নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন সুন্দর স্বদেশ নির্মাণে সচেষ্ট হই, যার যার অবস্থান হতে শিশুদের জীবন মান উন্নয়ন সহ প্রাণ প্রকৃতির জন্য কাজ করি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩



বিজয় দিবসে আমার মনটা বেশ ফুরফুরে থাকে, সারাদিনই মুখটা হাসি হাসি।
আমি জানি আমার মতন সকল বাংলাদেশীর মনেই বিজয়ের আনন্দ গর্ব অহংকার ছুঁয়ে থাকে। বিজয় আমাদের সবাইকে সুখ আনন্দ আর গভীর গর্বে ভাসায়। সবুজ বাংলাদেশের এই মানচিত্র আঁকতে গিয়ে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা বাংলাদেশ, আজ তাদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত হবার দিন, আজ আমাদের বিজয়ের দিন।

আমি যখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তখন শিশু সংগঠনের একজন ক্ষুদে সদস্য ছিলাম। আমরা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে স্টেডিয়ামে যে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হতো সেখানে অংশ নিতাম। আরও অনেক শিশু কিশোর সংগঠন ছিল যারা নানা ধরনের শারীরিক কসরত দেখাতো, নানা ধরনের ডিসপ্লে হত। সব মিলিয়ে শিশু বেলায় সেই সময়টুকু ছিল প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস আর আনন্দের। দিনে দিনে শৈশবের সেই আনন্দে বেড়েছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিজয় দিবসের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। জেনেছি অনেক কথা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। একটু যখন বড় হলাম তখন সব বন্ধুরা মিলে এই দিনটিতে ছুটে যেতাম সাভার। স্মৃতি সৌধে কাটাতাম দিনটি। মনে আছে প্রবল উত্তেজনা আর এক আকাশ উচ্ছ্বাস মিশে থাকতো আমাদের সবার মনে। খুব সকালে উঠতে হবে তারপর যাত্রা শুরু হবে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবার পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধের সব কথাই মন্ত্রমুগ্ধের মতন শুনতাম। তাদের বীরত্বের কথায় বুকটা ভরে উঠত। এভাবেই কৈশোরে মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী আমাদের মধ্যে জাগিয়েছে গর্বিত হবার অদম্য স্পৃহা! আমরা বীরের জাতি। যুদ্ধ করে শত্রু মুক্ত করা দেশের মানুষ! এই গৌরব আমাদের ছুঁয়ে যেতো।

আমি জানি না এখনকার জেনারেশনের শিশু কিশোররা এভাবে ভাবে কিনা, অথবা এমন মনে হয় কিনা। আমরা এভাবেই শৈশব কৈশোরে দেশের প্রতি গভীর মমতা নিয়ে বড় হয়েছি। অবশ্য আমাদের সে সময়টায় রেডিও আর পরে সাদা কালো টিভি ছাড়া আর কোন মাধ্যম ছিল না। সেখানে যা প্রচারিত হতো আমরা সারা দেশের কিছু মানুষ শুধু সেগুলো শুনতে বা দেখতে পারতাম। তাই দিনের পর দিন সে দেশাত্মবোধক গান, মুক্তির গান, স্বাধীনতা আর বিজয়ের গান-কবিতা-সিনেমা-নাটক আমাদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। আমরা তাই খুব সহজে একাত্ম হয়ে উঠি। সেভাবে ভাবলে এখনকার পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। নানা মাধ্যমে শিশু কিশোর দের সময় কাটে। তার সময় কাটাবার অফুরন্ত জিনিস/মিডিয়া/মাধ্যম!! এরা বেড়ে উঠছে ভিন্ন আবহে। মন মনন চিন্তা চেতনায় তাই আমাদের ২/৩টি জেনারেশনের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান।

বিজয়ের এই দিনটিতে আমি সাধারণত ঘুরাঘুরি করি, হাঁটি, সাধারণ মানুষের সাথে থাকি। শিশু কিশোর তরুণ তরুণী সহ সকলের মুখে প্রশান্তির হাসি, তৃপ্তি এবং গৌরবের ছায়া দেখি। ভালো লাগে। যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমার আচার আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে তবু বিজয়ে দিবসে শৈশব কৈশোরের সেই আনন্দের রেশটুকু এখনো অমলিন রয়েছে।

বিজয়ের শুভেচ্ছা সবাইকে।
আসুন সুন্দর স্বদেশ নির্মাণে সচেষ্ট হই, যার যার অবস্থান হতে শিশু জীবন মান উন্নয়ন সহ প্রাণ প্রকৃতির জন্য কাজ করি।
.
.
#বিজয়_দিবস_২০২২

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: নতুন কিছু ভাবতে হবে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

নীলসাধু বলেছেন: বিজয়ের শুভেচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.