নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলালিংক সিইও, সিটিও এবং সিসিওকে শো করেছে শ্রম আদালত । ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান তাবাসসুম ইসলাম ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে এ শোকজ করেছেন , যাতে 'ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ কেন বন্ধ করা হবে না এবং ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, কর্মীদের ছাঁটাই, বদলী , হয়রানি , বেতন বন্ধ রাখা অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছে শ্রম আদালত ।
মামলার বাদী বাংলালিংক এম্পলয়িজ ইউনিয়ন (প্রস্তাবিত) সভাপতি উজ্জল পাল এবং সেক্রেটারি বখতিয়ার হোসেন ।
শোকজ প্রাপ্তর বাকি তিনজন - সিনিয়র ডাইরেক্টর-এইচ আর, রেগুলেটির এবং লিগ্যাল ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়েনর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে শ্রম আদালত এ নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ হল্ট করারও অস্থায়ী আদেশ দিয়েছে।
তবে শ্রম আদালতের শোকজ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি , অপারেটরটি।
২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংক তার কর্মীদের ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ সুবিধা নেয়ার শেষ দিন নির্ধারণ করেছিল । এর বেশি সময়ও তারা বাড়াবেন না জানিয়ে দেন অপারেটরটির সিইও এরিক অস ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার, স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের সময় শেষ হবে বলে এরিক নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ঘোষিত সময়ের মধ্যেই কর্মীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর সময় আর বাড়ছে না।’
সে অনুযায়ী সময় বাডেনি ।
এরিক রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কোনো সমস্যা দেখছি না। কোম্পানি ডিজিটাল হতে যাচ্ছে। পুরানো মোবাইল কোম্পানির ধারণা আর নেই। এখন পরিবর্তনের সময়। গ্রাহক সেবার জন্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যারা কোম্পানির নতুন পথ চলায় অবদান রাখতে পারবে তাদের জন্য সুযোগ তো থাকছেই।’
কতসংখ্যক কর্মী চাকরি হারাবেন সেই বিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটরটির চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার (সিসিও) শিহাব আহমাদ জানান, সংখ্যা এখনই ঠিক করা হয়নি। ডিজিটাল রূপান্তরের পরিকল্পনায় কোম্পানির প্রয়োজনই এই সংখ্যা চূড়ান্ত করে দেবে।
আর ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’ নামে কর্মীদের এই স্বেচ্ছা অবসরের অফার যদি নির্ধারিত সময়ে কেউ না নেয়, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে চাকরি হারালে এই স্কিমের সুবিধা আর মিলবে না বলেও জানান শিহাব।
অপারেটরটির কর্মীরা ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’র সময় জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। বাংলালিংখ এম্লয়িজ ইউনিয়নের (প্রস্তাবিত) সভাপতি উজ্জল পাল ইনিাডপেনডেন্টকে বলেন, আমরা চাই ‘ভলেন্টারি সেপারেশন স্কিম’এর মেয়াদওও বাড়ানো হোক। তাঃক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত খুবই মুশকিল।
টেলিকম খাতে চাকুরীর বাজার সঙ্কুচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, শীর্ষ অপারেটর ছাঁটাই করার উপর আছে। তারা এখন কেউ চলে গেলে বা বাদ দিলে সেখানে নতুন লোক নিচ্ছে না।
উজ্জলের মতে, টেলিকম কোম্পানিগুলোর আয় বাড়ছে। কিন্তু তারা কর্মী হয়রানি করছে। এটা হতে পারে না।
তিনি জানান, আইন অনুসারে কােম্পানীর চাকুরী বিধিমালা শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার কথা। কিন্তু, অধ্যাবধি বাংলালিংকের চাকুরী বিধিমালা শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত নয়। বরং যখন খুশি তখন পলিসি তৈরী করা হয়।
তবে এ বিষয়ে বাংলালিংক সিইও এরিক অস বলছেন, তারা শ্রম আইন মেনেই চলছেন ।
মুল খবরের লিঙ্ক : http://www.theindependentbd.com/post/36101
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
মোরতাজা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
বিজন রয় বলেছেন: ভাল খবর।