নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নগরে সাধু :: পরশ্রীকাতরতা একটি অসুখ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৫



আমাদের আশেপাশে সুবেশী মানুষগুলো যাদেরকে আমরা বন্ধু ভাবি তাদের মাঝেই রয়েছে বহু পরশ্রীকাতর মানুষ! আপনি ভালো আছেন- এটাই তাদের ঠিক ভালো লাগে না।

বাংলা একাডেমির অভিধানে পরশ্রীকাতর শব্দটির অর্থ দেওয়া আছে এভাবে- অপরের উন্নতি বা সৌভাগ্য দেখে কাতর বা ঈর্ষান্বিত হয় এমন।
শব্দটির বিশেষণ পরশ্রীকাতরতা।

পরশ্রীকাতরতা একটি অসুখ। এতে আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হিংসা-বিদ্বেষ-দ্বন্দ্ব-কলহ-বিবাদ বৃদ্ধি পায়। আমাদের শান্তি ও স্বস্তির জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। আজকের বাংলাদেশের চিত্র বলে দেয় মানুষের প্রতি সব মানুষের ভালোবাসা, কর্তব্য বোধ, সহানুভূতি, সহমর্মিতা কমছে। খুব আশংকাজনক হারেই কমছে।

কিন্তু কেন কমছে?
কী কারণ তা খতিয়ে দেখলে বোঝা যায় এর প্রধান একটি কারণ হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা।

সে ভালো কাজ করছে, ঐ ছেলেটা উন্নতি করছে, সে ভালো রেজাল্ট করেছে ইত্যাদিতে আর আমরা আনন্দ পাই না। বরং হয় উল্টো। মনে হয় কেন পাশের বাড়ির লোকটি নতুন ফ্ল্যাট কিনল, কীভাবে কিনলো? নিশ্চয় কোন কিন্তু আছে।
ইশ ভাবীর ছেলেটা নামি স্কুলে চান্স পেল?
এ বয়সেই কীভাবে এত দ্রুত সফল হলো, তমুকের স্বামী তাকে এত দামি উপহার দেয় কেন?
এই লোকটা এতো খ্যাতি অর্জন করছে!! নাহ, নিশ্চয় এখানে ভেজাল আছে।
আমিতো এটা পারিনি সে কেন পারবে?
আমাকেও সব পেতে হবে। আমার নেই কেন? এই ধরনের চিন্তাধারার মাঝেই রয়েছে আমাদের দৈনন্দিন পরশ্রীকাতরতা।

পরিচিতজন বা বন্ধুত্বের মধ্যে এক ধরনের বৈপরীত্য বা প্যারাডক্স থেকেই পরশ্রীকাতরতার অনুভূতি জন্মায়।
অধিকাংশ মানুষের বন্ধু সংখ্যা সাধারণত কম হয়ে থাকে।
তবে কিছু মানুষের বন্ধুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি- আর এই দ্বিতীয় দলটির কারণেই বন্ধুত্বের প্রতি সামগ্রিক মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে।

আপনাদের জন্য কোন উপদেশ বা জ্ঞানের পরামর্শ দিলাম না কারণ
আমি জানি এসব উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর মতোন।
যার যার ভাবনা তার তার জীবন। আমি হাজার নসিহত করলেও আপনি পরিবর্তন হবেন না। আপনি চলবেন আপনার মতোন করেই। তবু চেষ্টা করবেন পরশ্রীকাতরতা হতে নিজেকে দূরে রাখতে।
চেষ্টা করলে সেটা সম্ভব। নিজের জীবন নিয়ে ভাবুন।
সৎ থাকুন।
নিজেকে পরিশুদ্ধ করুন, একদিন আপনাকেও অনেকে ভালোবাসবে।
তার জন্য পরশ্রীকাতর হবার কোন প্রয়োজন হবে না।


#নগরে_সাধু

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কোথায়ও গোজামিল দিচ্ছেন?

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৮

নীলসাধু বলেছেন: আপনার প্রশ্ন বুঝি নাই চাঁদগাজী ভাই। আবার করেন।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবকিছুড় মূলে, আমার কাছে মনে হয়, অলসতা, সততার অভাব ও দুর্নীতিগ্রস্ততা এবং ন্যায় বিচারের অভাব। সৎ পথে পরিশ্রম করে উন্নতি পেতে একটু সময় ও ধৈর্য্যের প্রয়োজন, যেটা আমদের নাই। এজন্য শর্টকাট ও দুই নাম্বারি পথে দ্রুত উন্নতি করি। এ দেখে পাশের জনে তো হিংসায় জ্বলবেই। সেও তখন পাল্লা দিয়ে নামবে অসৎ অর্জনের জন্য। ঘুষ দিয়ে প্রজেক্ট নিবে, প্রজেক্টের টাকা গায়েব করে দিবে। উন্নত দেশে জেলাসি বা পরশ্রীকাতরতা এত আছে বলে মনে হয় না। কারণ, সেখানে পরিশ্রমী মানুষ আছে, যারা সৎ এবং ন্যায়পরায়ন।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫১

নীলসাধু বলেছেন: সোনাবীজ ভাই ঠিক বলেছেন। এসবের পেছনে কারণ অনেকই রয়েছে। আজ কিছু কারণে পরশ্রীকাতরতা নিয়ে লিখে ইচ্ছে করলো। আমাদের আশেপাশে এমন প্রচুর মানুষ আমরা দেখি। যারা পরিশ্রমী ন্যায়পরায়ন ও সৎ তাদের এসব দোষ নেই। চিন্তা চেতনায় একটি বড় বিষয়। আর গুরুত্বপূর্ণ তাদের বেড়ে উঠা, পারিপার্শ্বিকতা। সব মিলিয়েই মানুষের মাঝে এই অসুখ দেখা দেয়।

ভালো থাকবেন সোনাবীজ ভাই।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৫

শোভন শামস বলেছেন: এটা থেকে বের হতে পারলে অনেক সময় বেঁচে যাবে, মনে আনন্দ আসবে

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২

নীলসাধু বলেছেন: হুম। আনন্দের প্রধান অনুষঙ্গ নির্মলতা। মনে হিংসা থাকলে নির্মলতার দেখা মেলে না :)
ধন্যবাদ,

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: শত্রু বাড়াবেন না।
এ যুগের শত্রুরা ভয়াবহ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৬

নীলসাধু বলেছেন: পোষ্টের সঙ্গে আপনার মন্তব্যের কোন সংযোগ পেলাম না।
আপনি ব্যক্তিগতভাবে নিয়েন না তাইলেই শত্রু মিত্রের প্রশ্ন আসবে না।
আর আমার কথা যদি বলেন তাইলে বলা যায় আমি লোড নিতে পারি সেটা শত্রু হোক বা বন্ধু হোক। কম বা বেশি। আপত্তি নেই কোনটাতেই। নো ওরিজ। হা হা -

থ্যাংকিউ।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনেক দিন পরে ফিরে আসার জন্য
আপনাকে ধন্যবাদ।
পরশ্রীকাতরতা একটি মানসিক অসুস্থতা বা রোগ।
সভ্যতাবোধের অভাব ও মানসিক নীচতা থেকে এই
রোগের উত্পত্তি। একজন পরশ্রীকাতর ব্যক্তি কারো
ভালো কিছু দেখলে হিংসায় জ্বলে-পুড়ে মরে। দুনিয়ার
প্রথম মানব হযরত আদম (আ)-এর প্রতি আল্লাহর
রহমত দেখে সে ঈর্ষায় ভোগে। তাই এটি ইবলিসের ভূষণ।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: এটি একটি স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া। আমার নাই, তোমার কেন আছে? আমি দুখী, তুমি কেন সুখী? ... এ ধরনের ধরনের দ্বন্দ থাকবেই। এবং এ ধরনের দ্বন্দ থাকবে তাদের মনে যারা অর্জনে ব্যার্থ।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৬

মেহবুবা বলেছেন: আমার বলতে কোন দ্বিধা নেই যে এই পরশ্রীকাতরতা, অহমিকা এসবের থেকে দূরে থাকতে পারি । বিধাতার অশেষ রহমত।
তবে চারিপাশে ছড়াছড়ি । ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই, কেন যে মানুষ বোঝে না ।
এই জন্য হিংসুকের হিংসা থেকে নিজেকে বাচিয়ে চলতে বলা হয়েছে আমাদের ধর্মে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.