নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাহলে কি বাজারে এয়ারটেল আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসাবে অবস্থান করছে? প্রশ্নটা স্বভাবতই সামনে আসে, যখন বিটিআরসি রবি এয়ারটেলের গ্রাহকদের কল আন্তঃ অপারেটর কল হিসাবে গুনতে চায়!
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তবে ঘটছে। মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেল রবি'র সাথে একীভূত হওয়ার পর ১৮ নভেম্বর থেকে এয়ারেটেল গ্রাহকরা রবিতে কল কলার ক্ষেত্রে যে অননেট (নিজ অপারেটর থেকে নিজ অপারেটর) সুবিধা পাচ্ছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে বিটিআরসি ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠায়।
বিটিআরসি'র ব্যাখ্যার জবাবও দিয়েছে অপারেটরটি।
আইন অনুসারে, আদালতে মার্জার ফাইল তৈরির পর পরই এয়ারটেল আর টিকে থাকে না। এটি একীভূত হয়ে গেছে। তার ওপর আদালত রবি-এয়ারটেল মার্জার অনুমোদন করেছে। এরপরও কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই কলের ক্ষেত্রে ইন্টারকানেশন এক্সচেঞ্জকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে, যা গ্রাহক থেকেই নেয়া হবে, সেটিও কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
কমিশন সূত্র রবি'র ব্যাখ্যার জবাব পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
রবি'র হিসাবে, এয়ারটেল থেকে রবিতে যুক্ত হওয়া প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহকের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কল করার জন্য প্ররোচিত করার কোন আইনি ভিত্তি নেই।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, একীভূত লাইসেন্সের আদেশ জারি হওয়ার আগ পর্যন্ত দুটি আলাদা অপারেটর থাকবে। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে থাকবে, কমিশন তা বলেনি।
যদিও টেলিকম আইন অনুসারে একীভূতকরণের বিষয়টি বিটিআরসির দেখার কথা নয়। তবুও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে তাকে বিষয়টি দেখভাল করতে হয়। কিন্তু এ ধরণের আদেশ কীভাবে এলো? এমন প্রশ্নে বিটিআরসির কর্মকর্তারা কোন কথা বলতে ইচ্ছুক নন।
জানতে চাইলে কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার ফাতেমা আনোয়ার বলেন, কোম্পানি আইন অনুসারে এখন আর এয়ারটেল আলাদা কোম্পানি নেই। এটি রবিতে একীভূত হয়ে গেছে এবং গত ১৬ নভেম্বর এর লিগ্যাল ডে ওয়ানও শেষ হয়েছে।
কোম্পানি মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল হিসাবে রবি যেহেতু বিটিআরসি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, সেহেতু তাকে সেখান থেকে ফরমালিটি শেষ করতে হচ্ছে। কোম্পানি আইন অনুসারে, দুটি কোম্পানির মার্জার অনুমোদন করবে কোর্ট। কোর্ট তা করে দিয়েছে। এখানে নতুন করে কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগও নেই বলে মনে করেন ব্যারিস্টার ফাতেমা।
©somewhere in net ltd.