![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''বাবা যখন চলে গেছেন (মারা গেছেন), সে সময় আমাদের উড়নচণ্ডী একটা ভাব ছিল... যে সময় আমি যখন গিটার বাজাতে পারতাম না, খুব ভাবটাব নিয়ে গিটার নিয়ে বসে থাকতাম। আমরা যখন শেখার চেষ্টা করছিলাম তখন যদি তাঁকে পেতাম তাহলে বেশ উপকার হতো ... '' বাবাকে নিয়ে হামিনের স্মৃতি চারণে আড্ডা জমে উঠলো।
হামিন আহমেদের সাথে যোগ করে ছোট ভাই শাফিন আহমেদ বলেন, '...আব্বার সাথে আরেকটা ইন্টারেকশন...আব্বা ক্রিকেটের প্রচণ্ড ভক্ত ছিলেন... মা'ও ক্রিকেট খেলার ভক্ত ছিলেন। জীবনের শেষের দিকেও ভালো খেলা হলে আম্মা টিভিতে সে খেলো দেখতেন ।'
এনটিভির ঈদ আয়োজনে 'গল্প শুধু গল্প নয়' তে এভাবেই বাবা কমল দাশগুপ্ত এবং মা ফিরোজা বেগমের স্মৃতি-কথা তুলে ধরেন শিল্পী হামিন আহমেদ ও শাফিন আহমেদ।
সাদিয়া আফরিন মল্লিকের সঞ্চালনায় ৯ সেপ্টেম্বর গল্প শুধু গল্প নয় এর শেষ পর্ব প্রচারিত হয়েছিল। শেষ পর্বে ছিলেন ফিরোজা বেগমের পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্যরা। যারা মূলত তাঁর কাছেই গানের তালিম নিয়েছেন।
শাফিনের কথার শেষ হতে হতে সাদিয়া বললেন, আমরা এবার শাফিনের কণ্ঠে একটা গান শুনতে চাই। শাফিন গাইলেন ''.. তুমি কি এখন দেখিছো স্বপন...'' তার বাবারই সুর করা গানটি।
ফিরোজা বেগমের ভাই আনিস উদ দৌলার মেয়ে সুস্মিতার কাছে ফিরেন সঞ্চলক সাদিয়া আফরিন মল্লকি। যিনি নিজেও একজন নজরুল সঙ্গীত শিল্পী।
.. ফিরোজা বেগম আর্কাইভের কাজ করছ সুস্মিতা। আমরা এ বিষয়ে একটু জানতে চাইবো। ফিরোজা বেগম আর্কাইভের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সুস্মিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ' সুস্মিতা বিষয়টা সম্পর্কে আমাদের একটু জানাও।'
সুস্মিতা আনিস বলছিলেন, '...ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ব্যবস্থা করা হলো ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে... উনার যত গানের খাতা, উনার যত এলপি, উনার সব কিছু মিলিয়ে.. এটার জন্য একটা ওয়েবসাইট কনস্ট্রাকশন করা এবং ইউটিউবে ফিরোজা চ্যানেল করা.. যাতে উনার সব কিছু সুন্দর করে ঘুছিয়ে .. প্রটেক্ট করা সম্ভব হয়! সেই চেষ্টাটাই আমি করে যাচ্ছি। ''
ফিরোজা বেগমের আরেক ভাইয়ের মেয়ে রুবাবা দৌলা বলছিলেন '.. আমি ঠিক মত চর্চা করতে পারিনি। যে অনুশীলনটা ফুপুর কাছে দেখেছি... সেটা আমার ছিল না। তাই গান সেভাবে করা হয় না। '
তিনি জানালেন, ফিরোজা বেগম পরিবারের নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত ছিলেন ' গানের ফুপু' হিসাবে।
'আমরা তাঁকে গানের ফুপু বলেই ডাকতাম' বলেন রুবাবা।
ছোট বেলায় কাজিনরা সবাই মিলে দল বেঁধে ফরিদপুরে যাওয়ার গল্পটাও বাদ যায়নি। সেখানে শাফিনদের নানা-নানী আর সুস্মিতা রুবাবাদের দাদা-দাদীর গল্পও উঠে এসেছে।
'ছোটবেলাতে আমরা সবাই ফরিদপুরে যেতাম ... ফরিদপুর মানে সারারাত গল্প... অনাথের আচার খেতে যাওয়া..' বলেন সুস্মিতা আনিস।
রুবাবার স্মৃতিতে '... দাদা-দাদী বলতেন তোমরা (কাজিনরা সবাই মিলে) গোল হয়ে ঘুরে ঘুরে সুরাটা মুখস্থ করো... একটা শব্দ দিতেন, বলতেন, যাও ডিকশনারি থেকে শব্দ বের করে আনো... এটাও ছিল খেলা... আমরা খুবই এনজয় করতাম''।
শাফিন আহমেদ জানালেন, “আব্বা-আম্মার দু'জনেরই জীবন কথা মামার কাছে তথ্য-পরম্পরাসহ রয়েছে। মসি উদ দৌলা.. মামা যেভাবে দিন তারিখ সহ আব্বা- আম্মার জীবন, সঙ্গীত কথা বলতে পারবেন ...এটা আর কেউ পারবেন না। ''
আলাপের ফাঁকে রুবাবা দৌলা গাইলেন... কমলদাশ গুপ্তের সুরে... 'এমনই বরষা ছিল সেদিন... মনে কি পড়ে প্রিয়...'
সঞ্চালক বলছিলেন, --'ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা...' গানটি একদিন টিভিতে হঠাৎ করেই তাঁর কানে এলো। গানটি যখন হচ্ছে, তখন আমি কান খাড়া করে শুনলাম কে এত সুন্দর করে গানটি গাইছেন। দেখলাম, তুমি (সুস্মিতা ) গাইছো। এ গানটি দিয়েও আমারও হাতে খড়ি...তুমি এত সুন্দর গাইলে আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম।
অনুষ্ঠানের শেষ গানটি করে সুস্মিতা --- কাজী নজরুলের গান...' হে সজল শ্যাম ঘন দেয়া...''।।
অনুষ্ঠানটি দেখতে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করা যেতে পারে- Click This Link
©somewhere in net ltd.