নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিন্দুর জল পাহাড়ে রূপবতী সূর্য!
তিন্দুর পথে পথে পাহাড়, সূর্য আর সমতলের লুকুচুরি দেখা, পাহাড়ি পাথুরে নদী জলে পাহাড়িদের দেখতে দেখতে ঘণ্টা দুই পর আমরা তিন্দু পৌছালাম। শিগরঙ ত্রিপুরার সাথে আগেই আলাপ ছিল। নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে ইলেকশন করে বিপদে আছেন বেচারা।
সাঙ্গুর জলের কাছে একটা ছোট দোকানে বসে আড্ডা হলো কিছুক্ষণ। তারপর তিন্দুর পাড়ায় উঠে এলাম। সুনসান নীরবতা। প্রেনথাংয়ের সাথে কথা হলো, প্রেনথাং এখানকার হেডম্যান। পাহাড়িদের মধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী খুমি সম্প্রদায়ের লোক। অনেক আড্ডার ফাঁকে খাবারেরও আয়োজন করলেন, থাওবো বউদি। থাওবো প্রেনথাংয়ের স্ত্রী।
দুপুরের পাহাড়ি খাবার আর শান্ত-সৌম্য-রম্য পাহাড়ে রাজনীতির বিষবাষ্পের গল্পও শোনা হলো, ঘন্টা দেড়েকের আড্ডার পর আমরা ফিরছি।
বিকালের দিকে নৌকায় চড়ে বসলাম। ফেরার পথে সময় কম লাগে। সূর্য অস্ত যাচ্ছে। অনিন্দ্য সুন্দর এক দৃশ্য। পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য এ ঘটনা দেখে খুবই ভালো লাগবে, যে কারো। সূর্য সবখানেই ডোবে। সে নিঝুম দ্বীপ, সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন্স কিম্বা কক্সবাজার। নায়াগ্রা কিম্বা জুরিখে। সবখানেই ডোবে।
গোধূলীবেলায়!
তবে একেক জায়গায় সূর্য ডোবার দৃশ্য একেক রকম। সেটি কারো কারো জীবনকে রাঙিয়ে যায়। সূর্য ওঠা এবং ডোবার দৃশ্য আমার বহু জায়গা থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ের ভাঁজে , সবুজের ফাঁক গলিয়ে সে সূর্যের আলো পাথুরে নদীতে এসে পড়ার মোহনীয় দৃশ্য আমি প্রথম উপভোগ করলাম। অসাধারণ সেই দৃশ্য।
সন্ধ্যা নামতে নামতে আমরা থানছি চলে এলাম। আরেক কাপ চা খাওয়া যেতে পারে। তাই হলো। বিজিবি পোস্টের সামনের দোকানে আমরা চা খেলাম।
মাহিন্দ্রায় চড়ে ফিরছি বান্দরবান শহরে। সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে বলিপাড়া বিজিবি পোস্ট ত্যাগ করার নিয়ম, আমাদের মাথায় ছিল না, তাই কিছুটা সময় অপেক্ষার বিজিবি'র অনুমোদন মিলল। সে অনুমতি নিয়েই আমরা ফিরলাম।
নির্জন পাহাড়ি পথে একমাত্র যাত্রিবাহী যানবাহন আমাদের মাহিন্দ্রা। দু'জন পাহাড়ি আর একজন বাঙালি নিয়ে ফিরছে। পথে পথে স্থানীয় বহু তরুণ এ পাড়া ও পাড়া যাচ্ছে, আড্ডার দৃশ্যও চোখে পড়লো। দোকান গুলো সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে গুটিয়ে যেতে থাকলো।
দূরের গ্রামে নিভু নিভু আলো, সে দৃশ্য, আনন্দ-উত্তজেনা অনুভব করা যায়, বলে বোঝানো মুশকিল।
দূরের গ্রামে নিভু নিভু আলো
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
মোরতাজা বলেছেন: খোটি একটি বৃহত অংশ থেকে কাট করে দিছি, তাই এ হাল।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
রিকতা মুখাজীর্র্ বলেছেন: ভালো লাগল,ভালো থাকবেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
মোরতাজা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: শেষের দিক টা কেমন যেন মনে হলো। ভালো লাগলো।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
মোরতাজা বলেছেন: শেষ করতে চাইনি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি মনে হল শেষ হইয়াও হইল না শেষ। তবে ভাল লেগেছে।