নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]
মিসির আলীর বাসাটা চমৎকার।
গাছ গাছালী বই পত্র দিয়ে ঠাসা একটি সুন্দর সেটে শুটিং হয়েছে; পর্দায় দেখতেও ভালো লেগেছে।
সেই সেটের প্রশংসা দিয়ে দেবী দেখার প্রতিক্রিয়া শুরু করি!! শুধু এই সেট নয় ভালো লেগেছে আরও অনেক কিছুই।
বলছি তাও!
দেবী ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী রহস্যধর্মী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে খ্যাতনামা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত মিসির আলি ধারাবাহিকের একই নামের প্রথম উপন্যাস থেকে।
সরকারী অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন অনম বিশ্বাস।। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক জয়া আহসান এবং তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সি-তে সিনেমা।
কুশীলব ছিলেন জয়া আহসান - রানু, সদ্য বিবাহিত যুবতী, যিনি শ্রুতি বিভ্রমে ভুগছেন এবং কৈশোরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার ফলে মানসিক অসুস্থতার কারণে তার এক্সট্রা সেন্সরি পারসেপশন বেড়ে গেছে। এতে তিনি ভবিষ্যতে ঘটতে যাওয়া কিছু ঘটনা পূর্ব থেকে আন্দাজ করতে পারছেন।
লাবণ্য চৌধুরী - কিশোরী রানু
চঞ্চল চৌধুরী - মিসির আলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের খণ্ড কালীন শিক্ষক। রহস্যধর্মী বিষয়গুলো যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করে থাকেন।
শবনম ফারিয়া - নীলু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, নিজের রূপের ব্যাপারে হীনমন্যতা রয়েছে, ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্টধারীর সাথে আলাপ-পরিচয় হয় এবং সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে বিপদের সম্মুখীন হন।
অনিমেষ আইচ - আনিস, রানুর স্বামী।
ইরেশ যাকের - আহমেদ সাবেত, ফেক অ্যাকাউন্টে নীলুর সাথে আলাপ করা ভয়ানক রকমের মানসিক অসুস্থ ব্যক্তি।
অহনা - বিলু, নীলুর ছোট বোন।
নূরে আলম নয়ন - কমলেন্দু, আনিসের সহকর্মী।
নাজমুল হুদা বাচ্চু - জালালউদ্দিনের চাচা
হুমায়ুন আহমেদের দেবী পড়ার সময় রানুকে যেমন কল্পনা করেছিলাম সিনেমার দেবীতে জয়া আহসান অনেকটাই অন্যরকম। বইয়ের রানু ছিল শান্ত শিষ্ট কিন্তু সিনেমার দেবী আবেদনময়ী। রহস্যে ঘেরা এক নারী। নানা ভাব ভঙ্গিমা এবং এক্সপ্রেশনে জয়া আহসান তেমনই একটা ফ্লেভার রেখেছেন। তবে তিনি যা করতে চেয়েছেন তা করেছেন বেশ ভালো ভাবেই। এখানে তেমন দ্বিমত নেই। তিনি দীর্ঘদিন অভিনয় করছেন, অভিজ্ঞ একজন; কি করতে হয় তা তিনি ভালোই জানেন!
মিসির আলি রূপী চঞ্চল আমার কাছে ফ্লপ। আমার কাছে ভালো লাগেনি। মিসির আলি এভাবে দ্রুত কথা বলতেন এটা কেউই আমরা ভাবিনি। এমন হাল্কা চালের দুলকি মিসির আলীকে দেখে আমি কিছুটা অবাক। সিগারেট নিয়েও অতিরিক্ত করা হয়েছে। এতোবার সিগারেট ধরাতে হবে? সিগারেট বেশী খেলেও সেখানেও লিমিট থাকে এখানে তা নেই। তিনিও অভিজ্ঞ একজন অভিনেতা। কিন্তু চরিত্রায়নের ঠিক কোথায় যেন বড় কিছু তিনি মিস করে গেছেন এমনটা মনে হয়েছে। এমন একজন শক্তিমান অভিনেতাকে পরিচালক ব্যাবহার করতে পারেননি এটা কার ব্যর্থতা তা ঠিক বুঝতে পারিনি আমি। তবে কিছু দৃশ্যে মিসির আলী রূপী চঞ্চল ভালো এক্সপ্রেশন দিয়েছেন। সুন্দর ছিল অভিনয়।
তাঁর এমন গেটাপ, হাল্কা ভুঁড়ি ওয়ালা মিসির আলিকে ঠিক মন থেকে মেনে নিতে পারিনি।
নীলু চরিত্রে ফারিয়া শবনম ভালো কাজ করেছেন। পুরো সিনেমা জুড়ে তাঁর অভিনয় আমার কাছে পরিণত মনে হয়েছে। একটি শেকি চরিত্রে সে ছিল দুর্দান্ত।
তাঁর বিপরীতে ইরেশ যাকের ছিল দুর্বল। আমি মনে করি এখানেও ইরেশ যাকেরের চেয়ে পরিচালক অনম বিশ্বাস দায়ী। এই চরিত্রটি দর্শক পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি। অথচ সুযোগ ছিল।
আনিস চরিত্রে অনিমেষ আইচ কিছুটা খাপছাড়া ছিল। আরো সাবলীল যথার্থতা আশা করেছিলাম। মনে হলো তিনি চেষ্টা করেছেন কিন্তু ঠিক চরিত্রের ভেতরে যেতে গিয়েও মাঝে মাঝে খেই হারিয়েছেন।
কিশোরী রানু চরিত্রে লাবণ্য চৌধুরী চমৎকার কাজ করেছেন। এতো অল্প পরিসরে অল্প পর্দা উপস্থিতিতে সে তাঁর এক্সপ্রেশনে উতরে গেছে বেশ ভালোভাবে।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ওকে বলা যায়। যদিও লাইটের ব্যাবহারে আমি সন্তুষ্ট নই। দেবী সিমেরা পুরোটা জুড়ে লাইট নিয়ে আরো কাজ করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা কেন করা হয়নি তা বুঝিনি।
ভালো কথা বলতে গিয়ে অনেক সমালোচনা করে ফেললাম দেখি!
নানা ত্রুটি বিচ্যুতি সত্ত্বেও দেবী দেখে হল থেকে বের হলে খারাপ লাগবে না। কারণ আমাদের দেশের নানা দুর্বল স্ক্রিপ্টের সিনেমার ভিড়ে এটি অনেকটাই আলাদা। পরিপাটি একটি সিনেমা।
সম্পাদনা চমৎকার। সিনেমায় রঙ আছে। আছে ঢঙ।
আছে হাল্কা করে গ্ল্যামার।
শুধু চটুলতা পরিহার করা হয়েছে।
নান্দনিক ভাবে দেবীকে আনা হয়েছে লাল জবার পাশে।
আমি জবা ভালোবাসি!
কিশোরী জয়া মিরপুর রোড দিয়ে রিকশা করে যাচ্ছে, হাওয়ায় উড়ছে তাঁর চুল এই দৃশ্য আমার দেখা, খুব পরিচিত
সেই পরিচিত জয়াকে, কৈশোরে দেখা জয়া আহসানকে সিনেমায় দেখে আরো একবার ভালো লাগলো খুব!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১
নীলসাধু বলেছেন: হুম।
বইয়ের সংগে সরাসরি সংযোগ নেই। ঘটনার প্রেক্ষাপট ২০১৮ করে তৈরি করা হয়েছে।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ছবিটা শেষে হতাশ করেছে ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
নীলসাধু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের দেবী নয় এটি অনম বিশ্বাস আর জয়া আহসানের দেবী :প
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১
আরমান শুভ বলেছেন: দেবী মিসির আলীকে উপস্থাপন করতে পারেনি মিসির আলির যুক্তি গুলা খুব টিপিক্যাল ছিলো মনে হয়েছে এসব যুক্তি যেকেউ দিতে পারবে। যারা মিসির আলী পড়েনি তারা মিসির আলী সম্পর্কে ভূল ধারণা পাবে।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
নীলসাধু বলেছেন: মিসির আলিকে চিত্রায়ন করা কঠিন, খুব কঠিন।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
চাঙ্কু বলেছেন: বন্ধুরা কইতেছে- তারা এই ছবি দেখে হতাশ!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
নীলসাধু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের দেবী মাথায় নিয়ে ঢুকলে কিছুটা হতাশ হতে হবে।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটা অবশ্যই দেখব।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০
নীলসাধু বলেছেন: হুম দেখতে পারেন ভালো লাগবে।
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: মন্দ লাগে নি দেখে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
যত যাই বলেন । পরিচালক বই এর সাথে কোন সংযোগ ঘটাননি । অথচ বইয়ের সাথেই সংযোগ ঘটানোটা দরকার ছিল । বেশির ভাগ দর্শক এই আশাতেই গিয়েছিল ।
আর চঞ্চল এর কাছ থেকে অভিনয়টা বের করে নিতে পারেনি পরিচালক । যেটা আয়নাবাজিতে হয়েছে । এখানে মেকআপ এর প্রসংশা করতে হবে । তবে দেবীতে মেকআপ ও দুর্বল ছিল ।