নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নগরে সাধু :: আমাদের দৈনন্দিন পরশ্রীকাতরতা

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০



পরশ্রীকাতরতা একটি অসুখ। এতে আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হিংসা-বিদ্বেষ-দ্বন্দ্ব-কলহ-বিবাদ বৃদ্ধি পায়। আমাদের শান্তি ও স্বস্তির জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। আজকের বাংলাদেশের চিত্র বলে দেয় মানুষের প্রতি সব মানুষের ভালোবাসা, কর্তব্য বোধ, সহানুভূতি, সহমর্মিতা কমছে। খুব আশংকাজনক হারেই কমছে।
কিন্তু কেন কমছে?
আমাদের আশেপাশে সুবেশী মানুষগুলো যাদেরকে আমরা বন্ধু ভাবি তাদের মাঝেই রয়েছে বহু পরশ্রীকাতর মানুষ! আপনি ভালো আছেন- এটাই তাদের ঠিক ভালো লাগে না।
বাংলা একাডেমির অভিধানে পরশ্রীকাতর শব্দটির অর্থ দেওয়া আছে এভাবে- অপরের উন্নতি বা সৌভাগ্য দেখে কাতর বা ঈর্ষান্বিত হয় এমন।
শব্দটির বিশেষণ পরশ্রীকাতরতা।

মায়া সহমর্মিতা, সমবেদনা এই সব কমছে কেন?
এর উত্তর খতিয়ে দেখলে বোঝা যায় এর প্রধান একটি কারণ হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা।
সে ভালো কাজ করছে, ঐ ছেলেটা উন্নতি করছে, সে ভালো রেজাল্ট করেছে ইত্যাদিতে আর আমরা আনন্দ পাই না। বরং হয় উল্টো। মনে হয় কেন পাশের বাড়ির লোকটি নতুন ফ্ল্যাট কিনল, কীভাবে কিনলো? নিশ্চয় কোন কিন্তু আছে।
ইশ ভাবীর ছেলেটা নামি স্কুলে চান্স পেল?
এ বয়সেই কীভাবে এত দ্রুত সফল হলো, তমুকের স্বামী তাকে এত দামি উপহার দেয় কেন?
এই লোকটা এতো খ্যাতি অর্জন করছে!! নাহ, নিশ্চয় এখানে ভেজাল আছে। আমিতো এটা পারিনি সে কেন পারবে? আমাকেও সব পেতে হবে। আমার নেই কেন?
এই ধরনের চিন্তাধারার মাঝেই রয়েছে আমাদের দৈনন্দিন পরশ্রীকাতরতা।

পরিচিতজন বা বন্ধুত্বের মধ্যে এক ধরনের বৈপরীত্য বা প্যারাডক্স থেকেই পরশ্রীকাতরতার অনুভূতি জন্মায়। অধিকাংশ মানুষের বন্ধু সংখ্যা সাধারণত কম হয়ে থাকে। তবে কিছু মানুষের বন্ধুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি- আর এই দ্বিতীয় দলটির কারণেই বন্ধুত্বের প্রতি সামগ্রিক মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে।

আপনাদের জন্য কোন উপদেশ বা জ্ঞানের পরামর্শ দিলাম না কারণ আমি জানি এসব উলু বনে মুক্তা ছড়ানোর মতোন। যার যার ভাবনা তার তার জীবন। আমি হাজার নসিহত করলেও আপনি পরিবর্তন হবেন না। আপনি চলবেন আপনার মতোন করেই। তবু চেষ্টা করবেন পরশ্রীকাতরতা হতে নিজেকে দূরে রাখতে। চেষ্টা করলে সেটা সম্ভব। নিজের জীবন নিয়ে ভাবুন।

সৎ থাকুন।
নিজেকে পরিশুদ্ধ করুন, একদিন আপনাকেও অনেকে ভালোবাসবে। তার জন্য পরশ্রীকাতর হবার কোন প্রয়োজন হবে না।


#নগরে_সাধু
#নগরেসাধু

[এই সিরিজের সকল লেখা পড়তে উপরে দেয়া দুটি হ্যাশ ট্যাগে ক্লিক করতে পারেন, ধন্যবাদ]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পরশ্রীকাতরতা আসলে একটা রোগ। এ রোগটা কম বেশি সব রক্তমাংসেই আছে, তবে, পরিমাণে বেশি হয়ে গেলে এটা চোখে ধরা পড়ে। পরশ্রীকাতরতা আর স্বার্থপরতা ওতপোতভাবে একে অপরের সাথে জড়িত। মানুষ স্বার্থপর বলেই অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না।

লেখাটা ভালো লেগেছে নীল সাধু ভাই।

হ্যাশ-ট্যাগ কিন্তু আসে নাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

নীলসাধু বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাই।
আশা করছি কুশলে আছেন।

আপনার পোষ্ট পড়েও একরাশ ভালো লাগা জানিয়ে এসেছি। এক গুছ সুন্দর পংতিমালা।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: পজিটিভ ঈর্ষা তো ভালো, মানুষকে পরিশ্রমী করে!

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

নীলসাধু বলেছেন: পজেটিভ ঈর্ষা বোঝার মতোন মানুষ আমাদের আশেপাশে অনেক নেই। এটা সামগ্রিকভাবে বলা সাথে আমি কিছু উদাহরণ দিয়েছি যা থেকে এর ধরণ বুঝতে সহজ হয়।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: একজনের সাথে হিংসা করে আরেকজন সাহিত্য চর্চা করলে তাতে দেশের মঙ্গলই হয়।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনি নিজে কি এ দোষ মুক্ত? ভাল করে ভেবে চিন্তা করে উত্তর দেবেন। আমাদের সমস্যা হচ্ছে,আমরা নিজেদের দোষক্রুটিগুলো দেখিনা। পরশ্রীকাতরতা হচ্ছে, স্নায়ুবিক প্রাণীর সহজাত প্রবৃত্তি। যতক্ষন পর্যন্ত না সেটা অন্যের ক্ষতি করছে তা দোষের নয়। বরং নিজের,সমাজের ও রাস্ট্রের জন্য অনেক সময় তা মঙ্গল বয়ে আনে।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের চিন্তা-ভাবনা যৌক্তিক হলেই আমরা হিংসা-বিদ্বেষ,দ্বন্দ্ব- কলহ এসব থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: পরশ্রীকাতরতা আমাদের শিরায় শিরায়। এটা থেকে মুক্তি নাই।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলসাধু,




মানুষ নিয়ত জীবন যুদ্ধে লিপ্ত। কে কাকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবে, এই নিয়ে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া মানুষেরা হীনমন্যতায় ভোগে আর তা থেকেই জন্ম পরশ্রীকাতরতার। এটা একটা রোগও বটে! বেশির ভাগ মানুষই কম বেশী পরশ্রীকাতরতায় আক্রান্ত।
এ থেকে বেরুনোর সহজ পথ নেই। কেবলমাত্র নিজের সীমিততা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারলেই পরশ্রীকাতর হওয়া থেকে দূরে থাকা যায়।

ঈদ শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.