নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীল আকাশ ২০১৬

নীল আকাশ ২০১৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম বিদ্বেষীরা পালাবারও পথ পাবে না

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ২:৩৩



এক সময় ৮৭ ভাগ মানুষের ধর্ম ইসলাম এ দেশের মিডিয়ায় ছিল খুবই অবহেলিত। কী এক অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা যেন জারি করা ছিল ইসলাম ও মুসলমান সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের উপর। একবার একটি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপনে ‘মাশাআল্লাহ’ শব্দটিও দু’একবার প্রচারের পর কেটে দিতে হয়েছিল। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা সফরের দোয়া সুবহানাল্ লাজি সাখখরা লানা হাযা... পড়তে মানা করে দিয়েছিল কেবিন ক্রুদের। যেটি বাংলাদেশ বিমানসহ দেশের প্রতিটি প্রাইভেট বিমান কোম্পানি পড়ে থাকে। সে কোম্পানি অবশ্য লোকসান দিতে দিতে এখন ব্যবসায় লালবাতি জ্বালিয়ে চলে গেছে। আলেম উলামারা কেবল এক সময় অধিবেশনের শুরুতে তিলাওয়াত ইত্যাদিতেই ছিলেন। ইফতার, সাহরি ও নিছক বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই তাদের দেখা যেত। বর্তমানে আল্লাহর রহমতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুগ্ধ হয়ে মানুষ তাদের দেখে টিভির পর্দায়। সারা বিশ্বে পবিত্র কোরআন হিফজ ও তিলাওয়াত একটি ইসলামি সংস্কৃতি। বিশ্বের প্রায় দু’শ কোটি মুসলমান এটি পালন ও উৎযাপন করেন। রমজান মাস এর ভর মওসুম। পৃথিবীর দেশে দেশে লক্ষ কোটি কিয়ামুল্লাইল, কোরআন খতম, তারাবি ও তাহাজ্জুদের জামাতে অসংখ্য অগণিত বার কোরআন পাঠ হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম দেশ বাংলাদেশ এখন কোরআনের অনন্য বাগান। গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশে হিফজুল কোরআন শিক্ষা এতই উৎকর্ষ লাভ করেছে যে মক্কা, মদীনা, মিসর, জর্ডান, কাতার, কুয়েতসহ আরব জাহানের নানা জায়গায় অনুষ্ঠিত কোরআনের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ১ম ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করছে ধারাবাহিকভাবে। এর মধ্যে প্রথম হওয়ার পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা বিশ্বের বড় বড় সব হোটেল, সম্মেলন কেন্দ্র, প্রাসাদ ও অনুষ্ঠানস্থলে যখন পতপত করে ওড়ে তখন বাংলাদেশের আলেম উলামা পীর মাশায়েখ হাফেজ কারী ও ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের বুক গর্বে ফুলে ওঠে। স্বাধীনতা তাদের কত বড় সম্মান, স্বকীয়তা ও আত্মপরিচয় দান করেছে, তা ভেবে তারা আনন্দিত হন। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের। স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের। যদিও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ অনুল্লেখযোগ্যই রয়ে গেছে। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নিত্য তামা অথবা ব্রোঞ্জ জয় করা দেশ কিছু একটা করে দেখালেই জাতি স্পন্দিত হয়ে ওঠে। বিমানবন্দরে সংবর্ধনা, পুরস্কার, গাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির ধারা শুরু হয়। কিন্তু ইসলামি সংস্কৃতিতে একটানা ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের হাফেজ ছেলেরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও এদের নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। এরা অবশ্য দুনিয়ায় কোন প্রশংসা, প্রাপ্তি বা পুরস্কারের জন্য লালায়িতও নয়। এরা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কোরআনচর্চা করে থাকে।

কী সুন্দর দৃশ্য। আট থেকে বার বছরের ফুলের মত হাফেজ শিশুরা যখন পবিত্র কালামে পাক পাঠ করে তখন তাদের দেখে মনে হয় বেহেশতের পাখিরা পৃথিবীতে নেমে এসেছে। সারাদেশে প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোর গড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামই হচ্ছে এখন ইসলামিক জিনিয়াস, ট্যালেন্ট হান্ট, হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা, ইসলামি ঐতিহ্য মন্ডিত সিরিয়াল ইত্যাদি। সিরিয়াস দর্শকরা হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য এসব প্রোগ্রামের পুরোটাই গভীর মনোনিবেশসহ নিয়মিত দেখে থাকেন। পবিত্র রমজানে এর দর্শক আরো বেড়ে যায়। পাশাপাশি সাহরি, ইফতার, তারাবি, জুমা ইত্যাদি নির্ভর অনুষ্ঠান ছাড়াও দীনি প্রশ্নোত্তর, ইসলামিক তথ্য ও জ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দেশের সকল প্রাইভেট চ্যানেলে দিন দিনই জনপ্রিয় হচ্ছে। এসবই বাংলাদেশের শতকরা ৮৭ ভাগ মানুষের স্বাভাবিক জীবনের দাবি। গুটিকয় নাস্তিক (যারা কোন ধর্মেই বিশ্বাস করে না), মুরতাদ (যারা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও ইসলামকে অপছন্দ করে অধর্মকে গ্রহণ করেছে), বিধর্মী (যারা সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন অমুসলিম) কেবল এ অবস্থাটি সহ্য করতে পারছে না। তারা সুযোগ পেলেই ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। শতকরা ৮৭ ভাগ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। নানারকম অধর্ম ও অপসংস্কৃতি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অমুসলিম ধ্যান ধারণায় গড়ে তোলার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। এ যেন এক আগ্রাসন। জটিল আকার ধারণ করা এক যুদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সংগ্রামী জীবনের অভিজ্ঞতায় বাম নাস্তিকদের সাহচর্য যেমন পেয়েছেন, ধর্মপ্রাণ মানুষ ও তাদের আস্থাভাজন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পথপ্রদর্শক আলেম উলামা পীর মাশায়েখ ও ধর্মীয় নেতৃবর্গের সাথেও তার পাঁচ প্রজন্মের ওঠা বসা। সবদিক বিবেচনায় তিনি কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ সনদের মান ও স্বীকৃতি ঘোষণা করেছেন। যার সুপ্রভাব দেশব্যাপী স্পষ্ট। তিনি পাঠ্যসূচিতে নাস্তিক, মুরতাদ ও ধর্মবিদ্বেষীদের আরোপিত মারাত্মক সাম্প্রদায়িকতা, অসঙ্গত পাঠ্য বিষয়াদি দূরীভূত করে একে তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে জাতির নিকট প্রশংসিত ও চির কৃতজ্ঞভাজন হয়েছেন। আর ৮৭ ভাগ মুসলমানের পাঠ্যসূচিতে এত জঘন্যতা প্রবেশ করিয়ে কুচক্রী মহল লজ্জিত বা অনুতপ্ত তো নয়ই বরং তারা চোরের মার বড় গলার মতই চিৎকার চেঁচামেচি করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীকেই বরং তারা রীতিমত গালমন্দ করছে। যদিও তাদের পাল্টা বিচারের সম্মুখীন হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষিত লোকদের উচিত, পাঠ্যসূচির গোটা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখা। পরিবর্তন ও সংশোধনের আগে ও পরের পূর্ণ বিবরণটি জেনে রাখা। ধর্মপ্রাণ মানুষ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সব দলেই আছেন। ইসলামী দলগুলো তো ধর্মপ্রাণ লোকজনের দ্বারাই গঠিত। তারা যখন মুসলমান নামধারী কিছু লোককে দেখেন ইসলামের চরম বিরোধিতা করতে, তখন খুবই কষ্ট পান। বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে কিছু লোকও এদেশে আছেন যারা মূলত ললিতকলা কিংবা গান নাটক অভিনয় দালালি বা বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ী। কিছু আছেন কোন যোগ্যতা বা দক্ষতা নাই কিন্তু সংস্কৃতি জগতের তারাই সর্দার। তারা আবার সেরা বুদ্ধিজীবীও। সারা বিশ্বে বুদ্ধিজীবী কথাটির কী অর্থ আর বাংলাদেশে কী অর্থ জনগণ সে পার্থক্যটাই ধরতে পারছে না। ইসলাম ও মুসলমানের কোন প্রসঙ্গ এলেই এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। সুযোগ পেলেই ইসলাম ও মুসলমানের যে কোন নিদর্শনকে ধোলাই করে ছাড়েন। কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, কলামিস্ট বা পেশাজীবী। কিন্তু ইসলামবিদ্বেষে ভরপুর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাদের ক্রোধ, ক্ষোভ আর বিদ্বেষ। চেহারা সুরত দেখেই বোঝা যায় মন ও মননে অস্বাভাবিক কিছু ধারণ করে আছেন। মনে শান্তি নেই। শোনা যায়, চরিত্র ও নৈতিকতার দিকও দুর্বল। কথাবার্তাও অসঙ্গতিপূর্ণ। লেখা লিখেন ভাঁওতাবাজের মত। মিথ্যা গল্প, তথ্য ও আবেগ মিশিয়ে স্বার্থবাদী লেখা লিখেন। কোন্ শক্তি বলে আবার তাদের একই লেখা একাধিক কাগজে ছাপা হয়। মনে হয় কারো ইচ্ছায় তৈরি অর্ডারি লেখা সিন্ডিকেটেড রূপে মিডিয়ায় এসেছে। এর মিথ্যা ও ভুল ধরিয়ে দিয়ে পাল্টা লেখা ওসব মিডিয়া আর ছাপে না। ওসব লেখার মূল প্রেরণা দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো। নাস্তিক বানানো। নৈতিক ও সামাজিক শৃংখলা থেকে বিমুখ করে লাগামহীন পশুবাদের দিকে ধাবিত করা।

হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম, কওমী সনদের স্বীকৃতি, সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখ থেকে গ্রিকদেবীর মূর্তি অপসারণ ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে প্রাইভেট চ্যানেলগুলো ইদানীং খুবই ব্যস্ত। যেসব আলেমের জীবন সংগ্রাম তাদের কাছে কোন বিষয় নয়। যাদের সুখ দুঃখ সাফল্য ব্যর্থতা এ দেশের মিডিয়ার আলোচ্য বিষয় নয়। কোটি কোটি মানুষের সাথে সম্পৃক্ত ও জনপ্রিয় এসব আলেম উলামা পীর মাশায়েখের কোন পজেটিভ নিউজ যাদের মিডিয়ায় কোন দিন স্থান পায়নি। এক হেফাজতের উত্থানে এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগের পাত্র হওয়ায় এরা হয়ে গেছেন মিডিয়ার নিত্যদিনের আলোচ্য। কিছু মিডিয়ার অবিচার এখনো মানুষের স্মরণে আসে। কী জঘন্য চেহারা আর নোংরা ভাষায়ই না তারা নিরীহ আলেম সমাজ ও ছাত্রজনতার প্রতি বিষোদগার করেছে। রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম ও শাপলা চত্বরে ৫ মে ২০১৩ যে ক’জন ধর্মপ্রাণ মানুষকে হত্যা করা হয়, যাদের লাশ নিয়ে শাপলার সমাবেশস্থলে হেফাজত রাত পর্যন্ত রোদন করেছিল, এরপর গভীর রাতে আরো কিছু লাশ যখন রাজপথে পড়ে গেল তখন এনিয়ে মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল? কেমন ছিল দায়িত্বশীলদের ভাষা ভাব ও বক্তব্য? যারা শত শত বছর কোরআন রক্ষা, মুখস্থ ও চর্চা করার জন্য নিবেদিত তাদেরই কোরআন পোড়ানোর অপবাদ দিয়ে বছরের পর বছর যখন গালমন্দ করা হয় তখন কী ছিল মিডিয়ার ভূমিকা? সত্য উদঘাটন যদি মিডিয়ার কাজ হয় তাহলে এ দায়িত্ব কি আমাদের মিডিয়া পালন করেছে? ইসলাম ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব যে মিডিয়ায় চির অপাংক্তেয় সে মিডিয়ায় এখন কিছু আলেম মুফতি নেতা ও বুদ্ধিজীবীকে যত্ম করে ডেকে নেয়া হচ্ছে। কারণ গতানুগতিক টক শো মানুষ আর দেখে না। তারা বার্নিং ইস্যুতে দুই পক্ষের বিতর্ক শুনতে চায়। চিরায়ত বাংলার ধর্মীয় বাহাস, কবির লড়াই ও শরীয়ত মারফত বিতর্কের মত। যদিও আলেমরা নিয়ম করে টিভি বিতর্ক দেখার লোক নন কিন্তু সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে সারা দুনিয়ায় ইসলামপন্থীরা এসব বিতর্ক বার বার দেখার সুযোগ পায়। ছাত্র-তরুণ ও মা-বোনেরা বিতর্কে আলেম উলামাদের যুক্তি শুনে জানতে ও শিখতে চেষ্টা করে তাদের দীনি ভাবনা ও মতাদর্শটুকু। আর দেশবাসী কৌতূহল ভরে দেখে ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়াকর্মী, উপস্থাপক, বুদ্ধিজীবী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের অসার বক্তব্য, যুক্তিহীন গলাবাজি, মূঢ়তা, মূর্খতা ও বিদ্বেষপূর্ণ হস্তপদ সঞ্চালন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক, পালের গোদা গবেষক, হোতা মার্কা সাংবাদিক ও ঢেড়াপেটানো বুদ্ধিজীবীদের সম্মিলিত হুমকি ধামকি, মুখ ভ্যাংচানি, অপ্রাসঙ্গিক হঠকারি বিষয় উস্থাপন, অবান্তর অপবাদ, সাজানো ও সমন্বিত আক্রমণ উপেক্ষা করে একজন নিরীহ মুফতি মাওলানা বা ইসলামী সংগঠক যে সহজ সরল যুক্তি উপস্থাপন ও বক্তব্য পেশ করছেন তা দেখার মত। দেশের মানুষ এত বছর পর যেন তাদের প্রিয়জনদের টিভিতে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। জননন্দিত বিষয় ও বক্তব্য সরলমনা ও অনভ্যস্ত আলেমদের মুখ থেকে উচ্চারিত হতে শুনে তওহীদী জনতা আনন্দিত। তারা আরো বেশি খুশি তথাকথিত নামীদামী জ্ঞানীগুণী ও মহা বুদ্ধিজীবীদের অন্যায় আস্ফালন আর নির্মম পরাজয় দেখে। যারা যুক্তির চেয়ে শক্তির পথকেই বেশি পছন্দ করেন। কথায় হেরে গিয়ে জামার হাতা গোটান। আলেমদের জবাব টুকু শোনার আগেই তারা অধৈর্য হয়ে তার কথায় বাধ সাধেন। কথায় ডালপালা বের করে অন্য প্রসঙ্গে চলে যান। খুব আকর্ষণীয় বক্তব্যের সময় উপস্থাপক কৌশলে অন্য কথা জুড়ে দেন। তাছাড়া, ‘একটি বিরতি নিতে হচ্ছে’ অস্ত্র তো চ্যানেলগুলোতে আছেই। এটির যথাযথ ব্যবহারও কেউ কেউ করেন চতুর পক্ষপাতিত্বের সাথে।

এ সময়ের আলোচিত টকশো সৈনিকদের মধ্যে হেফাজত নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হুমায়ুন আইয়ুব উল্লেখযোগ্য। তারা তাবড় তাবড় ব্যক্তির সাথে টকশোতে যোগ দিচ্ছেন। একজন গিয়ে বসছেন তিন চারজনের মোকাবেলায়। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, কওমী মাদরাসায় কেমন লোক তৈরি হয়, তা কি এরা এসব বিতর্কে বসেও টের পান না। নাতির বয়সী তরুণ আলেমদের মুখোমুখি হয়ে তারা ঘেমে নেয়ে উঠেন।

কওমী মাদরাসায় অতীতে ‘মুনাযারা’ নামক একটি বিষয় বাধ্যতামূলক ছিল। ইহুদী, খৃস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, নাস্তিকতা, যুক্তিবাদ, প্রকৃতিবাদ, সংশয়বাদ ইত্যাদি নিয়ে তুলনামূলক পড়াশোনা ও বিতর্ক আয়োজনের জন্য। কওমী আলেমরা ষাটের দশকেও কমিউনিজম, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ ইত্যাদি বিষয়ে মাদরাসায় বিতর্ক অনুষ্ঠান করতেন। বিতার্কিক আলেমদের বলা হতো মুনাযের বা তর্কবাগিশ। ইদানীং এ শাস্ত্র ও অনুশীলনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও বর্তমানে নানা বিতর্কে আবারও আলেমদের যুক্তি বক্তব্য উপস্থাপন ও কথার পিঠে কথার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। টিভি টকশোতে অংশগ্রহণের যোগ্য আলেম তৈরির জন্য বহু মাদরাসায় প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে। টিভি বিতর্কে যাওয়া আলেমরা নিজেরাও অনেকের সাথে কথা বলে, পড়া শোনা করে ও নিয়মনীতি জেনে এখন স্টুডিওতে যাচ্ছেন। তারা শত উস্কানিতেও রেগে না গিয়ে ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করার কৌশল ভালই রপ্ত করে নিয়েছেন।

গত সপ্তাহে একজন বিশাল বুদ্ধিজীবী একজন আলেমকে প্রশ্ন করলেন, মূর্তি ও ভাষ্কর্যের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা কি আপনার জানা আছে? মাওলানা সাহেব রেগে না গিয়ে বললেন, ঢাকা ও কলকাতার যে কোন বাংলা অভিধান খুলে আপনি দেখে নিতে পারেন কোন পার্থক্য আছে কিনা। আমি বললে তো সেটা ঠিক না-ও হতে পারে। ডিকশনারিতে তো মূর্তি ও ভাস্কর্য একই অর্থে লেখা হয়েছে। একজন বুদ্ধিজীবী বললেন, কওমী মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না কেন? জবাবে মাওলানা সাহেব বললেন, বাংলাদেশের কোন্ আইনে আছে যে মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে? ১৯৭৮ সালের জাতীয় সঙ্গীত আইন কি আপনি ভাল করে পড়েছেন? যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না সে কারণেই মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। এটি ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী আমলেও গাওয়া হয়নি। তখন আর কথা না বাড়িয়ে বুদ্ধিজীবী ও তার দোহারেরা কথার মোড় ঘুরালেন, যদিও রাগে গোস্বায় তারা গর গর করছিলেন। গ্রিক দেবী বিষয়ে এক অনুষ্ঠানের নামই দেয়া হয় ‘মা তোর বদনখানি মলিন হলে’। চ্যানেলটির লোকজন গ্রিকদেবী থেমিসকে তাদের মা বলে মেনে নিয়ে তার অপসারণকে মায়ের বদনখানি মলিন হওয়া ভেবে তারা নয়ন জলে ভাসছেন বলে ধরে নিয়েছিলেন। অথচ এ নিয়ে অতিথিদের দু’জনের একজনও কোন আপত্তি করলেন না। জাতীয় সঙ্গীতের এই মা তো হচ্ছেন বাংলা মা, বর্তমানে বাংলাদেশ। গ্রিক দেবী থেমিস কবে আবার বাংলাদেশের মানুষের মা হলেন? এত স্থূল ও হাস্যকর বিষয়ও যখন আমাদের গুণীসমাজকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়, তখন দেশবাসী তাদের উপর ভরসা রাখবে কেমন করে? এর চেয়ে বরং নবাগত আলেম ও মুফতিদের বক্তব্য যুক্তি ও উপস্থাপন, তা যত ¤্রয়িমান ও সাদামাটাই হোক দেশবাসীর কাছে তাই ভাল লাগছে। হাজার ঘৃণা, বিদ্বেষ, অবমূল্যায়ন, অপপ্রচার ও বিমাতাসূলভ আচরণ সত্তে¡ও জনপ্রিয় দেশপ্রেমিক ইসলামপন্থীরা উঠে আসছেন। এদের সরলতা, সততা ও নিষ্ঠার সামনে বিরোধীরা পরাজিত হবেই। এদের ভালোবাসা শুভকামনা, যুক্তি, অহিংস কর্মপন্থা ও রাতদিন শত্রু বন্ধু নির্বিশেষে সকলের হেদায়েতের আন্তরিক দোয়ার বৃত্ত থেকে ইসলাম বিদ্বেষীরা পালাবার পথও পাবে না।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:

"কওমী আলেমরা ষাটের দশকেও কমিউনিজম, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ ইত্যাদি বিষয়ে মাদরাসায় বিতর্ক অনুষ্ঠান করতেন। বিতার্কিক আলেমদের বলা হতো মুনাযের বা তর্কবাগিশ। ইদানীং এ শাস্ত্র ও অনুশীলনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও বর্তমানে নানা বিতর্কে আবারও আলেমদের যুক্তি বক্তব্য উপস্থাপন ও কথার পিঠে কথার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। "

-মশাকে হাতীও ভয় পায়।

২| ০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ বলিষ্ট যুক্তি , তবে মেইন স্ট্রীমে আসতে আরো একটু সময় লাগবে, প্রচেষ্টা প্রসংসনীয় । জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল শাখাতেই বিচরণ কাম্য । অনেক বুদ্ধিজীরা টকশোতে আবেগ দিয়ে কথা বলেন , যুক্তি দিয়ে নয় । সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে সংস্কৃতি ও কৃস্টি দিয়েই জয় করতে হয় । ইসলামী কৃস্টি অনেক সমৃদ্ধ একে বাংগালী জাতীয় সংস্তৃতি ও কৃষ্টির সাথে সুসমন্বিত করতে হবে , তাহলেই দেশের সকলকে তার সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে । সকলকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

"কওমী আলেমরা ষাটের দশকেও কমিউনিজম, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ ইত্যাদি বিষয়ে মাদরাসায় বিতর্ক অনুষ্ঠান করতেন। বিতার্কিক আলেমদের বলা হতো মুনাযের বা তর্কবাগিশ। ইদানীং এ শাস্ত্র ও অনুশীলনটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গেলেও বর্তমানে নানা বিতর্কে আবারও আলেমদের যুক্তি বক্তব্য উপস্থাপন ও কথার পিঠে কথার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। "

-কওমী আলেমেরা কোন অবস্হায় কমিউনিজম, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র বুঝার অবস্হানে নেই; এগুলো বুঝার জন্য উঁচু লেভেলের অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, অংক, সোস্যাল সায়েন্স, পলিটিক্যাল ইকোনোমী, ফিলোসফি জানা থাকতে হবে; ঢাকা ইউনিভার্সিটিরগুলোর অবস্হা ব্লা ব্লা, আর কওমী আলেমেরা এগুলো নিয়ে আলাপ করছেন?

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: মূর্তি সরানোর পর যেসব কওমি আলেমেরা টক শোতে বাঘা বাঘা লেফটিস্টের মোকাবেলা করে নিজেদের সুদৃঢ় মন্তব্য তুলে প্রশংশিত হয়েছেন, সে অনুষ্ঠানগুলো দেখেছেন? তারপরেও কওমি আলেমদের সম্পর্কে আপনার এই ধারণা যদি হয়, তবে আমার কোন বক্তব্য নেই। তবে উঁচু লেভেলের যেসব সাবজেক্টের কথা বললেন, স্বয়ং এরিস্টটোলও এগুলো সব আয়ত্ত্ব করার ক্ষমতা রাখতেন কিনা, সে পেওশ্ন থেকে যায় - কওমি আলেমরা তো কোন ছাড়! তবে একটা বিষয় কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। কওমি আলেমরা খুব কমই ব্যবসা বা রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়ায়। সারা জীবন পড়াশোনা এবং একে অন্যের সাথে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা-বাহাসের প্রাক্টিস থাকায় "থেমিস ভাস্কর্য, কোন মূর্তি না" - এ ধরণের খোঁড়া যুক্তি তাদের কাছে ধোপে টেকেনা।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

নতুন বলেছেন: আমেরিকাতে আমিশ বলে একটা সম্প্রদায় আছে....

আমাদের দেশের আমিশ হতে যাচ্ছে ভবিশ্যতে এই সম্প্রদায়।

আমিশ যেমন বত`মানে থাকেনা তেমনি হেফাজতি সম্প্রদায়ও আধুনিক সমাজ থেকে দুরে আছে এবং এই দুরত্ব বাড়বে...

১৪০০ বছর আগের জ্ঞান নিয়ে কিভাবে আধুনিক উঁচু লেভেলের অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, অংক, সোস্যাল সায়েন্স, পলিটিক্যাল ইকোনোমী, ফিলোসফি বুঝবেন?

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: কোন আলেম কি ফতোয়া দিয়েছে যে মোবাইল ব্যবহার করা হারাম? বেশির ভাগ আলেম নিজ্রাই মোবাইল এমনকি স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত। এরা আধুনিক সমাজ থেকে দূরে আছে - এই ধারণার যুক্তি কি? তারা কি দেশে চলমান কোন উন্নয়ন কাজের বিরোধিতা কখনও করেছে? মূর্তি দিয়ে রাস্তাঘাট ভরে ফেলা কি আধুনিকতা?

আপনার কি ধারণা কওমি সিলেবাসে কোরআন হাদিস ছাড়া আর কোন বিষয় নেই? যা জানেন না, তা নিয়ে কথা না বলাটাই নিরাপদ।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ধর্মহীন শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষণশীল দেশের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা বর্তমানে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের বড় একটা অংশ পুরোপুরি বখে যাচ্ছে। একদল ব্যস্ত মাদক, বেহায়াপনায় আরেকদল ব্যস্ত বোমাবাজি, কোপাকুপিতে। ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব আমাদের ডোবাবে।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনারা যত ই্চ্ছা নামাজ পড়েন রোজা করেন সমস্যা নাই। সত্যকাজে আদেশ আর অসৎকাজে বাধা দিতে যাবেন না। তাহলেই আপনি কামীল বান্দা।

এক শ্রেণীর (মৌ)-লোভী আছেন যারা মন করেন ধর্ম বলতে নামাজ রোজা আর তসবী জপ করা। এরা মানুষের বাড়ী বাড়ী খায়, বিভিন্ন জায়গায় পয়সার বিনিময়ে বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তৃতা দিয়ে বেড়ায়।

এন্টি-ইসলামিষ্টরা যে টিভি-রেডিও-সংবাদপত্র এবং অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে সত্যের পেছনে বাশ দিচ্ছে তাতে ইহাদের কোন মাথা ব্যাথা নাই।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ইদানিং আলেমদেরকে মিডিয়ায় ডাকা হচ্ছে। তাদের জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে কেউ আর অজানা নয়। কিন্তু এর আগে আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি সুবর্ণা মুস্তাফা, মমতাজ - এদেরকে ইসলামী শরিয়ত ব্যখ্যা করতে। উপস্থাপকেরাও বেদ বাক্য মনে করে তা মেনে নিতেন।

৭| ০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

নেবুলাস বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। বাস্তব কথা।

৮| ০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



অভিনন্দন অন্তহীন।

'নতুন' ঘোরের ভেতরে রয়েছেন। ঘোর কাটতে সময় লাগবে।

ভাল থাকবেন।

৯| ০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

রাখালছেলে বলেছেন: আপনারা যেকাজেই হাত দিয়েছেন তা লেজেগোবরে করে দিয়েছেন। উদাহরন তো বেশী দিন আগের নয় । আপনাদের জন্য একটাই শব্দ খাটে তা হল "রক্ষনশীল"

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল যে কোন ব্যক্তিই 'রক্ষনশীল' হতে বাধ্য। আপনি যদি মৌলবাদী না হন, আপনার আত্মমর্যাদা বলে কিছু থাকবে না - সে আপনি একজন মানুষই হন বা একটি জাতি।

১০| ০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

নতুন বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন:
অভিনন্দন অন্তহীন।
'নতুন' ঘোরের ভেতরে রয়েছেন। ঘোর কাটতে সময় লাগবে।
ভাল থাকবেন।


ভাইরে দেশে নামের মুসলিম ৯০% কিন্তু আসল বিশ্বাসী কয়জন? ৫%

বত`মানে ইন্টারনেট সহজ লভ্য হবার ফলে অনেক মূখ` ফেসবুকে বড়বড় মন্তব্য করে...

শিক্ষা/জ্ঞান ছাড়া সমাজ কোনদিন উন্নতি করতে পারেনা। আপনাদের ঐ সমাজ বিজ্ঞানের 'বি' শেখার চেস্টায় নাই....

একটা জিনিস তারা খুবই ভাল পারে... সেটা হইলো মূর্খতা...

ইহুদী নাসারাদেরর সব আবিস্কার ব্যবহার করবে আর তাদের গালি দিয়ে বলবে এটা সব দোজখে যাবে... :|

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আপনি মুসলমানিত্বের যে ব্যাখ্যা দিলেন, সে অনুযায়ী ঐসব বিজ্ঞানিদের কয়জনকে আপনি সত্যকারের ইহুদী নাসারা বলবেন? এরা কি নিয়মিত চার্চে যেতেন? বাইবেলের ব্যাখ্যা দিতে পারতেন? যদি সত্যিকারের ইহুদী নাসারাও হত, তারপরেও তো ধর্মীয় বিধি বিধান অনুযায়ী তাদের আবিষ্কৃত জিনিস ব্যবহারে কোন বাধা নেই। রাসুল (সঃ) যে ঢাল তলোয়ার ব্যবহার করতেন, তার আবিস্কার নিশ্চয়ই কোন মুসলিম করেনি!

১১| ০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

নতুন বলেছেন: বত`মানে ইন্টারনেট সহজ লভ্য হবার ফলে অনেক মূখ` ফেসবুকে বড়বড় মন্তব্য করে...কারন বিভিন্ন বিষয়ে দেখবেন অনেকেই ধমের পক্ষে কথা বলবে আর কি চমতকার সব গালি দেবে... তাতেই বোঝা যায় তাদের জ্ঞানের বহর...

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: একমত! বড় বড় কথা সবাই বলতে পারে, কিন্তু সব কি পড়ার মত?

যারা জ্ঞানী, তারা কোন অবস্থাতেই গালিগালাজ বা প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করবেনা। টিভি টক শোতে কোন আলেমকে দেখেছেন কারো কথায় বাধা দিতে বা কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে?

১২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১:২৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
বিশেষ প্রতিবেদন: আল্লামা আহমদ শফীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে অনেকেই কিছু জানেন না। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

কোথায় জন্ম আল্লামা শফীর?
আল্লামা শফীর জন্ম ভারতের বিহারে। প্রথমে বাংলাদেশের নোয়াখালিতে আসেন এবং সেখান থেকে পরবর্তীকালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আস্তানা গাঁড়েন। হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রধানপদে নিজের নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার কারণে জন্মস্থান নিয়ে রহস্য সৃষ্টি করা হয়।

কর্মজীবনের শুরু: পটিয়া বনাম হাটহাজারী

আল্লামা শফী প্রথম পটিয়ার আল জামেয়া আল ইসলামি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পটিয়া মাদ্রাসায় ঢুকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে টেনে আনার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হন। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে মাদ্রাসা থেকে চলে আসেন। তারপর পটিয়াতেই জিরি মাদ্রাসায় কিছু সময় শিক্ষকতা করেন। পটিয়ার ওই দুটি মাদ্রাসা এখনও আল্লামা শফীর রাজনীতির বিরোধী-ব্লক হিসেবে কাজ করছে।

আল্লামা শফীর মাদ্রাসা প্রধানের পদ
আল্লামা শফী অতপর সাধারণ শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেন দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে। এই মাদ্রাসায় চাকরী নেয়ার পর আল্লামা শফী কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট করার জন্য ভয়ংকর ও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন।

যেভাবে মাদ্রাসা প্রধান হলেন আল্লামা শফী
১৯৮৪ সালে হাটহাজারীর মুহতামিম মাওলানা আবদুর রহিম (আব্দুল খালেদ) মারা যাওয়ার পর সে সুযোগ চলে আসে আল্লামা শফীর সামনে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মুহতামিম নির্বাচনের নির্ধারিত আইন। হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার নিয়ম অনুসারে যোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে কেউ হাটহাজারীর বাসিন্দা হলে তিনিই হবেন মাদ্রাসা প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই, অগ্রাধিকারভিত্তিতে মাওলানা রহিমের ভাই আল্লামা সেলিমের মুহতামিম হওয়ার কথা । কিন্তু আল্লামা সেলিমের কর্তৃত্ব কখনোই নিরঙ্কুশ হয়নি। নানান জটিলতার কারণ এই মাদ্রাসার ইমাম বা অভিভাবকের দায়িত্ব চলে যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের খতিব উবায়দুল হকের কাছে।
এদিকে আল্লামা সেলিমের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনেই আল্লামা সেলিমকে মারাত্মকভাবে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীকালে শাস্তি স্বরূপ আল্লামা সেলিমের মুহতামিম হওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যায়। পর্দার সামনে চলে আসেন আল্লামা আহমদ শফী।
হাটহাজারীর স্থানীয় অনেক ব্যক্তিই মনে করেন, আল্লামা সেলিমের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগটি তাকে ঘায়েল করার হাতিয়ার ছিল। কিন্তু মাওলানা সেলিমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মুহতামিম পদ থেকে তাকে দূরে থাকতে বাধ্য করা হলেও মাদ্রাসাটির প্রধান হওয়া সম্ভব ছিল না আল্লামা শফীর পক্ষে। অবশেষে বিএনপির দ্বিতীয় বারের শাসন আমলে আল্লামা শফী বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব ও মাদ্রাসা ইমাম মাওলানা উবায়দুল হকের সঙ্গে তার ঘনিষ্টতাকে কাজে লাগিয়ে এবং উবায়দুল হকের প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে মাদ্রাসা প্রধানের পদটি দখল করেন।
আল্লামা শফী হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম হওয়ার পরই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। নানান চেষ্টার পর ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন তৈরী করেন এবং হেফাজতে ইসলামের সার্বিক কর্তৃত্ব নিয়ে নেন। হেফাজতে ইসলাম পরিণত হয় এক ব্যক্তি, এক নেতার সংগঠনে।

হুজুরের স্ত্রীগণ?

হাটহাজারী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও জানেন না আল্লামা আহমদ শফীর স্ত্রী কত জন। বর্তমানে হুজুরের তিন জন মতান্তরে চারজন স্ত্রী বিদ্যমান। ৯২ বৎসরের জীবনে আল্লামা শফী অন্তত ছয় বার বিয়ে করেছেন। স্ত্রীদের মধ্য থেকে কারও মৃত্যু হলে, সে স্থান শূন্য থাকেনি। আল্লামা শফী প্রথম বিয়ে করেন ২৩ বছর বয়সে।

আল্লামা শফী স্ত্রীদের নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার ভেতরেই একটি কমপ্লেক্সে বসবাস করেন। তবে ব্যক্তিজীবন নিয়ে গোপনীয়তা রাখার চেষ্টা করেন তাই তার পারিবারিক অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম কিংবা হাটহাজারী মাদ্রাসার নেতা-কর্মীদের দাওয়াত দেয়া হয় না।

সন্তান সংখ্যা সাত

আল্লামা শফীর মোট সাত সন্তান। এর মধ্যে চারজন কন্যা ও তিন জন পুত্র। এই সাত সন্তানের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন মেজ ছেলে আনাস মাদানী। অন্য দুই ছেলে গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া থাকেন। তিন মেয়ের জামাই-ই মাদ্রাসায় শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। আনাস মাদানী হাটহাজারী মাদ্রাসায় ‘বড় হুজুরের’ উত্তরসূরী হিসেবে পরিচিত। মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্যে একমাত্র তার কক্ষটিই শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত।

বেহেশতী পয়গাম

২০০৮ সালের দিকে আল্লামা শফী হুজুর একদিন মাদ্রাসায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, তাঁর খোঁড়া মেয়েকে যে বিয়ে করবে, সে সরাসরি বেহেশতে যাবে। এই ঘোষণা সেই সময় হাটহাজারী এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি করে। এ মুহূর্তে হেফাজতের লোকজন এসব এড়িয়ে গেলেও তৎকালীন সময়ে এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।

হেফাজতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান হুজুর তাঁর ঘোষণার পেছনের যুক্তিও তুলে ধরেছিলেন। হুজুর বলেছিলেন, একজন সতী, পরহেজগার, পঙ্গু নারীকে বিয়ে করলে এই বিয়েই হাসরের ময়দানে নাজাতের উসিলা হবে।

আল্লামা শফীর এই ঘোষণার পরে হাটহাজারীর এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জামালউদ্দিন প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে আল্লামা শফীর শারীরিক প্রতিবন্ধী কন্যাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে জামালউদ্দিন তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর প্রতি অবহেলা দেখালে প্রথম স্ত্রীর বড় সন্তান রোবায়েত বিন জামাল এ নিয়ে আল্লামা শফীর কাছে বারবার অভিযোগ করেন। কিন্তু এর কোন সুরাহা তারা পাননি বলে জানা যায়।

হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

হাটহাজারীতে আল্লামা শফী ও তাঁর মাদ্রাসা নিয়ে নানান গল্প ফাঁদা হয়। এর একটি হচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা। সংখ্যা বাড়িয়ে বলার মাধ্যমে মাদ্রাসার গুরুত্ব যেমন তুলে ধরা হয় তেমনি ক্ষমতা প্রকাশ করতেও তা ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ছাত্রসংখ্যা অনুদান পেতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সাধারণতভবে প্রচার রয়েছে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা বিশ থেকে ত্রিশ হাজার। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধানে নিশ্চিত জানা গেছে – হাটহাজারী মাদ্রাসায় মোট ছাত্রের সংখ্যা কোনভাবেই আট হাজারের বেশি নয় ।

তথ্যসূত্রঃ অপরাধ কন্ঠ ।

(আমার কোন দোষ ভাই, আমি পাইছি তাই দিয়ে গেলাম। পালাবার পথ অনেকেরই থাকেনা ভাই!!! সহনশীলতা বর্তমান ইসলাম থেকে উদাও হয়ে গেছে!!! ইসলাম আগে শান্তির ধর্ম ছিল এখন প্রতিহিংসা'র!!!)

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: অপরাধ কন্ঠ নামের একটা কমার্শিয়াল চটি থেকে রেফারেন্স দিলেন, তাই আর কিছু বলার নাই।

১৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৩:২২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: যে দেশে ১৩ % মুসলিম, সেখানকার ক্ষেত্র কি হতে পারে?

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: সেখানকার মুসলিমরা সে দেশের আইন কানুন মেনে চলবে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে ভাল সম্পর্ক মেন্টেন করবে। ফরজ ইবাদাত করবে, হারাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে। ফরজ ইবাদাতে বাধা এলে মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করবে। কোনভাবেই যদি ইবাদত করা না যায় বা জীবনের প্রতি হুমকি আসে, তবে অবশ্যই যে দেশে গেলে বাধাহীন ইবাদাত করা যাবে, সেখানে হিজরত করবে।

১৪| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -

গত ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশে হিফজুল কোরআন শিক্ষা এতই উৎকর্ষ লাভ করেছে যে মক্কা, মদীনা, মিসর, জর্ডান, কাতার, কুয়েতসহ আরব জাহানের নানা জায়গায় অনুষ্ঠিত কোরআনের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ১ম ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করছে ধারাবাহিকভাবে। এর মধ্যে প্রথম হওয়ার পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।........ইসলামি সংস্কৃতিতে একটানা ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশের হাফেজ ছেলেরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও এদের নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই।

------ এসব প্রতিযোগিতায় ১ম ২য় ৩য় হয়ে লাভটা কী ? এসব কোরান তেলাওয়াত করে বাংলাদেশের কোন লাভটা হয়েছে ? - কোন লাভই হয়নি। বরং এসব হাফেজগুলো দেশের বোঝা ! এরা তোতাপাখির মতো চোখ বন্ধ করে কোরান আওড়ায় কিন্তু শিক্ষাদীক্ষায় একদম জিরো। শিক্ষাদীক্ষায় জিরো হওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রেও চাকরিবাকরি পায় না। ফলে এসব হাফেজ তৈরি করে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কোন উন্নয়নই সাধিত হয় না। তাই এই তথাকথিত কোরান তেলাওয়াত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোন মানে নেই।

এছাড়া ইসলামিক সংস্কৃতি আবার কী জিনিস ? কোরান চোখ বন্ধ করে তোতাপাখির মত আওড়ানোর উপকারিতা কী ? সংস্কৃতি হচ্ছে গান বাজনা, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, নৃত্য, চিত্রাংকন ইত্যাদি। ইসলামে কোন সংস্কৃতি নেই বরং সংস্কৃতি চর্চায় ইসলাম বাধা দেয় যা মানব মনের উৎকর্ষ ও প্রগতির জন্য চরম অন্তরায় !

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: বাংলাদেশের যেসব ক্রিকেটারদেরকে দেড় দুই লাখ টাকা বেতন দিয়ে পালা হয়, এদের দিয়ে কি লাভ হয়? বাংলাদেশের এই হাফেজে কুরআনেরা দেশের নামকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে - এই অর্জন কি আপনার কাছে একেবারেই ফালতু মনে হয়?

ইসলামী সংস্কৃতি হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনা করার একটা ইউনিক প্র্যাক্টিস। নাচ-গান-উৎসব করার সময় হালাল হারাম মেনে চলা, প্রত্যহিক জীবন যাপন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিও এই সংস্কৃতির আওতায় পড়ে।

কোরআন চোখ বন্ধ করে যে আওড়ায়, সে ছাড়া আর কেউ বুঝবে না এর উপকারিতা কি! আমি নিজের কথা বলতে পারি। আমি যখন কোরআন তেলাওয়াত করি, তখন মনে হয় যে আমার প্রভুর কথা আমি নিজের মুখে উচ্চারণ করি আর আমার প্রভু সন্তুষ্টচিত্তে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। তখন যে কীরকম এক শান্তি অনুভূত হয়, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

১৫| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -

"বুদ্ধিজীবী পরিচয়ে কিছু লোকও এদেশে আছেন যারা মূলত ললিতকলা কিংবা গান নাটক অভিনয় দালালি বা বিজ্ঞাপন ব্যবসায়ী। কিছু আছেন কোন যোগ্যতা বা দক্ষতা নাই কিন্তু সংস্কৃতি জগতের তারাই সর্দার। তারা আবার সেরা বুদ্ধিজীবীও। সারা বিশ্বে বুদ্ধিজীবী কথাটির কী অর্থ আর বাংলাদেশে কী অর্থ জনগণ সে পার্থক্যটাই ধরতে পারছে না। ইসলাম ও মুসলমানের কোন প্রসঙ্গ এলেই এসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবী তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। সুযোগ পেলেই ইসলাম ও মুসলমানের যে কোন নিদর্শনকে ধোলাই করে ছাড়েন। কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, কলামিস্ট বা পেশাজীবী। কিন্তু ইসলামবিদ্বেষে ভরপুর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাদের ক্রোধ, ক্ষোভ আর বিদ্বেষ"

-------- আপনি তো দুই ধরনের কথা বললেন। একদিকে বলছেন নাস্তিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, কলামিস্ট বা পেশাজীবী, ললিতকলা কিংবা গান নাটক অভিনয় কর্মী আবার আরেকদিকে বলছেন - এদের যোগ্যতা বা দক্ষতা নাই ! তাহলে কাদের যোগ্যতা বা দক্ষতা আছে ? ঐ টুপিওয়ালা দাড়িওয়ালা ভুঁড়িওয়ালা শিক্ষাদীক্ষাহীন হাফেজ/মোল্লা/মৌলভীদের ? ওরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, সাংবাদিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী তো নয়। তাহলে ওরাই তো অদক্ষ এবং অযোগ্য। আজ পর্যন্ত দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালা ভুঁড়িওয়ালা মোল্লা/মৌলভী/হাফেজরা কোন কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছে ? টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল, ফ্রিজ, ওভেন, এসি কিংবা ঔষধ বা বিজ্ঞানের কোন থিওরী যা বাস্তবে প্রয়োগ করে মানবকল্যাণের কাজে ব্যয় করা যাচ্ছে ? - পারেনি। তাহলে এই নাস্তিক বুদ্ধিজীবী শ্রেণীরই দরকার পৃথিবীতে, অশিক্ষিত দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালা ভুড়িওয়ালা পানের পিক রাস্তায় ফেলা মোল্লা/মৌলভী/হাফেজদের দরকার নেই পৃথিবীতে। বরং, এরাই পৃথিবীর জন্য চরম বোঝাস্বরূপ !

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আপনি "কিছু আছেন" শব্দটা বোধ হয় লক্ষ করেননি। এই "কিছু" ছাড়া বাকিদের দক্ষতা বা যোগ্যতা তো অস্বীকার করা হয়নি।

আজ পর্যন্ত বড় বড় যত আবিস্কার - তা ঐ দাড়ি টুপিওয়ালারাই করেছে। গণিতে আল বেরুণী, আর খারিজমি যা করেছেন, তার উপর ভিত্তি করেই আজকের পদার্থ বিদ্যা, গতিবিদ্যা বিস্তার লাভ করেছে। লোকমান হাকিম প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসার উপায় উদ্ভাবন করেছেন। শল্য চিকিৎসার বিপদজনক পরীক্ষা করে ইবনে সীনা লাখো জীবন বাচিয়েছেন। গ্রানাডার এক অখ্যাত মুসলিম জ্যোতির্বিদের তৈরি ম্যাপের উপর ভিত্তি করে কলম্বাস আটলান্টিক পাড়ি দেবার ঝুঁকি নিয়েছেন।

আপনি এত কথা বলেন, এবার বলুন তো এই নাস্তিক বুদ্ধিজীবী শ্রেণী এই নধর দেশের কয় পয়সার উপকারে এসেছেন?

১৬| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -

"এ সময়ের আলোচিত টকশো সৈনিকদের মধ্যে হেফাজত নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হুমায়ুন আইয়ুব উল্লেখযোগ্য। তারা তাবড় তাবড় ব্যক্তির সাথে টকশোতে যোগ দিচ্ছেন। একজন গিয়ে বসছেন তিন চারজনের মোকাবেলায়। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, কওমী মাদরাসায় কেমন লোক তৈরি হয়, তা কি এরা এসব বিতর্কে বসেও টের পান না। নাতির বয়সী তরুণ আলেমদের মুখোমুখি হয়ে তারা ঘেমে নেয়ে উঠেন"


------- এসব ফয়জুল্লাহ, সাখাওয়াত, ইউসুফী, মামুনুল, ইসলামাবাদী, হুমায়ুন কারা ? এরা কী মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ম্যাথ বায়োলজি বা এরকম আরো অন্যান্য সাবজেক্টে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট বা শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখা কেউ ? উত্তর - না। এরা হলো পেট ফোলা ভুঁড়িওয়ালা দাড়িওয়ালা টুপিওয়ালা অশিক্ষিত লোকজন যারা রাস্তায় মুখ বিকৃত করে পচাৎ করে পানের পিক ফেলে, অশুদ্ধ বাংলায় কথা বলে, বিভিন্ন মিলাদ মাহফিলে ফ্রি ফ্রি খেয়ে বিশাল ভুঁড়ি বানায়। এসব লোকজন কী মানবতা, সমাজ বা সভ্যতার উন্নয়নের কোন ভূমিকা রেখেছে ? আবিষ্কার করেছে কিছু কিংবা কোন গুরুত্বপূর্ণ থিওরি দিয়েছে যা থেকে বিভিন্ন উপকার সাধিত হচ্ছে সমাজে ? উত্তর - না। এই লোকজনের নাম তাদের অশিক্ষিত মুরিদ ছাড়া আর কেউ জানে ? উইকিপিডিয়া কিংবা ব্রিটানিকায় তাদের নাম ও অবদানের কথা লেখা আছে ? - নেই। সুতরাং, আপনার এসব ফালতু গপ্পের কোন মানে আছে ?

১৭| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: নীল আকাশ ২০১৬। খুব বেশি কিছু বলার দরকার নেই।

মানুষ যখন সভ্য হতে শুরু করল সেই প্রাচীন ইতিহাস থেকে আজকে পর্যন্ত একটু জেনে বলুন তো, আপনারা বা আপনার মতের মানুষরা বা গোষ্ঠীর লোকেরা মানব সভ্যতার উন্নয়নে কি অবদান রেখেছেন? একবারেই ০০০%।

অতএব ভাবুন, আর ভাবুন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আপনার যদি আব্বাসিয় খেলাফতের সময়কাল, সে সময় জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার এবং সমসাময়িক ইতিহাস সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে, তবে আমার আর কিছুই বলার দরকার নেই।

১৮| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -

"গত সপ্তাহে একজন বিশাল বুদ্ধিজীবী একজন আলেমকে প্রশ্ন করলেন, মূর্তি ও ভাষ্কর্যের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা কি আপনার জানা আছে? মাওলানা সাহেব রেগে না গিয়ে বললেন, ঢাকা ও কলকাতার যে কোন বাংলা অভিধান খুলে আপনি দেখে নিতে পারেন কোন পার্থক্য আছে কিনা। আমি বললে তো সেটা ঠিক না-ও হতে পারে। ডিকশনারিতে তো মূর্তি ও ভাস্কর্য একই অর্থে লেখা হয়েছে। একজন বুদ্ধিজীবী বললেন, কওমী মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না কেন? জবাবে মাওলানা সাহেব বললেন, বাংলাদেশের কোন্ আইনে আছে যে মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে? ১৯৭৮ সালের জাতীয় সঙ্গীত আইন কি আপনি ভাল করে পড়েছেন? যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না সে কারণেই মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। এটি ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী আমলেও গাওয়া হয়নি। তখন আর কথা না বাড়িয়ে বুদ্ধিজীবী ও তার দোহারেরা কথার মোড় ঘুরালেন, যদিও রাগে গোস্বায় তারা গর গর করছিলেন। গ্রিক দেবী বিষয়ে এক অনুষ্ঠানের নামই দেয়া হয় ‘মা তোর বদনখানি মলিন হলে’। চ্যানেলটির লোকজন গ্রিকদেবী থেমিসকে তাদের মা বলে মেনে নিয়ে তার অপসারণকে মায়ের বদনখানি মলিন হওয়া ভেবে তারা নয়ন জলে ভাসছেন বলে ধরে নিয়েছিলেন। অথচ এ নিয়ে অতিথিদের দু’জনের একজনও কোন আপত্তি করলেন না। জাতীয় সঙ্গীতের এই মা তো হচ্ছেন বাংলা মা, বর্তমানে বাংলাদেশ। গ্রিক দেবী থেমিস কবে আবার বাংলাদেশের মানুষের মা হলেন? এত স্থূল ও হাস্যকর বিষয়ও যখন আমাদের গুণীসমাজকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়, তখন দেশবাসী তাদের উপর ভরসা রাখবে কেমন করে? এর চেয়ে বরং নবাগত আলেম ও মুফতিদের বক্তব্য যুক্তি ও উপস্থাপন, তা যত ¤্রয়িমান ও সাদামাটাই হোক দেশবাসীর কাছে তাই ভাল লাগছে। হাজার ঘৃণা, বিদ্বেষ, অবমূল্যায়ন, অপপ্রচার ও বিমাতাসূলভ আচরণ সত্তে¡ও জনপ্রিয় দেশপ্রেমিক ইসলামপন্থীরা উঠে আসছেন। এদের সরলতা, সততা ও নিষ্ঠার সামনে বিরোধীরা পরাজিত হবেই। এদের ভালোবাসা শুভকামনা, যুক্তি, অহিংস কর্মপন্থা ও রাতদিন শত্রু বন্ধু নির্বিশেষে সকলের হেদায়েতের আন্তরিক দোয়ার বৃত্ত থেকে ইসলাম বিদ্বেষীরা পালাবার পথও পাবে না।"


------- মূর্তি এবং ভাস্কর্য উভয়ে একই জিনিস কিন্তু প্রেক্ষাপট আলাদা।

মূর্তি শব্দটা ব্যবহার করা হয় ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে যেমনঃ দেবদেবীদের মূর্তি।

ভাস্কর্য শব্দটা ব্যবহার করা হয় শিল্পসংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপটে যেমনঃ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য।

আবার ধর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে উভয়েই ব্যবহার করা চলে যেমনঃ বঙ্গবন্ধুর মূর্তি কিংবা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য।

আসল কথা হচ্ছে - বাংলাদেশে মূর্তি এবং ভাস্কর্য উভয়েই থাকতে হবে।

প্রশ্নঃ কেন থাকতে হবে ?

উত্তরঃ

১) মূর্তি থাকতে হবে কারণ দেশে ১ কোটির মতো হিন্দু ধর্মাবলম্বী আছে, কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীও আছে। তারা বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক। নিজ দেশে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের সম্পূর্ণ অধিকার আছে। যেহেতু হিন্দু এবং বৌদ্ধগণ বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশ সেহেতু মূর্তি হটানোর দাবি করাটাই বাংলাদেশের সংবিধানের চরম পরিপন্থী অন্যায্য একটা দাবি। এই দাবি যারা করে, তাদেরকেই দেশের অন্য ধর্মের জনগণের ধর্মপালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা উচিত।

২) ভাস্কর্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত। শিল্পকলা সারা পৃথিবীতে ইতিবাচক একটি বিষয় বলে স্বীকৃত। শিল্পকলা মানুষ মারে না কিন্তু জঙ্গিবাদ মানুষ মারে। শিল্পকলা করলে মানুষের অর্থগত কিংবা সামাজিক কিংবা স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু জঙ্গিবাদ করলে তাতে দেশের ও দেশের জনগণের ক্ষতি হয়। দেশে ভাস্কর্যের প্রতি অনুরাগী একটা জনসংখ্যা রয়েছে। ফলে, ভাস্কর্য বানানো কিংবা দেখা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সম্পূর্ণই তাদের ন্যায্য অধিকার। ফলে, ভাস্কর্য থাকবে। যাদের ভাস্কর্য ভালো লাগে না, তারা সেটাকে এড়িয়ে চলবে কিন্তু পরের অধিকারে কখনোই হস্তক্ষেপ করার ধৃষ্টতা দেখাতে পারবে না। পরের ব্যক্তিঅধিকারে হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সংবিধানের ও জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সনদের চরম পরিপন্থী।

৩) গ্রীক দেবী থেমিসের পুজা হিন্দু বা অন্য কেউ করে না, এযুগে থেমিসের পুজা কোন ধর্মের লোকজনই করে না। এছাড়া যেই প্রতিকৃতি সুপ্রিম কোর্টের সামনে ছিলো, সেটি শাড়ি পরিহিতা একজন নারীর প্রতিকৃতি, গ্রীক দেবী থেমিস শাড়ি পরতেন না। ফলে এই প্রতিকৃতিকে আমরা গ্রীক দেবী থেমিস বলতে পারি না এবং একে মূর্তিও বলতে পারি না, যেহেতু প্রতিকৃতিতে একটি শাড়ি পরা নারী মূর্তি রয়েছে। ফলে এটিকে 'ভাস্কর্য' বলতে হবে। যেহেতু এই ভাস্কর্যকে ঘিরে কেউ জটলা বাধে না, এই ভাস্কর্যের কারণে সুপ্রিম কোর্টের কোন কাজের অসুবিধা হয় না, সুতরাং এই ভাস্কর্য সরানোর সামান্যতম যৌক্তিকতা নেই। এটি এটির মতো সেখানে পড়ে ছিলো, কারো কোন অসুবিধা করছিলো না। কিন্তু শেয়ালের মত শঠতাপূর্ণ হেফাজতিরা হইচই, অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারায় মানুষের নজর এড়িয়ে যাওয়া এই ভাস্কর্যের পেছনে পড়েছে যাতে এই ইস্যু খাড়া করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়, দেশকে অস্থিতিশীল করা যায়। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। দেশকে অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টার কারণে তেতুল হুজুর, বাবুনাগরী ও তাদের চামচা কিংবা সাঙ্গোপাঙ্গদের পশ্চাৎদেশে বেত বা পুলিশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জেলে ঢোকানো উচিত !

এবার আসা যাক জাতীয় সঙ্গীতের ব্যাপারে। স্কুলে সকালে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ঠিকই হয়। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া সম্ভব হয় না তাতে প্রচুর ছাত্র কিংবা পড়াশোনার জন্য যে সময়টুকু বরাদ্দ তা স্বল্প বলে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবসগুলোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিধান আছে এবং সেগুলো অফিশিয়ালি ফলো করা হয়। একমাত্র মাদ্রাসাতেই হয় না যা দেশের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

অতএব, আপনার এই লেখা যে চরম হাস্যকর ও অর্থহীন তা সর্বৈব প্রমাণিত হলো।


১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ১) ইসলামে যার যার ধর্ম পালনে কোন বাধা নেই। হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মের ধর্মীয় আচার আচরণের প্রয়োজনে যদি মূর্তির প্রয়োজন পড়ে, তবে সে ধরণের মূর্তি গড়তে কোন মুসলিম বাধা দেবেনা। কিন্তু যে মূর্তি কেউ পূজা করেনা - সে মূর্তির অস্তিত্ব ইসলাম স্বীকার করেনা। কাবাঘরের মূর্তি যতদিন পূজিত হত, ততদিন কেউ তা ভাংতে আসেনি। যখন মক্কার সব মানুষ ইসলাম গ্রহণ করল, মহানবী (সঃ) সেই দিনই মূর্তি ভাংতে লোক পাঠালেন।

২) ভাস্কর্য তৈরিতে ইসলামে কোন বাধা নেই। তবে প্রাণীর ভাস্কর্য বা ছবি ইসলামে হারাম। এ ব্যাপারে কোন আলেম দ্বিমত পোষণ করবেনা কখনোই। শাপলা চত্বর বা স্মৃতিসৌধ দুটি অনুপম ভাস্কর্য। যে কোন আলেমকে জিজ্ঞেস করুন - তারা এই ভাস্কর্য ভাঙ্গা তো দূরে থাক, এগুলোর প্রশংসাই করবে। শিল্প চর্চা কোন মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়েনা, বরং একজনের অধিকার চর্চা অন্যের বিরক্তি উৎপাদন করতে পারে। যেমন শাড়ি পড়া মূর্তি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিরক্তি উৎপাদন করেছে। এ ধরণের শিল্প চর্চা না করাই ভাল।

৩) ওটা কি গ্রীক দেবী (আসলে দেবী নয়, দানবঃ গ্রীক মিথলজি অনুযায়ী থেমিস একজন টাইটান) নাকি বাঙালি মেয়ে এটা নিয়ে স্বয়ং মৃণাল হকই পরিস্কার নয়। বাঙালি মেয়ের হাতে তলোয়ার কে কবে দেখেছে? একে যদি মূর্তি নাও বলি, তাহলে প্রাণীর ভাস্কর্য বলতে তো আপত্তি নেই। তাই ওটা হারাম। কোন ঈমানদার ব্যক্তি হারাম কাজ কোথাও হতে দেখলে প্রতিবাদ করবে - এটাই স্বাভাবিক।

এবার আসি জাতীয় সংগীতের ব্যাপারে। বাংলাদেশের কোন আইনের কোন ধারায় আছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাইতে হবে? যদি থাকে, তবে আপনারা মামলা করছেন না কেন? এটা তো তর্ক করার বিষয়ই না, এ্যাকশনের বিষয়। তবে কোন আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মাদ্রাসা গুলোতে হচ্ছে, সেটা জানিয়ে গেলে খুব খুশি হতাম।

অতএব, আমার এই লেখা যে চরম যৌক্তিক ও অর্থপূর্ণ তা সর্বৈব প্রমাণিত হলো।

২০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা হা .................

২১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



নীল আকাশ ২০১৬,
ধন্যবাদ। চালিয়ে যান। খড়-কুটোকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জোয়ারের পানি এগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবেই। ধোলাইকৃত মগজ কারও কারও। এগুলোতে সত্য সয় না। তবে, সময়ের ব্যবধানে একদিন তারাও সত্য বুঝবেন। সবকিছু পরিষ্কার হবে তাদের সামনেও। কিন্তু, সেদিন আর কিছুই করার থাকবে না।

সে দিন আসার পূর্বেই আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে তাঁর নির্দেশিত পথে চলে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দিন। আমীন।

২২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনার যুক্তিহীন তথা উদ্ভট বক্তব্যসমূহের জবাবঃ

বাংলাদেশের যেসব ক্রিকেটারদেরকে দেড় দুই লাখ টাকা বেতন দিয়ে পালা হয়, এদের দিয়ে কি লাভ হয়? বাংলাদেশের এই হাফেজে কুরআনেরা দেশের নামকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে - এই অর্জন কি আপনার কাছে একেবারেই ফালতু মনে হয়?

উত্তরঃ

বাংলাদেশ একসময়ে ক্রিকেট র‍্যাংকিংয়ে ১০ নম্বর ছিলো কিন্তু বর্তমানে তাদের পেছনে খরচ করা ও যত্ন নেওয়ার কারণে ১০ থেকে ৬ নম্বরে উঠে এসেছে। শ্রীলংকার সাথে অবস্থান করছে, পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এসব খেলার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন না হোক, রানার্স আপ হয়ে অর্থ আয় হচ্ছে। ১০ থেকে ৬ নং অবস্থানে উন্নীত হওয়া প্রমাণ করে ভবিষ্যতে আরো উন্নতি সম্ভব !

আর এসব অশিক্ষিত তোতাপাখিসম হাফেজ দিয়ে টাকাও আয় হচ্ছে না, সম্মানও আসছে না। কারণ, এসব কোরান তেলাওয়াতের প্রতি মানুষের কোন আগ্রহ বা আকর্ষণ নেই। এসব কেরাত প্রতিযোগিতা টিভির সামনে বসে কেউই দেখতে চায় না। যেদিকে মানুষের আগ্রহ, সেদিকে অর্থ ব্যয় করতে হবে। ফলে ক্রিকেটের পেছনে অর্থ ব্যয় সম্পূর্ণই যৌক্তিক।


ইসলামী সংস্কৃতি হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনা করার একটা ইউনিক প্র্যাক্টিস। নাচ-গান-উৎসব করার সময় হালাল হারাম মেনে চলা, প্রত্যহিক জীবন যাপন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিও এই সংস্কৃতির আওতায় পড়ে।

উত্তরঃ এসব হালাল হারাম মেনে মানুষের লাভ কী ? যারা শুকর খাচ্ছে, সাপ খাচ্ছে - তাদের জীবন চলছে না ? তাদের আয়ু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মানুষের আয়ু থেকে বেশি। নাস্তিক জাপানের মানুষের আয়ু ৮৪ বছর পক্ষান্তরে মুসলিম সৌদি আরবের মানুষের আয়ু ৭৪ বছর ! ব্যাপক পার্থক্য !

কোরআন চোখ বন্ধ করে যে আওড়ায়, সে ছাড়া আর কেউ বুঝবে না এর উপকারিতা কি! আমি নিজের কথা বলতে পারি। আমি যখন কোরআন তেলাওয়াত করি, তখন মনে হয় যে আমার প্রভুর কথা আমি নিজের মুখে উচ্চারণ করি আর আমার প্রভু সন্তুষ্টচিত্তে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। তখন যে কীরকম এক শান্তি অনুভূত হয়, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।


উত্তরঃ আপনার শান্তি আপনার নিজের কাছে রাখুন। অন্যকে জোর জবরদস্তি করে শান্তি শেখাতে আসলে অন্যের অশান্তি হবে। সারা পৃথিবীতে যারা নামাজ পড়ছে না, তাদের শান্তি আপনার চেয়ে অনেক বেশি। তাদের জীবনে অর্থ আছে, সম্মান আছে, সেসব দেশের চমৎকার নিয়মকানুনের কারণে তাদের জীবনযাপনে সাচ্ছন্দ্য আছে। আপনার এগুলোর কিছুই নেই। ইসলামিক দেশগুলো দুর্নীতি, আত্মঘাতী বোমা হামলা আর গৃহযুদ্ধ দিয়ে ভরা।

০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: টাকা উপার্জন ছাড়া আপনি যদি আর কিছুতে লাভ দেখতে না পান, তাহলে ব্যবসা বাণিজ্যে মনোনিবেশ করুন। তাহলে স্বীকার করতে হবে এসব হাফেজেরা বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেনি। তা ক্রিকেটারগণ মাসে দুলাখ টাকা বেতন নিয়ে দেশের জন্য কয় টাকা কামাই করে আনছেন - তার কোন হিসাব কি আছে?

আমাদের কাছে অর্জনটা টাকার নয়, সম্মানের। ধরুন, বাংলাদেশের কোন মেয়ে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জিতে দেশে এল। তখন আপনার বুকের ছাতি ফুলে যেরকম উচু হবে, ঐ হাফেজদের সাফল্যে আমাদের বুকের ছাতিও যেরকম ফুলে ওঠে। তখন মিডিয়া খুব লাফালাফি করত, কিন্তু হাফেজদের ব্যাপারে লাফালাফি দূরে থাক, এ খবর কেউ পরিবেশনেই আগ্রহী হয়না। একারণে এসব হাফেজদের সাফল্য আপনার মনে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনা।

হালাল হারাম মেনে লাভ হচ্ছে শান্তি, মানসিক শান্তি। কিন্তু এসব বিধিনিষেধ মানার চুড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে পারলৌকিক মুক্তি। হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। তবে যতটুকু আয়ু পাওয়া যায় - সেটুকুকে অর্থবহ করে তোলাই গুরুত্বপূর্ণ। ৮৫ বছরের শিয়াল কুকুর মার্কা জীবনের চেয়ে ২৫ বছরের মানুষের জীবন অনেক বেশি অর্থবহ।

দুনিয়ার শান্তিকে যদি আপনি চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে ধরেন, আপনার সাথে আমার মতে কখনোই মিলবেনা। আপনি তাদের রাস্তা ধরেন, আমি আমার রাস্তায় সুখ সাচ্ছন্দের সন্ধান করি। এ নিয়ে লেখা চালাচালি করে কোন লাভ নেই।

এই দুনিয়ায় এখন কোন ইসলামী দেশের অস্তিত্ত নেই। এগুলোকে বড়জোড় মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ বলা চলে। এরা নিজ দেশ পরিচালনায় অমুসলিম শক্তির উপর নির্ভরশীল - তাই তাদের কোন শান্তি নেই।


২৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আপনি লিখেছেন -

আজ পর্যন্ত বড় বড় যত আবিস্কার - তা ঐ দাড়ি টুপিওয়ালারাই করেছে। গণিতে আল বেরুণী, আর খারিজমি যা করেছেন, তার উপর ভিত্তি করেই আজকের পদার্থ বিদ্যা, গতিবিদ্যা বিস্তার লাভ করেছে। লোকমান হাকিম প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে চিকিৎসার উপায় উদ্ভাবন করেছেন। শল্য চিকিৎসার বিপদজনক পরীক্ষা করে ইবনে সীনা লাখো জীবন বাচিয়েছেন। গ্রানাডার এক অখ্যাত মুসলিম জ্যোতির্বিদের তৈরি ম্যাপের উপর ভিত্তি করে কলম্বাস আটলান্টিক পাড়ি দেবার ঝুঁকি নিয়েছেন।

আপনি এত কথা বলেন, এবার বলুন তো এই নাস্তিক বুদ্ধিজীবী শ্রেণী এই নধর দেশের কয় পয়সার উপকারে এসেছেন?


উত্তরঃ

১) বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী মুসলিম মাত্র ১ জন। তাও সেটা আরো ২ জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে পাওয়া। যে পেয়েছে তার দাঁড়ি টুপি ছিলো না।

২) আল বেরুনী, খারিজমী নিয়ে ইসলামিক দেশের বইপত্রে ১০ গুণ বেশি বাড়িয়ে বলা হয়। কিন্তু উইকি বা ব্রিটানিকার মতো স্বীকৃত সাইট থেকে দেখা যায় - তাদের অবদান খুবই সাধারণ ও প্রাথমিক পর্যায়ের, এডভান্সড লেভেলের নয়। আর তারা গবেষণাতে মন দিতেন, নামাজ কালাম নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকতেন না। নামাজ কালাম নিয়ে দিনরাত পড়ে থাকলে আর গবেষণা করা লাগতো না ! জাকির নায়েক দিনরাত কোরান নিয়ে পড়ে আছে না ? সে কী আবিষ্কার করতে পেরেছে ? - কিছুই না ! সুতরাং, জাস্ট নাম আরবী বা পৈতৃক সূত্রে মুসলিম বলে তাদের ধার্মিক বানিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চরম অসততা ! ইবনে সিনার ওপর ধার্মিক মুসলিমেরা অনেক অত্যাচার করেছিলো। সেগুলোর বর্ণনা বিভিন্ন গ্রন্থে আছে। সেই যুগে খ্রিষ্টান যাজক শ্রেণীরাই নাস্তিকদের অনেক অত্যাচার নির্যাতন করতো। সেখানে ইসলামের মতো আরো কট্টর ধর্মের দেশে নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দিয়ে নিজের কবর নিজেই খুড়বে - এমন বোকামি কেউই করতেন না। আমাদের বাংলাদেশেও তো নাস্তিকেরা পাসপোর্ট বা কাগজে কলমে মুসলিম পরিচয়ে চলেন মুসলিমদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য। ইবনে সিনারাও একইভাবে চলতেন। তারপরও ইবনে সিনার ওপর মুসলিমদের অত্যাচার প্রমাণ করে - মুসলিমেরা ইবনে সিনার প্রগতিশীল কর্মকাণ্ডকে অপছন্দ করতো !

৩) গ্রানাডার অখ্যাত মুসলিম জ্যোতির্বিদের নাম কী ? - এসব মিথ্যা গল্প কম করেন। নাম না বলে এসব মিথ্যাচার যে কেউই করতে পারে। নাম বলছেন না কারণ এরকম কেউ বাস্তবে নেই।

৪) নাস্তিকেরা বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী লোকজন - হুমায়ুন আজাদ ( বিএ+এমএ উভয় শ্রেণীতেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট), জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আহমদ শরীফ, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, এশিয়ার নোবেল বলে খ্যাত র‍্যামন ম্যাগসেসাই পুরষ্কার প্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, দেশের ২ শ্রেষ্ঠ কবি - শামসুর রাহমান, সুফিয়া কামাল ইত্যাদি)। শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ক্যাটাগরির লোকজন অধিকাংশই নাস্তিক।

০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ১)নোবেল সম্পর্কে ভাল করে জেনে তারপর গপ্পো মারতে আসেন। এদের ছবি দেখুন, তারপর গপ্পের সত্যতা যাচাই করুন।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Muslim_Nobel_laureates

মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার স্বর্ণযুগ যে সময়টাকে বলা হয়, সেই সময়ে নোবেল প্রাইজ চালু হয়নি। যদি হত, তবে বিজ্ঞানে সমস্ত প্রাইজ তারাই দখল করে রাখত।

২) আপনার সব জ্ঞান উইকি থেকে পাওয়া, কাজেই উইকির হিসাব নিয়ে আপনার সাথে তর্ক করার কোন মানে হয়না। উইকির জ্ঞান নিয়ে আপনি তৃপ্তিতে ভোগেন। আল খারিযমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই ব্লগে
http://www.somewhereinblog.net/blog/shahadatruet/29376399

ইবনে সিনার প্রতি যে অত্যাচার করা হয়েছিল, সেটা তিনি বিজ্ঞানি বলে নয়, তিনি রাজার বেতনভুক্ত গোলাম হতে অস্বীকার করেছিলেন বলে। ইবনে সীনা সম্পর্কে আরও জানুন, আপনার প্রশ্নের জবাব পাবেন।

৩) গ্রানাডার অখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানির নাম মুহাম্মদ আল ইদ্রিস আল আন্দালুস। নিভৃতচারী বলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। খ্রিস্টান চিত্রপরিচালকের তৈরি 'রিক্যুয়েম ফর গ্রানাডা' ছবিতে এক দৃশ্যে এই বিজ্ঞানীর কাছ থেকে কলম্বাসকে একটি চামড়ার ম্যাপ নিতে দেখা যায়, যাতে আমেরিকা যাবার পাথঅয়ে নির্দেশ করা ছিল।

৪) প্রশ্নের উত্তর কিছুই পেলাম না। আপনার ধারণা মতে হাফেজেরা দেশের জন্য কোন কামাই করেনা, তাই তাদের অর্জনের কোন মূল্য নেই। কিন্তু এইসব নাস্তিক প্রগতিশীলগণ দেশের জন্য কি কামাই করে এনেছেন, তা তো এড়িয়ে গেলেন।


২৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: আপনার বাড়ি কি ঝিনাইদহে ভাই? রেইড পড়েনি এখনো?

২৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি মুসলমানিত্বের যে ব্যাখ্যা দিলেন, সে অনুযায়ী ঐসব বিজ্ঞানিদের কয়জনকে আপনি সত্যকারের ইহুদী নাসারা বলবেন? এরা কি নিয়মিত চার্চে যেতেন? বাইবেলের ব্যাখ্যা দিতে পারতেন?

বুঝতে পেরেছেন যে এই সব বিজ্ঞানীরা বেশির ভাগই ধমের ধান্দায় নাই....

২৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৬

সমাজের থেকে আলাদা বলেছেন: Click This Link
ইহা আমাদের বাংলাদেশের ধর্মশিক্ষার খতিয়ান। আসুন দলে দলে আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.