নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পাদক, শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ত্রৈমাসিক \'মেঘফুল\'। প্রতিষ্ঠাতা স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন \'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি\'।

নীলসাধু

আমি খুব সহজ এবং তার চেয়েও বেশী সাধারন একজন মানুষ । আইটি প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করছি। টুকটাক ছাইপাশ কিছু লেখালেখির অভ্যাস আছে। মানুষকে ভালবাসি। বই সঙ্গে থাকলে আমার আর কিছু না হলেও হয়। ভালো লাগে ঘুরে বেড়াতে। ভালবাসি প্রকৃতি; অবারিত সবুজ প্রান্তর। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে দুকুল উপচেপরা নদী আমাকে টানে খুব। ব্যাক্তিগতভাবে বাউল, সাধক, সাধুদের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। তাই নামের শেষে সাধু। এই নামেই আমি লেখালেখি করি। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়। শুভ ব্লগিং। ই-মেইলঃ [email protected]

নীলসাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানাপ্লাজা একটি বিষাদ স্মৃতি

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৫



রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর হলো আজ। ভয়াবহ এই ঘটনা দেশ ও বিদেশে বহুল আলোচিত ছিল। মনে পড়ে সেদিন সকালে অফিস যাবার সময় টিভির স্ক্রলে দেখেছিলাম মৃতের সংখ্যা ৩।

অফিস সেরে বিকেলেই আমি আর অসীম সাভার রওয়ানা করি, সেই ছিল শুরু।
একজন ভলান্টিয়ার হিসেবে আমি রানা প্লাজার আহতদের সাথে যুক্ত ছিলাম দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময়। ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে কাজ করেছি। রক্ত জোগাড়, জরুরি ঔষধ প্রদান দিয়ে শুরু তারপর আহতদের খোজখবর নেয়া, তাদের পূনর্বাসনের চেষ্টা, সার্ভে ইত্যাদি নানাভাবে ছিল এই সম্পৃক্ততা। আমাদের সাথে ছিল ব্লগ ও অনলাইনের বহু সুহৃদ বন্ধু স্বজন।
বলা যায় সারা দেশের মানুষ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিচলিত ছিল। সকলেই আহতদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। শত হাজার স্বেচ্ছাসেবী সেখানে কাজ করেছে। তাদের সাথে যুক্ত ছিল সাধারণ মানুষ।
মনে পড়ে কতো কি!




রানা প্লাজা নিয়ে দেয়া আমার আজকের স্ট্যাটস।

২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ১ হাজার ১৩৮ শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন আড়াই হাজার শ্রমিক। মতান্তরে এই সংখ্যা আরো বেশি।

আমার ভলান্টারি কাজের মধ্যে রানা প্লাজায় যুক্ততা ছিল বিশেষ একটি ঘটনা। আমি তখন একটি প্রতিষ্ঠানের এডমিনে কাজ করতাম। চাকুরীর পাশাপাশি দুর্ঘটনার দিন হতে টানা ৩/৪ মাস আমি যুক্ত ছিলাম শুধু রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত রোগী, শ্রমিকদের নিয়ে। জরুরি ঔষধ রক্ত দেয়া থেকে শুরু করে দুজন পোশাক শ্রমিকের জন্য ছোট পরিসরে সহায়তা করার সুযোগ হয়েছিল। এনাম হাসপাতাল, দুর্ঘটনা স্থল, ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল সহ নানা জায়গায় আমরা গেছি দিনের পর দিন। সেই সময়টায় আমার পাশে ছিলেন প্রথম আলো ও সামহোয়্যার-ইন ব্লগের একদল মানুষ। এক এবং একাধিক টিমের সদস্য হয়ে আমরা সকলে মিলে কাজ করেছিলাম। বলা যায় পুরো দেশের একটি বৃহৎ অংশই যুক্ত ছিলেন আমাদের সাথে, সে এক ভিন্ন সময়। ১১ বছর হয়ে গেলো।

মূলত রানা প্লাজার ঘটনার পরেই বাংলাদেশের পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়ায়। নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশ সিরিয়াস হয়। ফলাফল বর্তমানে নানা প্রতিবন্ধকতা সত্বেও এই খাত উত্তরোত্তর সাফল্যের হাতছানি। বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক লিড সার্টিফাইড ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে!! অনেক প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া এই অর্জনে দেশ সমৃদ্ধ হোক এই শুভকামনা রইলো।

রানা প্লাজার ঘটনায় আমি দেখেছিলাম একটি ভিন্ন বাংলাদেশকে। পুরো দেশের মানুষ এই ঘটনায় ব্যথিত হয়েছিলেন এবং সকলেই সাধ্যানুযায়ী তরুণদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিসের সাথে সমান-তালে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল উদ্দীপনা জাগানিয়া।










মন্তব্য বিষয়ক কৈফিয়ত:
নিজের লেখালিখি প্রকাশের জন্য আমি এই প্রিয় প্ল্যাটফর্মে সময় দেই।
সঙ্গত কিছু কারণে আমার পোষ্টে সহ-লেখক/ব্লগার দের মন্তব্য করার অপশন বন্ধ রেখেছি, আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.