![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাগ্নি তথা বুয়া যে একটি মেসের সুখনির্ধারক তা আর কেউ না বুঝলেও আমরা ব্যাচেলরা কড়ায়গণ্ডায় বুঝি।
সেই বুয়া না আসলে মস্তিষ্ক যে বিপদে পড়ে তা থেকে বাঁচতে আজকের একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস।স্টুডেন্টদের বাঁচবে সময়,কমবে ঝামেলা,বাড়বে পুষ্টিদানকারী!
পাখির ডিম আর খিচুরির অপূর্ব সম্মেলিত রূপই ডিমচুরি।গুণে-মানে-অর্থে-পুষ্টিতে সব দিক থেকেই সেরা খাবারটির রূপকার পোস্টদাতা নিজে।
রান্নাটি একটু আগে সম্পন্ন হয়।সহকারী হিসেবে থাকা আংকেলকেও ধন্যবাদ। উপকরণঃগ্লাস/পাত্র,চাল,ডাল,সবজি,লবণ,মরিচ,হলুদ।
রন্ধনপ্রণালীঃএকগ্লাস চাল, আধা গ্লাস ডাল ও দুইগ্লাস পানি ডাইরেক্ট চুলার মিডিয়াম আগুনের উপর থাকা ডেগ/কড়াইয়ে ছেড়ে দিন।এরপর আলুসহ বিভিন্ন সবজি এবং পিয়াজ কোনমতে কয়েকপিস করে ডেগে ছেড়ে দিন।এবার আধাচামচ করে হলুদ ও মরিচ,একচামচ লবণ ও কয়েকটা কাঁচামরিচ কড়াই/ডেগে ছেড়ে দিয়া সোজা পড়ার টেবিলে বসে যান।
ঠিক আধঘণ্টা পড়াশোনার পর কিচেনে একটা ডিম হত্যা করে উক্ত কড়াই/ডেগের উপর ছেড়ে দিয়ে খাবার প্লেট ধোয়া,বোতল ভরা,লেবু কাটা-ইত্যাদি অপকাজগুলো সম্পন্ন করুন।এসব সম্পন্ন হতে হতে যখন মরা ডিমটা ভাজা হয়ে যাবে তখন চুলার আগুন নিভিয়ে ডিমটা আলাদা করে খাবারসহকারে খেতে বসে যান!
সতর্কতাঃ
@এখানে দুইজনের সমপরিমাণ খাবারের প্রণালি দেওয়া হয়েছে।ইচ্ছা মত ২:১:৪ এ পরিবর্তন করতে পারেন।
@তেল দিলে ভালো;না দিলে আরো ভাল
@কখনোই কড়াই/ডেগের উপর ঢাকনা দেবেন না।
সুবিধাঃ
১।আপনি পড়াশুনো করতে থাকলে এই কাজে সময় খরচ হয় মাত্র ১৫ মিনিটের মত।
২।জনপ্রতি ২৫ টাকারও কমে পেটপুরে খেতে পারবেন যা পুষ্টিউপাদানেও ঠাসা।
৩।আপনি কোন অপচয় ছাড়া রান্নার শতভাগ অবজেক্ট খেতে পারবেন।মাছ-মাংসের মত এঁটোকাঁটা ফালানোর ঝামেলা নাই।
৪।বাড়তি ফ্যাট ঝরাতে চাইলে এর চেয়ে ভাল খাবার বরং কমই মিলবে।কারণ এখানে তেল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নেই।
৪।সবচে' বড় কথা এই খাবার নিয়মিত আহার করলে শরীর যেমন ব্যাধিমন্দিরে পরিণত হবে না;তেমনি জীবনীশক্তিও বেড়ে যাবে অনেক।না বলতে শিখে যাবেন প্যারাসিটামল,রেনিটিড,স্লিপিং ট্যবলেট কিংবা কলিকাতা হারবালকেও।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
অবনি মণি বলেছেন: হেহে ঃ