নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীল আকাশ ২০১৬

নীল আকাশ ২০১৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজামির যুদ্ধাপরাধের ফিরিস্তি

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

নিজামি কি যুদ্ধাপরাধি? ৭১ সালে কি করেছিল নিজামি? কয়টা খুন করছে এই রাজাকার? কয়টা ধর্ষন করছে? কয়টা মেয়ের শাড়ীর আচল খুলে বুক খাবলে ধরছে এই ধাড়ী রাজাকার?

৭১ সালে নিজামির ভুমিকা কি?

৭০ সালে এই দেশে ভয়াবহ সাইক্লোন হয়, উপকুল এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানিরা গরিব বাংগালদের অবহেলা করে, সাক্লোনে টিনের চাল, ঘরবাড়ী ক্ষয় ক্ষতি হয়, হাহাকার করে উঠে অসহায় বাংগাল। তার কিছুদিন পরেই ৭০ এর নির্বাচন হয়। তখন ত পাকিরা জানত না কিভাবে ব্যালট বাক্স চুরি করতে হয়, ফলে পুর্ব পাকিস্তানের সব কটি সিটই পায় মুজিবের নৌকা, আর পশ্চিম পাকিস্তানের সব সিট পায় ভূট্টো পিপলস পার্টি। যেহেতু মোট ভোটে শেখ মুজিব এগিয়ে আছে, ৩০০ আসনের মধ্যে ১৭০ টি আসন পেয়ে আওয়ামি লিগ সংখ্যা গরিস্টতা লাভ করে এবং শেখ মুজিব প্রধানম্নত্রি হইবার যোগ্য হয়। কিন্তু বাদ সাধে ভূট্টো, সে প্রধানমন্ত্রি হইতে চায়।

এর আগে ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্তের মামলা হয়, সেখানে মুজিবের ফাসির রায় হয়। যদিও মুজিবকে বাচান ভাষানি, কিন্তু অবিশ্বাসের দানা বেধে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানিদের মনে, ভূট্টো সেই সুযোগ নেন, তিনি মুজিবের প্রধানম্নত্রিত্ব নাকচ করেন।

এই ছেড়াবেড়া অবস্তা থেকে বাচার জন্য ইয়াহিয়া খান পুর্ব পাকিস্তানে আসেন শেখ মুজিব আর ভূট্টোর সাথে আলোচনা করতে। আওয়ামিলিগের ৬ দফা পড়ে দেখেন, সেখানে স্বাধিন বাংলাদেশের কোন কথা নাই, শেখ মুজিব স্বাধিন বাংলাদেশ চান নাই। আসলে পাকিস্তান ভাংতে চেয়েছে ইন্ডীয়া।

সেই সময়ে রাজনৈতিক অচলায়তনে জামাতের নেতারা শেখ মুজিবকে সাপোর্ট করেন, গোলাম আজম, নিজামি এরা সবাই বলেন শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের প্রধানম্নত্রি করার জন্য। ৭১ সালের মার্চে ইহাহিয়া খান ঢাকায় আসেন মুজিবের সাথে রফা করতে, সেদিন শেখ মুজিব প্রধানম্নত্রি হলে আজকে বাংলাদেশ হত না, এটাই সত্য কথা। পাকিস্তান ভাংগার জন্য ভূট্টো দায়ী, এতে কোন সন্দেহ নাই।
সেই আলোচনা ভেস্তে যায়, ফলে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়। গোপনে ঢাকায় ট্যাঙ্ক আনা শুরু হয়, ইন্দিরা গান্ধী টের পেয়ে যায়। পাকি জান্তারা ভেবেছিল কিছু ট্যাঙ্ক রাস্তায় নামালেই সব শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু ইন্দিরার চালাকি বুঝতে পারে নাই।
এদকে ইন্ডীয়া গোপনে গেরিলা যুদ্ধ করছে র'এর এজেন্ট দিয়ে পুর্ব পাকিস্তানের সিমান্ত এলাকায়, মদদ দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদিদের। যুদ্ধ শূরু হয়ে যায়।

নিজামি ছিলেন ছাত্র সংঘের সভাপতি, কিন্তু তিনি যুদ্ধের ডামাডোলে বিষন্ন হন এবং ছাত্র সংঘ থেকে ইস্তফা দেন, রাজনিতি থেকে বিদায় নেন। পুরা যুদ্ধেই তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। নিজামির বিরুদ্ধে কোন চাক্ষুষ সাক্ষি নেই যে তিনি কোন নারির স্তন চুষেছেন বা কাপড় খুলে নেচেছেন। এটা সত্য যে, গোলাম আজম গং পাকিস্তানকে ভাগ হোক এটা চান নাই, তারা বুঝতে পেরেছিল এটা ইন্ডিয়ার গোপন কারসাজি পাকিস্তানকে ভেংগে দুভাগ করে দুর্বল করে দেয়া। সেই স্টান্ড পয়েন্ট থেকে তারা পাকিস্তান ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তারা ইন্ডীয়ার র'এর চালের কাছে হেরে গেছেন।

নিজামি হয়ত রাজণৈতিক কারনে যুদ্ধ বিরোধিতা করেছিলেন, সেদিন অনেকেই যুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন, কিন্তু সেটা ত যুদ্ধাপরাধ নয়। যুদ্ধাপরাধ করতে হলে খুন, ধর্ষন, এগুলির প্রমান থাকতে হবে। কিন্তু নিজামি তখন রাজনিতির সাথেই যুক্ত ছিলেন না, তিনি রাজনিতি থেকে ইস্তফা দিয়ে রিসার্চ ফেলোশীপে চাকরি করেন।

আজকে যারা মুক্তি যোদ্ধা, শাহ্রিয়ায়র কবির, জাহানারা ইমাম, মুনতাসির মামুন, ওয়াজেদ মিয়া, মুনির চৌধুরি, পান্না কায়সার, এরা সবাই সরকারি চাকরি করেছেন, এরা কি সবাই যুদ্ধাপরধি নাকি মুক্তিযোদ্ধা?

নিজামির ফাসি হবে, এটা নিশ্চিত, হয়ত এই লেখা পড়ার সময়েই নিজামির ফাসি হয়ে যেতে পারে। ফাসিটা নিশ্চিত করেছে মোদি, আপনি ইন্ডীয়ান ডিফেন্স স্ট্রাটেজি রিভিঊ পড়ে দেখতে পারেন। মোদি সরকার ঠিক করেছে, এই দেশে ইন্ডীয়া বিরোধি দল মাত্র একটাই - জামাত। তাই জামাতের সব নেতাকে ফাসিতে ঝুলাইতে হবে, তবেই এই দেশ মা দুর্গার গজে চড়ে শিশ্ন চাগাইতে পারবে। আসলে, এই দেশে রাজনিতি হল রিটেইল পলিটিক্স, বাঙ্গালির পেটে ভাত আর ইলিশ পড়লে সব কাফি, নিজামির ফাসি হোক আর খালেদার বালুর বাক্সে আটকা থাকুক, তাতে কি আসে যায়?

সুত্রঃ বিডিফার্স্টডটনেট

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: আমার জীবনে সে সেরা লেখাগুলো পড়েছি সেগুলোর মধ্যে এই লেখা অন্যতম।

আমি লেখকের সাথে ১০০% সহমত।

যারা কোন দলের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করেন না তারা কেবল এই সত্য লেখার পক্ষে থাকবেন। মুক্তিযুদ্ধ বলতেই ত পাগল হয়ে যান মূল ইতিহাস না জেনে।আগে সত্য ইতিহাস জানুন, ইন্ডিয়ার সত্য চক্রান্ত জানুন তারপর নিজের নিজের ভিতরে থাকা মানুষটাকে প্রশ্ন করেন আপনি কি মূল সত্যের পক্ষে থাকবেন না বোকাদের মত টিনের চশমা পড়ে মিথ্যার পক্ষে থাকবেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝটি দান করুক,আমিন।

শেষে লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সাহসী ভূমিকা পালন করে মূল সত্যটা প্রচার করার জন্যে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১০

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ভাই, আপনি সেই ভাগ্যবানদের একজন, মডু যাকে কেবল গালাগালি করেই ছেড়ে দিয়েছে। আমি এত ভাগ্যবান নই। মডু আমার সাথে অন্য রকম গেম খেলে। আগে যোগী, তান্ত্রিক আর কাপালিকদের দিয়ে পাঠ অযোগ্য গালাগাল খাওয়ায়। তারপর যখন তাদের গালির জবাব যুক্তি দিয়ে দিতে যাই, তখন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত কিছু না জানিয়েই ব্যান করে দেয়। সত্য প্রচার করার জন্য সামু কোন ভাল প্লাটফর্ম নয়, কিন্তু কি আর করা - এটাই একমাত্র ব্লগ, যেখানে মুক্ত চিন্তা প্রকাশ করা যায় (ব্যান করার আগ পর্যন্ত) এবং সরকারও এই ব্লগের উপর খড়গহস্ত নয়।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

রাফা বলেছেন: সারা জাহানে এই পোষ্টের কথা সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে।এত চমৎকার রহস্য উপন্যাস আমার জিবনে আর পড়িনি।
কবি ওমর খৈয়াম এই রচনা দেখলে মূক ও বধির হয়ে যাইতেন।
লেখককে ৭০ হাজার পরী উপহার দেওয়া হোক।আর উপঢৌকন হিসেবে বিশ্বব্যাংক উজার করে প্রদান করার জন্য আদেশ করা হইলো।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১২

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ৪০টিরও বেশি শব্দে সমৃদ্ধ মন্তব্যে কোন গালাগালি না থাকাও একটা রহস্য।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আপনার বিমূর্ত রচনা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শতাব্দীর পর শতাব্দী, জেনারেশন এর পর জেনারেশন আপনার এই মহান রচনায় মূত্র বিসর্জন করবে। তদোপরি কালোত্তীর্ণ রচনা হিসেবে আপনার এই ''গো''বেষনালব্ধ ''গোবর্জনা'' জাতি সশ্রদ্ধ চিত্তে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে। আপনার পাকমন পেয়ার এর জন্য আপনাকে জাতি সানন্দে এবং প্রফুল্ল চিত্তে জুতোর মালায় ভূষিত করবে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: যাক, বহু প্রতিক্ষিত গালাগালি অবশেষে পাওয়া গেল। কিন্তু এভাবে গালি দিলে তো সবাই ভাববে আপনি ভদ্রতা করছেন। যোগীদের কাছে শিখে নেন কিভাবে গালাগালি করলে মনের ঝাল মেটানো যায়। ভাববেন না বাবা মা তুলে গালাগালি দিলে মডুরা মাইন্ড করবে।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: নিজামির বিরুদ্ধে কোন চাক্ষুষ সাক্ষি নেই যে তিনি কোন নারির স্তন চুষেছেন বা কাপড় খুলে নেচেছেন।

পার্ভাটেড ধর্ষকামীর ভাষা... দেখে মনে হলো, একাত্তরে এই ধর্ষক (লেখক) সুযোগ পেলে ঠিকই এই ঘৃণ্য কাজ করতো...

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: লেখক আপনি কি সেই মহান ***** ভাই না যে কিছুদিন আগে স্বগর্বে বলছিলেন

// অথচ জামায়াত, ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা ছাড়া (সেটা তখনকার বাস্তবতা - ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে সেটা অন্য বিষয়) তাদের আর কোন তৎপরতা কি আপনাদের চোখে পড়েছে, দেশের স্বার্থের জন্য যা হুমকী? //

৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা ছাড়া !!

এই জায়গায় ল্যাদাইয়া দিছিলেন

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা চরম ঝুঁকি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবে কি হবেনা - এটা নিশ্চিত না হয়েই। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হয়ে মিলিটারি নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিত, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিণতি খুব করুণ হত - এটাই ঝুঁকি। তবে তখনকার আওয়ামী লীগ নেতা যারা ছিলেন, তারা এই ঝুঁকির ধারে কাছেও পা না দিয়ে ঝুকিমুক্ত সুবিধাজনক পক্ষ নিয়েছিলেন। কাজেই দেশ স্বাধীন না হলেও তারা তাদের জায়গাতেই থাকতেন।

কিন্তু জামায়াত নেতারা তখন যে ঝুঁকি নিয়েছিল, তার পরিণতি এখন তাদেরকে বরণ করতে হচ্ছে, কেননা সেই সুবিধাবাদী আওয়ামী নেতারাই এখন তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আর মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া জামায়াতকে ঘায়েল করার আর কোন অস্ত্র তাদের হাতে নেই।

ভুল বললাম কিছু?

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া জামায়াতকে ঘায়েল করার আর কোন অস্ত্র তাদের হাতে নেঈ

লেখকের সাথে সহমত।

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: এই ভূখন্ডের অতীত সত্য ইতিহাসকে ধুয়ে মুছে রং পাল্টিয়ে ইস্ত্রি করে রেখেছে কোন পক্ষ নিজেরদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যে।আর এই রং পাল্টানো ইস্ত্রি করা ইতিহাসকে দেখা মাত্র বিশ্বাসের ফুলঝুরিতে সাজিয়ে রেখেছে টিনের চশমাধারী মূর্খের দলেরা।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: ৪ নং কমেন্ট এর জবাব দেন। ৭১ এ আমাদের মা-বোনরা যে বিকৃত লালসার শিকার হয়েছিলো, আর আপনাদের দাদা-পিতারা যে পাকিদের সহায়তা করেছিলো, আপনার ভাষা দেখে মনে হচ্ছে, আপনি সেই ধর্ষনের কথা মনে করে পুলক অনুভব করছেন। আর ব্লগে সুশীল এর ভেক ধরে মিথ্যাচার করছেন। বোঝাতে চাইছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা কথা বলে, তারা গালিগালিই করে। নিজামির বিরুদ্ধে কোন চাক্ষুষ সাক্ষি নেই যে তিনি কোন নারির স্তন চুষেছেন বা কাপড় খুলে নেচেছেন।
এভাবে না বলে তো, আপনি কথাটা এরকম করেও বলতে পারতেন- নিজামীর বিরুদ্ধে কোন চাক্ষুষ সাক্ষী নেই যে তিনি কোন নারীকে ধর্ষন করেছেন কিংবা ধর্ষনে সহায়তা করেছেন।
আপনাদের মতো ভন্ড, পারভার্টদের জন্য করুণা হয়। বাংলাদেশে থেকেও মন পড়ে আছে পাকিস্থানে। কিন্তু লোকলজ্জায় কিংবা বোমার আঘাতে(পাকিস্থান তো এখন বোমার দেশ) অন্ডকোষ উড়ে যাবার ভয়ে পাকিস্থান যেতে পারছেন না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: প্রথমত ব্লগটা আমার লেখা নয়, তাই সূত্র উল্লেখ করেছি। ধর্ষণের কথা শুনে পুলক তারাই অনুভব করে, যারা মনে করে দাড়ি টুপিওয়ালা একটা রাজাকার কর্তৃক নারী ধর্ষণের দৃশ্য না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা দেখার আসল মজাই পাওয়া যায়না। একারণে কল্মীলতা আমার প্রিয় সিনেমার তালিকায় থাকলেও গেরিলা দেখার সাহস করিনি।

আপনার স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি দিয়ে এটা বোঝার কথা, ধর্ষণ কেউ চাক্ষুষ স্বাক্ষী রেখে করেনা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার যে অংশ দেখে আপনারা পুলক অনুভব করেন, সেটাকেই এখানে ফোকাস করা হয়েছে। আর নিজামিকে একটু না পচালে এই লেখাটা আপনার কাছে খুব একটা সুখাদ্য হতনা। তাই ঐ লাইনটা ডিলিট না করেই কপি পেস্ট সেরে নিয়েছি।

আর পাকিস্তানের প্রতি দরদ কোথায় দেখালাম এটা পরিষ্কার করলে বুঝতাম আমার সমস্যা কোথায়। এই দেশটার জন্য আমার যেমন ঘৃণা আছে, তেমন করুণাও আছে। কেবল একটা জায়গায় দেশটির প্রতি আমার 'সফট কর্নার' আছে, আর তা হল একমাত্র মুসলিম দেশ - যা পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হতে পেরেছে (যদি তা আদৌ মুসলিম বিশ্বের কোন কাজে আসে)

নিজামীর বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলা নয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির ভেক ধরে যারা গালাগালি করে, তারাই আসল পারভার্ট!

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: না ভাই, ৭১ এ জামাত নিস্পাপ আছিলো.... কুনো পাপ নাই। শান্তি তো?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৩

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: জামায়াতের একমাত্র পাপ ছিল, যুদ্ধে কোন পক্ষ জিতবে, সেটা নিশ্চিত না হওয়া। অবশ্য নিশ্চিত হলেও যে মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করত, তা নয়। জামায়াতের আদর্শই হল দেশের ভাঙন রোধ করা। ৪৭ সালে সেটা করতে গিয়ে পাকিস্তানেরও চক্ষুশুল হয়েছিল এই সংগঠন। আজকে বাংলাদেশ ভাঙনের মুখোমুখি হলেও জামায়াত এই পাপ আবারো করবে বলে আমার বিশ্বাস।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

এ্যামালগাম বলেছেন: ৬টা পোলাপান এর সব গুলারে বিদেশে পাঠায়া স্যাতেল করাইসে দেশের প্রতি কোন টান নাই বইলা, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়া কোন আশা নাই বইলা। এই রকম লোক মন্ত্রি হইলে এমনেই ফাঁশি হওয়া উচিৎ

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৬

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: চেষ্টা করেছিল দেশেই সেটেল করার। কাদের মোল্লার জানাযায় অংশ নিতে চাওয়ায় তার ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে সোনার ছেলেরা, কোন নিউজ সেটা কভার করেনি পাছে জনগনের সেন্টিমেন্ট ঘুরে যায়। এরকম দেশে ছেলেমেয়ে রাখার কথা কিভাবে চিন্তা করবে?

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২৭

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: জামায়াতের নাম শুনলেই যাদের গায়ে চুলকানি শুরু হয় তাদের বলছি.

সারা দুনিয়া ঘুইরা ফিরা ওই একটা নেগেটিভ উক্তি "রাজাকার" এটাই দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন আপনারা আর বাকি সকল দিকে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও মনে মনে জামায়াতের ঠিকই প্রশংসা করেন।কেননা আপনাদের মতের লোকদেরকেই অনেক সময় টিভিতে বলতে শুনা যায় জামায়াতের গুণগান।

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: এখনও রাজাকার দের সমর্থন দেওয়া লোক জনেরা আছে....... আর বাংলা মায়ের আলো বাতাসে বড় হয়ে উঠছে!!!!!! এই বাতাস ও দুষিত..........

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৩

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: রাজাকারদের সমর্থন দেওয়া কোন লোকজন এখন নেই। কেবল মাত্র পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদেরকে খুন-ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত করে দলীয় মতানুসারীদের দিয়ে তা প্রমাণ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টার বিপক্ষে দাঁড়ানোর মত লোক আছে।

এদেশের বাতাস যদি আপনার কাছে দূষিত লাগে, তবে যে দেশ আপনাকে বিশুদ্ধ হাওয়া যোগাতে পারে, সেখানে যাবার অনুরোধ রইল।

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

এরশাদ বাদশা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে আমার চেতনায়, মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার...নিজামী, গোলাম আযম সহ অন্যান্য যে রাজাকার আলবদরদের বিচার হচ্ছে তারা সবাই প্রমানিত, আত্বস্বীকৃত রাজাকার। সর্বশেষ কথা হলো, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, আমার দেশ নিয়ে সামান্যতম কটাক্ষ যে করবে তাকে গালি দিয়ে যদি আমি পারভার্ট হয়ে যাই, তাহলে সরি টু সে, ইয়েস আই'ম পারভার্ট।
দিনশেষে সকল দেশপ্রেমিক সাধারন মানুষের স্বান্তনা এটুকুই- সব বেজন্মা একটা একটা করে ফাাঁসির দড়িতে ঝুলছে। কারো মায়াকান্না, লবিং কিংবা ল্যাদানো ব্লগিং এ সেই বিচার থামবেনা। বাংলাদেশ এ কোনো রাজাকার এর ঠাঁই নাই। আল্লাহপাক এর দরবারে লাখো শুকরিয়া- দেশের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছিলো, ঘৃণ্য অপরাধ করেছিলো, তাদের বিচার এর জন্য কাল কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছেনা।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আপনাদের কথা শুনে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ আর তার চেতনা হচ্ছে গিয়ে আপনাদের মানে শাহবাগীদের। আওয়ামী লীগ ভারতের সহায়তায় ক্ষমতায় আরোহণ করে গায়ের জোরে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধরে ধরে বিচার করে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপরাধ 'প্রমাণ' করেছে বলে যে দাবী করছেন, তা যদি মেনেও নেই, তারপরেও কথা থেকে যাচ্ছে।

বাপের আদরের সন্তান হয়ে থাকলে প্রমাণ দিন যে, জামায়াত নেতারা কেউ স্বীকার করেছে যে তারা রাজাকার ছিল। প্রমাণ দিন তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অথবা বাংলাদেশকে নিয়ে 'সামান্যতম' কটাক্ষ তাদের কোন বক্তৃতা বিবৃতিতে করেছে। প্রমাণ দিন, আমি আপনাকে কোথাও পারভার্ট বলে গালি দিয়েছি।

প্রমাণ চাই, প্রমাণ চাই, প্রমাণ চাই। আর যদি বাবা-মায়ের মার খেয়ে বড় হওয়া সন্তান হয়ে থাকেন, কিছু করতে হবেনা। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন। আর কেয়ামতের কথা বলছেন? দেখবো সে সময় আপনারা কই থাকেন আর ফাঁসি হওয়া ঐ জামায়াত নেতারা কই থাকেন! সেখানকার বিচার কোন গাঞ্জা মঞ্চের নাকি কান্না শুনে হবেনা ইনশাল্লাহ!

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আমার কোন দায় পড়েনি প্রমাণিত রাজাকারদের আবার নতুন করে প্রমাণ করানোর। দায় আপনাদের, সব জেনেশুনেও আপনারা ওদেরকে ধোয়া তুলসী পাতা বানানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত। বাঙালী জাতির দূর্ভ্যাগ্য, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিদেশী শত্রুর সাথে যতোটা না যুদ্ধ করতে হয়, তারচে ঢের বেশি লড়াই করতে হয় দেশীয় রাজাকারদের বিরুদ্ধে। গোলাম আযমের স্বলিখিত একটা বই পড়েছিলাম, যেখানে সে এমন অনেক কথাই লিখেছিলো, যেগুলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপক্ষে। যাহোক, একথাগুলোর কোন ভিত্তি আপনাদের কাছে নেই, থাকার কথাও নয়। প্রমান দিলেও যা, না দিলেও তা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভক্তিটা যদি না থাকতো, আমাদের দেশকে যদি আমরা ভালোবাসতে পারতাম, তাহলে আজকে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো। কিন্তু দেশীয় বেইমান এবং বিদেশী কুত্তাদের ষড়যন্ত্রে দেশটা বারবার আক্রান্ত হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভারতকে অপছ্ন্দ করি, কিন্তু কে না জানে, এই ভারতের সাহায্য না থাকলে পাকিস্থানীরা এখনো আমরা অধীনই থাকতাম। তাতে ভারতেরে স্বার্থ জুড়ে থাক, কিন্তু তারা তো আর পিছু হঠেনি। ভারতের সহায়তায় ট্রাইবুনাল করুক আর কারো সহায়তায় করুক, যে বিচার ৪৪টা বছর ধরে অচিন্তনীয় ছিলো, আজ তা বাস্তবে রুপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ কলংকমুক্ত হচ্ছে, হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
আমি আপনার আর কোনো কমেন্টের জবাব দিবোনা। যুক্তির দোহাই দেবেন না। আপনার সাথে এ তর্কের কোন ফল নেই। আপনি থাকবেন আপনার জায়গায়, আমি আমার জায়গায়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা শুনলে আমার চোখ ছলছল করে উঠে, আমার আবেগকে নাড়া দিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী ভাষণ শুনলে আমার গায়ের রোম খাড়া হয়ে যায়, আমি ভাবি, কি এক দূর্বার অদম্য কন্ঠস্বর, যার সম্মোহনে সারা বাংলাদেশ রেসকোর্স ময়দানে জড়ো হয়েছিলো, আর বঙ্গবন্ধু উদাত্ত কন্ঠে বলছেন- '' এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।''
আামার কাছে বাকি সব পানসে, বাংলাদেশের মাটিতে রাজাকারদের ঠাঁই নাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: "আমার কোন দায় পড়েনি প্রমাণ করানোর

গোলাম আযমের স্বলিখিত একটা বই পড়েছিলাম, যেখানে সে এমন অনেক কথাই লিখেছিলো, যেগুলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপক্ষে।

প্রমান দিলেও যা, না দিলেও তা।

আমি আপনার আর কোনো কমেন্টের জবাব দিবোনা। যুক্তির দোহাই দেবেন না। আপনার সাথে এ তর্কের কোন ফল নেই। "

এতগুলো ফালতু কথা লিখে সময় নষ্ট করতে পারলেন, আর আমার এতগুলো প্রশ্নের একটারও জবাব দিতে পারলেন না? একটা জবাব দিয়ে বাকিগুলো এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও বুঝতাম, আপনি একজন পুরুষ মানুষ। কিন্তু আপনার আচরণ আর এরশাদ প্রেসিডেন্টের আচরণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়া মানে আমারো সময় নষ্ট!

যত্তসব!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.