![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।
যারা আগের পর্ব পড়েছেন তারা অবশ্যই শেখ মুজিবের আমলে দ্রব্যমূল্যের “পাগলা ঘোড়া” সম্পর্কে সম্যকভাবে অবগত আছেন। এ পর্বে দ্রব্যমূল্যের এই লাগামছাড়া হাল এবং শাসনযন্ত্রের অপশাসন এবং অনিয়ন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের রাহুগ্রস্ত হয়েছিল সারা বাংলা, তা নিয়েই আলোকপাত করছি।
দ্রব্যমূল্যের এহেন চওড়া গতির বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারানোর সাথে সাথে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার অব্যাহত রেখেছিল প্রতারণামূলক এবং গণবিরোধী বিভিন্ন নীতি। বড় কথা ‘কেমন বুঝছেন শহরের সাহেবেরা’ ধরনের নির্মম রসিকতার মধ্যে শেখ মুজিব শেষ পর্যন্ত ডুবে থাকতে চেয়েছিলেন। বাস্তবোচিত কোন প্রতিকারের পদক্ষেপ তিনি নেননি এবং তার ফলেই ’৭৪ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের এযাবতকালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। লাখ লাখ মানুষ এই দুর্ভিক্ষে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের অধিকাংশের কাফনের কাপড় পর্যন্ত মেলেনি। এমনকি কলাপাতা ও নয়। কেননা, দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের কাছে সামান্য একটি কলাপাতাও তখন অত্যন্ত দুর্লভ এক খাদ্যদ্রব্যে পরিণত হয়েছিল।
দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতার মাত্রাঃ
১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দ্রব্যমূল্য দ্রুত বাড়তে থাকে এবং ১৯৭৪ সাল জুন-জুলাই থেকে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। [ মওদুদ আহমেদের “বাংলাদেশঃ শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল” এর পৃঃ ২০১ ]
প্রথমদিকে খাদ্য ঘাটতি জেলাগুলোতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সিলেতে, ময়মনসিংহ, রংপুরের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। তবে সবচেয়ে করুণ অবস্থা হয় রংপুরের। এই দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ২-৩ মাসের খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতার জন্য ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ লোক মৃত্যুবরণ করে। [ অমর্ত্য সেনের “Poverty and Famines” এর পৃঃ ১৩৪ ]
আরেকটি তথ্য উল্লেখ করা যেতে পারে যে ‘আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম’ নামক একটি সংস্থা শুধু রাজধানী শহরেই ২৮৬০টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছিল।
অবস্থা এতো বেশি শোচনীয় হয়ে উঠেছিল যে আওয়ামী লীগ সরকারকেও বাধ্য হয়ে মৃত্যুর হিসেব প্রকাশ করতে হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাক, ২৩ নভেম্বর,১৯৭৪ এর বরাত দিয়ে বলছি “ ৭৪ এর নভেম্বরে সাড়ে ২৭ হাজার মানুষ ‘অনাহার ও ব্যাধির ফলে’ মৃত্যূবরণ করেছে বলে খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন।”
আওয়ামী লীগের যুক্তি এবং তৎকালীন বাস্তবতাঃ
রাজনৈতিক নৈতিকতায় এই ব্যর্থতা অমার্জনীয় অপরাধের শামিল। এরপরও আওয়ামী লীগ নেতারা কখনও দেশবাসীর কাছে সততা চালিত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা কিংবা দোষ স্বীকার করেননি। উপরন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের কৌশল হিসেবে নানা ধরনের যুক্তির অবতারণা করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এক্ষেত্রে তারা প্রধানত দুটি যুক্তিকে সামনে আনতে চানঃ
১) যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থা
২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র
তৎকালীন বাস্তবতাইয় আদৌ কি সেই যুক্তিগুলো ধোপে টিকে?? আলোচনা থেকেই না হয় অনুধাবন করি।
১ম যুক্তি-যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থা এবং প্রকৃত বাস্তবতাঃ
অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে একটা তথ্য মনে রাখতে হবে যে, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ’৭২ সালের আগস্টেই আওয়ামী লীগ সরকার ৯০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য হিসেবে পেয়েছিলেন, বাকী ৩০০ মিলিয়ন ডলারও এসে গিয়েছিল বছর শেষ না হতেই। এর বাইরেও প্রতি বছরই বিপুল অর্থ ও পণ্যের সাহায্য পাওয়া গেছে এবং এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সাহায্য এসেছিল দুর্ভিক্ষের বছর তথা ১৯৭৪-১৯৭৫ সালে। হায়দার আকবর খান রনোর “এ মোহ পরিত্যাগ করুন- সিপিবির বন্ধুদের প্রতি” এর পৃঃ ১০-১২ এ উল্লেখিত তথ্যে আরো বলা হয়েছে যে ৭৪-৭৫ সালে প্রাপ্ত সাহায্যের পরিমাণ ছিল ৯১৯.২ মিলিয়ন ডলার।
পাঠকদের সুবিধার্থে সাহায্যের কিছু উদাহরণ উল্লেখ করা প্রয়োজনবোধ করছি।
দৈনিক ইত্তেফাকের ৫ জুন,১৯৭৪ এর সম্পাদকীয়তে উল্লেখ রয়েছে ‘বাংলাদেশে পরিচালিত ত্রাণ কর্মসূচিকে জাতিসংঘের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আখ্যা দিয়ে আনরব (UNROB) প্রধান ফ্রান্সিস লাকোস্ট বলেন, ১৯৭৩ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে। একই সময়ে খাদ্য সাহায্য পেয়েছে ৪৮ লক্ষ টন।’
Flow of External Resources into Bangladesh,ERD, Ministry of Finance, Dhaka,1993 এর পৃঃ৭১ এ দেয়া তথ্যানুযায়ী শেখ মুজিবের সময়কালে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রকল্প সাহায্য বাবদ ১৫.৩১২ মিলিয়ন ডলার, পণ্য সাহায্য বাবদ ৪৩.৫৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর খাদ্য সাহায্য বাবদ ৪৯.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য পায়।
একই বইয়ের পৃঃ ৭০ এ রুমানিয়ার কাছ থেকে ০.১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের খাদ্য সাহায্য পায় বাংলাদেশ।
৭৪-৭৫ এর ক্রান্তিকালে রাশিয়া,রুমানিয়াসহ অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশ যেমন বুলগেরিয়া, যুগোশ্লোভিয়া, হাঙ্গেরী, পোল্যান্ড সবাই সাধ্যমত প্রকল্প সাহায্য প্রদান করে।
Flow of External Resources into Bangladesh,ERD, Ministry of Finance, Dhaka,1992 এর পৃঃ ৬৫ থেকে অবগত হওয়া যায় ৭৪-৭৫ সালে চীন বাংলাদেশকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্য সাহায্য, পৃঃ ৫২ থেকে সৌদি আরব বাংলাদেশকে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্য সাহায্য এবং পৃঃ ৭৪ থেকে পাকিস্তান বাংলাদেশকে ৫.৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্য সাহায্য এবং ১.৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করে।
স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামীলীগ বিশেষ করে শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং ইন্ধিরা গান্ধীর বিশেষ আনুকূল্য অর্জন করেছেন এবং সেই সুবাদে শুরু থেকেই ভারত বাংলাদেশকে নানান ভাবে (অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রতিরক্ষা, খাদ্য সাহায্যসহ প্রভৃতি খাতে) সহায়তা করেছে। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ সেলিম এর লেখা “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক” এর পৃঃ ১৯২-২১৯ পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১৯৭১-৭২ সাল থেকে ১৯৮০-৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে ভারত মোট ৩০৯.৬৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য প্রদান করে যার মোট ৮৮.৮৫% প্রদান করে মুজিব আমলে। Flow of External Resources into Bangladesh,ERD, Ministry of Finance, Dhaka,1992 এর পৃঃ ৬৫ অনুযায়ী মুজিব আমলে সবচেয়ে বেশী সাহায্য প্রদান করা হয় ৭১-৭২ সালে ১৮১.৪৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৭৪-৭৫ সালে ১৯.৬০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করে।
ফলে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থার যুক্তিটিকে কোনভাবেই গ্রহণ করা যায়না, বরং ইতিহাসের আলোকে বলা যায় যে, ঐ এক যুক্তি এবং ‘কিছুই দিবার পারবো না’ মার্কা দেমাগী করেই শেখ মুজিব সুযোগ পেলে আরো কয়েকটি বছর নিঃসংকোচে কাটিয়ে দিতেন।
২য় যুক্তি- মার্কিন ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গঃ
দ্বিতীয় যুক্তি হিসেবে কথায় কথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ষড়যন্ত্র’ তথা খাদ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বিলম্বের কথা বলা হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে অভিযোগটি উত্থাপনকালে আওয়ামী লীগ কিংবা তার সমর্থক নেতাদের কেউই এর মধ্যে স্ববিরোধিতার দিকটি খেয়াল করেন না কিংবা সুকৌশলে নিজের মনকে ভুলিয়ে রাখেন। শেখ মুজিবের যে সরকার ‘সমাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় ‘বদ্ধপরিকর’, সুযোগ পেলেই যার নেতারা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আস্ফালন করতে ছাড়তেন না, সেই সরকারকে কোন যুক্তিতে ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ’ সাহায্যের ভাণ্ডার পৌঁছিয়ে দিবে? বরং যে কে উল্টো প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী’ একটি ‘সমাজতান্ত্রিক’ সরকারই বা কোন কারণে মার্কিন মুল্লুকের ওপর সাহায্যের জন্য নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল !
আওয়ামী লীগ সরকার আসলে সকল ক্ষেত্রেই প্রতারণার আশ্রয় নিতে চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রেও সেটা নিতে গিয়ে অমন একটি পরিণতির মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল। একদিকে ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মত দেশগুলোর কাছে সে ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী’ সাজার অভিনয় করেছে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও চেষ্টা করেছে তাল মেলানোর। তথাপি, একথা অবশ্যই মানতে হবে যে , প্রচুর বাগাড়ম্বর সত্বেও প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন সাহায্য পেয়ে এসেছে। ১৯৭৩-৭৪ এবং ৭৪-৭৫ অর্থবছরে শুধু খাদ্য ক্রয়ের জন্য যে ১০৯ এবং ১৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ (অনুদান বাদে) পাওয়া গিয়েছিল তার সিংহভাগ ই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া। এর পরিমাণ ছিল ৪৯ এবং ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। (হায়দার আকবর খান রনোর পূর্বোক্ত বইয়ের পৃঃ ১২) এছাড়াও, ৮ নভেম্বর,১৯৭৪ এ মার্কিন সরকার ২ লক্ষ টন গম এবং৫০ হাজার টন চাল দেয়ার চুক্তি ও করে। ( “বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক” –মোহাম্মদ সেলিম এর পৃঃ ২০৬) ।
সুতরাং, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র’ কিংবা অন্য কোন দেশের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে চাওয়া ঠিক নয় বরং এর মাধ্যমে অপরিবর্তনীয় চরিত্রের স্বরূপই উন্মোচিত হয়ে উঠে বারংবার।
এতো সাহায্যের পরও কেন এতো এতো প্রাণহানি?
এক শব্দে উত্তরঃ দুর্নীতি।
এই দুর্নীতির অংশ ছিল লুটপাট, চোরাচালানি, সিন্ডিকেট করে চওড়া দামে বিক্রি আর শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে ‘ওরা পেয়েছে সোনার খনি,আমি পেয়েছি চোরের খনি’র মতন আক্ষেপ !
মোদ্দা কথা, স্বাধীনতা লাভের পর স্বাভাবিকভাবে জনমনে এ মর্মে আশা সঞ্চারিত হয়েছিল যে, এবার হয়তো প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হবে এবং সরকারী প্রশাসনে দুর্নীতির হার কমবে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব না হয়ে প্রশাসনিক দুর্নীতির মাত্রাবৃদ্ধি ঘটেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। মুজিব শাসনামলে প্রশাসনে রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব বেড়ে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে মেধার পরিবর্তে স্বজনপ্রীতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। ক্রান্তিকালের সময় এদেশে প্রচুর রিলিফ সামগ্রী আসে। এসব রিলিফ বিতরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ দুর্নীতি হয়। সরকারী দলের নেতারা অনেক ক্ষেত্রেই রিলিফ সামগ্রী আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিম্ন পর্যায়ে পৌছাবার পূর্বেই রাজনৈতিক নেতারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনেক ক্ষেত্রে এ রিলিফ সামগ্রী আত্মসাৎ করেন। Henry F. mettenry এর “Food Bungle in Bangladesh” এর পৃঃ ৭২-৮৮ তে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে । সেই বিদেশী গবেষকের ভাষায়, “ আমেরিকার দেয়া খাদ্য সাহায্যের মাত্র শতকরা দশভাগ পৌঁছেছে সেসকল গ্রামীণ দরিদ্রদের হাতে যাদের এ সাহায্য খুবই প্রয়োজন।”
( ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ নিয়ে ভেবেছিলাম এতোটুকুতেই শেষ করে দিবো, কিন্তু হাতে সেই সময়ের কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকার ভাষ্য আছে বিধায় সেগুলো নিয়ে আরেক পর্ব করবো “পত্রিকার দৃষ্টিতে ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ” )
--- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- --- ---
আজ এ পর্যন্ত ই, পরবর্তী পর্বগুলোতে আলোকপাত করবোঃ
=> রাজনৈতিক হত্যাকান্ড এবং রক্ষীবাহিনী
=> বাকশাল, সংবাদপত্রের উপর আঘাত
=>মওলানা ভাসানীর সরকারবিরোধী আন্দোলন
আর সেই সাথে থাকতে পারে উইকিলিক্সের ফাঁস করা কিছু গোপন নথিপত্রের অনুবাদ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩
নীল_সুপ্ত বলেছেন: যাক, একজন লীগার এই পোস্টে লেখা দুইটা লাইন প্রমাণ করে দিলো " অন্য কোন দেশের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে চাওয়া ঠিক নয় বরং এর মাধ্যমে অপরিবর্তনীয় চরিত্রের স্বরূপই উন্মোচিত হয়ে উঠে বারংবার।"
এতো অন্ধ সমর্থক ক্যামনে হয়??? যাওরে ভাই, ভারত যাও...
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪
রবিনহুড বলেছেন:
৭৪ সালে তেতুলের কেজি কত ছিল বলতে পারবেন?
সেই দূর্ভিক্ষের সময়ও কি মানুষের তেতুল দেখলে লালা ঝরত?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৯
নীল_সুপ্ত বলেছেন:
আট আনা কেজির লবণের মূল্য হয়েছিল ৬০ টাকা , এতোটুকুন জানি, বর্তমান সময়ের মতন 'তেঁতুল' তো তখন হাই ডিমান্ড ছিল না
লালা তো ঝরতো ই, সেটা কয়েকগুণ এক্সটেন্ডেড ছিল। শেখ সাহেবের ভাগ্নে আর ছেলের বাহিনী কি কম করছে???????????
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১১
মনজুরুল হাসান বলেছেন: অসাধারণ তথ্য বহুল লেখা!হাম্বা দের পাছায় আগুন লেগে গেছে বুজা যাচ্ছে!
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩
নেয়ামূল হক বলেছেন: @ম্যাডাম আব্বার কু কামের খবর দেখলেই ছাগু আব্বার কথা মনে হয়, তাই না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: খেক খেক খেক
ছাইড়া দেন ভাই, কাইন্দা বাঁচুক
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৪
নেয়ামূল হক বলেছেন: প্লাস, প্রিয়তে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২
নীল_সুপ্ত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেয়ামুল ভাই।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৮
ফারুক মৃধা বলেছেন: নেয়ামূল হক বলেছেন: @ম্যাডাম আব্বার কু কামের খবর দেখলেই ছাগু আব্বার কথা মনে হয়, তাই না।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
নীল_সুপ্ত বলেছেন: বুঝছেন ভাই, হাম্বাদের একটা বদঅভ্যাস হলো যে যাই হোক না কেন যুক্তি মানবেই না...
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩০
প্রথম বাংলা বলেছেন: অনেকের লাগবে খুব। নিচে একটা তথ্য দিচ্ছি- আমার না, কালের কন্ঠের সপ্তাহিক ম্যাগাজিন রাজনীতির ১৯ তম সংখ্যা - তারিখ- ৪ অক্টোবর ২০১১ রোজ মঙ্গল বার।
১৯ পৃষ্টার শেষ অংশ।
(( মুক্তি যোদ্ধের পর ভারত সরকারের কাছে রয়ে যাওয়া ততকালীন ১৭ কোটি টাকা কিভাবে ফেরত পাঠানো হবে , সেটা ভারতীয় প্রতিনিধি পি এন হাকসার জান্তে চাইলে রাষ্ট প্রধান শেখ মুজিবর রহমান টাকা গুলো ট্রাকে চাপিয়ে পাঠাতে বলেন। জবাবে বিষ্মিত হাকসার যখন বলেন ট্রাকে করে টাকা কীভাবে দেব আমাদের তো সরকারি হিসাব পদ্ধতি আছে ব্যাংকিং পদ্ধতি আছে। বিষ্মিত ব্যথিত ন্যায় নিষ্ট হাকসার অবাক হয়ে বঙ্গ বন্ধুর উত্তরটি শুনলেন, "সামনে আমার নির্বাচন , এই টাকা সেই জন্য আমার দরকার"।
আমি জানিনা কালের কন্ঠের এই লিখা সত্য কি না। তবে বিশ্বাস করতে বাধ্য হই কারণ প্রকাশ কালটা আওয়ামী লিগের শাসনামল।
বাকিটা জানেন হাকসার, মুক্তি যোদ্ধের পূর্বাপর গ্রন্থের লেখক মাইদুল হাসান, ইন্ডিয়ান সরকার, আর বঙ্গবন্ধু, আর জানেন "কালের কন্ঠ"।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: দেখি কোনভাবে কালেক্ট করতে পারি কিনা... ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
ম্যাডাম বলেছেন: পাঠা ছাগু পাতা খাও
ছাতা মাথা কথা কও
টাকা চেটে লাদা দাও
থার্ড ক্লাস ছাগু ছাও
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫০
নীল_সুপ্ত বলেছেন: কমেন্টগুলো থাক, মানুষ দেখুক, আওয়ামী লীগাররা কেমনে সত্যরে চাপা দিতে চায়... কতটা নির্লজ্জ...
কর ভাই তুমি, কমেন্ট করো...
জয় বাংলা... এইসব "উচ্চ মার্গীয়" বুদ্ধির হাম্বাওয়ালা লীগ সামলা !!
৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সরকার৮৪ বলেছেন:
@ ম্যাডাম ,
যাউ না তুমার লাগি না খাইয়া বইয়া রইসে...........
@ লেখক,
সত্য ছড়াইয়া দ্যান..........সবদিকে।।
১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: হাই ম্যডাম:
তেতুল ভাবে আপনকে যেন কেউ আবার..........
১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
ম্যাডাম বলেছেন: পাঠা ছাগু পাতা খাও
ছাতা মাথা কথা কও
টাকা চেটে লাদা দাও
থার্ড ক্লাস ছাগু ছাও
ব্লাক গট পাকী ছাগু
ব্লগে ব্লগে করে হাগু
চাল-বাজ দাগী ঘাগু
ভীতু চালু পাকী ভৃগু
যেন তেন তেনা পেচা
দেই জেন কেচা ছেচা
পাতি হাস হাগে পচা
তুমি সেই হাস মাচা
কত টাকা পেয়ে বল
দেশ বেচে কর ছল !
পিছে কিবা পাকী বল!
যাও খন রসা-তল
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
নীল_সুপ্ত বলেছেন: নাহ, কুকুর যখন বেশি লাফালাফি ঘেউঘেউ করে তখন কষে একটা লাত্থি দিলে দিগ্বিবিদিক দৌড়ায়। যাহ বাবা, চটি পিয়ালের কাছে গিয়ে ইতিহাস শিখে আসো।
কোন তথ্যপূর্ণ বক্তব্য না থাকায় এখানেই ব্লক।
খোয়াড়ে যাও হাম্বা... আজকে রাসেল গং বুঝি এগুলোই শিখিয়ে দিয়েছে???
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৬
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভয়াবহ!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
নীল_সুপ্ত বলেছেন: নিঃসন্দেহে ।
১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২০
শিপন মোল্লা বলেছেন: ভাই আপনার পোস্টে একটা ভাদা আসছে লাথি দিয়ে বের করে দিন। এটা অপবিএ নাপাক কুত্তা আবার হিজরা । জলদি লাথি দিন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
নীল_সুপ্ত বলেছেন: বলেছি যে খোয়াড়ে যেতে
বেশি জোরে লাথি দেইনাই, এমনিতেই পাবলিকের লাথি গুতার মধ্যেই আছে বেচারাগুলো।
১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, হাম্বালীগাররা পড়ে পশ্চাৎদেশ রক্তিম করুক। সামনে তাদের কি দিন আসছে কোনো ধারনাই নেই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১
নীল_সুপ্ত বলেছেন: তারা পড়ার মতন ধৈর্য দেখাবে না, উপরন্তু না পড়েই গালাগালি শুরু করবে... এরা আরকি যেটা একমাত্র পড়ে... এদের রুচিবোধের পরিচায়ক এটা।
অ্যানিওয়ে, ধন্যবাদ
১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০
আমি বিবেক বলছি বলেছেন: ভয়াবহ ৭৪ এর দূর্ভিক্ষ। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থাও সংকটের মুখে, আরেকটি ৭৪ আসলে অবাক হবনা।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
নীল_সুপ্ত বলেছেন: বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ সংকটের মুখে, ব্যাংকে টাকা নেই, শেয়ার বাজারে টাকা নাই, মুদ্রাস্ফীতি প্রচুর, মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে দ্রব্যমূল্য... কি যে অবস্থা।
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৯
উলম্ভ বলেছেন: খুব তথ্য বহুল লিখা, দেখে ভালো লাগলো যে লিখার আগে অনেক পড়াশুনা করেছেন। দুঃখ লাগলো এইটা দেখে এতো পড়াশুনা করেও যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থা বলতে আপনি শুধু টাকার অভাব কে -ই বুজেন। আজকে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর ও চোরের খনিতে প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো গেলো না। আর যুদ্ধের ৩ বছরের মধ্যে একটা দুর্নিতি মুক্ত প্রশাসন অবকাঠামো কেন ডার করানো সম্ভব হল না সেই অপরাধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান কে কাঠগড়ায় ডার করালেন। আপনি সেইটা করাতে -ই পারেন। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রাহমান ছিলেন সেই নেতা জার কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল । ভেবে দেখেনতো আপনার কাছে আপানর চারপাশের লকজন কি প্রত্যাশা করে ?
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
নীল_সুপ্ত বলেছেন: "তথ্যবহুল লেখা" বলায় ধন্যবাদ... বিরোধী পক্ষের বেশিরভাগ ই স্বীকার ই করতে চায় না যে এগুলো 'তথ্য', তাদের ধারণা ফটোশপের মত কিছু একটার মাধ্যমে এইসব আজগুবি কাহিনীর অবতারণা !
আপনি খুব চমৎকার একটি ফ্যাক্ট ধরেছেন। লেখাটি লেখার আগেও অনেক ভেবেছি যে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ বলতে আর কি বুঝি !
তারপর নিজের কাছে প্রশ্ন করে যেই উত্তর পেয়েছি সেটা হলো "অবকাঠামোগত দুরবস্থা" । এই অবকাঠামোর মধ্যে সব পড়ে, প্রশাসন থেকে শুরু করে সব... সুতরাং অর্থের সংস্থান এই দুর্বলতাকে কাটাতে পারে নিমিষে...
এরপর যদি প্রশাসন চালানো নিয়ে প্রশ্নে আসেন তাহলে উত্তর আরো সোজা... দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তো নেতৃত্বের ফলাফল... নেতা যদি সেটা কঠোর হাতে দমন/নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন এটা কার দোষ... আপনি ই বলুন... শেখ সাহেব যে জানতেন না যে তাঁর প্রশাসনে দুর্নীতি নেই তা কিন্তু না... কিন্তু... তিনি তা নিয়ন্ত্রণে কিছু "বক্তব্য" ছাড়া আর কি পদক্ষেপ নিয়েছেন ইতিহাস থেকে আমরা আজও জানলাম না...
আশা করি, যাবতীয় উত্তর পেয়েছেন।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৫
৭১বাংলা বলেছেন: অনেক জানা হল
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১২
নীল_সুপ্ত বলেছেন: হুম।
১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:০৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
@রবিনহুড
তখন তোমার নানী এক পাতিল ফ্যানের বিনিময়ে তোমার আম্মারে বিক্রি করে দিছিলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
ম্যাডাম বলেছেন: পাঠা ছাগু পাতা খাও ।