নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'অবমাননা' শব্দটি এড়িয়ে চলি। তবে 'বিভ্রান্তি' তৈরিকে কবুল করি। সাধারণত ধর্ম নিয়ে কুতর্ক অনেকের কাছে লোভনীয়। আবার কিছু লোক কুতর্ক করে নিজেকে খবর করতে চান। আগাচৌ তাদেরই একজন বলে আমার ধারণা ছিল। আজ বিডি নিউজে তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য প্রকাশের পর ধারণা সত্য হলো--- মাদরাসা শিক্ষাকে ব্রিটিশরা যে কানা বানিয়েছে এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সরকার গুলো সেটাকে অন্ধ বানিয়ে ফেলেছে--- তার একটা উজ্জ্বল উদাহরণ আগোচৌ।
ইহুদি জাতির প্রতি হেদায়াত অথবা ধ্বংশ কোনো একটার ফয়সালা চেয়ে হজের সময় হাজি সাহেবরা আল্লাহর দরবারে সম্মিলিত মোনাজাত করতেন। সৌ্দি সরকার সেটি নিষিদ্ধ করেছে । বাংলাদেশ, ইনডিয়া ও পাকিস্তানে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। আগাচৌরা তাদেরই শাগরেদ ছিলেন।
এতে তারা এক ধরণের হীনমন্যতায় ভুগে থাকবেন হয়ত। অথবা অল্প কিছু পড়ে অনেক কিছু জানার ভান করবেন এটা অস্বাভাবিক নয়। মওদুদীর শিষ্য বলেন আর হাটহাজারী শিষ্য বলেন, দেওবন্দী বলেই সবই একই ঘরাণার। কেউ রাজনীতি নিয়ে বলে, কারো ফোকাস ধর্মকে পুজি করে ধর্মশিক্ষা নিজেদের জন্য নাজায়েজ করার লোকদের ভয়ে রাখা আবার কারো কাছে ধর্ম পূর্ণ জীবনব্যবস্থা।
সবচেয়ে খারাপ খবর হলো, কেউ ইসলাম ধর্মকে গালি দিলে তাকে আমরা প্রগতিশীল, মুক্তমনা আরো কিছু অতি উত্তম উপাধি প্রদান করি। আর এর বিরোধীদের আমরা মওদুদীর অনুসারীদের সাথে ভিড়িয়ে দিই। এটা হলো একটা কৌশল। অথচ উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ তাড়ানোর আন্দোলনের মুসলিম নেতাদের প্রায় সবাই মাদরাসায় পড়েছিলেন।
আগোচৌ তার বক্তব্যটা খুবই পরিষ্কার এবং তার যুক্তিতে সেটা সঙ্গত। কিন্তু আমার মত ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র মানুষের কাছে মনে হয়েছে আগোচৌ কিছু বিষয়ে আরো সুন্দর ব্যাখ্যা দিতে পারতেন। তার বক্তব্যের ব্যাখ্যটা আরো ভালো হতে পারত।
নিশ্চিতভাবে আমি একমত আরবী একটা ভাষা --- এই ভাষায় অনেক খারাপ কথা লেখা ও বলা হয়। সাধারণত নবী ও রাসূল সা: গণ সেখানেই এসছেন যেখানকার মানুষ সবচেয়ে বেশি খারাপ ছিল। এটা আমরা জানি।
“এখন যেটাকে আরবি ভাষা বলা হচ্ছে, সেই ভাষাতে কাফেররাও কথা বলত। আজকে আরবি ভাষার যে সমস্ত শব্দ আমরা ব্যবহার করি, সবই কাফেরদের ব্যবহৃত ভাষা।'' (আগাচৌ'র বক্তব্য: সূত্র বিডি নিউজ)
আল্লাহ তো বলেছেন, সব ভাষাই তার সৃষ্টি। তারপরেও প্রশ্ন থাকে--- আরবের সব লোক কি কাফের ছিল? আরবে এর আগে যারা এসেছিলেন --- নবী রাসূল সা: হিসাবে তাদের ভাষাও কিন্তু আরবী ছিল। শুধু কাফেরদের ভাষা বলে তিনি কি নবী ইবরাহীম আ: এবং নবী ইসমাইল আ: সহ অন্য সব নবীদেরও একই কাতারে নিতে চাইছেন। বিষয়টা পরিষ্কার হলো না।
উনি নবীজীর আব্বা আবদুল্লাহ সম্পর্কে বলেছেন। আবদুল্লাহ কোরায়েশ বংশের লোক ছিলেন। কিন্তু তিনি মুর্তি পুজারী ছিলেন না। এটা সম্ভবত আগচৌর'র অজানা নয়। আর সঠিক পথ যেটাকে সেরা্তুল মুস্তাকিম বলা হয় সেটি আদম হাওয়ার সৃষ্টির পর থেকেই। আল্লাহ'র বিধান হাজার হাজার বছর আগ থেকেই আছে।
এখানে 'আল্লাহ' কা'বা শরীফের প্রধান মূর্তির নাম ছিল এর তথ্য সূত্র উল্লেখ করলে ভাল হতো। যতটা জেনেছি এটা ঠিক নয়। লাত মানাত ও উজ্জাত এ তিনটা হলো কাফেরদের কাছে প্রধানতম মূর্তির নাম।
তার বক্তব্য ভিডিওটা দেখেছিলাম--- তিনি বলছিলেন ''আবু হুরায়রা মানে বিড়ালের বাপ । আবু বকর মানে ছাগলের বাপ। এ রকম আরো ছাগলে বাপ গরুর বাপ আছেন।'' এ সময় তিনি হাসছিলেন। খুব কৌতুকপূর্ণ ভাবেই তিনি কথাগুলো বলছিলেন।
অথচ আবু হুরায়রা কিন্তু ওই সাহাবীর উপাধি। আবু বকরও তাই। নাম পরিবর্তন না করার যে কথা আগাচৌ বলেছেন তাও ঠিক নয়। আবু হুরায়রার নাম ছিল আব্দে শামস বা আবদুল ওজ্জা। রাসূল এটি পরিবর্তন করে রেখেছেন আবদুর রহমান।
“এমনকি হজও ইসলামের হজ নয়, এটাও সেই দুই হাজার-তিন হাজার বছর আগের কাফেরদের দ্বারা প্রবর্তিত হজ, উনি সেখানে এক ঈশ্বর বার্তাটি যুক্ত করেছেন।'' (আগাচৌর প্রতিবাদ: সূত্র বিডি নিউজ)
হজ সম্পর্কে এটি একটি স্পর্শকাতর মন্তব্য। হজ চালু হয়েছিল নবী ইবরাহীম আ: এর সময়। তিনি কা'বা শরীফের পুণঃ নির্মাণ শেষ করার পর হজের বিধান চালু হয়। এটা কাফের দ্বারা প্রবর্তিত এ তথ্য তার কোত্থেকে আবিষ্কার করা সেটাও পরিষ্কার করা গেলে ভালো হতো।
সম্ভবত মুসলমানদের সহনশীলতা আর ঈমানী পরীক্ষার জন্য আগাচৌ সুড়ড়ুড়ি দিয়েছেন। এতে উত্তেজিত হওনের কিছু নাই। নাস্তিক মুরতাদ বলে গালি দেওনের কিছু নাই। আবার তার স্বপক্ষীয়রা এটাকে পাকিস্তানের সাথে মিলিয়ে পার পাওয়ার যে নোংরা ও কদর্যভাবনা মাথায় আনেন তাদের জন্যও খুব মায়া হয়--- পাকিস্তান, মওদুদী,জঙ্গী এ সব বাল ছাল বেইচা আর কয় দিন। তাদের বহু বুজর্গ রাইতের আন্ধারে ওই সব লোকদের কাছে গিয়ে নেতিয়ে পড়ে। খবরও নিশ্চয় মাঝে মইধ্যে দেখেন। যাউক গা।
শাহবাগের পীরসাহেব নিশ্চয় শােলাকিয়ায় যোগাযোগ করছেন-- সেখান থেকে একটা ফতোয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। আর আগাচৌ--- তার বয়স হয়েছে। তার সব কথায় কান দিয়ে সময় নষ্ট করার কী দরকার।
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
মোরতাজা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: অনেক ধরে লাইম লাইটের বাইরে তো, তাই। দেখেন না, নূতন ছবি মুক্তির আগে অনেক সময় নায়ক নায়িকারা ইচ্ছে করে নিজেদের নামে স্ক্যান্ডাল ছড়ায়! উনিও ওরকমই করছেন আর কি। অমর একুশের গানের গীতিকারের পরিচয় দিয়ে নূতন করে আর ভাত পাওয়া যাচ্ছে না যে!!!