![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আপামর জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ বিশ্ববাসীর কাছে ছিলো এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তারপরেও কিছু ঘৃণিত বেঈমান, কুলাঙ্গার বাঙালী ছিল- যারা মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে। শুধু বিরোধীতা করেই চুপ থাকেনি, তাঁরা নির্বিচারে বাংলাদেশের নিরীহ জনগণকে হত্যা করেছে, মুক্তিযুদ্ধাদের ওপর নির্যাতন করেছে, লাখ লাখ মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে । সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে। এইসব বেঈমান, মীরজাফর, রাজাকারদের বিচার দেরীতে হলেও করা হচ্ছে । স্বাধীনতার স্বপক্ষের বাংলাদেশের সাধারন জনগণ এই সব রাজাকারদের বিচারের রায় কার্যকর করায় উৎফুল্ল, আনন্দিত ।
আমরা জানি, যেসব শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীরা ধরা পড়েছে, বিচার হয়েছে, রায় কার্যকর করা হয়েছে, তারাই শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেনি, তারাই কেবল মানুষ হত্যা, অত্যাচার, নির্যাতন করেনি, তাদের সাথে আরো অনেক রাজকার, আল বদর, আল শামসসহ ঘাতক আছে , যাদেরকে আমরা বিচারের আওতায় এখনো আনতে পারিনি। প্রকৃতির নিয়মেই প্রতিদিনই যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অনেকেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কেউ দেশের বাইরে, কেউ দেশের ভেতরে। যারা যে ধর্মের সেই ধর্মের নিয়মেই শেষ কৃত্য সম্পাদন হচ্ছে। মুসলমান হলে তাদেরকে কবরস্থানে ধর্মীয় নিয়ম-কানুন মেনে দাফন কার্য শেষ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- যে মাটিতে মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ঘুমিয়ে আছেন, সেই মাটিতে কিভাবে যুদ্ধাপরাধীর কবর হবে?
ধর্মীয় সহানুভুতির আড়ালে এই সব যুদ্ধাপরাধীরা নীরবে, কখনো কখনো বীর মুক্তিযুদ্ধার কবরের পাশে শায়িত হচ্ছে। একজন যুদ্ধাপরাধী কোন ভাবেই একজন মুক্তিযুদ্ধার পাশে শায়িত হতে পারে না, হলে সেটা মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি অপমান প্রদর্শিত হয় বলেই আমার ধারনা!
আমি আমার এই লেখার মাধ্যমে সরকারে কাছে বিশেষ করে স্বাধীনতা স্বপক্ষের সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি, সরকার যেন যুদ্ধাপরাধীদের জন্য পৃথক একটা কবর স্থান নির্ধারন করে দেন। সেখানেই যেন সব যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের দোসরদেরকে শায়িত করা হয়।ইতিমধ্যে যারা মারা গেছে বা বিচারের আওতায় দন্ড কার্যকর করা হয়েছে- তাদের কবর এই বিশেষ কবরস্থানে প্রতিস্থাপন করা হোক ।
আমার এই দাবীর সমর্থনে কিছু যুক্তি নিচে তুলে ধরলাম:
১। নতুন প্রজন্মকে যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে ।
২। ভুল ক্রমেও কোন রাজাকার, রাজাকারের বাচ্চা, দোসর এবং সমর্থনকারী শহীদ মুক্তিযুদ্ধার সমাধীর পাশে শায়িত হতে পারবে না।
৩। সাধারন মানুষ যেন বছরে একদিন ঘৃণা জানাতে ঐ কবরস্থানে গিয়ে থুথু ছিটাতে পারে।
৪। প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর কবরে নাম ফলকে লিখতে হবে "যুদ্ধাপরাধী অমুক" যেমন: "যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলী" এরপর সংক্ষেপে তার কুকীর্তির ফিরিস্তি লেখা থাকবে, ভবিষ্যত প্রজন্ম জানবে এবং প্রচন্ড ঘৃণা নিয়ে ধিক্কার জানাতে পারবে।
৫। সর্বশেষে রাজাকাররা ধর্মীয় সহানুভুতির আড়ালে সরল মানুষদের ধোঁকা দিয়ে সহানুভুতি আদায় করতে পারবে না।
৬। যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের কথিত শহীদ আখ্যা দেয়া হচ্ছে, তা করতে পারবে না ।
৭. একাত্তরের গণহত্যার কুশীলবদের শহীদ আখ্যা দেয়া যাবেনা, নামফলকে রাজাকার, আল বদর ও যুদ্ধাপরাধীই লিখতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীরা এদেশের কলংক । কলংকিত এসব যুদ্ধাপরাধীরা কোন ভাবেই যেন বাংলাদেশের সুনামধন্য , জাতীয়ভাবে সমাদৃত কবরস্থান গুলোতে স্থান না পায়। ওদের জন্য অতি দ্রুত একটি কবরস্থান তৈরি করা হোক এবং নাম দেয়া হোক "যুদ্ধাপরাধী কবরস্থান” ।
আসুন, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য আলাদা কবরস্থানের দাবীতে সোচ্চার হই ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪
মাসুদ অারিয়ান বলেছেন: হুম, নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই সোচ্চার হলেই সম্ভব ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬
চন্দ্রনিবাস বলেছেন: পুরোপুরি একমত লেখকের সাথে। এদেরকে এ দেশে না রেখে পাকিস্থানে পাঠিয়ে দেয়াই উচিত বলে আমি মনে করি। ইনফেক্ট এটা বেশি যুক্তিযুক্ত। কারণ এদেশে এরা মরলে পাকিস্থান কষ্ট পায়। কই আগুনে পোড়ানো মানুষ নিয়েতো পাকিস্থানের কষ্ট হয়নি। তাই যার যেই নিবাস সেখানেই তাকে পাঠিয়ে দেয়া উচিত। সাথে এই অমানুষগুলোর রেখে যাওয়া পরিবার-পরিজনদের। এতে পরিবেশের শান্তি বিনষ্ট হয় না।
নীল আশরাফঃ "বিচার কাজ ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে এবং তা রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছে - এর পক্ষে অনেক যুক্তি প্রমাণ আছে। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে- এসব ব্যক্তির যুদ্ধকালীন অপরাধ ছাড়া আর কোন অপরাধ কখনও অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি। "
১ নং- আসামী পক্ষের আইনজীবীরা কি আদালতে বসে বৃদ্ধঙ্গুলী চুষতেছিলো যে প্রমাণ থাকা স্বত্তেও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হইলো।
২ নং- তার চেয়ে বড় কথা হলো, এদের বিচার হইছে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে। আর কোনো ইস্যুতে না।
**সকল যুদ্ধাপরাধীদের জন্য আলাদা কবরস্থান চাই**
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫
মাসুদ অারিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ চন্দ্রনিবাস ।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। ৭১ এর এই পিশাচ্গুলর কবরস্থান আলাদা হলে সেটা নিয়ে একটা বিশৃংখলা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।আর আপনার কথাতেই তা প্রকাশ পায়। অলরেডি জামাতি ছাগুর ল্যদানি শুরু হয়া গেছে পোস্টে। @নীল আশরাফ… তমার আব্বুদের বাচাইতে আদালত যাও।বল্গে ল্যদায়া লাভ নাই।এই নরপিশাচ গুলোর হাজার বার মরন হলেও বাংালি শান্তি পাবে না। চন্দ্রনিবাসের সাথে একমত, পাকিস্তান পাথায়া দেয়া হোক।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
মাসুদ অারিয়ান বলেছেন: @অগ্নিঝরা আগন্তুক নীল আশরাফ কমেন্ট ডিলিট করে পালিয়েছে । নরপিশাচদের জার্মান নাৎসি যুদ্ধাপরাধীর মতো হয় পুড়িয়ে দেয়া হোক না হয় একই স্থানে কবরস্থ করা হোক, যাতে প্রজন্ম প্রতিদিনই থুতু নিক্ষেপ করতে পারে ।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: আসলে কি ঠিক?
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: @চন্দ্রনিবাস, আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলাম এখন কোথায়? জামাতের বড় আইনজীবী ব্যরিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এখন কোথায়? বিচার কাজে উভয়পক্ষকে যদি সমান সুযোগই দেয়া হবে তো এরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন? জামাতে এত আইনজীবী থাকতে বিএনপি থেকে মাহবুবকে হায়ার করতে হল কেন?
দুঃখের সংগে জানানো যাচ্ছে, আপনাদের প্রশ্নের জবাব যেন দিতে না পারে, এজন্য নীল আশরাফকে শর্তাবলীর লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে তার বক্তব্য মুছে দেয়া হয়েছে - তাকে ব্যান করা হয়েছে। কিন্তু কোন শর্ত সে ভঙ্গ করেছে, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সেই শর্তাবলির ৩খ এবং ৪চ অনুযায়ী অগ্নিঝরা আগন্তুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দেখা যাক মডুরা তাকে কোন শর্তের লিস্ট ধরায় কিনা।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
মাসুদ অারিয়ান বলেছেন: @নির্ঝরের_স্বপ্ন : জামাতে এত আইনজীবী থাকতে বিএনপি থেকে মাহবুবকে হায়ার করতে হল কেন? এই প্রশ্নটি জামাতী প্রেতাত্মাদের করলেই ভালো হয় ।
নীল আশরাফ - শর্তাবলী ভঙ্গ না করলে ব্যান করা হতো না । মডারেটররা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশাবাদী ।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১০
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: কোন শর্ত ভঙ্গ করার কারণে নীল আশরাফকে ব্যান করা হয়েছে বলে আপনার মনে হয়? শর্তাবলী যদি ভঙ্গ করেই থাকে, তবে মডুদের কি উচিত ছিলনা ব্যান করার আগে সতর্ক করা? শর্ত তো অগ্নিঝরা আগন্তুকও ভঙ্গ করেছে। তাকে কেন ব্যান করা হয়নি?
জামাতি প্রেতাত্মাদের উত্তর হচ্ছেঃ তাদেরকে মামলার পর মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তুচ্ছ কারণে তাদেরকে আদালত অবমাননার চার্জ দেয়া হচ্ছে - কথিত যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে মামলা লড়তে তাদেরকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। তাই আইনজীবী হায়ার করা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আপনার দাবির সাথে একমত। ব্যাপারটা মাথায় আসেনি আগে। আমরা সবাই সোচ্চার হয়ে উঠলে উর্ধ্বতন মহলের নড়ে বসতে হতে পারে।