নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিসিভারটা কানে তুলতেই নারী কণ্ঠ

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

কিস্তি-৩৪

তারেক আপনার ফোন। একজন সহকর্মী ফোনটা এগিয়ে দিলেন। রিসিভারটা কানে তুলতেই নারী কণ্ঠ। আমাকে কোনো নারীর অফিসে ফোন করার কথা নয়।

ওপাশ থেকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি, তারেক মোরতাজা? হ্যাঁ, বললাম। উত্তরে বললেন, আপনার সাথে আমি দেখা করতে চাই। বললাম, চলে আসেন। তার আগে আপনার পরিচয়টা জানা দরকার। বললেন, আমার নাম সীমা। ঠিক আছে, আসেন। বললেন, কোথায় আসবেন। জানালাম সারাদিন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়েই আসতে পারেন। বিকালে হলে অফিসে।

যথারীতি এক সকালে সীমা আসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি টিএসটিতে ছিলাম। সেখানেই ওর সাথে দেখা। জানালেন ইডেনে পড়ে সে। রোকনের সিডি সম্পর্কে জানতেই তার আসা। সেখানে রোকনের সহযোগি হিসাবে একজনের নাম মানবজমিনে ছাপা হয়। ওই ছেলের সাথে সীমার অ্যাফেয়ার জাতীয় কিছু একটা ছিল। আমি খুবই আহত হলাম, আমার রিপোর্টের কারণে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটলো বলে।

তবে রোকনের যে সে সহযোগি এবং তারা প্রায় একসাথে চলাফেরা করতো, সেটি আমি নিশ্চিত হয়েই লিখেছি। ও এসেছিল মূলত এটি নিশ্চিত হতে। আমি আমার সোর্সকেও তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। এতে করে তার যে ভুল ধারণা ছিল, সেটা থেকে মুক্তি মিলল।

বয়ফ্রেন্ডের সাথে ওর বিচ্ছেদ হলো।

আমার সাথে এখনো ওর যোগাযোগ আছে। সীমা অদ্ভূত মেয়ে। হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন বই পড়ে সে। সে সাথে বইয়ের বিভিন্ন চরিত্র ওর ওপর প্রভাব পেলে। একবার ও উপন্যাস লিখবে বলে ঠিক করল। চেষ্টাও করেছিল। সেটি দেখার জন্য আমাকে দিয়েছিল। হয়নি সেভাবে। সোজা জানিয়ে দিলাম।

সীমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে মধ্যে আসত, আমার সাথে ওর একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। চিঠি লিখতেও পছন্দ করতো। আমিও লিখতাম। তবে সবখানে ওর একটা হতাশা ছিল। যদিও নিজেকে শক্ত মনোবলের অধিকারী বলে পরিচয় দিত। কিন্তু আসলে সে হতাশা তা চেপে রাখতে পারত না।

তবে সীমার যে দিকটা আমাকে মুগ্ধ করতো, সেটি হলো- কেউ কি পছন্দ করে, সেটি সে নিজে থেকে করতো। হয়ত প্রথম দিকে এটা কারো চোখে পড়ছে না, পরে পড়তো। পড়তেই হবে। আমি সাধারণত ইডেন কলেজের মেয়েদের এড়িয়ে চলতাম।

আমার সাথে যে সব তরুণীর পরিচয় আলাপ বা বন্ধুত্ব ছিল তার বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর বাইরে বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল এবং সাহাবুদ্দিন মেডকেলের দু চারজনের সাথে আলাপ ছিল। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বলতে লাকী ছিল আমার একমাত্র ফ্রেন্ড। এখন একটি বিদেশি ব্যাংকে আছে।

সীমা ইডেনে পড়াটা ছেড়ে দিয়েছিল। আমার ধারণা আমি ইডেন পছন্দ করছি না বলে এমনটা করেছে। এ ধারণা ভুলও্ হতে পারে। তবে এটাকে সত্য ধরে নিয়ে আমার মনে হয়েছিল, ও প্রেমে পড়েছে্। কিন্তু না, সে ধারণা ভুল ছিল। বরাবরই আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম। সব সময়। এখনো আছি। তবে এখন যোগাযোগটা কম হয়।

তবুও সীমা আমার ভালো বন্ধুদের একজন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

++++

সাবলীল লেখা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

মায়াবী ছায়া বলেছেন: +++

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: valo laglo

+++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.