নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ে আর একটি গুলিও নয় !

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩১

পাহাড়ে গুলি হলে আমার বুক কাঁপে। ক্যান কাঁপে জানি না। কাঁপে। স্থানীয় রাজনীতি এতটাই প্রতিশোধ পরায়ন যে, কে কারে কখন মারবে, কে মরবে সেটি এক অনিশ্চিত।
এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, সেখানে দাতা সংস্থা থেকে সরকার, কথিত গবেষক থেকে সহমর্মি সবাই কোনো না কোনো পক্ষ নিয়ে থাকেন। আর সম্বাদিকরা তো আরো এক কাঠি সরস। কে কার কাঁচা ধরবে সে নিয়ে ব্যস্ত।
বাস্তবতা খুবই নির্মম। আজ শনিবার খবর এলো রাঙ্গামাটিতে একটি আস্তানায় পাহাড়ি ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের। নিহত হয়েছেন ৫ জন। গুলিবিদ্ধ ১।
এটা খুবই উদ্বেগের খবর।
দু'টি কারণে--- ১. শান্তি চুক্তির এতগুলো বছর পরেও সেখানে ফের বিচ্ছন্নতাবাদী আস্তান।
---২. খুন হওয়া মানুষগুলো জনসংহতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের।
সংস্কারপন্থী নেতাদের মধ্যে মিস্টার সুধা সিন্ধু খীসাকে চিনি। তিনি খুবই কট্টরপন্থী কিন্তু যৌক্তিক মানুষ।
মুল অংশের একক কাণ্ডারী সন্তু লারমা কৌশলী।
যেহেতু জনসংহতির মূল পতাকার মালিক সন্তু। তাই তার সহচররা খুব সুবিধা পেয়ে থাকে। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে জাতিসঙ্ঘ তাদের বেশ গুরুত্ব দেয়।
সুধা সিন্ধু সংস্কারপন্থী বলে পরিচিতি। সন্তুর অপকর্মের বিপক্ষে তাদের অবস্থা কঠোর।
আর ইউপিডিএফ সেখানকার এলিট পলিটিক্যাল পার্টি। সাধারণত তারা বৃহত জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয়। নেতৃত্বও তারা অভিজাতদের মধ্য থেকে নির্বাচন করে থাকে।
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র যতটা না পার্ট তারচে বড় পার্ট দাতা সংস্থা গুলো। দাতা দেশ ও সংস্থার পোষ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আছেন, যাদের বেশ কিছু গবেষণা 'দোকান' আছে, যারা পাহাড়িদের মধ্যে বিরোধকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিদেশে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
এর সবই সরকার জানে। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ এখানকার মুধুকররা নানা রকমের প্রশ্রয় পেয়ে থাকেন ---বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে।
তারা ইচ্ছে মত, বকে যান নিরাপত্তা বাহিনীকে। বাঙালিদের গোষ্ঠী উদ্ধার সেখানে ফ্যাশন। ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর উন্নয়নের নামে তারা গবেষণা করেন--- যার ফল শূণ্য।
কান নিয়েছে- চিলে। কানে হাত না দিয়ে; পাহাড়ে বিরোধ টিকিয়ে রাখতে অনেকেরই অবস্থান খুবই ধোঁয়াশা। এ ধোঁয়ার মধ্যে পাহাড়ে এখন প্রতিপক্ষের হাতে খুন, বাঙালি ও পাহাড়ি সঙ্ঘাত এবং আস্তানা ঘেঁড়ে সেখানে পরিবেশ বিপন্ন করছে অল্প কিছু মানুষ। এদের সাথে পাহাড়ের গণ মানুষের সম্পর্ক নেই বল্লেই চলে ।
নিরাপত্তা রক্ষীরা পাহাড়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। এটা ভৌগলিক কারণে। রাষ্ট্র যন্ত্রও। কারণ রাষ্ট্রকে তার গতিতে চলতে বাধা দেয় কথিত স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি নামের কিছু আগাছা। যারা আসল ঘটনাটা না জেনেই কাজ করছেন।
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হলো--এত জানের ক্ষতি, সাধারণ পাহাড়িদের হয়রানির ভেতর সেখানে নানা রকমের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম মাথা ছাড়া দিচ্ছে। সেটি কেবল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলছে না; একই সাথে পাহাড়ি নিরীহ মানুষের জীবন-জীবিকা এবং সামনের আলোর দিনগুলোর সামনে অন্ধকারে পর্দা টেনে দিচ্ছে।
আমার মনে হয় পাহাড়ে আর একটি গুলিও নয়। আর একটি দাওনা যেন রক্ত ঝরানোর জন্য না ওঠে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই কাজ করবেন নিজের জন্য, পরিবারে জন্য রাষ্ট্রের জন্য।
বিচ্ছিন্নতবাদীদের ফান্ডিং করা সংস্থা ও দেশকে বুঝতে হবে--- ক'টা টাকা আর ক'জন নিরীহ নারীর শরীরের জল ঢেলে নিজের শরীর শীতল করে রাষ্ট্রের সাথে যারা বৈরিতার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে তারা ঠিক কাজটি করছে না।
আশা করি এটা কারো বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। রাষ্ট্রকে আরো দায়িত্ব শীল হবার সময় এসেছে। সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কঠিনভাবেই মনিটর করারও সময় এখন।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

অগ্নিবীণা! বলেছেন: ঠিক বলেছেন!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

মোরতাজা বলেছেন: :)

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩৬

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: যথার্থ বিশ্লেষন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.