![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. মনে করুন, কিছু একটা অর্জন করার জন্যে হঠাৎ করেই আপনার মাঝে একটি তীব্র আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হল এবং আপনি যে বস্তুটি অর্জন করতে চাচ্ছেন সেটি চাইলেই পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বস্তুটি ছাড়া যে আপনার একদমই চলবে না সেটা আপনি খুব ভালো করেই জানেন এবং সে কারনেই আপনি বস্তুটি হস্তগত করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এমতাবস্থায় আপনি কী করবেন ? আপনি যদি মোটামুটি স্বশিক্ষিত , বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি যে কাজটি করবেন সেটি হল তথ্য সংগ্রহ। ঐ নির্দিষ্ট বস্তুটি পেতে হলে যেসব করণীয় কাজ আছে সেসব বিষয়ে আপনি জ্ঞানার্জন করা শুরু করবেন এবং যেসব মানুষ ইতোমধ্যেই বস্তুটি অর্জন করেছে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গবেষণা করে সেসব বৈশিষ্ট্য নিজের ভিতরেও গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে আপনি মূলতঃ যে কাজগুলো করলেন তা হলো গবেষণা ও সাধনা। পৃথিবীর যেকোনো কাঙ্ক্ষিত বস্তু লাভ করা বা কাজ সম্পাদন করার একমাত্র উপায় হল এটি। বস্তু বা কাজটি সম্পর্কে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করা এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে সাধনা ও কর্মে রূপান্তরিত করা। এ পদ্ধতিটি কোন কিছু লাভ করা বা কোন কাজ সফলভাবে শেখার একমাত্র পদ্ধতি হলেও সবাই এ পদ্ধতিটির ভিতর দিয়ে যেতে চায় না এবং তার কারনও আছে। আমি আগেই বলেছি , এ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে আপনি শুধুমাত্র তখনই যাবেন যখন আপনার চরিত্রে অন্ততঃ তিনটি গুণ থাকবে। এক. স্বশিক্ষা দুই. বুদ্ধিমত্তা তিন.পরিশ্রম। এখানে স্বশিক্ষা বলতে আমি একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতার কথা বলছি। বিশেষ এই ক্ষমতাটি মানুষকে সাহায্য করে তার করনীয় বিষয়গুলি স্থির করতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে। বুদ্ধিমত্তা হল বিশ্লেষণী ক্ষমতা এবং পরিশ্রম হল লেগে থাকার প্রয়াস, একে অধ্যাবসায়ও বলা যেতে পারে। যখন পাথেয় হিসেবে এই বৈশিষ্ট্যগুলি কারো থাকবে তখন সে উপরোক্ত গবেষণা ও সাধনার পথেই হাঁটবেন। কিন্তু এসব বৈশিষ্ট্য যদি কারো না থাকে এবং তারপরেও যদি সে বস্তুটি পেতে চায় তাহলে সে কি করবে? সহজ। বুদ্ধিমত্তা উন্নত হওয়ার আগে মানুষ যা করত এবং নির্বোধ প্রাণীরা যা করে। নিজস্ব ইন্সটিংক্ট এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া বা অন্ধ অনুকরণ। ক্ষেত্র বিশেষে এই দ্বিতীয় পদ্ধতিটি কদাচিৎ কাজ করলেও বেশীরভাগ সময়ই এটি দুর্দশারই কারন হয়। কীভাবে ? আসুন, একটি গল্প শুনি-
২.
একদা এক রাজ্যের রাজা হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রাজ্যের নামি নামি সব বৈদ্য ও ওঝার প্রাণপণ চেষ্টায় সে যাত্রায় রাজা বেঁচে গেলেও তিনি বুঝতে পারলেন যে তার বিদায় নেয়ার সময় হয়েছে। তিনি খুব দ্রুত পরবর্তী রাজা নির্ধারণ করতে চাইলেন। বড় ছেলেকে রাজা বানানোর ঐতিহ্য থাকলেও রাজার জন্য ব্যাপারটা তত সহজ ছিল না। কারন রাজার ছিল দুইটি জমজ ছেলে এবং দু’জনেই ছিলেন সিংহাসনের যোগ্য দাবীদার। এমতাবস্থায় রাজা অনেক ভেবে-চিন্তে দুই ছেলের মধ্যে একটি কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন বলে স্থির করলেন। যে জিতবে সেই হবে রাজ্যের রাজা। তিনি জানতেন, যুদ্ধাস্ত্র বিদ্যায় কম বেশী পারদর্শী হলেও যুবরাজদ্বয়ের কেউই খালি হাতে কখনও কুস্তি লড়েন নি এবং এ বিষয়ে দুজনেই ছিলেন পুরোপুরি অনভিজ্ঞ। রাজা আসলে দেখতে চাচ্ছিলেন সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিস্থিতি কোন যুবরাজ কীভাবে সামাল দেয় সেটিই। যাই হোক, যুবরাজদ্বয়ও এই প্রস্তাবে রাজি হলেন। ঠিক হল কুস্তি প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে সাত দিন পর। এই সাত দিন তারা যে যার মত লড়াইয়ের জন্যে প্রস্তুতি নেবেন। জমজ ছেলের একজন ছিলেন পরিশ্রমী এবং তিনি মাথা খাঁটাতে পছন্দ করতেন। তিনি খুব তাড়াতাড়ি নামকরা একজন প্রবীন কুস্তিগীর ডেকে নিয়ে তার কাছ থেকে খুঁটি-নাটি শিখতে লাগলেন, বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করতে লাগলেন এবং এসব কৌশল অন্য কুস্তিগীরদের উপর প্রয়োগ করা অনুশীলন করতে লাগলেন। অচিরেই তিনি সাধারণ কৌশলগুলোর সাথে নিজস্ব মৌলিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে নিজস্ব কিছু ধারার সৃষ্টি করলেন। সময় স্বল্পতার ব্যাপারটা মাথায় রেখে তিনি বাহুল্য আনুষ্ঠানিকতা শেখার জন্যে কোন রকম সময় নষ্ট করলেন না। অপর দিকে অন্য যুবরাজ ছিলেন একটু অলস ধরণের এবং বিশ্লেষণ করার প্রয়াসও তিনি খুব একটা করতেন না, তথাপি রাজা হওয়ার মনোবাসনা তার ভিতরেও ছিল সমুন্নত। আর তাই তিনি আয়েশ করে শেখা যায় এমন শর্টকাট ব্যবস্থার আয়োজন করলেন। রাজ্যের নামকরা নামকরা কুস্তিগীর ডেকে নিয়ে তাদেরকে দিয়ে কুস্তি করাতেন এবং নিজে বসে বসে দেখতেন আর শিক্ষা নিতেন। ফলস্বরূপ তিনি কুস্তি লড়াইয়ের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও বিভিন্ন কুস্তিগীরের গুটিকতক ভাব-ভঙ্গী নকল করা ছাড়া কাজের বলতে গেলে কিছুই শিখলেন না। শুধু তাই নয়, বাস্তবে কখনও অনুশীলন না করার কারনে নিজের বাস্তব জ্ঞান সম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিল না। আর তাই তিনি ঐ অল্প জ্ঞান নিয়েই নিজেকে অনেক বড় মাপের কুস্তিগীর ভাবা শুরু করলেন। তো লড়াইয়ের দিন যখন দুই যুবরাজ মুখোমুখি হলেন তখন সাদা-সিধা পোশাক পরিহিত প্রথম যুবরাজকে, বীর যোদ্ধার সাজে সজ্জিত এবং অন্য কুস্তিগীরদের নকল করে হম্বি-তম্বী করা দ্বিতীয় যুবরাজের তুলনায় সবাই তুচ্ছই মনে করলো।
তারপর-
কুস্তি শুরু হল,শেষ হল,মাঝখানে এবং পরে কী কী হল সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব আমি আপনাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতার উপর ছেড়ে দিলাম।
৩.
জন্ম থেকেই বাংলাদেশ খুবই অনুন্নত ও দরিদ্র একটি দেশ। স্বাভাবিকভাবেই একজন দরিদ্র মানুষের জীবন কাটে আরেকটু ভালো থাকার সংগ্রামে। দরিদ্র মানুষের মত এই দরিদ্র এ দেশটিও খুব তাড়াতাড়ি ভালো থাকার সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ল। ইতিহাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যাচারিত,দুঃখি সর্বোপরি অশিক্ষিত এই জাতিটি স্বাধীনতা লাভের পর অন্য সব জাতির সাথে তাল মিলিয়ে শুধু ভালো থাকতেই চাইলো না, সাথে উন্নত ও অগ্রগতিশীলও হতে চাইল। সেটাই চাওয়া উচিত। তবে চাইলেই তো আর পাওয়া যায় না। কীভাবে সেটি পেতে হয় সেই জ্ঞানটিও তো থাকতে হয়। এ জাতির সেটা ছিলো না। তাই তারা জ্ঞানটি অর্জন করতে চাইলো। তারা পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দ্বারা করালো। এ পর্যায়ে যদিও জাতিটির বুদ্ধিমত্ত্বা ও স্বশিক্ষার পরিচয় দিয়ে এসব উন্নত দেশসমূহের শুধুমাত্র সেইসব ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণা করা উচিত ছিল যেসব ক্ষেত্র সত্যিকার অর্থেই একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঁঠি হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু বরাবরই মাথামোটা ও অলস উপাধি পাওয়া এ জাতি কোন রকম বিচার-বিশ্লেষণ এ না গিয়ে উন্নত ও আধুনিক হওয়ার একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিল অন্ধ অনুকরণের পথ। আর এখান থেকেই শুরু হল একটি জাতিগত সারকাজমের। বিচিত্র সব ঘটনার মধ্য দিয়ে বারে বারেই বাঙালি জাতি প্রমাণ দিতে লাগলো যে তারা আসলেই অশিক্ষিত,অবিবেচক ও পরিপূর্ণভাবে একটি গাধাগোত্রীয় জাতি। অনুকরণ করার ব্যাপারে তারা কোন বাছ বিচার করলো না। যেসব জিনিশ তাদের নিজেদেরই অনেক উন্নত ছিলো তারা সেগুলোতেও বাইরের দেশগুলোকে অনুকরণ করা শুরু করলো। তাই উন্নত দেশ ও জাতিকে অনুকরণ করার প্রভাব যেখানে দেখতে পাওয়ার কথা ছিল দেশের রাজনীতি,অর্থনীতি ও নিরাপত্তা সহ সর্বোপরি ভালো থাকার জন্যে প্রয়োজন এমন সব ক্ষেত্রে, সেখানে দেখা গেল দেশের মানুষের গণহারে নিজস্ব মৌলিকতার বিসর্জন। জাতির বাচ্চা-কাচ্চারা বাংলা ভুলে হিন্দি ও ইংলিশে কথা বলছে,কেন? বাংলা ভাষা কী অনুন্নত? আজ,মুস্তাফিজ নামের ইংলিশ,হিন্দি না জানা ছেলেটি কি ভুবন জয় করে নি ? বরং ছেলেটিতে মুগ্ধ হয়ে সেসব উন্নত দেশের দু’একজন বাংলা শিখে ফেলছে। সমাজের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে অন্ধ-অনুকরণের উদাহরণ। তরুন সম্প্রদায় গ্রহণ করেছে ফেন্সিডিল,ইয়াবা ইত্যাদি মাদকদ্রব্য। জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওপেন সেক্স কান্ট্রির লিভ টুগেদার ধারণা। বেড়েছে প্রি-ম্যারিড প্রেগন্যান্সি ও অ্যাবরসনের হার। পোষাইলে থাকো, না পোষাইলে রাস্তা মাপো রিলেশনশিপ সবখানে। স্বামীর পথ চেয়ে রাত্রি জাগা তরুনীর দিন ফুরিয়েছে। পোশাক-আশাকে,চাল-চলনেও আধুনিকতার ছোঁয়া! চুমু স্টাইলে ঠোঁট বাঁকিয়ে গরুর মত বড় বড় চোখ করে মেয়েরা ফেসবুকে ছবি ছাড়ছে আর ছেলেরা সেখানে মন্তব্য করছে,”তোমাকে খুব যৌনাবেদনময়ী(sexy) লাগছে” এবং তার উত্তরে মেয়েরা বলছে,”ধন্যবাদ” ! ! ! এ ব্যাপারগুলি কোনভাবেই বাঙালি মূল্যবোধের মাঝে পড়ে না। তথ্য- বাঙালি সস্কৃতি বলে আলাদা করে তেমন কিছু আর নাই। সব পশ্চিমা মিক্সড খিচুড়ি। কে কী অনুকরণ করছে , তার ফলাফল কী হতে পারে,সেটা আসলেই কী ভালো না খারাপ তা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নাই। প্রত্যেকটি জিনিসেরই তো ভালো-মন্দ থাকে। আমার অবাক লাগে যখন দেখি, বাঙালি কেন যেন বেছে বেছে সবচেয়ে নিকৃষ্টগুলোরই অনুসরণ করে। স্টার জলসা ও স্টার প্লাস এর সিরিয়াল মানুষের সংসার ভেঙ্গে দিচ্ছে। জঙ্গিবাদ,উগ্র নাস্তিকতাবাদ । আরো কত কি! সব লিখতে গেলে লেখা শেষ হবে না। অথচ এত আধুনিক ও ডিজিটাল একটি জাতির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিনে দুপুরে হ্যাক হয়ে যায়। রেস্তোরায় খেতে গিয়ে দু’টুকরো হয়ে যায় মানুষ। নালা,গর্তে পড়ে প্রাণ হারায় শিশু। উন্নত দেশেসমূহ এদেশে পর্যটনের ব্যাপারে তাদের নাগরিকদের সতর্ক হতে বলে। কারন এ দেশে বাস করে সাপের মতই নির্বোধ ও ভয়াবহ একটি জাতি যে জাতি কোন কারন ছাড়াই ছোবল মারে। অন্য কাউকে না পেলে নিজেকেই মারে। উপর দিয়ে ফিটফাট ও ভিতর দিয়ে সদরঘাট এই জাতির কার্যকলাপ অন্যান্য জাতির জন্যেও রসের খোরাক। তারা এদেশের কথা উঠলেই কথায় কথায় টিটকিরি মারে। হাসা-হাসি করে। মগজহীন অনুকরণপ্রিয় জাতি ওদের দেখা-দেখি নিজেরাও মজা নেয় নিজেদের অপমান করে। পৃথিবীর বর্তমান ইতিহাসে বাঙালি একটি অনুকরণসর্বস্ব কমেডিয়ান জাতি ছাড়া কিছুই না। যেদিন বাঙালি আর অনুকরণ না করে অন্যদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে শিখবে, যেদিন বাঙালি বুঝতে পারবে নিজস্বতার গুরুত্ব এবং দেশীয় সংস্কৃতি ও ধ্যান-ধারণার মূল্য দিতে শিখবে সেদিনই আসলে তাদের মাঝে আধুনিকতার সৃষ্টি হবে। এখনো দেরী হয়ে যায় নি। এখনো সম্ভব। তবে নিজেদের মগজ খাটানোর প্রয়োজন বাঙালি কখনও বোধ করবে কি না অথবা এই জাতির আদৌ কোন মগজ আছে কি না তার কোন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নি।
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
মেহেদী রবিন বলেছেন: বদলাতে হবে নিজেদেরই।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: বোকা মানুষেরা যদি নিজেদের চালাক মনে করে তাহলে তা শুধু রসের খোরকই হয়না সেই সাথে সাধারন জনজীবনে তা ভয়ংকর হয়ে ওঠে, সে খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত । যা কিছূ উচিৎ বলে মেনে এসেছি আজ সেগুলো ব্যকডেটেড নামক একটি শব্দের ঘেরাটোপে বন্দি । তবুও আমরা আশাবাদি ।
ভাল একটি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
মেহেদী রবিন বলেছেন: অথচ আমাদেরও আছে অনন্য ইতিহাসে বোঝাই আস্ত একটা সংস্কৃতি, জীবনধারা। শুধু সেই জীবনধারারটির জন্যে আমাদের মনে ভালোবাসা নেই। বুড়ো বাবা-মার মতই নীরস,ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে সব। আফসোসের ব্যাপার।
মন্তব্য করার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আত্মবিধ্বংসী জাতি