নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীন মত প্রকাশ আমার অধিকার

নিউজকাস্টার

নিউজকাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেক কথা ফাঁস করলেন মেহনাজ

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৯

০ ব্রি. জে. বারির ফাঁদে পড়ে পরকীয়া, বিয়ে, তালাক



০ পিতার বন্ধুর পরামর্শে ডিজিএফআই কানেকশান

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদের কন্যা গ্রেফতারকৃত মেহনাজ রশিদ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, ১/১১ পর ফ্রিডম পার্টিকে পুনরায় সংগঠিত করার অযুহাত দেখিয়ে ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী ফজলুল বারী মেহনাজ রশিদকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন।



মেহনাজ রশিদ জানান, ওয়ান ইলেভেনের পর ফ্রিডম পার্টিকে পুনরায় সংগঠিত করার জন্য তার পিতা লে. কর্নেল (অব.) রশিদের বন্ধু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া মেহনাজ রশিদকে পরামর্শ দেন। এখনই দলকে সুসংগঠিত করার মোক্ষম সময় বলে মেহনাজকে সাত্তার ভুঁইয়া জানান। কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দলকে সুসংগঠিত করা যাবেÐ সে ব্যাপারেও সাত্তার ভুঁইয়া বলেন, ১/১১ পর ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীকে রাজনৈতিকভাবে উত্থান ঘটিয়েছে যারা, তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে হবে। বাবার বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী কচুক্ষেতস্থ ডিজিএফআইয়ের (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর) কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন মেহনাজ। সাত্তার ভুঁইয়াকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীই এর আগে এই বিষয়ে পরামর্শ দেন।



ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর সঙ্গে মেহনাজের ফ্রিডম পার্টি সুসংগঠিত করার জন্য দুইদিন দুই দফা আলোচনা হয়। আলোচনার সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী বিভিন্ন কায়দায় মেহনাজকে দৈহিকভাবে মেলামেশা করার প্রস্তাব দেন। তিনি মেহনাজকে বলেন, তুমি বড় একা এবং আমার ছায়াতলে তুমি থাকবে। তোমার আর কোন সমস্যা হবে না। এরই এক পর্যায়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী একদিন তাকে জড়িয়ে ধরেন। ঐ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীকে মেহনাজ বলেন, ‘আমি পতিতা নই। আমি লে. কর্নেল (অব.) রশিদের কন্যা’ আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ডে পড়াশুনা করেছেন মেহনাজ। যথেষ্ট স্মার্ট। তারপরও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর হাত থেকে মেহনাজ রশিদ রক্ষা পাননি। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী তাকে বলেন, ফ্রিডম পার্টিকে তিনি সুসংগঠিত করবেন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীও এই পার্টিতে যোগদান করবেন। এই পার্টিকে যেভাবে হউক ক্ষমতায় আনবেন বলে মেহনাজ রশিদকে তিনি জানান। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর এইসব কথায় তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর সঙ্গে মেলামেশা শুরম্ন করেন। মাঝে মাঝে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী মেহনাজ রশিদকে ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে মেহনাজ রশিদ রাজি হননি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনের সঙ্গে দেখা করবেন না।



ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী একটি মোবাইল ফোন মেহনাজ রশিদকে দিয়ে বলেন, এটা দিয়ে শুধু আমার সঙ্গে কথা বলবে। তিনি সেই ফোন দিয়েই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর সঙ্গে কথা বলতেন। মেহনাজের সঙ্গে এই বিয়ের কথা বারীর প্রথম স্ত্রী জেনে যান। তিনি এর প্রতিকার চেয়ে শীর্ষ কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী প্রথম স্ত্রীকে কৌশলে ম্যানেজ করেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী মেহনাজ রশিদের গুলশানের বাসায় বেশিরভাগ সময় থাকতেন। মাঝে মাঝে পাঁচতারা হোটেলে মেহনাজ রশিদকে নিয়ে রাত কাটাতেন। মেহনাজ রশিদ তার ৪ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে যখন ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে এই করম্নণ কাহিনী বলছিলেন তখন তার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরছিল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী ও তার অপর সহকর্মীদের নিষ্ঠুর আচরণ তাকে বার বার তাড়া করে ফিরছে। ডিবির কর্মকর্তারা মেহনাজ রশিদের মর্মস্পর্শী কাহিনী শুনে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েন। শিক্ষিত মেহনাজ রশিদ অত্যন্ত সুন্দর ও নিখুঁতভাবে তার বক্তব্য ডিবির কর্মকর্তাদের নিকট তুলে ধরেন।



মেহনাজ রশিদ জানান, এক বছর চার মাস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। ঐ মাসে মেহনাজ রশিদ নিজে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীকে তালাক দেন। এর আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী আমেরিকায় চলে যান। তার প্রথম বিয়ে হয় ১৯৯৭ সালে ধানমন্ডির বাসিন্দা জুনায়েদ চৌধুরীর সঙ্গে। লে. কর্নেল (অব.) রশিদের আইনজীবীর মাধ্যমে মেহনাজ রশিদের প্রথম বিয়ে হয়। এই বিয়ে ৫ বছর টেকে। এরপর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে যায়। প্রথম ঘরে মেহনাজ রশিদের একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে হয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারীর সঙ্গে। তৃতীয় বিয়ে করেন কেরানীগঞ্জের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রাফিকে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে চার মাসের শিশু কন্যাটি কার এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ডিবির কাছে মেহনাজ রশিদ জানান, এই শিশুর পিতা বর্তমান স্বামী রাফি।

(ইত্তেফাক)



মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: পড়ে মেহনাজের জন্য কষ্ট হল। বাবার জন্য সাফার করছে।

বারীর বিচার করা দরকার।

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৯

নিউজকাস্টার বলেছেন: ১/১১ এর খলনায়ক মইনের সহেযাগী বারীকে অবিলম্বে দেশে ফিরে এনে বিচারের মুখোমুখী করা দরকার।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৮

আল্লাহ রাখা বলেছেন: সমস্ত কথা শুনে মেয়েটার প্রতি করুনা জাগলো.......অবশ্য এই করুনাই আমাদের কাল.....যার কারনে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে মারা পড়েন

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৩

শূদ্র বলেছেন: এইসব লেখার মানে কি?
মেহনাজের পক্ষ নেয়া?
নাকি ঘটনার বিবারণে পুরষতান্ত্রিক মজা লুটা, ইশ সেখানে বারির জায়গা আমি কেন হলাম না এই টাইপের?
সমাজটাই যেখানে অসুস্থ বিকারগ্রস্ত, সেখানে এটা হবেই

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "নাকি ঘটনার বিবারণে পুরুষতান্ত্রিক মজা লুটা"

@শূদ্র

আপনার সাথে একমত। ইত্তেফাকের মত একটি পত্রিকায় এরকম বিশ্রী পুরুষতান্ত্রিক বর্ননা আশা করিনি।

তবে মেহনাজের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়া হয়েছে।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৮

নাহিদ মাহমুদ বলেছেন: দুঃখ লাগে। সমাজের উপরতলার মানুষগুলোর মানসিকতা দেখে। অথচ এরাই আমাদের নীতিনির্ধারক। কি দুঃখজনক ব্যাপার।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২৩

ধীবর বলেছেন: বাপের লাইগা মেয়েরে রিমান্ডে নিলে তো অনেক হাঙ্গর তিমিরও রিমান্ডে থাকোনের কথা।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২৫

প্রিয়সখা বলেছেন:
ইত্তেফাকের মত একটি পত্রিকায় এরকম বিশ্রী লেখা আশা করিনি।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:২৬

নয়ন বলেছেন: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভিতরে যে কত ধরণের ক্রাইম সংঘঠিত হয় তা আর বলবার মতো নয়।

আসলে এই হাইলি টেইনড এক্সপার্টরা যদি একটুও নৈতিকতা বিবর্জন দেয় তাহলে তারা সাধারণ অপরাধীদের চেয়েও অনেক বেশী ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাদের অপরাধ করবার ক্ষমতাও অন্য যে কারো চেয়ে অনেকবেশী হয়। কিন্তু দ:খের বিষয় প্রতিটা দেশের প্রতিরক্ষায় এদের কমবেশী উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। /:) :(

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:০৫

তাহের বলেছেন: সূযোগের সৎ ব্যাবহার আরকি! বাবির বিচার হওয়া উচিৎ।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৩২

বিলাল বলেছেন: কি রসালো কাহীনি, খাইছেরে।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:২৭

মএসএইসভূইয়া বলেছেন: Khali ershad er dosh!

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:২৬

কানা-বাবা বলেছেন: ইত্তেফাকের রিপোর্টটি রুচিহীন।

বারী সাহেব অনেকরই চক্ষুশূল ছিলেন, এবার সেটা আরও বাড়ল। মনে হচ্ছে তিনি স্কেপ গোট হচ্ছেন।

সবই উপরওয়ালার খেলা।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৮:২৫

ফিরোজ-২ বলেছেন: পড়ে মেহনাজের জন্য কষ্ট হল। বাবার জন্য সাফার করছে।

বারীর বিচার করা দরকার।

১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:২৮

হিটলারের সাগরেদ বলেছেন: ঘটনা সত্য হলে এর জন্য বিচার চাই। আপনার কাছে কোন রেফারেন্স আছে(পেপার ছাড়া)। প্লিজ দিন। আমার দরকার।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪১

যীশূ বলেছেন: কই পাইছেন এই তথ্য?

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

ব্যাপারনা বলেছেন: আরে ব্যাপার না । রাজ রাজড়াদের ঘটনা নিয়া প্রজাকুল হুদাই উৎকন্ঠিত ।
জগত ওগো লাইগা মাস্তির জায়গা।

নানা ঘটনার বেগ্রাউন্ড শেষ পর্যন্ত ঐ মাস্তিই ।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৭

জেড ইসলাম বলেছেন: @নাহিদ মাহমুদ, আপনি সমাজের উপরতলার এইসব শুয়োরের বাচ্চাগুলোর মানসিকতা এখন দেখলেন, আগে দেখেন নাই ?
ওদের মধ্যে ৯০% ই এই রকমের দুশ্চরিত্রের।

কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো, এদেশের লক্ষ-কোটি ভোদাই পাবলিক এইসব শুয়োরেরবাচ্চা গুলারে দেবতা জ্ঞান করে, তাদের গুন-কীর্তনে অন্ধ হয়ে যায়।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৩

জেড ইসলাম বলেছেন: মেহনাজের জন্য প্রচন্ড দুঃখ লাগলো।

মানুষ নামের কতগুলো শুয়োরের বাচ্চা জানোয়ার আরেক মানুষকে ফাদে ফেলে, তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিভাবে পশুসুলভ ফায়দা লুটতে পারে, তারই একটা নমুনা এটা।

কত যে দেখলাম, দেখতে দেখতে সয়ে গেছি এইসব জানোয়ার গুলোর কীর্তি।

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০২

সেতূ বলেছেন:
মেহনাজের জন্য কষ্ট হল। বাপের ময়লা পরিস্কার করতে গিয়ে নিজে ময়লায় জরজরিত হয়ে সাফার করছে।

সহমত@জেড ইসলাম বলেছেন: মেহনাজের জন্য প্রচন্ড দুঃখ লাগলো।

মানুষ নামের কতগুলো শুয়োরের বাচ্চা জানোয়ার আরেক মানুষকে ফাদে ফেলে, তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিভাবে পশুসুলভ ফায়দা লুটতে পারে, তারই একটা নমুনা এটা।

কত যে দেখলাম, দেখতে দেখতে সয়ে গেছি এইসব জানোয়ার গুলোর কীর্তি।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:২৪

ডিজিটালভূত বলেছেন: মেয়ো মানুষ যত বড়ই হোক, আর যত চালাকই হোক, হোক যত শিক্ষিতা তা মেয়েই। এটাই এ ঘটনার বাস্তবতা।
আর বারীর বিচার করা উচিত। একটি বড় পদে থেকে তা অপব্যবহার করার জন্য তার দৃষ্টান্তমুলক বিচার হওয়া দরকার।

২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬

পল্লী বাউল বলেছেন: এই সব বারী-রা ক্ষমতা পেলে যে কি করে তার আর একটি প্রমান এই ঘটনা।

২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭

কনফিফউজড বলেছেন: ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্জন্ত সে ছিল বারীর বৌ।
তার ৪ মাসের বাচ্চার পিতা হইল রাফি। কেম্নে কি?
মেহ্নাজের চরিত্রও খুব এক্টা ভাল মনে হইল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.