![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।
কেমন ছিল মানুষের আয় ও দ্রব্যমূল্যের হালচালঃ
মুজিবের কৃষিনীতির ফলশ্রুতিতে লাভের অংক গুণেছে জোতদার,ধনিক শ্রেণী। সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে তারা যথেচ্ছভাবে বিভিন্ন পণ্যের বিশেষত খাদ্যশষ্যের দাম বাড়িয়েছে বহুলাংশে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্যকে কমিয়ে আনার ন্যুনতম উদ্যোগ পর্যন্ত না নিয়ে ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সেই ভয়ংকর দিনগুলোতেও শেখ মুজিব রসিকতা করে বলেছিলেনঃ “কেমন বুঝছেন শহরের সাহেবেরা।” – যেন এই বর্ধিত মূল্যের অর্থ তিনি গরিব এবং ভূমিহীন কৃষকদের হাতে পৌছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ভূমিহীন ও গরীব কৃষক তথা ক্ষেত মজুরদের অবস্থা যে কত শোচনীয় ছিল তার চিত্র মিলবে নিচের এই পরিসংখ্যানে।
১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য হায়দার আকবর খান রনো লিখেছেন “এ মোহ পরিত্যাগ করুন- সিপিবির বন্ধুদের প্রতি” এর পৃঃ ৩৮ এ।
এখানে ৬টি অর্থবছরে খাদ্যমূল্য এবং কৃষি বেতনের তুলনামূলক সূচক উদ্ধৃত করা হয়েছে এবং উভয় সূচকের ক্ষেত্রেই ১৯৬৯-৭০ সালকে ভিত্তি অর্থাৎ ১০০ ধরা হয়েছে।
দেখা যায়, আওয়ামীলীগের শাসনকালের কোন সময়েই খাদ্যশস্যের মূল্য বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নাগালের কাছাকাছিও থাকেনি। আয় যখন হয়েছে ৯৯টাকা, মূল্য তখন থেকেছে ১২২টাকা। এই ব্যবধান মাত্রাতিরিক্ত সীমা ছাড়িয়েছিল ৭৪-৭৫ শাসনামলে। এ সময়ে একজনের আয় ছিল ২৬১.৪০ টাকা আর খাদ্যমূল্য চলে গিয়েছিল ৪৬৯.৫৫ টাকায়।
এ তো গেল কেবল খাদ্যের দিকটি। অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের ‘পাগলা ঘোড়া’ বুঝতে নিচের পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য করুন। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ‘সিলেক্টেড ইকনোমিক ইন্ডিকেটরস’ এ উল্লেখ করা হয়েছে যেখান থেকে মুনীর উদ্দীন আহমদ সম্পাদিত “বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর” এর পৃঃ ১৭২ এ তা তুলে ধরা হয়েছে।
২২ মাসে মূল্যবৃদ্ধি ১৫০০ ভাগঃ
৭২ সালের জুলাই থেকে ৭৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ২২ মাসের মধ্যে ১০০ ভাগ নয়,২০০ ভাগ নয় কোন কোন ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়েছে ৮০০ ভাগ, বিশেষ ক্ষেত্রে তা ১৫০০ ভাগ হতেও দেখা গেছে !
সরিষার তেল ও নারিকেল তেলের দাম বেড়েছে ১৩২ ভাগ ও ২১৮ ভাগ। হলুদের দাম বেড়েছে ২২০ ভাগ। আদার বেড়েছে ৩৫০ ভাগ। চালের দাম বেড়েছে ১৪০ ভাগ। আর সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লংকার, একেবারে ১৫০০ ভাগ।
চালঃ এই সময়ে সরকার রেশনের চালের দাম বাড়িয়েছেন ২৯ টাকা থেকে ৪০টাকায়। বৃদ্ধির হার ৩৮%, ১৯৭২ সালের ১ জুলাই প্রতিমণ সরু আমন চালের খুচরো দাম ছিল বাজারে ৭৫ টাকা। ৭৩ এর জুলাইয়ে হয়েছে ১১৫ টাকা। ৭৪ এর মার্চে বেড়ে হয়েছে ১৬০ টাকা। বৃদ্ধির হার ২১৫%।
মশুরঃ ১৯৭২ এর পহেলা জুলাই প্রতিমণ ৪১ টাকা, ৭৪ এর মার্চে ১৫০ টাকা। বৃদ্ধির হার ১৫৪%।
মুগ ডালঃ ৭২ এরজুলাইয়ে প্রতিমণের ৫০টাকা আর ৭৪ এর মার্চে ১৮০ টাকা, বৃদ্ধির হার ২৬০%।
মটরঃ ৭২ এর জুলাইয়ে প্রতিমণের দাম ৩৫ টাকা, ৭৪ এর মার্চে ১৩০ টাকা, বৃদ্ধির হার ২৭০%।
সরিষার তেলঃ ৭২ এর জুলাইয়ে প্রতিমণের দাম ২৮০-৩২৫ টাকা, ৭৪ এর মার্চে ৬২০-৬৫০ টাকা, বৃদ্ধির হার ১৩২%।
সয়াবিনঃ ৭২ এর জুলাইয়ে প্রতিমণের দাম ২৩০ টাকা, ৭৪ এর মার্চে ৫৯০ টাকা, বৃদ্ধির হার ১৫৬%।
ঘিঃ ৭২ এর জুলাইয়ে প্রতিমণের দাম ৪২৬-৪৫০ টাকা, ৭৪ এর মার্চে ১০০০-১১০০ টাকা, বৃদ্ধির হার ১৩০%।
গরুর গোশতঃ ৭২ এর জুলাইয়ে প্রতি সের দাম ৩.০০ – ৩.২৫ টাকা, ৭৪ এর মার্চে ৯-১০ টাকা, বৃদ্ধির হার ২৩৩%।
এরকম, খাসির গোশতের দাম বেড়েছে ২০০ ভাগ, মোরগের ১৫৫ ভাগ, জিরার ৩০০ ভাগ, হলুদের ২৬০ ভাগ, লম্বা হলুদের ২৫৩ ভাগ, ধনিয়ার দাম ১৫০ ভাগ, ছোট ও বড় এলাচীর যথাক্রমে ২৫০ ভাগ ও ১৫০ ভাগ, কালজিরার ৩১৭ ভাগ, সুপারির ২২৫ ভাগ, গরুর দুধের দাম ১১০ ভাগ বেড়েছে। জ্বালানি কাঠের দাম বেড়েছে ২৪০ ভাগ, কেরোসিনের বেড়েছে ২৪৩ ভাগ। ৭২ সালের জুলাইয়ে প্রতিমণ তোলা তেজাবী সোনার দাম ছিল ৩০০টাকা, ৭৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৫০ টাকা, বৃদ্ধির হার ২১২ ভাগ। গিনি সোনার দাম বেড়েছে ২০৩ ভাগ এবং রূপার দাম বেড়েছে ২০৮ ভাগ।
(উপরোক্ত তথ্যগুলো মুনীর উদ্দীন আহমদ সম্পাদিত “বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর” এর পৃঃ ৩৭৯-৩৮০ হতে নেয়া। )
সোনার বাংলা শ্মশান কেন?
আওয়ামী লীগ ৭০ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রদত্ত ঘোষণায় ১০ টাকা মণ দরে গম এবং ২০ টাকা দরে চাল খাওয়ার অংগীকার করেছিল। ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ শীর্ষক যে প্রচারনাপত্রটি লক্ষ লক্ষ কপি দেশব্যাপী প্রচারের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ এই অঙ্গীকারটি করেছিল তাও উল্লেখ করা দরকার। এতে পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় পূর্ব বাংলার দুরবস্থার বিভিন্ন দিকের বর্ণনা প্রসঙ্গে খাদ্যশস্যের মূল্যের কথাও বলা হয়েছিল। প্রচারপত্রটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলঃ
অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে সেই একই আওয়ামীলীগের শাসনামলে প্রতিটি জিনিসসের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বহু দূরে চলে গিয়েছিল। সে চিত্রটিই ফুটিয়ে তুলেছে অন্য একটি প্রচারপত্র। ১৯৭৩ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত প্রথম সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এই প্রচারপত্রটি প্রচারকরে। ৭০ সালে আওয়ামীলীগ প্রকাশিত ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন’ এর আদলে স্বাধীনতার আগে এবং পড়ে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের পার্থক্যের চিত্র এতে তুলে ধরা হয়েছিল। সৈয়দ আবুল মকসুদের ‘ভাসানী’ প্রথম খণ্ডের পৃঃ ৪৬৩-৪৬৪ এ হতে তা তুলে ধরলামঃ
বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক বক্তব্যেও উঠে এসেছে এসব অনাচার নিয়ে। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে মোজাফফর ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক পংকজ ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেন,
“ন্যাপ কর্মীরা দুর্নীতি, অরাজকতা ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা গ্রহণের পর বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনযন্ত্র তাদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে।”
কিছুদিন পর ন্যাপ প্রধান মোজাফফর আহমেদ পল্টন ময়দানে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি ভাত দিতে পারবেন না, তবে কিল মারার গোঁসাই কেন?” “২২ পরিবারের পরিবর্তে ২২শ পরিবার গড়ে তোলা হচ্ছে” বলেন একই জনসভায় মতিয়া চৌধুরী।
(তথ্যটুকু উল্লেখিত হয়েছে জগলুল আলমের ‘বাংলাদেশে বামপন্থী রাজনীতির গতিধারা ১৯৪৮-১৯৮৯” এর পৃঃ ৭৭ এ) ।
--- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- ---
আজ এ পর্যন্ত ই, পরবর্তী পর্বগুলোতে আলোকপাত করবোঃ
=> খাদ্য সংকট, ৭৪ এর ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ এবং বৈদেশিক সাহায্যের কড়চা
=> রাজনৈতিক হত্যাকান্ড এবং রক্ষীবাহিনী
=> বাকশাল, সংবাদপত্রের উপর আঘাত
=>মওলানা ভাসানীর সরকারবিরোধী আন্দোলন
আর সেই সাথে থাকতে পারে উইকিলিক্সের ফাঁস করা কিছু গোপন নথিপত্রের অনুবাদ।
আর প্রথম পর্ব পাবেনঃ
কেমন ছিল শেখ মুজিবের শাসনামলঃ ৭০ এর নির্বাচনী ওয়াদা, কৃষি খাত আর সমাজতন্ত্রের আসল উদ্দেশ্য
আর ফেসবুক হতেঃ কেমন ছিল শেখ মুজিবের শাসনামলঃ ৭০ এর নির্বাচনী ওয়াদা, কৃষি খাত আর সমাজতন্ত্রের আসল উদ্দেশ্য
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: হাবিজাবি মিথ্যে কথা??? রেফারেন্স দেয়া আছে, একটু ভালো করে চোখ খুলে তাকাতে হবে তো !! তাও আবার সরকারি রেফারেন্স !!
আওয়ামী লীগের অন্ধ ভক্তকূলের একটাই সমস্যা... এরা যুক্তির ধার ধারে না, খালি জ্ঞান গেয়ে যায়... পারলে যুক্তি খন্ডন কর, নতুবা তোমার বলা পন্থায় 'তেঁতুল' আহরণ করে শান্তিতে থাকো...
আমি টায়ার্ড... এরা দেখি যুক্তির য ও বোঝে না !!
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! BAL এর আবালরা আক্রমন করে কিছু বলার মত খুজে পাচ্ছেনা মনে হয়! সব গর্তে চলে যাচ্ছে। পোস্টে ++++++++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: একজন আসছিল, আর তো কেউ আসে না, না আসলে তো আলোচনা জমেও নাহ... কি জ্বালা, এরা যে তথ্য, যুক্তিকে এতো ভয় পায়...
অ্যানিওয়ে, ধন্যবাদ অনেক
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
শামিল কায়সার বলেছেন: ভালো লিখেছ সাকিব। +++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ কায়সার ভাইয়া
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
জাহাঁপনা। বলেছেন: Chomotkar bishleshon dhormi lekha. ++++++++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।।+++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
নীল_সুপ্ত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ৭৪ এর দূর্ভিক্ষে ১৫ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল আন্তর্জাতিক মিডিয়া সমূহের মতে আর পরিসংখ্যান থেকে।মোস্তাক খসরু আপনি দয়া করে একটু নেট খুঁজে দেখবেন।অমর্ত্য সেন বলেছেন বাংলাদেশের ৭৪ এর দূর্ভিক্ষ শুধু খাদ্যাভাবের জন্য হয়নি।হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের সীমাহীন দূর্নীতির জন্য।।এটাও একটু খুঁজে দেখবেন খসরু আবাল সাহেব।।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
নীল_সুপ্ত বলেছেন: উনি এখন খোয়াড়ে গেছেন, ঘাস পাতা খায়া যদি কিছু করা যায় এই আশায়
অর্মত্য সেনের এই বইটা আমি খুজছি, ভাইয়া, আপনার কাছে আছে এর কোন লিঙ্ক???
থাকলে একটু ফেসবুকে জানাবেন প্লিজ
https://www.facebook.com/osman.ahmedsakib
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: উপরে একটা বকরি এসে ম্যা ম্যা
শুরু করেছে। পরেরবার এসে আবার ম্যা ম্যা করলে খাসি কইরা দিবা
। না পারলে আমাকে ডাকবা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: মশা মারতে কামান দাগানো কি দরকার... এরা ছোট খাটো বকরি
তাই দেখেন না যে একবার কমেন্ট করেই উধাও
অ্যানিওয়ে, ভাইয়া, আপনারা আছেন বলেই তো সাহস, উৎসাহ পাই লেখার, এভাবেই পাশে থাকবেন আশা রাখি
অনেক ধন্যবাদ ।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
ফুরব বলেছেন: সম্পুর্ন তথ্য ভিত্তিক লেখা। আওয়ামী ভাদাদের চামড়া পুরে যাবে কিন্তু মুখে স্বীকার করবে না।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
নীল_সুপ্ত বলেছেন: তথ্য আর যুক্তি হাম্বারা গিলতে এবং ধরতে জানেনা
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
আহলান বলেছেন: দেশটারে তলাবিহীন ঝুঢ়িতে পরিণত করেছিলো আলীগ। শেখ সাহেবের ওভার কনফিডেন্ট ও চাটুকারদের সুযোগ দেয়াই এর অন্যতম কারণ ...
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
নীল_সুপ্ত বলেছেন: নির্দ্বিধায়, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ আর খাদ্য সংকট নিয়ে আরেকটা লেখা আসছে... আশা করি, সাথে পাবো
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
বৈরাম খাঁ বলেছেন: উপরের খাসিটা কই গেল
নে খাসি তোর জন্যে এই ভিডিওটা দিলাম বইসা বইসা দেখ
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
নীল_সুপ্ত বলেছেন: হে হে হে, খোয়াড়ে গেছে
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
জগ বলেছেন: বাল কুত্তাদের পাছায় আগুন ধরানোর মত একটা লেখা। সরাসরি প্রিয়তে। এধরনের লেখা আরো চাই।
++++++++++++++++++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: আশা করি , ২-৩ দিনের মধ্যে বাকিগুলো ও নিয়ে আসবো
অনেক ধন্যবাদ
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
সরকার৮৪ বলেছেন: ভাত দে হারামজাদা - রফিক আজাদ
ভীষন ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শারীরবৃত্ত ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে - প্রতিপলে - সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি যেমন চরিত্রের শস্যক্ষেত্রে জ্বেলে দেয়
প্রভূত দাহন - তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ
দু'বেলা দু'মুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোনও দাবি
অনেক অনেক-কিছু চেয়ে নিয়েছে, সকলেই চায়ঃ
বাড়ি, গাড়ী, টাকাকড়ি- কারো বা খ্যাতির লোভ আছে;
আমার সামান্য দাবিঃ পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর-
ভাত চাই-এই চাওয়া সরাসরি - ঠান্ডা বা গরম,
সরূ বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হ'লে
কোনো ক্ষতি নেই মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ
দু'বেলা দু'মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য সব দাবি!
অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি নেই যৌন ক্ষুধা-
চাইনি তো নাভিনিম্নে পড়া শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক - যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও -
জেনে রাখোঃ আমার ও সব এ কোনও প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবি,
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কান্ড ঘটে যাবে;
ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন-কানুন -
সমুখে যা পাবো খেয়ে নেবো অবলীলাক্রমে;
যদি বা দৈবাৎ সম্মুখে তোমাকে, ধর, পেয়ে যাই -
রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপাচার হবে।
সর্বপরিবেশগ্রাসী হ'লে সামান্য ভাতের ক্ষুধা
ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে!
দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অবধি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবোঃ গাছপালা, নদী-নালা,
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাথ, নর্দমার জলের প্রপাত,
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব-প্রধান নারী,
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী-
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ।
ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: এ কারণেই ১৫ আগস্ট মানুষ উল্লাস করেছে ।
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
অডি বলেছেন: একটা কথা জানার ছিল-
ভাত দে হারামজাদা, এই কবিতা লেখার জন্য বঙ্গবন্ধু নাকি লেখককে পেরেশান করছিল। এটা কি সত্যি? তথ্যসূত্রসহ যদি পারেন দেওয়ার অনুরোধ রইল।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
নীল_সুপ্ত বলেছেন: আমি ঠিক বলতে পারলাম না, ভাসা ভাসা শুনেছি, শিউর নাহ,
১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৫
রানা িসরাজুল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! BAL এর আবালরা আক্রমন করে কিছু বলার মত খুজে পাচ্ছেনা মনে হয়! সব গর্তে চলে যাচ্ছে। পোস্টে ++++++++++
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ। কয়েকদিন অপেক্ষা করলাম, তাদের কোন পাত্তা ই পেলাম নাহ ।
১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: মোস্তাক খসরু বলেছেন: তুমি তোমার এই লেখাটা সুন্দুর কইরা পেচাইয়া দুই ঠ্যাং ফাক কইরা ঢুকাইয়া দাও তাইলেই দেখবা তেতুল বাবার তেতুল আর লাগতাছে না। আরে বেকুবের বাচ্চা বেকুব নয়মাসের ধ্বংশ যজ্ঞের পর তা পুর্নউদ্ধার ছিল সব চাইতে বড় কাজ। আমরা এখনো বেচে আছি। কেন এই হাবিজাবি মিথ্যা মনগড়া কথা গুলি লিখিস। বাংলাদেশের যদি ক্ষতি কেউ করে থাকে সে একজনই শহীদ জিয়া। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীদের সাথে রশিকতা করতে পারে এ কথা বলাও পাপ।
স্ববিরোধি কথা বলিস কেন রে ছাগলের তিন ন্বামার বাচ্চা । তুই আসলেই কচি হাম্বা।
হ! জিয়া ক্ষতিই তো করছে। মুজিবের স্বপ্ন ছিল হবে অখন্ড ফাকিস্তানের প্রেশিডেন্ট আর জিয়া ঘোষনা করল স্বাধীনতা যার কারনে মুজিব হইল বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট।
জিয়া ভুল করছে বাকশাল বন্ধ করে, বহুদলের গণতন্ত্র এনে আওয়ামি লিগ কে দ্বিতীয় জন্ম দিয়ে। আর সে কারনে হাসিনা রাজনিটি করার সুযোহ পায়, প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের পাছা দিয়ে আছোলা বাশ দেয়।
জিয়া তো ক্ষতি করছেই। তুমার লগে আমি একমত কচি হাম্বা।
@মোস্তাক খসরু
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
নীল_সুপ্ত বলেছেন: থাক ভাই, বাদ দেন
১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: খসরু হাম্বাডারে খাসি কইরা চাত্রলীগের কাছে দিয়ে দেয়া হোক
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
নীল_সুপ্ত বলেছেন:
১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৬
শিংগারা বলেছেন: ওই জাতীয় অপদার্থ আজকে জাতির পিতা!
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: সারছে কাম... আস্তে আস্তে
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৭
পিওর গাধা বলেছেন: কিছুই বলব না....... হাজার প্লাস দেবার সুযোগ থাকলে দিতাম
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৪
ভালো পোলা বলেছেন: সরাসরি প্রিয়-তে ।
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
রসায়ন বলেছেন: ছাগলীয় ঘবেষণা !!!
আরে মিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আপনার পেয়ারা ফাকিস্তান আর জামাতি রাজাকার জানোয়ারগুলো দেশের অবস্থা যে ১২টা বাজিয়ে দিয়েছিলো ঐটা জানেন তো ???
রাষ্ট্রীয় কোষাগার ছিলো ফাঁকা !
এখন এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধু আপনারে সিঙ্গাপুরের মত ফ্যাসিলিটিজ দিবে কিভাবে আর শায়েস্তা খানের মত সস্তা খাওয়াবেই বা কিভাবে ???
যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশকে নিয়ে তিনি স্টার্ট করেছিলেন । ০ অবস্থান থেকে রাতারাতি তো আর আমেরিকা বানানো সম্ভব না তার জন্য সময় প্রয়োজন !
কেন আপনি কি জানেন না ইসলামি ধারায় কেউ মারা গেলে ঐ ঘরে চারদিন যাবত প্রতিবেশীদের খাবার সাপ্লাই করা লাগে, তাহলে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে কিভাবে আপনাকে নওয়াবি তরিকায় বসবাসের সিস্টেম করে দিবেন বঙ্গবন্ধু ???
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যখন আবারো ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলাম ঠিক তখনই অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়ার মদদে মেরে ফেলা হল বঙ্গবন্ধুকে !
জানি আমার কমেন্টের কথা আপনাদের মাথার এন্টেনায় ক্যাচ করবে না তাই বেশী কিছু আর বললাম না ।
পরিশেষে আপনাকে একটা ধন্যবাদ পোস্টটার জন্য কেননা এক পোস্টে এত ছাগু সমাগম বিরল ঘটনা !
ভালো থাকবেন, ঈদ মোবারক !
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৩
নীল_সুপ্ত বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে আপনার ধারণা যে কতটা অমূলক আর ভ্রান্ত খুব ভাল করেই বোঝা হয়ে গেছে " কেন আপনি কি জানেন না ইসলামি ধারায় কেউ মারা গেলে ঐ ঘরে চারদিন যাবত প্রতিবেশীদের খাবার সাপ্লাই করা লাগে " এই অংশে... এটা মোটেও কোন ধর্মীয় নিয়ম না, এটা আমাদের দেশে চলে আসা একটা রীতি ।
২য়ত, সম্ভবত আপনি জানেন ই না যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ছিল বলে কত সাহায্য বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছিলি... তাই পুরান রেডিও বাজাচ্ছেন... "অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে একটা তথ্য মনে রাখতে হবে যে, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ’৭২ সালের আগস্টেই আওয়ামী লীগ সরকার ৯০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য হিসেবে পেয়েছিলেন, বাকী ৩০০ মিলিয়ন ডলারও এসে গিয়েছিল বছর শেষ না হতেই। " বাকিটুকু রেফারেন্স সহ পাবেন এই লিঙ্কে
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: সুতরাং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ এর যুক্তি একটা পঙ্গু যুক্তি... আর দেখেন ভাই, আপনার মতন এইরকম জায়গায় জায়গায় আকাইম্যা ট্যাগিং আর ফ্লাডিং করে বেড়ানো আমার রুচির ধারে কাছেও পড়ে না, রেফারেন্স দিয়ে বলছি কথা... পারলে রেফারেন্স দিয়ে ভাঙ্গাবেন নতুবা যেই খোঁয়াড় থেকে ছুটে এসেছেন সেই খোঁয়াড়ে চলে যাবেন ।
২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮
দার্শনিক ফিনিক্স বলেছেন: দলীয় প্রপাগাণ্ডায় বিশ্বাস না করে তরুণ প্রজন্মের উচিৎ এধরণের বাস্তব পরিসংখ্যান যাচাই করে ভোট দেয়া.
১৭ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৫৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: কোন তরুণ প্রজন্মের কথা বলেন? যারা শাহবাগ দেখে উঠে এসেছে? যারা প্রশ্ন করার আগেই উত্তর ধরে নিয়ে বসে থাকে? যাদেরকে কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধ্বার সনদ দেখাতে হয়... এই তরুণেরা দেখবে উপাত্ত? :O :O
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
মোস্তাক খসরু বলেছেন: তুমি তোমার এই লেখাটা সুন্দুর কইরা পেচাইয়া দুই ঠ্যাং ফাক কইরা ঢুকাইয়া দাও তাইলেই দেখবা তেতুল বাবার তেতুল আর লাগতাছে না। আরে বেকুবের বাচ্চা বেকুব নয়মাসের ধ্বংশ যজ্ঞের পর তা পুর্নউদ্ধার ছিল সব চাইতে বড় কাজ। আমরা এখনো বেচে আছি। কেন এই হাবিজাবি মিথ্যা মনগড়া কথা গুলি লিখিস। বাংলাদেশের যদি ক্ষতি কেউ করে থাকে সে একজনই শহীদ জিয়া। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীদের সাথে রশিকতা করতে পারে এ কথা বলাও পাপ।