকশায় উঠিয়ে দেয়।

এখানে উল্লেখ্য যে এই পুরানা পল্টন মোড়েই চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক সকাল ১১:৩০ নাগাদ গণপিটুনির শিকার হয়েছিল একই কারণে, জনতার স্রোতে দাড়িয়ে সে বলছিল যে ওখানে নাকি ৫০০-৬০০মানুষের জমায়েত হয়েছে এবং হরতাল সফল হওয়ায় আর মানুষ আসবে বলে মনে হয়না ! (এটা আমি পরে গিয়ে শুনেছি)



যখন পুরানা পল্টনে ছিলাম তখন দুপুর ২টা নাগাদ বিএনপির ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া আসেন পুরানা পল্টন মোড়ে। তিনি মঞ্চের দিকে যান নি, বরং মোড় দিয়ে জনতার সাথে হাত মিলিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে রওনা হোন। (16)



এরপর লাঞ্চ করতে পুরানা পল্টন মোড়েই বন্ধুর বাসায় যাওয়া। লাঞ্চ করে সেখান থেকে বের হয়ে বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন ওভারব্রিজ থেকে কিছু ছবি তুললাম। (17)





ওভারব্রিজের ঠিক নিচে একটা খন্ড অংশ ছিল শ্লোগানে মুখরিত। (18)

[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/118386/small/?token_id=621d38935

নিচে দেখলাম রাস্তায় কাপড়ের উপর সাধারণ মানুষ জন ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির অপলেখনী এবং তাদের শাস্তির দাবিতে অসংখ্য স্ব স্ব মন্তব্য লিখছেন। (19)









এরপর দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে ফকিরাপুল মোড়ের দিকে এগুলাম। পানির ট্যাঙ্কি পর্যন্ত অনেক অনেক মানুষ। এরও কিছু দূর পর্যন্ত মানুষের বিস্তৃত। অধিকাংশ কড়া রোদে বসে জায়নামাজে কিংবা পেপার বিছিয়ে, অনেকেই দাঁড়ানো ।

(20)









আবার মতিঝিলের দিকে গেলাম। ওখান থেকে উঁচু বিল্ডিং এ উঠতে সুযোগ পেলে ছবি তুলবো ভাবছিলাম। যখন জিপি অফিসের সামনে যাই তখনকার এপাশ ওপাশের ছবি। (21)













আবারো মতিঝিল থানার সামনের যেই ভিতরের গলি সেদিক দিয়ে নটরডেম, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের অংশে যাবার প্ল্যান করলাম।সেখানে শাপলা চত্বরের দিকের অংশে দেখলাম মানুষজন মঞ্চ দেখার জন্য নির্মাণাধীন ওভারব্রিজ এর উপরও ঠাই নিয়েছে। বক্তাদের তুখোড় বক্তব্য আর নারায়ে তাকবিরে পুরো অংশ ছিল প্রকম্পিত।

(22)









এবার আরামবাগ মোড়ের দিকে হাটলাম। উদ্দেশ্য ছয় তলা বিল্ডিং থেকে এই রাস্তায় অবস্থান নেয়া বিশাল অংশের ছবি তোলা। ছয় তলা বিল্ডিং থেকে তুললাম কয়েকটা ছবি। (23)





এমন সময় দেখলাম ঠিক নিচের অংশে একটা অংশ শাহরিয়ার কবিরের ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ডে জুতো ঝুলিয়ে রেখে শ্লোগান দিচ্ছে। ক্যামেরা দেখে তারা সেইদিকে প্ল্যাকার্ড তুলে ধরলো। আমি দৌড়ে নিচে নেমে কাছে গিয়ে ছবি তুললাম। শাহরিয়ার কবিরের মতন এইসব ভারতীয় দালাল এবং প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতি জনমনের বিস্ফোরিত ক্ষোভের কিয়দংশ এভাবেই ফ্রেমবন্দী করলাম। (24)









সামনে এগুতেই একজন পিতা আর তার দুই সন্তানকে পেলাম। তাদের সাথে হাল্কা কথা ও বললাম। (25)



এসময় রাস্তায় চলছিল খাতার মধ্যে ধর্মদ্রোহীদের শাশ্তির দাবিতে গণসাক্ষর কর্মসূচি। অজস্র মানুষ সেখানে সাক্ষর করছেন। (26)



রাস্তার ওপাশে নটরডেম কলেজের দেয়ালে তখন শাস্তির দাবিতে দেয়ালিকা টাঙ্গানো আর গণমানুষ সেখানে নানান মন্তব্য লিখছে। সেখানেও কথা হল কয়েকজনের সাথে। কিছু ছবিও তুললাম এরকম। (27)









আবার রাস্তার বিপরীত পাশে এসে দেখলাম রাস্তায় নানান লেখার কাজ তখনো চলছে। (28)















ঘড়ির কাটায় তখন বাজে ৪:০০ টা নাগাদ। ডালাস মোড়ের আগে একটু সামনের ওভারব্রিজ থেকেও বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম। আমার ধারণা ছিল যে ডালাস মোড় পর্যন্ত ই জনসমাগম হয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম যে মোটেই তা নয়। এই সমাগম এর প্রান্ত ফকিরাপুল এ অবস্থিত টি এন্ড টি কলেজের মড় ছাড়িয়েও আরও কিছুদূর পর্যন্ত পৌঁছেছে। (29)



ডালাস মোড়ের বাস কাউন্টার সংলগ্ন ২তলা বিল্ডিং থেকেও জনস্রোতের কিছু ছবি তুললাম। ততক্ষনে সমাবেশ সমাপ্তির দিকে। তাই হেঁটে ফকিরাপুল যেতে যেতে আরও কিছু ছবি তুললাম এবং সেই সাথে কয়েকজন বয়স্ক, তরুণ এবং মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে কথা ও হল। ৫ জন বন্ধু মিলে এসেছিলেন সমাবেশে অংশ নেয়ার ঈমানী দায়িত্ব সাধনে। তাদের সাথে নিয়ে আসা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এভাবেই ফ্রেমবন্দি হলেনঃ (30)





বিভিন্ন লেখনী/দাবি/শ্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডের ছবি দেখুনঃ

















ব্যক্তিগত মতামতঃ

১, জনস্রোতের অংশ ছিল অনেক রাস্তা জুড়ে। ফকিরাপুল (পেট্রল পাম্প সলগ্ন মোড়) থেকে শাপলা চত্বর, পুরানা পল্টন মোড় থেকে শাপলা চত্বর, বঙ্গভবন-দিলকুশা হয়ে শাপলা চত্বর, মাঝখানে ফকিরাপুল মোড়ের একটু আগে থেকে দৈনিক বাংলা হয়ে বঙ্গভবন পর্যন্ত, আর মতিঝিল এবং দিলকুশা কিংবা আরামবাগের কালভার্ট রোডে এবং এইসব সংলগ্ন অলিগলি ও ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আর যেহেতু আমি মঞ্চের পিছনের অংশ অর্থাৎ শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড়ে নিজে যেতে পারিনি তবুও সংবাদপত্র এবং টিভি বরাতে দেখেছি যে মানুষের ঢল সেদিকেও গিয়েছে।

২, এই জনস্রোতে কারা ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দুই শব্দে “ধর্মপ্রিয় মুসলমানেরা” দল নির্বিশেষে । যেমন ছিল মাদ্রাসার ছাত্র-আলেম-ওলামা তেমনি ছিল রিকশাওয়ালা-সিএনজিওয়ালা গরীব মানুষ (দিন আনে দিন খায় টাইপের) থেকে শুরু করে শহুরে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের ও বহুল আনাগোনা। সংখ্যায় তরুণদের সংখ্যা লক্ষণীয়। যেমন আছে তার মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্র ঠিক তেমনি ভার্সিটি পড়ুয়া কিংবা সদ্য জবে ঢুকা তরুণদের আধিক্য। ক্ষয়ে যাওয়া সংস্কৃতি আর ঘুণে ধরা কৃষ্টির যুগে যারা ধর্মকে বরণ করে সর্বাগ্রে। লক্ষণীয় যে এই স্রোতের সবার একটাই বৈশিষ্ট্য যে এদের সবাই ধর্মকে প্রচণ্ড রকম ভালোবাসে। হয়তো ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে পালন করতে পারেনা তবে ভালোবাসার, শ্রদ্ধার কিংবা অনুভূতির বিন্দুমাত্র কমতি নেই। আগেই বলেছি অনেকের সাথে কথা বলেছি, সকলের ই স্ট্রেইটকাট কথা যে “৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এরকম বর্বরতা মুসলমানদের সাথে দেখানোর সাহস পায় কোত্থেকে?” একজন আমাকে এটাও বলেছেন যে “ ৯০ ভাগ মুসলমানদের সাথে যদি এরকম করতে পারে তাহলে ঐ গোষ্ঠী অন্যান্য সংখ্যায় কম ধর্মালম্বীদের কে তো রাখবেই না।” একজন মুরব্বী ব্যক্তির কথা খুব ভাল লেগেছে যে “ ফেরাউন-নমরুদ কিংবা আবু জাহেল রাও তো এতো জঘন্যভাবে আল্লাহ্‌র দ্বীনকে আঘাত করে নি।”





সবচেয়ে বড় কথা সরকারি হরতালের মধ্যেও এতো বাধা বিপত্তির মধ্যেও এতো যানবাহন সরকারি মদদে ফিরিয়ে দেয়ার মধ্যেও এরকম মহাসমাবেশ অবশ্যই নতুন দিগ্বিজয়িতার আহ্বান দেয়। ঢাকার বাইরের জেলা বলতে আশেপাশের জেলা ৩-৪টা যেমন গাজীপুর আর কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকেই যা এসেছেন। বাকি জনস্রোতের পুরো অংশই ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকা।



লেখার কলেবর বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেই শেষ করছি, শীঘ্রই হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি এবং এই সমাবেশের দেয়া নতুন বার্তা নিয়ে কিছু লেখার প্রত্যাশা রাখছি। সেই সাথে আরও তোলা অনেক ছবি নিয়ে আরেকটা পোষ্ট সাজাবো এই আশা রাখি।



শেষমেশ বলতে চাই, ৬ এপ্রিল,২০১৩ এ অনুষ্ঠিত হওয়া এটি ছিল লাখ লাখ জনতার অংশ নেয়া মহা মহা মহা মহা বৈপ্লবিক সমাবেশ। আলহামদুলিল্লাহ।







মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

জাতির চাচা বলেছেন: শাহবাগীদের এমন একটা পোষ্ট এলে ষ্টিকি হয়ে যেতো।আপনার এখানে দেখি কেঊ মন্তব্য করতেও সাহস পাচ্ছেনা । দেখেন আবার খেতাব ও পেয়ে যেতে পারেন।
আপনার প্রচেষ্টার জঙয় ধন্যবান।আল্লাহ পাক আপনার সহায় হোন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: তা আর বলতে... অলরেডি দৃষ্টি আকর্ষণের নামে বিভ্রান্তিকর এবং একপেশে তথ্যে সমৃদ্ধ লেখা স্টিকি করে রেখেছে...
আর খেতাব ! :D :D :D

আমাদের সকলের প্রচেষ্টার জয় হবেই। আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের সহায় হোন। আমিন

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

অফিসে আসার পথে দেখি এই লোক. বাড়ী থেকে রুটি তৈরী করে এনেছে ডেকচি ভরে। সাথে চিনি হাতে আরেক জন। ঘুরে ঘুরে সবার সামনে ধরছে। যে ক্ষুধার্ত সে নিচ্ছে. পাশের জন রুটিতে চিনি দিচ্ছে!!!

এভাবেই চলছে খেদমত। অন্তরের টান কি জিনিষ প্রত্যক্ষ করল বাংলার মানুষ!!!

আরেকজন বলল- ভাই এক ভদ্রলোক এসে এক হাজার টাকা দিয়ে গেছে। বলছে- যে যায় খেতে চায় তাই খাওয়াই দিবা- এই টাকার মধ্যে যত জনরে পার....

সত্যি আপ্লুত হবার মতো...........

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আসলেই আবেগাপ্লুত হওয়ার মতন ব্যাপারটা... আমি দেখেছি এক জায়গায়, দুই মাদ্রাসা ছাত্র এক প্যাকেট খিচুড়ি পেয়েছে, একজন আরেকজন কে খাওয়াচ্ছে...

আর অনেক মানুষ কে দেখলাম যে বাসা থেকে রান্না করে নিয়ে এসেছে আগত মুসলমান ভাইদের খাওয়াবে বলে

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল, কেন যে যেতে পারলাম না। আবার কোন দিন এমন সুযোগ আসবে কিনা কে জানে

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: স্ব স্ব অবস্থান থেকে সমর্থন দিয়েছেন... এটাও কম কি?

তবে আসলে আমি ১০টার পর থেকে ছিলাম তো... প্রায় ৫টা পর্যন্ত... একটা মূহুর্ত বিরক্ত জাগে নি। সময়টা অসাধারন কেটেছে, মনটা ছিলো বেশ ফুরফুরে।

এতো মানুষের সাথে এভাবে মিশে যাওয়া আসলেই অনবদ্য

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

বইয়ের পোকা বলেছেন: ৩ নাম্বার কমেন্টের ছবির ঘটনা আমদের এখানেও ঘটেছে, লংমার্চের লোকজনের পাশাপাশি চিড়া - শরবত পুলিশও খেয়েছে।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আকাশ৮৬ বলেছেন: ভালো  লিখচেন ..

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

এমজামান বলেছেন: মুসলমানদের আদর্শ একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। ইসলাম কোন নারীকে অসম্মান করে না বরং নারীকে সবার উপরে রাখে। শুধু মাত্র ইসলাম ও হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে লেখা ব্লগারদের ফাঁসি চাওয়া হয়েছে এখানে সকল ব্লগারদের বলা হয়নি। ব্লগার মানেই সবাই নাস্তিক নয় কিন্তু ইসলামের শত্রুরা এটা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য সকল ব্লগারদের উস্কানি দিচ্ছে। আমি বুঝতে পারি না একজন মুসলমান হয়ে কিভাবে ইসলামের বিপক্ষে কথা বলে। অথচ মানুষ যখন বিপদে পরে তখন উপায়ান্তর না পেয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে। আমি অনেক লোককে দেখেছি যারা কখন নামাজ পরেন না বা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখেন না অথচ যখন কোন বিপদে পরেন তখন বলেন ভাই একটু দোয়া করেন। তার মানে যখন শরীরের শক্তি, টাকার শক্তি কমে যায় তখন আল্লাহ ছাড়া উপায় নাই। তাই সকল মুসলিম ভাইদের বলি শক্তি, টাকা থাকার অবস্থাতেই আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৭

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আল্লাহ অবশ্যই আমাদের সহায় হবেন। আমিন

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মাইন রানা বলেছেন: আমি গিয়েছিলাম মতিঝিল ওদিন সকাল ১০ টায়। আমার জীবনে এত মানুষের সমাবেশ কল্পনাও করিনাই। এতমানুষ যে একসাথে হতে পারে তাও জানা ছিল না। ষড়যন্ত্র করে যে আরো ১০ গুন মানুষকে আসতে দেয় নাই যারা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, মহানগরে সমাবেশ করেছে তারা আসলে কি হত ভাবলেই হতভম্ব হয়ে যাই ????

এখন সব মিডিয়া, ব্লগ, ফেইসবুকে চলছে ইসলামের বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচার!!!!!

আল্লাহই এইসব জালিমদের হাত থেকে ইসলাকে বাঁচিয়ে রাখবেন ইনশাল্লাহ

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৭

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আল্লাহই এইসব জালিমদের হাত থেকে ইসলাকে বাঁচিয়ে রাখবেন ইনশাল্লাহ

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: ফোটো গুলি ভাল হয়েসে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৭

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০২

কামরুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। +++
শাবাগিদের পোস্ট হলে এটা দালালরা স্টিকি করতো।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৮

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৩

বিডি আমিনুর বলেছেন: এই মহা জন সমুদ্ররে এক চোগলখোর কতিপয় মানুষের সমাবেশ বানায়ছে,
আবার আর এক চোগল খোর সেই পোস্ট আবার লটকায়ছে ।

পোস্ট ভাল লাগলো ++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৮

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৫

কাঠুরে বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। ++++++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২

শিক্ষানবিস বলেছেন: মন্তব্য করতে ভয় লাগে। তাই কোন মন্তব্য করলাম না, শুধু আল্লাহ তাআলার একটি কথা তুলে ধরলাম: এটা এজন্য যে, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের প্রভূ-অভিভাবক, আর অবিশ্বাসীদের কোন প্রভূ নেই।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আল্লাহ্‌ আমাদের সহায় হোন, আমিন

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪১

দি সুফি বলেছেন: ভাই অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য। পোষ্টে +++

ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিচার চাই।

১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

এম এম হোসাইন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০২

মাহমুদ গজনবী বলেছেন: মানুষ যে দীন কে এখনো অন্তর থেকে ভালবাসে তার প্রমান এই সমাবেশ।

পোস্ট এ +++।

১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: এটাই আমার আসল বাংলাদেশ।

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২২

নির্মল হাওয়া বলেছেন: সুবহানাল্লাহ

১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

আদনান ফায়সাল বলেছেন: সুবহানাল্লাহ

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: এই পোস্ট স্টিকি করা চাই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: এই পোস্ট স্টিকি !!! হা হা হা ... কাজ হইছে তাহলে !!!

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: লেখককে অজস্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা পোষ্ট লেখার জন্য।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও পড়ার জন্য

২১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: এক কথায় অনন্য সাধারন পোস্ট
সুদীর্ঘ পোস্টটি ধারাবাহিক আকারে প্রকাশ করলে আর বেশী মানুষের দৃষ্টি কাড়তে পারতো,
পোস্টে প্লাস +

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । দীর্ঘ করা যেতো কিন্তু সামু ব্লগে কতটুকুন কি হবে তাই করিনি

২২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩২

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: পোস্ট প্রিয় তে

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক ।

২৩| ০৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

খাটাস বলেছেন: না হেফাজতি না শাহাবাগি। না ধর্মান্ধ, না নাস্তিক।
না উগ্র না সুশীল।
পোস্ট টা রেখে দিলাম, কখন ও না কখন ও প্রয়োজন হবে।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.