![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।
শেখ মুজিবের শাসনামলের সময়ে ঢাকা থেকে পাঠানো অনেক তারবার্তা কিছুদিন আগে ফাঁস করে দিয়েছে উইকিলিক্স।
১৯৭৪ সালের ১৫ জানুয়ারি,মঙ্গলবার সকাল ১০:২৫ এ নিম্নের বার্তাটি পাঠানো হয়।
ঢাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ
সারমর্মঃ ২০শে জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ এবং জাসদের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান এড়াতে বাংলাদেশ সরকার ১৪ জানুয়ারি থেকে ০৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ শহরে সকল প্রকার জনসভা-সমাবেশ এবং মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামীলীগ এটা মেনে চলতে সম্মত হলেও জাসদ নেতৃবৃন্দ সরকারকে ৯০ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে “নিষিদ্ধকরণ” আদেশ রদ করার জন্য। যদি ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এই আদেশ বাতিল না করা হয় তাহলে জাসদ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
(সারমর্ম শেষ)
১, অপরাধ সম্পর্কিত বিধিমালার পরিচ্ছদ-১৪৪ ধারার অধীনে, একই স্থানে,একই সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দল মিছিল করতে চাইলে “জনশান্তি ও নিরাপত্তায় হানি ঘটবে” এই বোধ থেকে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই আদেশ জারি করেছেন। বিশেষ করে, এই আদেশের মাধ্যমে যেকোন স্থানে যেকোন ধরনের মিটিং, র্যা লি,মিছিল কিংবা আধিপত্যের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিষোধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সাথে পাঁচজন বা এর বেশি মানুষের জমায়েত কিংবা আক্রমণাত্মক কোন ধরনের অস্ত্র বহন অথবা এমন কিছু বহন যাতে অন্য ব্যক্তি বা সম্পত্তির উপর আঘাত করা যেতে পারে তা বহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর সাথে সংযুক্ত একটি প্রেস নোটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয়েছে যে ২০ জানুয়ারি সঙ্ঘর্ষপূর্ণ মিছিল আহ্বান করে একটি রাজনৈতিক দল (পড়ুন জাসদ) বিশৃংখলার দিকে এগিয়ে গিয়ে জনমনে উদ্বেগ আর সংশয় তৈরি করছে, সেই সাথে আইন-শৃংখলার জন্য ও হুমকি ডেকে এনেছে। এমতাবস্থায়, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ নিশ্চিতকরণে সরকার কোনভাবেই শান্তির প্রতি আঘাতকে মেনে নিতে পারে না।
২, আশানূরূপভাবেই, আওয়ামীলীগ এই নিষোধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে শুধুমাত্র তাদের আফসোস রয়ে গিয়েছে এই ভেবে যে এতে তাদের নেতাকর্মীদের বর্ণাঢ্য র্যা লিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক সভাতে অংশগ্রহণের সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেল। অপরদিকে তুলনামূলক সংক্ষেপ এবং প্রশমিত সংবাদ সম্মেলনে, জাসদ নেতা আব্দুর রব এবং এম এ জলিল ৯০ ঘন্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত উহ্য করতে সরকারের কাছে দাবি জানান। রব এটাকে “অগণতান্ত্রিক” আখ্যায়িত করে বলেন যে, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে শুধুমাত্র জাসদের মিটিংকে রুখে দিতে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে জাসদ এর আগেও কয়েকটি স্থানীয় মিটিং বাতিল করেছে, তবে ঐদিন বাধা না থাকলে জাসদ শান্তিপূর্ণভাবে “প্রতিরোধ দিবস” পালন করবে। যদিও ঢাকায় প্রোগ্রামটি নির্ভর করছে সরকারের মর্জির উপর তবে সারাদেশের অন্যত্র এটা পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী চলবে বলে জানিয়েছেন জাসদ নেতারা।
৩, যদিও ঢাকায় সব ধরনের জনসমাগম বন্ধ করে মুজিব সরকার রাজনৈতিক অবস্থার নিয়ন্ত্রণের উপর তাদের আধিপত্য প্রদর্শন করেছে তবুও এর বিনিময়ে তাকে ছাড়তে হয়েছে আওয়ামীলীগের র্যাপলি এবং সেই সাথে এই সিদ্ধান্ত জাসদের মতন রাজনৈতিক অনভিজ্ঞ দলকে দেশের স্থিরতার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ হুমকিতে পরিণত করেছে এবং এটি করছে স্বয়ং সরকার নিজে। এদিকে, নিষেধাজ্ঞায় এখনও সায় না দিলেও এরকম খবর শুনতে পাওয়া যাচ্ছে যে “মধ্যবর্তী”র সাহায্যে এই ব্যাপারে সরকারের সাথে সমঝোতায় পৌঁছাতে চাচ্ছে জাসদ। চিন্তনীয় যে,এটাই হতে পারে আওয়ামীলীগ এবং জাসদের মধ্যে উভয়ের একসাথে অস্তিত্ব রক্ষার শেষ একমাত্র ধাপ। তথাপি,এই নিষেধাজ্ঞা জাসদের কর্মসূচিকে অনেকাংশে বেগবান করেছে। এটা জাসদকে মুজিবের “গণ-বিরোধী” শাসন এবং দমনমূলক বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনে আরেকটি রসদ যোগালো এবং সেই সাথে দুই দলের মুখোমুখি অবস্থানের ঝুকি ও ক্ষমতাকে টেনে রাখার লড়াইকে আরও অবধারিত করে তুলল। আমরা তারপরও ২০ জানুয়ারি ঢাকায় তেমন গোলযোগ প্রত্যাশা করিনা,কিন্তু ‘প্রতিরোধ দিবস’ এর ডাক এখন পুরো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমরা নিশ্চিন্তভাবে ভয়ানক সঙ্ঘর্ষের সম্ভাবনাকে নাকচ ও করতে পারি না,বিশেষ করে,নিপীড়িত উত্তর এবং দক্ষিণ অংশের এলাকাগুলোতে।
৪, দেশের এই সংকটপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে,মুজিব প্রথমবারের মতো নিজের দলের শক্তির উপর ভরসা না করে ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে একটা প্রথাগত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। মুজিব যে নিজের দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা উপলব্ধিবশত শাসনকালীন তার সীমাবদ্ধতা বুঝেছেন এবং সেটাকে থামিয়ে দিতে রাষ্ট্রীয় বিধিমালাকে ঢাল হিসেবে যথা প্রয়োগের গুরুত্ব দেখিয়েছেন; এটা একটা নতুন দিকের নির্দেশ করছে।
৫, যদিও, ৩ ফেব্রুয়ারির পর নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত করার কোন কারণ দেখানো হয়নি, তারপরও, ৩ সপ্তাহের একটা পিরিয়ড প্রায় কাছাকাছি মিলে যায় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের সাথে এবং সেই সাথে প্রাণচঞ্চল আওয়ামী যুবলীগের জাতীয় কনভেনশন যেটা চলবে ১-৩ ফেব্রুয়ারি সেটাকেও সুচারুরূপে সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়।
------------------------------------------------------------
মূল লিক্সঃ PUBLIC MEETINGS BANNED IN DACCA
বিঃ দ্রঃ দেখেছেন? সব পরিবর্তন হলেও "শেখনামা" আর "আওয়ামীলীগ নামা" পরিবর্তন হয়না কখনো !!!! বর্তমান অবস্থার সাথে মিলিয়েই দেখুন,কি ১৯৭৪ ! আর কি ২০১৩ ! সব তো একই...
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ১৯৭৪ টু ২০১৩। দেশ অনেক বদলাইছে কিন্তু "শেখ" এর খাসলত বদলে নাই !!!!
২| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: আবারো দেশে বাকশালের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। দেশ পিছিয়ে আবার ৭৪/৭৫ চলে গেছে। মুজিবের বাকশাল দেখিনি....কিন্তু কি সৌভাগ্য হাসিনার বাকশাল দেখছি।
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: আওয়ামী লীগ আমলে দেশ কখনো একবিংশ শতাব্দীতে ছিল বলে মনে হয়না, গুম, গণহারে ধর্ষণ, যত্রতত্র লুটুতরাজ,খুন,খারাবি এগুলা কি একবিংশ শতাব্দীতে হয়নাকি !!!
৩| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
মুক্ত বিহঙ্গ আমি বলেছেন: পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে ।
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
নীল_সুপ্ত বলেছেন: পরিণতিটা দেখার অপেক্ষায় !!!
৪| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
তিক্তভাষী বলেছেন: কথায় আছে - খাসলত যায়না মরলেও!
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
নীল_সুপ্ত বলেছেন: কি ৭৪ কি ২০১৩ ! সব এ এক...
৫| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৬
নেয়ামূল হক বলেছেন: রক্তে যার সৈরাতন্ত্র তার একাল ওকাল সবই এক লুটপাট আর গলা চেপে ধরা।
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
নীল_সুপ্ত বলেছেন: সব পরিবর্তন হলেও "শেখনামা" আর "আওয়ামীলীগ নামা" পরিবর্তন হয়না কখনো !!!!
৬| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
আস্তবাবা বলেছেন: হাদারাম জনগন দেখুক বাল কি চীজ।
তরুন প্রজন্ম নাকি ওদের ভোট দিছে!! এখন দেখুক মজা, শেয়ার মার্কেট এ তরুনদের টাকাই ছিল লুটে নিয়েছিল ওরা। তারপর ও ওদের বোধোদয় না হলে বলতে হয় "তোমাদের জন্য জালিম শাসকই ঠিক
"
২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: এইবারও যদি জনগণ না বুঝে তাহলে......
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
গেদু চাচা বলেছেন: আবারো দেশে বাকশালের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। দেশ পিছিয়ে আবার ৭৪/৭৫ চলে গেছে। মুজিবের বাকশাল দেখিনি....কিন্তু কি সৌভাগ্য হাসিনার বাকশাল দেখছি।
জাতির বিবেক জিন্দাবাদ