![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।
আসুন একটা কুইজ কুইজ খেলা খেলি... নিয়ম হচ্ছে, আমি আপনাদের কয়েকটা ঘটনা বলবো, আপনারা আমাকে উত্তর গুলো বলবেন... মজার ব্যাপার হচ্ছে, সবগুলো ঘটনার উত্তর গুলো একই .........
তো হয়ে যাক...
১, একটি দেশে বিধির সম্পূর্ণ বাইরে গিয়ে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে একজন বিচারপতি কথা বললেন প্রবাসী আরেকজনের সাথে। সেই কথোপকথন প্রকাশ করলেন এক সম্পাদক। কিন্তু এর ফলে সেই বিচারপতি স্ব-অপরাধ মৌন সম্মতি দিয়ে স্বীকার করে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বহাল থেকে পুরষ্কৃত হলেন আর সেই সম্পাদক হলেন রাষ্ট্রদ্রোহী !
বলুন তো সেই দেশের নাম কি?
বলুন তো সেই দেশের শাসক দলের নাম কি?
২, একটি দেশে দূর্নীতির পাহাড় করলো ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে আর তার এক উপদেষ্টা, তা প্রকাশ করলেন একজন সম্পাদক। কিন্তু সেই দূর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা দেশের হর্তা কর্তা হিসেবে বহাল থাকলেও বিধি বহির্ভূত ভাবে শাস্তি পেলেন সেই সম্পাদক।
বলুন তো সেই দেশের নাম কি?
বলুন তো সেই ক্ষমতাসীন দলের নাম কি?
৩, একটি দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান, সেই দেশে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে জঘন্যভাবে হেয় করে, অপদস্থ করে তরুণ প্রজন্ম এর সামনে উপস্থাপন করলো একটি গোষ্ঠী, আর তাদের সেইসব দুষ্কৃতি প্রকাশ করলেন একজন সম্পাদক। সেই দুষ্কৃতিকারীরা টিভির টকশো করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে পুরষ্কারস্বরূপ আর ধর্ম অবমাননা মামলা হলো সেই সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
বলুন তো সেই দেশের নাম কি?
বলুন তো সেই দেশের শাসক দলের নাম কি?
৪, একটি দেশে যখন সকল মিডিয়া টিপাইমুখ বাঁধ আর ট্রানজিটের উপকারি বন্দনার সঙ্গীতসন্ধ্যায় মগ্ন তখন কলম হাতে একজন সম্পাদক শক্ত হাতে একাই প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। অথচ সেই মিডিয়া গুলো হয় সুশীল সমাজ আর সেই সম্পাদক হোন সাম্প্রদায়িক শক্তির হোতা।
বলুন তো সেই দেশের নাম কি?
বলুন তো সেই দেশের শাসক দলের নাম কি?
আরও ঘটনা বলা যেত, কিন্তু বলে লাভ কি?
নজরুলের ঐ কবিতাটা মনে আছে তো???
"কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান,
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ
ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।
গাজনের বাজনা বাজা,
কে মালিক, কে সে রাজা,
কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান পরবে ফাঁসি,
সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে!
ওরে ও পাগলা ভোলা,
দে রে দে প্রলয় দোলা,
গারদগুলা জোরসে ধরে হেচ্কা টানে
মার হাঁক হায়দারী হাঁক, কাধে নে দুন্দুভি ঢাক
ডাক ওরে ডাক, মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে।
নাচে ওই কালবোশাখী,
কাটাবী কাল বসে কি
দেরে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি
লাথি মার ভাঙ্গরে তালা,
যত সব বন্দী শালায়-আগুন-জ্বালা, আগুন-জ্বালা,
ফেল উপাড়ি।।"
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৮
নীল_সুপ্ত বলেছেন: জানতাম এই টপিক্স আসবে ... এইটার ব্যাখ্যা ও আমার দেশ দিছে...
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: আমার দেশ-এর ‘প্রবাস জীবন’ শীর্ষক একটি সাপ্তাহিক পাতা প্রকাশিত হয় মূলত প্রবাসীদের পাঠানো লেখা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও চিঠিপত্র নিয়ে। গত ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রবাস জীবন পাতায় ‘আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কা’বার ইমামদের মানববন্ধন’ শিরোনামে একটি সচিত্র চিঠি প্রকাশিত হয়। আবুল কালাম আজাদ নামে যিনি ই-মেইলযোগে ওই ছবি ও লেখা পাঠিয়েছেন, তিনি আমার দেশ ও নয়া দিগন্ত পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। মূলত তিনি বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশন-এর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত। মিসর ও মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট এবং প্রবাসীদের তত্পরতা নিয়ে লেখালেখি করেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশে থাকাকালে প্রায় দু’মাস তিনি বাংলাভিশনে কাজ করেছেন। বাংলাভিশনের একটি অনুষ্ঠানে আজাদ অংশগ্রহণও করেন।
আমার দেশ-এর প্রবাস জীবন পাতায় চিঠিটি তার নামেই প্রকাশিত হয়েছে। আরও দুটি জাতীয় দৈনিকে একই সূত্রের বরাতে একই ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। চিঠির লেখক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রেরিত লেখার তথ্যগুলো পুরোপুরি সত্য ও তথ্যনির্ভর। তিনি জানান, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মক্কা প্রবাসী কিছু সাঈদীভক্ত আলেম ৪ জানুয়ারি জুমার নামাজ শেষে কাবাঘরের কাছে সাঈদীর পক্ষে কর্মসূচি পালন করেন। ওই কর্মসূচির আয়োজনের সঙ্গে মক্কাপ্রবাসী মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাও জড়িত ছিলেন। এ সময় আল্লামা সাঈদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় মসজিদুল হারামের খতিব প্রখ্যাত কারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসিকে তারা অনুরোধ করেন সাঈদী সম্পর্কে বক্তব্য রাখার জন্য। খতিব সুদাইসি আল্লামা সাঈদীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত পরিচয় ও সম্পর্ক নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক যে বক্তব্য দেন—তা অবিকৃতভাবে লেখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কুবা মসজিদের খতিব শাইখ আহমদ ইবনে আলী আল হুজায়ফিসহ বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও সাধারণ মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচির খবর মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানান আজাদ।
লেখার সঙ্গে আবদুর রহমান আল সুদাইসিকে চেনানোর জন্য ইন্টারনেট থেকে ফাইল ছবি পাঠানো হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। লেখা ও সংবাদের সঙ্গে ফাইল ছবি ব্যবহার গণমাধ্যমের বহুল প্রচলিত রীতি। সে হিসেবেই ছবিটি পাঠান আজাদ। আমার দেশ-এ প্রকাশিত ছবিতে কোনো ক্যাপশন দেয়া হয়নি। লেখা হয়নি যে, ছবিটি কাবার ইমামদের মানববন্ধনের।
এদিকে ছবি নিয়ে বিতর্কের শুরুতেই প্রকাশের দিন ৬ জানুয়ারি সকালে আমার দেশ কর্তৃপক্ষ তাত্ক্ষণিকভাবে অনলাইন থেকে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়। তা সত্ত্বেও প্রকাশের তিন মাস পর বিষয়টি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
লিংকঃ
Click This Link
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কে মালিক, কে সে রাজা,
কে দেয় সাজা মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান পরবে ফাঁসি,
সর্বনাশী শিখায় এ হীন তথ্য কে রে!
ওরে ও পাগলা ভোলা,
দে রে দে প্রলয় দোলা,
গারদগুলা জোরসে ধরে হেচ্কা টানে
মার হাঁক হায়দারী হাঁক, কাধে নে দুন্দুভি ঢাক
ডাক ওরে ডাক, মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে।
নাচে ওই কালবোশাখী,
কাটাবী কাল বসে কি
দেরে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি
লাথি মার ভাঙ্গরে তালা,
যত সব বন্দী শালায়-আগুন-জ্বালা, আগুন-জ্বালা,
ফেল উপাড়ি।।"
>>
গ্রেফতার নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার বিবৃতী শুনে মনে হল- চোরে চুরি করবে। তুমি চুরি কইরা চুরির খবর বাইর করলা কেন?
এইটা অপরাধ । আর সেই সত্য তথ্য যখন তৃতীয় জন প্রকাশ করল- সেই হল মহা অপরাধী!!!! এই অপরাধেই তাকে গ্রফতার করা হল!!!
যেখানে বিচারপতি নিজে পদত্যাগের মাধ্যমে তার কেলংকারীর দায় মাথায় নিয়েছেন- তারপরও উদোর পিন্ড বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিল হাম্বা সরকার!!!!
মগের মুল্লুক শুনেছেন। না শুনলে দেখে নিন। হাম্বা মগের মুল্লুক এখন প্রিয় স্বদেশ
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
দিশার বলেছেন: মুরতাদ কাজী নজরুল এর কবিতা প্রকাশ করে আপনি আমার ধর্মানুভুতি তে আঘাত করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আলুমিয়া বলেছেন: আচ্ছা বলতো ছাগু নিচের ছবিটা কি বলে? আর আসলে কি হইছে?
![](http://ciu.somewherein.net/ciu/image/119007/small/?token_id=359c06d7dc39217fa088c10bc2498225)