নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিন গুলো মোর সোনার খাচায় রইলো না

কোথাও যদি হারিয়ে আমি যাইগো কোন দিন , যেও ভুলে , আমায় যেও ভুলে

এন এইচ আর

আমি অধ্রের চেয়ে বেশী ভাঙ্গার চেয়ে ভালো, ছিন্নের তরে অন্যের কারও। আমি শুন্য দিয়ে পুর্ণ হয়েছি, চুর্ন হেও ধন্য রয়েছি। পন্যতেই নগন্য আমার তুল্য মুল্য স্বল্প। আমি মৃতত টিনের ডানা ভাঙ্গা কুল, বন্য তরুর ভিন্ন চেরা ফুল। আমি বাকা চোখের রুক্ষ আকা হাসি। দুর হতে কেউ আর বলো না ভালবাসি। তাহসান।

এন এইচ আর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশের প্রভাত ফেরী

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:০৫

লেখার শুরুতে নত মস্তকে হাজারো সালাম আর বিনিত শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সমস্ত ভাষা সৈনিকদের যাদের আত্বত্যাগের কারনে আজ বাংলা ভাষায় কথা বলছি , লেখছি , মনের ভাব প্রকাশ করছি।



জীবিকার প্রয়োজনে ছোটবেলা থেকেই ব্যাস্ত সময় কাটাতাম তারপরওএকুশের এই দিনটাতে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানতে কখনোই সময়ের অভাব ঘটেনি। প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষদের সাথে বেদিতে ফুল দিতে যেতাম । তখন তো আর এত কিছু জানিও না বুঝিও না। হাই স্কুলে দেখতাম বড় ভাইয়েরা একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে সাজাত। ভোর বেলা প্রভাত ফেরী করতে যাবার কড়া নির্দেশ থাকত স্যারদের। তাও আবার স্কুল ড্রেসে । প্রভাত ফেরী শেষে দেখতাম বড় ক্লাসের বড় ভাইদের দাপট বেদিতে। মনে মনে বলতাম আমরা একদিন বড় হব। তখন দেখব বেদিতে কারা থাকে। যখন ক্লাস টেনে স্কুলের নিয়ম অনু্যায়ী আমাদের দ্বায়িত্ব বেদি সাজানো, প্রভাত ফেরীর লাইন ঠিক রাখা , বেদিতে ফুল দেবার সময় শৃখ্লা বজায় রাখা।





চুপ চাপ বোদাই টাইপের মানুষ থাকাতে আমি কখনো ক্লাসের মাদবরি বা নেতা গিরী করতাম না বা পছন্দ করতাম না। কিন্তু খাতায় নাম প্রথম দিকে থাকায় স্যারদের নির্দেশে সব কাজে উপস্থিত থাকতে হতো। সেদিন নিজের সব টুকু ঢেলে দিয়ে কাজ করেছিলাম সন্ধা হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত। এতটুকুও ক্লান্ত বা বিরক্তি আসেনি। গ্রামের স্কুল হলেও আমাদের স্কুলের আওতা অনেক বড় ছিল এবং স্কুলের পাশে আমাদের থানার সবচেয়ে বড় বাজার থাকায় একুশের অনুস্ঠান গুলোতে অনেক লোক হতো।



কলেজে পড়ার সময় ও কলেজের অনুষ্ঠানে না থেকে আমি আমার স্কুলের আয়োজনে সময় দিতাম । ঢাকার যান্ত্রিক জীবনে এতই ব্যাস্ত হয়ে পরি যে শহীদ মিনারে যাবার সময়টুকুর অভাবে আমার প্রথম বার শহীদ মিনারেই যাওয়া হয়নি। তবে প্রথম আর শেষ বার ২০০৭ এ গিয়ে ছিলাম ।





দেশ থেকে অনেক দূরে থেকেও একুশের এই দিনটা কে অনেক মনে পড়ে। আজ সকালে যখন চুল কাটাতে দোকনে যাই দোকনে বসা অন্য আরেক খদ্দের জানতে চাইলে আমি কোন দেশী । বললাম বাংলাদেশী। ও বলল মানে ভারত । না ভারত না বাংলাদেশ। ভারতের পাশে ছোট্ট একটা দেশ তবে আমার দেশ টা ছোট হলেও আমার ভাষাটা ছোট নয় পৃথিবীর বহুল ব্যহ্রত ভাষার প্রথম দিকে আমার ভাষা। আর আজকের দিনটা সারা দুনিয়ার ভাষা দিবস কেন পালিত হয় সেটা ওকে জানানোর পর ওর মুখটা দেখে বাংঙালী বলে গর্ব লাগল।





তোমাদের রক্তে আজ আমরা গর্বিত জাতি।

হে ভাষা শহীদ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: "ও বলল মানে ভারত" ভারত না হলেও মনে হয় সে দিন আর বেশী দূরে নেই। ট্রানজিট দিলে তো বাংলাদেশ ভারতেরই অংগরাজ্য হয়ে যাবে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

এন এইচ আর বলেছেন: তাই নাকি???? ্যদি এমন হয় তাহলে ট্রনাজিট দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভেবে চিন্তে সিন্ধান্ত নেওয়া উচিত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫২

এন এইচ আর বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপনি আমার আবোল তাবোল লেখা নিয়মিত পড়েন।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৫

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: হুমমম!কত কিছুমনে পড়ে.........

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:১০

এন এইচ আর বলেছেন: সত্যি অনকে কিছুই মনে পড়ে। অনেক ভাল লাগা , মন্দ লাগা।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমি একজন নগন্য ও জঘন্য মানুষ। তাই আবোল তাবোল লেখাই বেশি পছন্দ করি;)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:২২

এন এইচ আর বলেছেন: কি্যে বলেন না। আপনি কেন নগণ্য জঘন্য মানুষ হবেন? নিজেকে নিয়ে এরকম ভাবতে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.