নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক রাশ ঘৃণা জানিয়ে যাই সে সকল শিক্ষক স্কুল তথা এমন অমানবিক সমাজের মুখে

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬



কবির নাম কি লিখছোস?
পেছন থেকে আমার সহপাঠির ফিসফিস কণ্ঠে জানতে চাওয়া।
আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। স্কুলের পরীক্ষা চলছে আমাদের। আমিও চুপচুপ করে বললাম, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!
সে কি বুঝলো কে জানে লিখতে গিয়ে লিখলো,
'কবি গরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'!!

পরে তার এই লেখা ক্লাসের সবাইকে পড়ে শোনানো হলো। ক্লাসে হাসাহাসি। আমাদের রাগী আপা পর্যন্ত হাসছেন।
আমার সহপাঠীকে কানে ধরে বেঞ্চিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হলো। শেষে সে জানালো সে আমার খাতা দেখে লিখেছে।
অথচ আমার খাতায় সঠিকটাই লেখা ছিল। নকল নিয়ে এই হচ্ছে আমার শৈশব স্মৃতি।
পরে পুরো বছর সবাই তাকে ক্ষেপাতো
"কবি গরু" বলে!

১৯৮৭ সনে আমি যখন নাইনে পড়ি তখন পরীক্ষার আগের রাতে তানিয়া ফোন করতো, মাসুদ
শোন, তুই কিন্তু আমার সামনের বেঞ্চে বসবি।
ক্যান?
আমি বুঝেও না বোঝার ভান করতাম। সে আমাকে নানাভাবে পটাতে চেষ্টা কিরে যেতো। একসময় আমি রাজী হতাম বসতে।
এই অনুরোধের কারণ ছিল সে যাতে পরীক্ষার সময় আরাম করে আমার খাতা দেখে লিখতে পারে।
এমন ফোন পরীক্ষার আগের রাতে আরো বেশ কয়েকজনই করতো। আমাদের শৈশবে এসবকে পাপ, করাই যাবে না এমন মনে হতো না।
এগুলো শৈশব কৈশোরের সহজাত অভ্যাস মনে হয়েছিল।
আমরা উত্তেজনা নিয়ে এসব করেছি।

ক্লাশ টেনে রূপক খুব আনন্দ নিয়ে বলতো, মাসুদের এমন বাজে হাতের লেখা
অথচ আমি দুই তিন বেঞ্চ পেছন হতে দেখেও ঠিকঠাক বুঝতে পারি।
দূরে বসেও নকল করতে পারে বলে তার সেকি উচ্ছ্বাস!!
এই উচ্ছ্বাস ছিল খুশী আর আনন্দের।
অপাপবিদ্ধ।
(রূপকের কথা অনেকদিন পর লিখলাম। আমার স্কুলের এই বন্ধুটি আমাদের মাঝে নেই।
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দীর্ঘদিন আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।)

এসএসসির সময়
স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমি যাকে কারিগরী অংকন দেখিয়ে দিয়েছিলাম সে লেটার পেয়েছিল
অথচ আমি ৭৮।
খারাপ লাগেনি। বরং আনন্দে মেতেছি।
আমার একটু খানি সহায়তায় যে বন্ধুটি লেটার মারকস পেয়েছিল তাতে আমি অনেক পাপ করে ফেলেছি!!
তার জন্য আমার বা মাকে ডেকে
স্কুল থেকে টিসি দেবে
এমন অপমান করবে
এসব আমাদের সময় কল্পনাতেও আসেনি। আমরা যে খারাপ স্কুলে পড়েছি তাও নয়। তখন সে সময়ে সেই স্কুলগুলো ঢাকার সেরা স্কুলের তালিকায় ছিল। অভিজাত স্কুলই ছিল।
তবু পরিবেশ
পারিপাশ্বিকতা এমন সহজ সাধারণ ছিল।
আমরাও ছিলাম অন্যরকম।
শিক্ষক শিক্ষিকারা ছিলেন আপন।
কাছের জন।

এই যুগে এসে
দেশের তথাকথিত নামী স্কুলের একটির ছাত্রী
মাত্র ১৫ বছরের
অরিত্রির মৃত্যু আমাদের দেখতে হয়।
ছি!

এক রাশ ঘৃণা জানিয়ে যাই সে সকল শিক্ষক
স্কুল
তথা এমন অমানবিক সমাজের মুখে। যেখানে ছোট একটি মেয়ের সামনে বাবা মা কে অপমানিত হতে হয়। লজ্জা ঘৃণা লুকাতে অরিত্রিদের এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হয়!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

Monthu বলেছেন: আপনি শুধু যা দেখেছেন তাই বললেন। তার বাবা মাকে ডেকে এনে অপমান করার পর তার বাবা মা বাসায় নিয়ে গিয়ে তাকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করেনি এর প্রমাণ কি?? কিছুই বলেনি এর।প্রমাণ কি???

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

কামভাখত কামরূখ বলেছেন: আমারও এই রিলেটেড একটা পোষ্ট আছে দেখে আসুন তাহলে আপনি নিজের লিখাকে মূল্যায়ন করতে পারবেন আশাকরি। মন্তব্য করলাম না এই পোষ্ট এ

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আশি/ নব্বই দশকের এর শৈশব কালটা এমনই ছিল। বন্ধুর খাতা দেখে খানিকটা চুরি করে লেখাটা এমন বিশাল কোন অপরাধ বলে গন্য হতে কখনও শুনিনি। আমাদের দেশের অবস্থা এখন দাড়িয়েছে ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক নবায়ন ফি সাড়ে তিন হাজার টাকা ঠিক সময়ে পরিশোধ না করাটার নাম ঋনখেলাপী আর ব্যকের হাজার কোটী টাকা টা লুটপাঠ করাটা এমন কিছু না।সেটা খুব স্বাভাবিক ব্যপার।

পোস্টে ++++

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন এখানে কেবল অর্থের ঝনঝনানি!
অর্থহীন স্থুল প্রতিযোগীতা
সেরা ছাদ্রদের টেনে নিয়ে শ্রেষ্ঠা স্কুল কলেজের মিথ্যে বড়াই
অপাঠ্য পাঠ্র করে কমিশন বাজির অন্ধ খেলা
স্রেফ আটপৌড়ে চাকুরীর চাকরের দায়!

পুথিগত বিদ্যার বাইরে আত্ম সম্মান, আত্ম মর্যাদা, মানবিকতা, উদারতা,
মানবতার পাঠ স্মশানে! কবরে!
ব্রিটিশের কেরানী বানাবর সিলেবাসে কড়া বানিজ্যিকিকরণের সিলমোহর দিয়ে
চলছে চোখবাঁধা ঘোড়দৌড়!
কে মরে কে বাঁচে দায়হীন! নিয়ম বড্ড কড়া!
ভর্তি বানিজ্যের অনিয়ম নিয়েতো আর ছাত্ররা মূখ খুলতে পারেনা!
বেয়াদব, ইচড়ে পাকামোর ধমকানীতে কত মেধা অকালে ঝড়ে গেছে

আবার হিপোক্রেট আমরাই বাহবা দিই উন্নত বিশ্বের শিক্ষার
অথচ অনুসরন করিনা। একবস্থা বই চাপিয়ে, কোিচং বানিজ্যের ভয় দেখিয়ে
মাস টাকা টাকা গুনি আর মুচকি হাসি- হায়েনার তৃপ্তির হাসি!
ক্লাম পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেই। বাবা-মাকে ঢেকে তুলোধুনা!
সীমিত আয়ের মাঝে বাড়তি বোঝায় হাসফাস অভিভাবক।
তবুও সস্তানের সোনালী ভবিষ্যতের আশায় বাড়তি শ্রম বা বাজেটে কাটছাট

অত:পর তিনাদের অমূলক সন্দেহে
মিথ্যে তিরস্কারে, অপ্রমানীত অভিযোগে
পিতা মাতার লাঞ্চনা সইতে না পারে যদি কোন শিশু
তার কি দোষ?

ধিক্কার এই ব্যবস্থার উপর
ধিক্কার ব্যভস্থাপকদের উপর!
বদদোয়া দেই হৃদয় থেকে-
তোমাদের সন্তান হারাও অকালে- বুঝবে যাতনা কাহারে বলে।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সরাসরি বলেন নকল করা বৈধ,ক্লাসে মোবাইল নেওয়া অপরাধ নয়

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

তার ছিড়া আমি বলেছেন: মেয়েটি ছোট তবে নকলে পটু। মোবাইল! সেতো ডাল-ভাত।

প্রশ্নঃ নকল কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ বর্ণনা কর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.