নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজা :: স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেবার জন্য একটা বিকাল চেয়েছিল মেয়েটি!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৮



শাদা কয়েকটা পাখি উড়ে যাবে। তার ছায়া এসে পড়বে মরুভুমিতে। কপালে চুল এলাে মেলো করে দিয়ে যাবে মরু হাওয়া; স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিবে সে- এমন একটা বিকাল চেয়েছিল মেয়েটি।



তার কৈশরের দুরন্ত সময়কে সে বালির সাথে, পাখির ছায়ার সাথে সঙ্গী করতে চেয়েছে। হঠাৎ ইচ্ছে হলে ছুটতে চেয়েছে; সাইকেল চড়ে। পারেনি সে, পারার যথেষ্ট কারণও হয়তো তার নেই। জন্মটা হয়েছে তার ফিলিস্তিনে, স্বভুমিতে তার কোনো অধিকার নেই। না এটা পাশের বাড়ির লোক আল ঠেলে ঘোষণা করেনি, বিশ্ব সভা থেকে অনুমোদন নিয়ে তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।



মৃত গরুর মাংস খেতে শকুন নামতো তাদের পাড়ায়, এখন জ্যান্ত মানুৃষ খুন করার জন্য নামে। বারুদগন্ধি বাতাসে কেবল লাশের গন্ধ।

পাশের বাসার ছেলেটার সাথে তার স্কুলে যাবার কথা ছিল তাও হয়নি। যার ঘর নেই, তার আবার স্কুল!‍ জাতিসঙ্ঘ বারেকের পা চাটে, সেখান থেকে দু মুঠো ভিক্ষে এনে তাদের তাঁবুর কাছে শিকেয় ঝোলায়, অনুগত মিডিয়াকে ডাকে, বলে দ্যাখো আমরা কতটা মহান। এই যে গাজার অসহায় মেয়েটি, তার মুখে খাবার দিচ্ছি!

সেই খাবার মুখে তুলতে চায় না মেয়েটি, ভিক্ষার এ খাবার তার পেটে সয় না।



একটা ভোর আসবে;নতুন সকাল। তার চোখের সামনে গোলাপের সুবাস এসে ধরা দিবে, হালকা করে লিপস্টিক মাখবে মেয়েটি, মাথায় হিজাবটা একটু তুলে দেবে, কড়কড়ে রোদ্দুরের দিকে তাকানোর কষ্ট থেকে রেহাই পেতে একটা সানগ্লাস। না এ সব তো তার সয় না। মেয়েটা কেবল বাঁচতে চায়, ভুমি-ঘর-সরকার নিয়ে সে বিব্রত। তার তো মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল। সেটি অন্যের পদতলে এখন।

আশ্রয়ের বদলে ছুটে আসে কামানের গোলা, মিসাইল, হিংস্র দানবীয় ট্যাঙ্ক, বিমান-বহর। আর তার দাবনীয় কাণ্ডে গুঁড়ে যায় সব!

আকাশের দিকে তাকায় মেয়েটি। আর বিশ্ব মানবতার (!) বিবৃতির শ্বদ শুনে তাচ্ছিল্যে- হা হা হা করে হেসে ওঠে মেয়েটি।

তার খবর কেউ নেয় না, বিশ্বসভা বসেছে হামাসের জঙ্গি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। ফাতার লিবারিলজম নিয়ে আলাপ হচ্ছে।

দিনের পর দিন যে তার ঘুম নেই, শঙ্কায় কোথাও একসাথে দু মিনিট দাঁড়াতে পারেনা; মা , ভাই বোন, স্বামী কিম্বা বাবার কোনো খবর নিতে পারে না, সে জন্য কারো কোনো ভাবনা নেই। অধিকার অধিকার বলে তারা তো রাস্তা আটকায় না, রুটি, আর এক টুকরো গোশতের জন্য তারা লড়ে যায়, জীবনটা পেয়েছে যে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে সেটি রক্ষা তো করতে হবে। পারে না। স্কুলে, মসজিদে, হাসপাতালে বাসায় হামলা- রক্তাক্ত শরীরের কাতরায় তারাই প্রতিবেশী, কিছুই করার থাকে না।



কী নির্মম-বিভৎস সত্যের মুখোমুখি মেয়েটা। তবুওে সে আশায় বুক বাঁধে। সে জানে মানুষ কখনো পরাজিত হয় না। মানুষ হারতে পারে না। গাজার আকাশে যত শকুনই উড়ুক না কেনো, যত শুকুরই আলোচনার টেবিলে বসে শুরায় বুঁদ হয়ে কূট কূটনীতি করুকনা কেনো- তাকে যে সৃষ্টি করেছে; সে নিশ্চয় একদিন চোখ তুলে তাকাবে?



কিন্তু সেটি কবে? অপক্ষো!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
আসল শকুন মার্কিনীরা, ওদের তো কিছু বলেন না।
এখন কেউ যদি আপনাকে আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয় তো চোখ বন্ধ করে ছুটবেন।

এনি ওয়ে লেখাটি খুব ভাল হয়েছে।
খালি রাগ করেন কেন আমার উপর?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

মোরতাজা বলেছেন: আপনার জানার জন্য বলি- আম্রিকা যাবার সুযোগ জীবনে কমপক্ষে চারবার এসেছে। আমি যাইনি। যাবার কোনো ইচ্ছেও আমার নেই।

আমি আসলে নিজেদের দূর্বলতার দিকটা দেখি। এই ধরেন হামাস, ফাতাহ! একটা দেশের বিপন্ন মানুষের দুইটা দল।এটা কেনো হবে। আবার লিবারেল , কট্টর- এইটা কেনো হবে। দেশে, মানুষ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে আগে আমাদের ফিলিস্তিনিদের এক হতে হবে!

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক , নিপাত যাক ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

মোরতাজা বলেছেন: সহমত :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.