নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকঃ ওসমান আহমেদ সাকিব

"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. ""

নীল_সুপ্ত

সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ, আমি কবিতা পড়তে (কদাচিৎ লিখতেও) পছন্দ করি। ইতিহাস আমাকে আলোড়িত করে... আর রাজনীতি আমাকে দর্শন শেখায়।

নীল_সুপ্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

"হিজাব" নিয়ে তুলকালাম, ধারাবাহিকতা আর এর পেছনে কি স্বার্থ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

ভূমিকা করছি না, শুরু করছি নিকটবর্তী বছরগুলোতে হিজাব/বোরখা/ধর্মীয় পোষাক পড়ায় বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব উল্লেখযোগ্য বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার সংবাদগুলোঃ





জুলাই ৩, ২০১২ --





চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে হিজাব নিয়ে তুলকালাম এমনকি নামাজ ঘরে তালা





২০১০ সালের ৩ এপ্রিল --





রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম তার ক্লাসে ছাত্রীদের বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি ক্লাসে ‘মধ্যযুগীয় পোশাক বোরকা’ পরা যাবে না এবং এটি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোনো পোশাক হতে পারে না বলে ফতোয়া জারি করেন।





মার্চ ২, ২০১২ --





বোরকা পরে ক্লাসে আসার অপরাধে এক ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দেননি উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার গোলাম হোসেন। আরো পাঁচ ছাত্রীকে গেটে দাঁড় করিয়ে রাখেন। অধ্যক্ষ বোরকাকে ‘অড’ বা দৃষ্টিকটু ড্রেস উল্লেখ করে বলেন, ‘একটা মেয়ে পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকা পরে এসেছে এটা দৃষ্টিকটু। আমরা এটা এলাউ করতে পারি না। তাই তাকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি।’





সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৩ --





২৯শে আগস্ট ক্লাসরুমে বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রভাংশু শেখর তালুকদার ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীদের বোরখা পড়া নিয়ে কটুক্তি করেন।





মে ২৩, ২০১৩ --





উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ ও ও শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর স্ত্রী মাহবুবা খানম কল্পনা শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে বুধবার অর্ধশত ছাত্রীর জামার হাতা কেটে দিয়েছেন। এর আগেও তিনি ছাত্রীদের বোরকা পরা নিয়ে হুমকি দেয়ার কথা জানা গেছে। তিনি আরো বলেছেন " “উদয়ন একটা মর্ডান স্কুল। ঢাকা শহরে পর্দা করার বহু স্কুল আছে,কারো পর্দা করার দরকার হলে তারা সেখানে যাবে।”





এরকম আরো কিছু বাজে ঘটনা আছে, সব উল্লেখ না করে কতিপয় উদাহরণ দিলাম মাত্র।এবার মূল প্রসঙ্গে আসি যেটা গতকালকের আলোচিত খবর "হিজাব পড়ায় ব্র্যাকের ছাত্রী বহিষ্কার" ; এটা নিয়ে অনলাইন আর পোর্টালগুলোতে অনেক আলোচনা চলছে তাই সেদিকে যাচ্ছিনা। আমার এই লেখার অবতারণা ধারাবাহিকতার সম্পর্ক খোঁজায় ... উপরের যেসব ঘটনা দিলাম তার সাথে এই ঘটনার একটা স্পষ্ট সংযোগ আছে, আর সেটা হচ্ছে একজন মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং চলাফেরার স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপ ।





এবার প্রশ্নে প্রশ্নে উত্তরের পালাঃ





১) আমাদের সমাজে ভারতীয় সংস্কৃতি আর পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ক্রমাগত প্রবেশ এবং আবেশের কারণে আমাদের সমাজে তার প্রভাব পড়ছে, জীবনধারণের সাথে সাথে চাল-চলন-আচার-আচরণেও সেই প্রভাব পড়েছে, প্রশ্ন হচ্ছে , সে ব্যাপারে আমরা কতটুকু সচেতন ?

২) আধুনিক ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় কিংবা ঈদের সময়ের শপিং মলে কিংবা পত্রিকা মারফত বিভিন্ন বার ,সীসার লাউঞ্জ কিংবা ডিজে পার্টির মত অনুষ্ঠানে যখন নারীদের পোষাকগুলো আমাদের সংস্কৃতির দীর্ঘদিনের শালীনতাকে অপমান করে দাম্ভিকতার সাথে তাল মিলায় তখন আমাদের সচেতনতা কিংবা কোনরূপ প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ কি চোখে পড়ে?

৩) যেই বাংলাদেশে নববর্ষের মতন ঘরোয়া সংস্কৃতি এতো ঝাকঝমক আর আভিজাত্যের সাথে পালন হয় সেই বাংলাদেশে বেহায়পনার চরম নিদর্শন হিসেবে থার্টি ফার্স্ট নাইট কিংবা হ্যালোয়িন পার্টির উদ্‌যাপন কতটুকু মানানসই?





এবার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ দুটো প্রশ্নঃ





৪) কেন শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের একটি নির্দিষ্ট রীতির ক্ষেত্রে এই ধরনের আচরণ? তাও তথাকথিত প্রগতিশীলদের তরফ থেকে নয় বরং পুরো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ? কেন?





৫) ঘটনাপ্রবাহের সময়কাল খেয়াল করলেই দেখা যায় যে এসব ঘটনা বর্তমান সরকারের আমলেই ঘটেছে যার অধিকাংশ ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থার কোন সরকারি উদ্যোগ কিংবা আদৌ কোন নিষ্পত্তি ই হয়নি । তাহলে কি সরকারের বালখিল্যতায় কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম পালনের প্রতি নিদারুণ উদাসীনতা ই কি দায়ী নয়? নাকি ঘটনাগুলো রাষ্ট্রের "ধর্মনিরপেক্ষতার" জ্বলন্ত প্রমাণ ?





প্রশ্ন পর্ব শেষ, উত্তর পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম, আমি একটু অন্যদিকে মোড় নিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় গত নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে ইসলামের উত্থানে শংকা প্রকাশ করে হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশন্যাল রিভিউ পত্রিকায় Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh নামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। নিবন্ধে বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে ৫০০% বোরকা বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। হ্যাঁ , আমার সন্দেহ টা এই জায়গায়। তাহলে কি "ধর্মনিরোপেক্ষ" মতবাদ চাপিয়ে দেয়া নাকি ইসলাম ফোবিয়ায় আক্রান্ত সরকার? নাকি ধর্মীয় ইস্যুকে আঘাত করে মানুষকে উস্কে দিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের জনক 'আমেরিকা' এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রতি একধরনের অশনি সংকেত পাঠানো হচ্ছে?







বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা সচরাচর যথেষ্ট স্ববিরোধিতায় ভুগেন। তাদের মসজিদ ভালো লাগে না, কিন্তু গির্জা অথবা মন্দিরের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন। আজানের শব্দে বিরক্ত হন; কিন্তু উলু অথবা ওঙ্কার ধ্বনিতে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন। "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" উচ্চারণ শুরু করলে তাদের ভ্রু কুঞ্চিত হয় অথচ মঙ্গল প্রদীপ জ্বলে অনুষ্ঠান শুরুর করার রেওয়াজ তাদের কাছে বাঙ্গালিয়ানা বলে প্রতিভাত হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের "পরম দয়ালু আল্লাহর নামে" তাদের পীড়া দেয় অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাইবেল হাতে শপথ গ্রহণ এরা মুগ্ধ নয়নে মাতোয়ারা হন। এই গোষ্ঠী প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরোপেক্ষতার লেবাসে ইসলামবিরোধী শক্তি ব্যতীত আর কিছু নয়।





ওহ আরেকটি কথা, মিতা হকদের অসার "বাঙ্গালিয়ানা" তত্ব আর তসলিমা নাসরিনের " বোরখা একটা হাস্যকর পোশাক ছিল" ধাঁচের বক্তব্য ই আমাদের বর্তমান তথাকথিত প্রগতিশীল নারীবাদের পরিচায়ক, অথচ বাংলাদেশের নারী জাগরণীর অগ্রদূত বেগম রোকেয়া তাঁর অসাধারণ একটি লেখায় ইসলামের এই ধর্মীয় পোষাককে বর্ণনা করেছেন অত্যন্ত সাবলীলতার সাথে,





" অবরোধ প্রথা স্বাভাবিক নহে-নৈতিক। কেননা পশুদের মধ্যে এ নিয়ম নাই। মনুষ্য ক্রমে সভ্য হইয়া অনেক অস্বাভাবিক কাজ করিতে শিখিয়াছে। যথা- পদব্রজে ভ্রমণ করা স্বাভাবিক, কিন্তু মানুষের সুবিদার জন্য গাড়ী, পাল্কী প্রভৃতি নানাপ্রকার যানবাহন প্রস্তুত করিয়াছে। সাঁতার দিয়া জলাশয় পার হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু মানুষে নানাবিধ জলযান প্রস্তুত করিয়াছে।- তাহার সাহায্যে সাঁতার না জানিলেও অনায়াসে সমুদ্র পার হওয়া যায়। ঐরুপ মানুষের "অস্বাভাবিক" সভ্যতার ফলেই অন্তঃপুরের সৃষ্টি। পৃথিবীর অসভ্য জাতীরা অর্দ্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় থাকে। ইতিহাসে জানা যায়, পূর্বের অসভ্য ব্রিটনেরা অর্দ্ধনগ্ন থাকিত। ঐ অর্দ্ধনগ্ন অবস্থার পূর্বের গায় রঙ মাখিত! ক্রমে সভ্য হইয়া তাহারা পোষাক ব্যবহার করিতে শিখিয়াছে। ... ... ... ... "









এখানেই সমাপ্তি টানছি, তবে... লেখাটির কোথাউ কোন প্রশ্নের উত্তর দেই নি। কেননা, উত্তরগুলো চিন্তার; ব্যক্তিবিশেষের নয়। আর শেষমেষ খুব পছন্দের কটা লাইন উদ্ধৃত করছি, Pastor Martin Niemoller এরঃ





"First they came for the Communists

And I did not speak out

Because I was not a Communist

Then they came for the Socialists

And I did not speak out

Because I was not a Socialist

Then they came for the trade unionists

And I did not speak out

Because I was not a trade unionist

Then they came for the Jews

And I did not speak out

Because I was not a Jew

Then they came for me

And there was no one left

To speak out for me"





---------------------------------------------------------------------------------------------------

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: অত্যন্ত উদ্বেগ জনক পরিসংখ্যান। শুশিল কুকুরের দল মানবধিকার নিয়া এত চিল্লায়, কিন্তু কে বোরকা পড়বে কি পড়বে না, সেটা ডিকটেট করাটা মানবধিকার লংঘন এটা বোঝে না।
পোশাক অবশ্যই তাই হবে যা সামাজিক আচারের অংশ, কোনো আমদানী করা জিনিস হবে না নিশ্চয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: উদ্বেগজনক অবশ্যই... পরিস্থিতি টা ধীরে ধীরে তৈরি করা হচ্ছে যাতে হঠাত করে সাংস্কৃতিক ক্যু ঘটানো যায়... আপনার শেষ কথাটাই আসল কথা।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

তুরাগ হাসান বলেছেন: আচ্ছা একটা কথা মাথায় আসে না, যারা এইসব আকাম করতেছে, তারা মাইর খায় না??? আজব তো

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

নীল_সুপ্ত বলেছেন: হুম... এদের সবার ই শক্ত ব্যাকআপ আছে তোহ !!!

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

খাটাস বলেছেন: বোরকা পড়া না পড়া একজন মেয়ের সম্পূর্ণ ব্যাপার। তবে অনেক সময় মুখ ঢেকে রাখলে তা নিরপত্তার জন্য হুমকি হয়। সে ব্যাপারে বোরকা পড়ার ব্যাপারে কিছু টা শিথিল হতে একজন মেয়ে কে অনুরোধ করা যেতে পারে। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসলাম কে হেয় করতে এবং ইসলাম কে আঘাত করতে বোরকার উপর নিষেধাজ্ঞা দিলে , সে যেই হোক, তার বিচার করতেই হবে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত পুরোপুরি

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

শামিল কায়সার বলেছেন: বাংলার প্রগতিশীলতার ধ্বজ্জাধারীরা বরবরি বিনুদনের খোরাক। সেটা যেমন ৭০ দশকে ছিলো, এখনো তেমনি আছে। কারন ফোর্থ ক্লাস বকধার্মিকেরা এটেনশন পায় বিনোদনের খোরাক হিসেবেই। আর বিনুদন শেষে এস্তেমাল হয় প্রভূদের প্রয়োজনে।

ভালো লিখেছ। +

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

নীল_সুপ্ত বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন কায়সার ভাই :)

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: যেকোন পোষাক ই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। পর্দা নিয়ে সমস্যা শুধু শুশিলদের নয় আমাদের সবার। ইসলাম ধর্ম এমনই যে আপনি একা একা তা পালন করবেন সেটা হবে না, আপনার আশপাশ প্রতিবেশি নিয়ে সেটা পালন করে যেতে হবে নতুবা আপনি ইসলামের বাইরে চলে যাবেন। ইসলামের প্রতিটা বিষয় এক একটা সামাজিক আন্দোলন। আপনাকে শুধু একা একা পর্দা করলে চলবে না পর্দার সুফল গুলো বলে যেতে হবে নতুবা পর্দার বিপক্ষে লোক জড় হতে থাকবে যা শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বের সমস্যা।

পর্দার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলে বা বললেই আমাদের ধর্ম জেগে উঠে, ব্লগ-ফেবুতে আমরা হাদিস ঝাড়া শুরু করি, মনে করি বাংলাদেশ যেখানে বাপদাদার ধর্ম ইসলাম সেখানে কেউ পর্দা নিয়ে বলার সাহস পায় কিভাবে, কিনতু কখনো ভাবি না যে ইসলাম বংশানুক্রমিক ধর্ম নয় এটা আমৃত্যু চর্চা করে যেতে হয়।

সুতরাং আজ থেকেই পর্দাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত করি হোক না সেটা নিজের ঘর থেকেই এবং ছড়িয়ে দেই পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধব, আত্নীয় সজন সবার মাঝে। আমার ঘরেই যদি ঐশি পয়দা হয় তাতে শুশিলদের চেয়ে আমার দোষ কোন অংশে কম কিভাবে হয়?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নীল_সুপ্ত বলেছেন: নাহ, আপনার কথার সাথে একমত হতে পারলাম নাহ পুরোপুরি, পর্দা পালন করা আমাদের দেশে মফস্বল, গ্রামে এমনকি শহরেও স্বাভাবিকতা, যেদেশের ৯০ ভাগ মুসলমান সেখান পর্দা স্বাভাবিক ই... যখন এই স্বাভাবিকতাকে অস্বাভাবিকভাবে প্রেজেন্ট করা হয় কিংবা নেগেটিভ কথা আসে তখন ই আমরা কথা বলি... বলতেই হয়...

তবে শেষ প্যারার কথা ঠিক আছে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

খাটাস বলেছেন: একটা আশঙ্কার কথা জানাতে চায়, তিল থেকে তাল বানান- একটা প্রবাদ আছে। রাজনৈতিক স্বার্থে এ কাজ গুলো করা অনেক লাভজনক। তবে সত্যি তিল কে তাল বানান হয়েছে, নাকি ঘটনা সত্যি ই তালের মতন ই নাকি তিল ছাড়াই তাল বানান হয়েছে- এই ব্যাপার গুলো আমাদের ভাল ভাবে নিশ্চিত করা দরকার।
শুভ কামনা।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বোরখা/নেকাবের নাম করে উজবুগের মত মুখঢাকা বিভৎস তালেবানি বোরকা পড়ে আসলে বড় সমস্যা।

নিরাপত্তা সমস্যা,
আইডেন্টিফিকেশন সমস্যা।
cctv তে চেনা সমস্যা। অকার্যকর করে দেয়!

বোর্খা না পরেও সালিন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরা যায়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

নীল_সুপ্ত বলেছেন: সমস্যাটা কোথায়??? বোরখা/নেকাব তালেবানি পোষাক? এতো বড় স্পর্ধা কোথায় পান? বোরখা/নেকাব বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নারীদের পোষাক সেটাকে আপনিও দেখি জঙ্গি তকমা দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন???

নিরাপত্তা সমস্যা? আইডেন্টিফিকেশন সমস্যা? :O
আইডী কার্ড দেয়া হয় কি করতে? মানুষের থাম্ব প্রিন্ট কিংবা রেটিনা স্ক্যান করা হয় কি করতে? নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান শুন্যের কোঠায় আপনার...

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডাইহার্ড ফ্যানের আগমন দেখা যাচ্ছে !!

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫২

উর্বর বলেছেন: হিজাব বিরোধী সুশীলদের কাছে মাত্র ১টি জিজ্ঞাসা ....

যখন ছাত্রীকে ইভটিজিং থেকে রক্ষার তাগিদে তথা ছাত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে মাদরাসায় নিকাব পরাকে ড্রেসকোর্ডের আওতায় আনা হলো, তখন কোর্ট স্বপ্রণেদিত রায় দিল যে, কাউকে নেকাব পরতে বাধ্য করা যাবে না! আর যখন ব্রাক ভার্সিটি নিকাব না পরতে বাধ্য করলো, তখন আর কোর্টের সুয়ামুটো রায় নেই কেন?? তার মানে ইসলামী বিধি-বিধান পালনে বাধ্য করা যাবে না, তবে পালন না করতে বাধ্য করা যাবে????

কোন ভার্সিটি যদি যা খুশি ড্রোসকোর্ড নির্ধান করতে পারে, তবে মাদরাসা কেন পারবে না পছন্দমত ড্রেসকোর্ড নির্ধারণ করতে?? তার মানে সমস্যা হলো ইসলাম এ্যলার্জির...!!

হিজাব পরতে বাধা দেওয়া যদি স্বাধীন ভার্সিটির গণতান্ত্রিক অধিকার হয়, নির্বিঘ্নে আমার ইসলাম পালন করাও তো আমার সাংবিধানিক অধিকার! কেউ স্বাস্থের নিরাপত্তার খাতিরে মুখোশ পরলে সেটা যেমন বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই, একই যুক্তিতে নিজেকে ইভটিজিং ও পুরুষের কুনজর থেকে নিরাপদে রাখার প্রয়োজনে হিজাব পরলেও কাউকে বাধা দেওয়ার অধিকার কেউ রাখে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.